জানাযা নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া - ২


          [সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ রব্বুল আলামীনের জন্যে এবং অসংখ্য দরূদ ও সালাম আল্লাহ্ পাক-এর হাবীব, আখিরী রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি। মহান আল্লাহ্ পাক-এর অশেষ রহ্মতে আমাদের গবেষণা কেন্দ্র, “মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ”-এর ফতওয়া বিভাগের তরফ থেকে, বহুল প্রচারিত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, বাতিলের আতঙ্ক ও আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী একমাত্র দলীল ভিত্তিক মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাতপত্রিকায় যথাক্রমে টুপির ফতওয়া, অঙ্গুলী চুম্বনের বিধান, নিয়ত করে মাজার শরীফ যিয়ারত করা, ছবি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় হারাম হওয়ার ফতওয়া, জুমুয়ার নামায ফরযে আইন ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া, মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী সম্পর্কে ফতওয়া, কদমবুছী ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়াহ্ এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, ফরয নামাযের পর মুনাজাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, ইন্জেকশন নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, তারাবীহ্-এর নামাযে বা অন্যান্য সময় কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়েয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, দাড়ী ও গোঁফের শরয়ী আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, প্রচলিত তাবলীগ জামায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, আযান ও ছানী আযান মসজিদের ভিতরে দেয়ার আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, দোয়াল্লীন-যোয়াল্লীন-এর শরয়ী ফায়সালা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, খাছ সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া এবং নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, ইমামাহ্ বা পাগড়ী মুবারকের আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়া এবং শরীয়তের দৃষ্টিতে আখিরী যোহ্র বা ইহ্তিয়াতুয্ যোহ্রের আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া পেশ করার পর ২১তম ফতওয়া হিসেবে জানাযা নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়াপেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ্ পাক-এর দরবারে অসংখ্য শুকরিয়া।]
 জানাযা নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়ার কারণ
          সুন্নতের অনুপম দৃষ্টান্ত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, দ্বীন ইসলামের নির্ভীক সৈনিক, সারা জাহান থেকে কুফরী, শিরেকী ও বিদ্য়াতের মূলোৎপাটনকারী, বাতিলের আতঙ্ক এবং আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী একমাত্র দলীলভিত্তিক মূখপত্র- মাসিক আল বাইয়্যিনাতপত্রিকায় যত লিখা বা ফতওয়াই প্রকাশ বা পত্রস্থ হয়েছে তার প্রতিটিরই উদ্দেশ্য বা মাকছূদ এক ও অভিন্ন। অর্থাৎ মাসিক আল বাইয়্যিনাতেএমন সব লিখাই পত্রস্থ করা হয়, যা মানুষের আক্বীদা ও আমলসমূহ পরিশুদ্ধ করণে বিশেষ সহায়ক।          তদ্রুপ মাসিক আল বাইয়্যিনাতে” “জানাযা নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়ার উদ্দেশ্য বা মকছূদও ঠিক তাই। কেননা কিছু লোক ক্বিল্লতে ইল্ম ও ক্বিল্লতে ফাহ্ম”- অর্থাৎ কম জ্ঞান ও কম বুঝের কারণে বলে থাকে যে, “জানাযার পর দোয়া করা বিদ্য়াত ও নাজায়িয।”    তাদের উক্ত বক্তব্য একদিক থেকে যেরূপ ঈমান বা আক্বীদার ক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ, অপর দিক থেকে আমলের ক্ষেত্রেও ক্ষতির কারণ।       প্রথমতঃ ঈমানের ক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ এই জন্য যে, আমাদের আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ফতওয়া হলো কোন জায়িয আমলকে নাজায়িয বলা কুফরী। অর্থাৎ ঈমান বিনষ্ট হওয়ার কারণ। অথচ বান্দার ইবাদত-বন্দেগী বা নেক আমল কবুলযোগ্য হওয়ার জন্যে প্রধানতম শর্ত হচ্ছে- আক্বীদা শুদ্ধ থাকা অর্থাৎ আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদার ন্যায় আক্বীদা পোষণ করা। কারণ বিশুদ্ধ আক্বীদা আমল কবুল হওয়ার পূর্ব শর্ত।          দ্বিতীয়তঃ আমলের ক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ এই জন্য যে, তাদের উক্ত অশুদ্ধ বক্তব্যের কারণে যেরূপ মাইয়্যিতজীবিতদের দোয়া হতে বঞ্চিত হবে তদ্রুপ বঞ্চিত হবে হাদীস শরীফের উপর আমল করা থেকে। কারণ আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্, আশেকে উম্মত, নূরে মুজাস্সাম, ফখরে দুআলম, রহমতুল্লিল আলামীন, হুযূরে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাইয়্যিতেরজন্য অধিক মাত্রায় এবং ইখলাছের সাথে দোয়া করতে বলেছেন বলে ছহীহ্ হাদীস শরীফে বর্ণিত রয়েছে। শুধু তাই নয় স্বয়ং আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেরূপ জানাযার নামাযে মাইয়্যিতের জন্য দোয়া করেছেন অনুরূপ জানাযার বাইরেও মাইয়্যিতের জন্য দোয়া করেছেন। সুতরাং মাইয়্যিতের জন্য জানাযার নামাযে দোয়া করা যেরূপ সুন্নত, তদ্রুপ জানাযার বাইরেও সুন্নত। তা জানাযার আগেই হোক বা পরে হোক। সুতরাং বলার অপেক্ষাই রাখেনা যে, তাদের বক্তব্যের কারণে সাধারণ লোক একটি সুন্নত পালনের ফযীলত থেকে মাহরূম হবে নিঃসন্দেহে।           মূলকথা হলো, সকল মুসলমান যেন জানাযার পর দোয়া ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়সম্পর্কে সঠিক আক্বীদা রাখতে পারে এবং সুন্নত মুতাবিক আমল করে মহান আল্লাহ্ পাক ও তাঁর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সন্তুষ্টি হাছিল করতে পারে এ মহান উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই বহুল প্রচারিত মাসিক আল বাইয়্যিনাতে জানাযার পর দোয়া ও তাঁর প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়াদেয়া হলো।          মহান আল্লাহ্ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালামে পাকে ইরশাদ করেন,


كل نفس ذائقة الموت.
অর্থাৎ প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাধ বরণ করতে হবে।”         কাজেই কোন মুসলমান মৃত্যুবরণ করার পর জীবিতদের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে যথা শীঘ্র মৃত ব্যক্তির দাফনের ব্যবস্থা করা এবং দাফন কার্য্যে বিলম্ব না করা। কেননা আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
اذا مات احدكم فلا تجبسوه واسرعوابه الى قبره.
অর্থঃ- তোমাদের মধ্যে যখন কেউ মৃত্যূ বরণ করে তখন তাকে আবদ্ধ করে রেখে দিওনা বরং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে দাফন করতে কবরে নিয়ে যাও।” (তাবারানী)      অবশ্য দাফনের পূর্বে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী কাজ রয়েছে, যেমন প্রথমতঃ মাইয়্যিতকে গোসল করানো, দ্বিতীয়তঃ কাফনের কাপড় পরিধান করানো, তৃতীয়তঃ মাইয়্যিতের উপর জানাযা পড়া।           মূলতঃ মাইয়্যিতের উপর জানাযা পড়া শুধু ফযীলত লাভেরই কারণ নয় বরং মাইয়্যিতের উপর জানাযা পড়া স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক রব্বুল আলামীন-এর নির্দেশ। যেমন তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে লক্ষ্য করে মহান আল্লাহ্ পাক রব্বুল আলামীন বলেন,
صل عليهم ان صلاتك سكن لهم.
অর্থঃ- “(হে নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি তাদের (মুমিনগণের) উদ্দেশ্যে নামাযে জানাযা পড়ুন। নিশ্চয়ই আপনার নামায তাদের জন্য শান্তির কারণ স্বরূপ।” (সূরা তাওবা/১০৩) অত্র আয়াতে কারীমায় স্বয়ং আল্লাহ্ পাক রব্বুল আলামীন জানাযা নামাযের গুরুত্ব, ফাযায়েল-ফযীলত বর্ণনা করেছেন। আর তা মুমিন-মুসলমানগণের জন্য রহমত, বরকত ও শান্তির কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। নিম্নে ধারাবাহিকভাবে জানাযা নামাযের হুকুম তথা জানাযা নামায ফরযে ক্বিফায়া সম্পর্কিত দলীলসমূহ উল্লেখ করা হল-
 জানাযা নামায পড়া ফরযে কিফায়াহ হওয়ার অকাট্য ও নির্ভরযোগ্য দলীল-আদিল্লাসমূহ        
জানাযা নামায পড়া ফরযে কিফায়াহ্ যা এলাকা বা মহল্লার কিছু সংখ্যক লোক আদায় করলে সকলের পক্ষ থেকে দায়িত্ব (কর্তব্য) পালিত হয়ে যায়। জানাযা নামায ফরযে কিফায়াহ্ হওয়ার কারণ হলো, যেহেতু এসম্পর্কে আল্লাহ্ পাক-এর নির্দেশ হচ্ছে-
 [১৩৭]
صل عليهم ان صلاتك سكن لهم-
অর্থঃ- “(হে নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি তাঁদের (মুমিনগণের) উদ্দেশ্যে নামাযে জানাযা পড়ুন। নিশ্চয়ই আপনার নামায তাঁদের জন্য শান্তির কারণ স্বরূপ।” (সূরা তাওবা/১০৩) আর আল্লাহ্ পাক-এর রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, রহমতুল্লিল আলামীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও জানাযা নামায পড়ার জন্য নির্দেশ করেছেন,

[১৩৮-১৩৯]
قولهصلى الله عليه وسلم صلوا على كل بر وفاجر (حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح ج 1 ص 382- اشرف اهداية شرح اردو هذاية ج 2 ص 422(
 অর্থঃ- হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা প্রত্যেক সৎকর্মশীল ও গুণাহ্গার বা পাপী লোকের উপর নামায (জানাযা) পড়।” (হাশিয়াতুত্ ত্বহ্ত্বাবী আলা মারাকিইল্ ফালাহ্ ১ম জিঃ ৩৮২ পৃষ্ঠা, আশরাফুল হিদায়াহ শরহে উর্দূ হিদায়াহ্ ২য় জিঃ ৪২২ পৃষ্ঠা)
 [১৪০]
ان النبى صلى الله عليه وسلم قال: صلوا على من قال لا اله الا الله. (الكافى فى فقه الامام احمد ج1 ص 362(
অর্থঃ- নিশ্চয়ই নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যারা  لا اله الا اللهঅর্থাৎ আল্লাহ্ পাক ছাড়া অন্য কোন মাবূদ নাই, বলে বা সাক্ষ্য দেয়তোমরা তাঁদের জন্য নামায (জানাযা) পড়।” (আল্ কাফী ফী ফিক্হিল ইমাম আহমদ ১ম জিঃ ৩৬২ পৃষ্ঠা)
 [১৪১-১৪২] 
قال صلى الله عليه وسلم صلوا على صاحبكم. (مسند احمد بن حنبل ج 2 ص 290، 381، 399. 453، ج 3 ص 296- حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح ج 1 ص 382(
অর্থঃ- হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা তোমাদের সাথীদের (মুসলমান-মুমিন ভাইদের জানাযা) উপর নামায পড়।” (মুসনাদু আহমদ ইবনে হাম্বল ২য় জিঃ ২৯০, ৩৮১, ৩৯৯, ৪৫৩ পৃষ্ঠা, ৩য় জিঃ ২৯৬ পৃষ্ঠা, হাশিয়াতুত্ ত্বহত্বাবী আলা মারাকিইল্ ফালাহ্ ১ম জিঃ ৩৮২ পৃষ্ঠা) উল্লিখিত আয়াত শরীফ এবং হাদীস শরীফ গুলোর প্রতি লক্ষ্য করে উলামা-ই-কিরাম তথা ফুক্বাহা-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ জানাযা নামায পড়া ফরযে ক্বিফায়াহ্হিসেবে ফতওয়া দিয়েছেন। নিম্নে বিশ্ব বিখ্যাত ও বিশ্বসমাদৃত, সর্বজনমান্য ফিক্বাহের কিতাব থেকে জানাযা নামায ফরযে কিফায়াহ্বিয়টি আলোচনা করা হলো-
[১৪৩-১৪৪]
وصلوته فرض كفاية ش اى ان ادى البعض سقط عن الباقين وان لم يود احياثم الجميع- (شرح وقاية ج 1 ص 181 شرح وقايه كامل اردو ترجمه ج 1 ص 181(
অর্থঃ- জানাযা নামায ফরযে কিফায়াহ্। অর্থাৎ কিছু লোক আদায় করলে অন্যান্যদের থেকে আদায়ের কর্তব্য পালিত হবে। আর যদি একজনও আদায় না করে তবে সকলেই গুণাহ্গার হবে।” (শরহু বিকায়াহ্ ১ম জিঃ১৮১ পৃষ্ঠাশরহে বিকায়াহ্ কামিল উর্দূ তরজমা১মজিঃ ১৮১ পৃষ্ঠা)
[১৪৫-১৪৬]
فرض ھونے کی دلیل یہ ھے کہ فرمایا خدای تعالی نے وصل علیھم ان صلاتک سکن لھم یعنی اے محمد (صلی اللہ علیہ وسلم) نماذ پڑہ ان پر اس واسطے کہ تمھاری نماز ان کے واسطے أرام ھے اور فرض کفایہ ھونا اس سے معلوم ھوتاھے کہ انحضرت نے ایک جنازہ پر خود نمازنھیں پڑھی، صحا بہ سے فرمایا صلوا علی صا حبکم یعنی نماز پڑ ھو اپنے صا حب پڑپس. (شرح وقایہ بحاشیۃ ندوی ج1 ص 181، نور الھدایۃ ترجمہ اردو شرحوقا یہ جاص 143)
 অর্থঃ- “(জানাযা নামায) ফরয হওয়ার দলীল এই যে, আল্লাহ্ তায়ালা ইরশাদ করেছেন,
وصل عليهم ان صلاتك سكن لهم.
অর্থাৎ- হে মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি তাঁদের জন্য নামায পড়ুন, নিশ্চয়ই আপনার নামায তাঁদের জন্য শান্তির কারণ। (জানাযা নামায) ফরযে কিফায়াহ্ এটা থেকে স্পষ্ট হয় যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদা এক মৃত ব্যক্তির নিজেই নামায না পড়ে হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণকে ফরমালেন,
صلوا على صاحبكم
অর্থাৎ তোমরা  তোমাদের সাথীর জন্য নামাযে জানাযা পড়।” (শরহে বিকায়াহ্ বিহাশিয়ায়ে নদবী ১ম জিঃ ১৮১ পৃষ্ঠা, নূরুল্ হিদায়াহ্ উর্দূ তরজমা শরহে বিকায়াহ্ ১ম জিঃ ১৪৩ পৃষ্ঠা)
 [১৪৭]

(وصلوته) اى مصلوة الناس عليه (فرض كفاية) اجماعا لظاهر قوله تعالى (وصل عليهم) مع قوله صلى الله عليه وسلم صلوا على صاحبكم. (شرح النقاية شرح مختصر الوقاية ج 1 ص 315(
অর্থঃ- “(জানাযা নামায) অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে জীবিত ব্যক্তির নামায (ফরযে কিফায়াহ) যার উপর ইজ্মা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আল্লাহ্ তায়ালা বলেন,(وصل عليهم) অর্থাৎ হে  নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি তাঁদের মৃতব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন) তৎসঙ্গে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উক্তি তোমরা তোমাদের সঙ্গী-সাথীদের উদ্দেশ্যে নামাযে জানাযা পড়।” (শরহুন্ নিক্বায়াহ্ শরহে মুখতাছারুল বিকায়াহ ১ম জিঃ ৩১৫ পৃষ্ঠা)
[১৪৮]
(وصلوته فرض كفاية) فاذا قام البعض صار حقه مؤدى فسقط عن الباقين كالتكفين. (شرح للمولوى الياس بحاشية شرح النقاية ج 1 ص 315(
 অর্থঃ-“(জানাযা নামায ফরযে কিফায়াহ্) যদি কিছু সংখ্যক লোক তা আদায় করে তবে এই আদায়ের মাধ্যমে অন্যান্যদের থেকে কর্তব্য পালিত হবে। যেমন কাফনের ব্যাপারে হয়ে থাকে।” (শরহু লিমাউলুবী ইল্ইয়াস বিহাশিয়ায়ে শরহুন্ নিকায়াহ ১ম জিঃ ৩১৫ পৃষ্ঠা)
 [১৪৯-১৫১]

)قوله فاذا قرغوا منه صلوا عليه) الصلاة على الميت ثابته بمفهوم القران قال الله تعالى ولاتصل على احدمنهم مات ابدا والنهى عن اصلاة على المنا فقين يشعر بشبوتها على المسلمين الموافقين وثلبتة بالسنة ايضا قال عليه السلام، صلوا على من قال لا اله الا الله" ولا خلاف فى ذلك وهى فرض على الكفاية ويسقط فرضها بالواحد وبالنساء منفردات واذ لم يحضر الميت الا واحد تعينت الصلاة عليه كتكفينه ودفنه- (الجوهرة النيرة شرح مختصر القدورى ج 1 ص 136، الميدا نى حاشية الجوهرة النبيرة ج 1 ص 136، الهداية مع الدراية ج 1 ص 180(
অর্থঃ- “(হযরত আবুল হাসান কুদূরী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর উক্তিঃ যখন কাফন দেয়া সমাধা করবে তখন মাইয়্যিতের উপর নামায পড়বে) মাইয়্যিতের উদ্দেশ্যে নামাযে জানায কুরআন শরীফের মাফহুম দ্বারা প্রমানিত। আল্লাহ্ পাক বলেন,
ولا تصل على احد منهم مات ابدا.
 অর্থাৎ হে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাদের (মুনাফিকদের) মধ্য থেকে কারো মৃত্যু হলে তার উপর কখনো নামায (জানাযা) পড়বেন না।”     ইহা দ্বারা মুনাফিকদের উদ্দেশ্যে জানাযা নামায পড়া নিষেধ করা হয়েছে। ইহা থেকে শুধু মুসলমানগণের উদ্দেশ্যে পড়ার দলীল ছাবিত হয়। সুন্নাহএর মাধ্যমে আরো প্রমাণিত আছে যে, “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন
صلوا على من قال لا اله الا الله.
অর্থাৎ- তোমরা তাদের উদ্দেশ্যে নামায পড়, যারা বলে বা সাক্ষ্য দেয় আল্লাহ্ পাক ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নাই।আর উহার মধ্যে কোন মতবিরোধ নাই যে, তা (জানাযা নামায) ফরযে কিফায়াহ্। একজন পুরুষ অথবা একজন মহিলা আলাদাভাবে আদায় করলেও (অন্যান্যদের থেকে) ফরয আদায় ছাকিত হবে। যখন মাইয়্যিত একজন থাকবে তখন তার উপর নামায পড়া আবশ্যক হবে। যেমন, কাফন এবং দাফনের ব্যাপারে। (আল্ জাউহারাতুন্ নিয়্যারাহ্ শরহে মুখতাছারুল কুদূরী ১ম জিঃ ১৩৬ পৃষ্ঠা, আল মাইদানী হাশিয়ায়ে জাউহারাতুন্ নিয়্যারাহ্ ১ম জিঃ ১৩৬ পৃষ্ঠা, আল্ হিদায়াহ মায়াদ্ দিরায়াহ ১ম জিঃ ১৮০ পৃষ্ঠা)
 [১৫২]

قولہ صلوا علیہ جنازہ کی نماز بالاتفاق فرض کفایہ ھے اسطرح اس کی تجھیز وتکفین اور دفن وغسل بھی. (المصبا ح النوری شرح اردو مختصر القد وری ص 53)
  অর্থঃ- মাইয়্যিতের উপর নামায পড়বেসকলের ঐক্যমতে জানাযা নামায পড়া ফরযে কিফায়াহ্। যেমন মাইয়্যিতকে তাড়াতাড়ি তাজহীয (মাইয়্যিতকে সাজানো), কাফন এবং দাফন ও গোসল করানো।” (আল মিছবাহুন্ নূরী শরহে মুখতাছারুল্ কুদূরী ৫৩ পৃষ্ঠা)
 [১৫৩]

س: هل يشترط الجماعة لاداء صلاة الجنازة؟
ج: لا يشترط، فلو صلى عليه رجل واجد او امرأة اجزأ عن اداء هذه الصلاة، اى يتأجى بذلك فرض الكفاية. (التسهيل الضرورى لمسائل القدورى ج 1 ص 109(
  অর্থঃ- সুওয়ালঃ ছলাতুল্ জানাযাআদায়ের জন্য কি জামায়াত শর্ত? জাওয়াবঃ না, শর্ত নয়। যদি একজন পুরুষ লোক অথবা মহিলা লোক নামাযে জানাযা পড়ে তবুও এই নামায আদায়ের জাযা-খায়ের পূর্ণ হবে। অর্থাৎ উক্ত নামায (নামাযে জানাযা) ফরযে কিফায়াহ্ হিসেবে আদায় করবে।” (আত্ তাসহীলুদ্ দ্বারুরী লিমাসাইলিল্ কুদূরী ১ম জিঃ ১০৯ পৃষ্ঠা)
 [১৫৪-১৫৬]

نماز جنازہ فرض کفایہ ھے حتی کہ پڑھی یا عورت نے تو یہ فرض سب کے ذمہ سے اتر گیا ورنہ سب  گنھگار ھوئے. (التاتار خانیہ) اور جما عت شرط نھیں (النھایہ). (عین الھد ایہ ج 1 ص 893- التاتار خانیۃ، النھایہ)

  অর্থঃ- জানাযা নামায ফরযে কিফায়াহ্। এমনকি যদি একজন মহিলাও তা আদায় করে তবে সকলের উপর থেকে ফরযিয়াতের দায়িত্ব মুক্ত হবে। আর যদি কেউই না পড়ে তবে সকলেই গুণাহ্গার হবে (আত্ তাতারখানিয়াহ)। এবং জানাযা নামাযের জামায়াত শর্ত নয় (আন্ নিহায়াহ)।” (আইনুল হিদায়াহ্ ১ম জিঃ ৮৯৩ পৃষ্ঠা, আত্ তাতারখানিয়াহ্, আন্ নিহায়াহ্)
 [১৫৭-১৫৮]
نماذ جنازہ کے مشروع ھونے پرباری تعالی کا قول وصل علیھم ان صلاتک سگن لھم دلیل ھے اور حضور صلی اللہ علیہ وسلم کا قول صلوا علی کل بر وفاجر ھے اور اجماع امت ھے (کفایہ) نماز جنازہ فرض علی الکفایہ ھے. (اشرف الھدایہ شرح اردو ھدایہ ج 2 ص 422، کفایہ)


 অর্থঃ- জানাযা নামায শুরু হয়; আল্লাহ্ তায়ালার বাণীঃ
وصل عليهم ان صلاتك سكن لهم.
অর্থাৎ “(হে নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি তাঁদের(মুমিনগণের) উদ্দেশ্যে নামাযে জানাযা পড়ুন। নিশ্চয়ই আপনার নামায তাঁদের জন্য শান্তি স্বরূপ।এর মাধ্যমে এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বাণীঃ
صلوا على كل بر وفاجر.
অর্থাৎ তোমরা প্রত্যেক সৎকর্মশীল ও গুণাহ্গার বা পাপী লোকদের উপর নামায (জানাযা) পড়।এর মাধ্যমে। এর মাশরুইয়াতের উপর ইজ্মায়ে উম্মত তথা উম্মতগণের ইজ্মা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। (এটা কিফায়াহ নামক কিতাবে আছে) জানাযা নামায হচ্ছে ফরযে কিফায়াহ।” (আশরাফুল হিদায়াহ শরহে উর্দূ হিদায়াহ ২য় জিঃ ৪২২ পৃষ্ঠা, কিফায়াহ)
 [১৫৯-১৬৩]

)فاذا فرغوا عنه) اى عن تكفين الميت (صلوا عليه، لانها) اى لان الصلاة على الميت (فريضة) اراد به فرض كفاية، وهذا مجمع عليه ........ وفى البدائع والتحفة هى فريضه لقوله صلى الله عليه وسلم صلوا على كل بر وفاجر، ولقوله صلى الله عليه وسلم صلوا على من قال لا اله الا الله رواه الدار قطنى وهو ضعيف- وقال صاحب المحيط هى فرض كفاية كالجهاد لكن لا يتبع الاجتماع على الترك كالجهاد. (البناية فى شرح الهداية ج 3 ص 239- البدائع، التحفة، الميط، الدار قطنى(
  অর্থঃ- “(যখন তার থেকে ফারেগ হবে) অর্থাৎ মাইয়্যিতের কাফন কার্য থেকে অবসর হবে (তার উদ্দেশ্যে নামায পড়, কেননা তা) অর্থাৎ কেননা মাইয়্যিতের উদ্দেশ্যে নামায (ফরয) যার দ্বারা তিনি ফরযে কিফায়াহ উদ্দেশ্য করেছেন। আর এর উপর ইজ্মা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। .................. আলবাদাইউছ্ ছনাইআত্ তুহফাহ্নামক কিতাবে আছে এটা (জানাযা নামায) ফরয (কিফায়াহ)। এ বিষয়ে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বাণীঃ
صلوا على كل بر وفاجر.
অর্থাৎ তোমরা প্রত্যেক সৎকর্মশীল ও গুণাহ্গার ব্যক্তির উদ্দেশ্যে নামাযে জানাযা পড়।হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন
صلوا على من قال لا اله الا الله.
অর্থাৎ যাঁরা আল্লাহ্ পাক ছাড়া কোন মাবুদ নাইএতে সাক্ষ্য দেয় তাদের উদ্দেশ্যে জানাযা পড়।আদ্ দারু কুত্বনীএটা বর্ণনা করেছেন। আর এটা যঈফ (দুর্বল) রিওয়ায়েত। আল্ মুহীত্বগ্রন্থের মুছান্নিফ বলেন, জিহাদের মত এটা (জানাযা নামায) ফরযে কিফায়াহ্। এজন্য যে, সম্মিলিত ভাবে এটা তরক করা জায়িয হবেনা। যেমন জিহাদের ব্যাপারে জায়িয নয়।” (আল্ বিনায়াহ্ ফী শরহিল্ হিদায়াহ্ ৩য় জিঃ ২৩৯ পৃষ্ঠা, আল্ বাদাইউছ্ ছনাই’, আত্ তুহফাহ্, আল্ মুহীত্ব, আদ্ দারু কুত্বনী)
 [১৬৪-১৬৬]

نماز جنازہ فرض کفایہ ھے حتی کہ اگر بعض نے پڑہ دی خواہ و ہ ایک ھو با جما عت ھو. خواہ مرد  نے پر ھی یاعورت نے تو یہ سب کے نمہ سے اترگیا ورنہ سب گھگار ھوں گے. (تاتارجانیہ) اور جماعت شرط نھس (نھایہ). (نور الدر ایہ شرح اردوھدایہ ج 1 ص 20، تاتارجاتیۃ، نھایہ)

 অর্থঃ- জানাযা নামায ফরযে কিফায়াহ। এমনকি যদি একজন মহিলাও এটা আদায় করে তবে সকলের উপর থেকে ফরযিয়াতের দায়িত্ব মুক্ত হবে। আর যদি কেউ আদায় না করে তবে সকলেই গুণাহ্গার হবে। (তাতারখানিয়াহ) আর জানাযা নামাযের জামায়াত শর্ত নয়। (নিহায়াহ)।” (নূরুদ্ দিরায়াহ্ শরহে উর্দূ হিদায়াহ ১ম জিঃ ২০ পৃষ্ঠা, তাতারখানিয়া, নিহায়াহ)
 [১৬৭]

)فصل فى الصلاة على الميت) هى فرض كفاية. (فتح القدير ج 2 ص (80
অর্থঃ- “(পরিচ্ছেদঃ মাইয়্যিতের উদ্দেশ্যে নামায অর্থাৎ জানাযা নামায সম্পর্কে) আর তা (জানাযা নামায) ফরযে কিফায়াহ্।” (ফতহুল্ ক্বদীর ২য় জিঃ ৮০ পৃষ্ঠা)
 [১৬৮]
صلاة الجنازة مشروعة لقوله تعالى وصل عليهم ان صلاتك سكن لهم وقوله عليه السلام صلوا على كل بر وفاجر واجماع الامة وهو فرض كفاية لا نها تقام حقاللميت فاذا قام بها البعض صار حقه مؤديا فسقط عن الباقين كالتكفين. (الكفاية ج 2 ص 80، 81)
অর্থঃ- জানাযা নামায প্রবর্তন হয় আল্লাহ্ তায়ালার বাণীঃ
وصل عليهم ان صلاتك سكن لهم.

অর্থাৎ, “হে নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি তাঁদের উদ্দেশ্যে নামাযে জানাযা পড়ুন, নিশ্চয়ই আপনার নামায তাদের জন্য শান্তি স্বরূপ।এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বাণীঃ
صلوا على كل بر وفاجر.
অর্থাৎ তোমরা প্রত্যেক সৎকর্মশীল ও গুণাহ্গার ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে জানাযা নামায পড়।এর মাধ্যমে। উম্মতের ইজ্মাযে, জানাযা নামায ফরযে কিফায়াহ্। কেননা, তা মাইয়্যিতের হক্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তাই, যখন কিছু সংখ্যক লোক জানাযা পড়বে, তাতেই আদায়ের হক্ব পূর্ণ হবে। আর অন্যান্যদের থেকেও এর মাধ্যমে আদায়ের দায়িত্ব মুক্ত হবে। যেমন, কাফনের ব্যাপারে হয়ে থাকে।” (আল্ কিফায়াহ্ ২য় জিঃ ৮০, ৮১ পৃষ্ঠা)
 [১৬৯]
الصلاة على الميت فرض كفاية امافر ضيته فلان الله تعالى امر بقوله عز وجل وصل عليهم. (شرح العناية على الهداية ج 2 ص 80(

অর্থঃ- মৃতের উদ্দেশ্যে নামায ফরযে কিফায়াহ। এর ফরযিয়াত এজন্য যে, যেহেতু আল্লাহ্ তায়ালা নির্দেশ করেছেন وصل عليهم অর্থাৎ হে নবী ছল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি তাঁদের (মুমিনগণের) উদ্দেশ্যে জানাযা নামায পড়ুন।” (শরহুল ইনায়াহ্ আলাল্ হিদায়াহ্ ২য় জিঃ ৮০ পৃষ্ঠা)
 [১৭০]
)قرض كفاية) مع عدم الانفراد بالخطاب بها ولو امراة. (مراقى الفلاح شرح نور الايضاح ص (382
 অর্থঃ- “(জানাযা নামায ফরযে কিফায়াহ) একজন না হলে অর্থাৎ যদি একের অধিক হয় নামাযের জন্য ডাকা যদিও একজন মহিলা হয়।” (মারাকিউল্ ফালাহ্ শরহে নূরুল ঈযাহ্ ৩৮২ পৃষ্ঠা)
 [১৭১-১৭৩]
)قوله فرض كفاية) بالاجماع فيكفر منكرها لانكاره الاجماع كذا فى البدائع والقنية والاصل فيه قوله تعالى وصل عليهم وقوله صلى الله عليه وسلم صلوا على كل بر وفاجر وانما كانت فرض كفاية لقوله صلى الله عليه وسلم صلوا على صاحبكم. (حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح ص 382- البدائع- القنية(
 অর্থঃ- “(জানাযা নামায ফরযে কিফায়াহ) ইজ্মা বা উম্মতগণের ঐক্যমত দ্বারা। এর অস্বীকারকারী ইজ্মাকে অস্বীকার করার জন্য কাফির হবে। অনুরুপ আল্বাদাইউছ্ ছনাই’, আল্ কিনইয়াহ, নামক কিতাবে আছে। যার মধ্যে মূল হচ্ছে আল্লাহ্ পাক-এর বাণীঃ হে নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি তাদের উদ্দেশ্যে নামাযে জানাযা পড়ুন।এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বাণী- صلوا على كل بر وفاجر অর্থাৎ তোমরা প্রত্যেক সৎকর্মশীল ও গুণাহ্গার বা পাপী ব্যক্তির জন্য নামায (জানাযা) পড়। নিশ্চয়ই এটা (জানাযা নামায) ফরযে কিফায়াহ।হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বাণী- صلوا على صاحبكمতোমরা তোমাদের সাথীর  উদ্দেশ্যে নামাযে জানাযা পড়।” (হাশিয়াতুত্ ত্বহত্বাবী আলা মারাকিইল্ ফালাহ্ ৩৮২ পৃষ্ঠা, আল্ বাদাইউছ্ ছনাই’, আল্ ক্বিনইয়া)
 [১৭৪-১৭৫]
السلطان احق بصلاته وهى فرض كفاية. (كنز الدقائق ج 2 ص 178، 179 احسن المسائل ارد ترجمه كنز الدقائق ص( 60
 অর্থঃ- সুলতান (বাদশাহ) জানাযা নামায পড়ানোর ব্যাপারে অধিক হক্বদার। এটা (জানাযা নামায) ফরযে কিফায়াহ।” (কানযুদ্ দাক্বাইক্ব ২য় জিঃ ১৭৮, ১৭৯ পৃষ্ঠা, আহ্সানুল মাসাইল উর্দূ তরজমা কানযুদ্ দাক্বাইক ৬০ পৃষ্ঠা))
 [১৭৬-১৮০]
(قوله وهى فرض كفاية) اى الصلاة عليه للاجماع على افتر اضها وكونها على الكفاية وما وردى بعض العبارات من انها واجبة فالمراد الافتراض وقد صرح فى القنية والفوائد التاجية يكفر من انكر فرضيتها لانه انكر الاجماع. (البحر الرائق شرح كنز الدقائق ج 2 ص 179، القنية، الفوائد التاجية، منحة الخالق على البحر الرائق ج 2 ص 179، تحفة الفقها ء للسمر قندى ج 1 ص 247)

অর্থঃ- “(কানযুদ দাক্বাইক্ব গ্রন্থকার বলেন- জানাযা নামায ফরযে কিফায়াহ্) অর্থাৎ জানাযার উদ্দেশ্যে নামায ইজ্মাদ্বারা প্রতিষ্ঠিত যা ফরযে কিফায়াহ্ হিসেবে স্বীকৃত। কিছু কিছু ইবারতে এটা ওয়াজিব হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আসলে ওয়াজিব দ্বারা ফরয (কিফায়াহ) উদ্দেশ্য হবে। আল্ কিনইয়াহ্আল্ ফাওয়াইদুত্ তাজিয়াহ্নামক কিতাবদ্বয়ে পরিস্কারভাবে লিখিত আছে যে, জানাযার ফরযিয়াতকে অস্বীকার করা কুফরী, কেননা নিশ্চয়ই এতে ইজ্মাকে অস্বীকার করা হয়।” (আল্ বাহর্রু রাইক্ব শরহে কানযুদ দাক্বাইক্ব ২য় জিঃ ১৭৯ পৃষ্ঠা, আল্ কিনইয়াহ্, আল্ ফাওয়াইদুত্ তাজিয়াহ্, মিনহাতুল্ খালিক আলাল বাহর্রি রাইক্ব ২য় জিঃ ১৭৯ পৃষ্ঠাতুহফাতুল্ ফুক্বাহা লিস্ সমরক্বন্দী ১ম জিঃ ২৪৭ পৃষ্ঠা)
 [১৮১]  
وھی فرض کفایۃ، نماز جنازہ فرض کفایہ ھے اس  کا منکر کافر ھے. فرض عین قرار دینے میں بڑا حرج ودشواری لازم أتی ھے. تمام لوگ ھر مقام وھر جگہ سے ایا کرتے جس سے بڑی پریشانی. ھوتی اس لئے اسے فرض علی الکفایہ قرار دیا. چونکہ دین میں اسانی ھے. (کشف الحقائق شرح اردو کنز الدقائق ج 1 ص 337)
অর্থঃ- এটা ফরযে কিফায়াহ্, নামাযে জানাযা ফরযে কিফায়াহ্। এর অস্বীকারকারী কাফির। ফরযে আইন হিসেবে দৃঢ়তা দিলে অনেক কঠিন ও শক্ততা লাযিম হয়। সকল লোক প্রত্যেক স্থান ও প্রত্যেক জায়গা থেকে আসতে অনেক পেরেশান, হয়রান হয়। এজন্য জানাযা নামায ফরযে কিফায়াহ হিসেবে তাকিদ দেয়া হয়েছে। যাতে দ্বীন ইসলাম  পালনে আসানী বা সহজতা আসে।” (কাশফুল হাক্বাইক্ব শরহে ঊর্দূ কানযুদ্ দাক্বাইক ১ম জিঃ ৩৩৭ পৃষ্ঠা) [১৮২-১৮৫]
 والصلاة عليه فرض كفاية كدفنه. (تنوير الابصار ج 2 ص 207، رد لمتار، شامى ج 2 ص 207، 208- بحر الرائق)
অর্থঃ- জানাযা নামায ফরযে কিফায়াহ্ যেমন, মৃত ব্যক্তির দাফন দেয়া (ফরযে কিফায়াহ্)।” (তানবীরুল্ আবছার ২য় জিঃ ২০৭ পৃষ্ঠা, রদ্দুল মুহতারশামী ২য় জিঃ ২০৭, ২০৮  পৃষ্ঠা, বাহরুর রাইক্ব) [১৮৬-১৯০]  
(والصلاة عليه) صفتها (قرض كفاية) بالاجماع فيكفر منكرها لانه انكر الاجماع قنية (كدفنه) وغسله وتجهيز فانها فرض كفاية- (الدر المختار شرح تنوير الابصارج 2 ص 207- قنية رد المحتار، شامى ج 2 ص 207- بحر)
অর্থঃ- “(জানাযার উদ্দেশ্যে নামায) যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে (ফরযে কিফায়াহ) ইজ্মা-এর মাধ্যমে। এর (জানাযার ফরযিয়াত) অস্বীকারকারী কাফির হবে, যেহেতু এর অস্বীকৃতি ইজ্মাকে অস্বীকার করার শামিল। ক্বিনইয়াহ নামক কিতাবে অনুরূপ আছে।” (যেমন, মৃতের দাফন) গোসল ও সাজানো-গুছানো। কেননা তা ফরযে কিফায়াহ্।” (আদ্ দুররুল্ মুখতার শরহে তানবীরুল্ আবছার ২য় জিঃ ২০৭ পৃষ্ঠা, ক্বিনইয়াহ্, রদ্দুল মুহতার, শামী ২য় জিঃ ২০৭ পৃষ্ঠা, বাহর্রু রাইক)

 [১৯১-১৯২]
جنازہ کی نماز کا حال یہ ھی کہ وہ فرض کفایہ ھی بہ سبب اجما ع کے توکافر ھو گا اسکا انکار کرنے والا اسلبے کہ اسنے انکار کیا کہ اس امر کا جو اجما ع سے ثابت ھے. (غایۃ الا وطار علی الدر المختار ج1 ص 408، علم الفقہ ج 2  ص 328)
 অর্থঃ- জানাযা নামাযের হুকুম হচ্ছে- ফরযে কিফায়াহ্, এর উপর ইজ্মা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারণে। এর অস্বীকারকারী কাফিরের অন্তর্ভুক্ত। যেহেতু এর নির্দেশ ইজ্মা দ্বারা প্রমাণিত।” (গাইয়াতুল্ আউত্বার আলাদ্ দুররিল্ মুখতার ১ম জিঃ ৪০৮ পৃষ্ঠা, ইলমুল্ ফিক্বহ ২য় জিঃ ৩২৮ পৃষ্ঠা)
 [১৯৩-১৯৪]
 الصلاة على الجنازة فرض كفاية اذا قام به البعض واحدا كان او حماعة ذكرا كان او انشى سقط عن الباقين واذا ترك الكل اثموا هكذا فى التاتارخانية- (الفتاوى العالمكيرية ج 1 ص 162، التاتارخانية)

 অর্থঃ- জানাযা নামায হচ্ছে ফরযে কিফায়াহ্। যদি কিছু সংখ্যক লোক আদায় করে, একজন লোক হোক বা জামায়াত হোক, পুরুষ হোক বা মহিলা হোক তবে বাকী লোকের জিম্মা থেকে আদায় হয়ে যাবে। আর যদি সকলেই তরক করে তবে সকলেই গুণাহ্গার বা পাপী হবে। অনুরূপ তাতারখানিয়াহর মধ্যে উল্লেখ আছে।” (আল্ ফাতাওয়াল্ আলমগীরিয়াহ ১ম জিঃ ১৬২ পৃষ্ঠা, তাতারখানিয়াহ্) [১৯৫-১৯৮]
فتقول: الصلاة على الميت مشر وعة بالكتاب والسنة واجماع الامة، قال الله تعالى "وصل عليهم ان صلاتك سكن لهم" ومن صفتها انها فرض كفاية، اذا قام بها البعض، وفى شرح المتفق: واحد كان او جماعة، ذكرا كان او انشى سقط عن الباقين، واذا ترك كلم اثموا، وفى السراجية: اذا صلت امراة اوعبد او امة جازت- ولوصلى عليه صبى لا. (الفتاوى التاتار خانية ج 2 ص 153، 154، - شرح المتفق- السر اجية، خلاصة الفتاوى ج 1 ص 122 )
 অর্থঃ- আমরা হানাফীগণ বলি, জানাযা নামাযের হুকুম ছাবেত হয়েছে কিতাবুল্লাহ, সুন্নাহ শরীফ ও ইজ্মায়ে উম্মত এর মাধ্যমে। আল্লাহ্ তায়ালা বলেছেন,
وصل عليهم ان صلاتك سكن لهم.
  অর্থাৎ- হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি তাঁদের (মুমিনদের) উদ্দেশ্যে নামাযে জানাযা পড়ুন। নিশ্চয়ই আপনার নামায তাদের শান্তির কারণ।আর দ্বারা জানাযা নামায ফরযে কিফায়াহ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যখন কিছু সংখ্যক লোক তা পড়বে। শরহুল মুত্তাফাককিতাবে আছে- একজন হোক বা জামায়াত হোক, পুরুষ হোক বা মহিলা হোক এতে অন্যান্য লোকদের থেকে আদায় ছাকিত হয়ে যাবে। আর যদি সকলে তরক করে তবে সকলেই গুণাহ্গার হবে। আস্ সিরাজিয়াহ্কিতাবে আছে- যদি একজন মহিলা অথবা দাস নতুবা দাসী জানাযা পড়ে, তবে জায়েয হবে। আর যদি শুধু একজন শিশু নামাযে জানাযা পড়ে তবে জায়িয হবে না।” (আল্ ফাতাওয়াত্ তাতারখানিয়াহ ২য় জিঃ ১৫৩ ও ১৫৪ পৃষ্ঠা, শরহুল্ মুত্তাফাক্ব, আস্ সিরাজিয়াহ, খুলাছাতুল্ ফাতাওয়া ১ম জিঃ ২২১ পৃষ্ঠা)
 [১৯৯-২০৪]
تصلاة على الميت غير الشهيد فرض كفاية على الاحياء بالاجماع، كالتجهيز والغسل والتكفين والدفن اذا فعلها البعض ولو واحدا سقط الاثم عن الباقين. (الفقه الاسلامى وادلته ج 2 ص 481- الدر المختار ج 1 ص 811- 814- مراقى الفلاح ص 98، العناية بهامش فتح القدير ج 1 ص 455- المهذب ج 1 ص 132، كتاب الفقه على المذاهب الاربعة (ازدو) ج 1 ص 832)
  অর্থঃ- অনুপস্থিত মৃত ব্যতীত উপস্থিত মৃতের উদ্দেশ্যে জানাযা নামায জীবিতদের উপর ফরযে কিফায়াহ্, যা ইজ্মা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যেমনিভাবে মৃত ব্যক্তিকে সাজানো, গোসল করানো, কাফন কার্য সমাধা করা ও দাফন সমাধা করা (ফরযে কিফায়াহ্)। যদি কিছু সংখ্যক লোক তা সমাধা করে যদিও একজন হয়, তবে অন্যান্য সকলেই পাপ মুক্ত হয়ে যাবে।” (আল্ ফিক্বহুল্ ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহ্ ২য় জিঃ ৪৮১ পৃষ্ঠা, আদ্ দুররুল্ মুখতার ১ম জিঃ ৮১১, ৮১৪ পৃষ্ঠা, মারাকিউল্ ফালাহ্ ৯৮ পৃষ্ঠা, আল্ ইনায়াহ্ বিহামিশ ফতহুল্ ক্বদীর ১ম জিঃ ৪৫৫ পৃষ্ঠা, আল্ মুহায্যাব ১ম জিঃ ১৩২ পৃষ্ঠা, কিতাবুল্ ফিকহি আলাল্ মাযাহিবিল্ আরবায়াহ (উর্দূ) ১ম জিঃ ৮৩২ পৃষ্ঠা)
 [২০৫]
هى فرض كفاية على الاحياء، فاذا قام بها البعض ولو واحدا سقطت عن الباقين- (كتاب الفقه على المذاهب الاربعة ج 1 ص 512)   
অর্থঃ- জানাযা নামায জীবিত ব্যক্তির উপর (মৃত্যুর উদ্দেশ্য) পড়া ফরযে কিফায়াহ্। যখন কিছু সংখ্যক লোক জানাযা পড়বে, যদিও একজন হয় তবে অন্যান্য লোকেরা দায়িত্ব মুক্ত হবে।” (কিতাবুল্ ফিকহি আলাল্ মাযাহিবিল্ আরবায়াহ্ ১ম জিঃ ৫১৬ পৃষ্ঠা)
 [২০৬-২০৭]
 الحنفية- قالوا: صفتها ان يقوم المصلى بحذاء صدر الميت، ثم ينوى اذاء فريضة صلاة الجنازة عبادة لله تعالى. كتاب الفقه على المذاثب الاربعة ج 1 ص 517، كتاب الفقه على المداهب الا ربعة (اردو) ج 1 ص 832) 
অর্থঃ- আমাদের হানাফী আলিমগণ বলেনঃ জানাযা পড়ার নিয়ম হচ্ছে মুছল্লী জুতা পাঁয়ে দেয়া অবস্থায় মাইয়্যিতের বুক বরাবর দাঁড়িয়ে অতপর জানাযার ফরয (কিফায়াহ্) নামায আদায়ের নিয়ত করবে। একমাত্র আল্লাহ্ পাক-এর ইবাদতের উদ্দেশ্যেই।” (কিতাবুল্ ফিকহি আলাল্ মাযাহিবিল্ আরবায়াহ্ ১ম জিঃ ৫১৭ পৃষ্ঠা, কিতাবুল ফিকহি আলাল্ মাযাহিবিল আরবায়াহ্ (উর্দূ) ১ম জিঃ ৮৩২ পৃষ্ঠা)
 [২০৮-২০৯]
 والصلاة على الجنائز من فروض الكفايات- (المعونة على مذهب عالم المدينة ج 1 ص 197- الكافى لابن عبد البر ج 1 ص 276)
  অর্থঃ- জানাযা নামায পড়া ফরযে কিফায়াহ।” (আল্মাঊনাহ্ আলা মাযহাবি আলিমিল্ মাদীনাহ্ ১ম জিঃ ১৯৭ পৃষ্ঠা, আল্ কাফী লিইবনি আব্দিল্ র্বা ১ম জিঃ ২৭৬ পৃষ্ঠা) [২১০]

الصلاة على الميت حكمها: من المتفق عليه بين ائمة الفقه، ان الصلاة على الميت، فرض كفايه، لامر رسول الله صلى الله عليه وسلم بها، ولمحافظة المسلمين عليها. (فقه السنة للسيد سابق ج 1 ص 521)  
অর্থঃ- জানাযা নামাযের হুকুম-এর উপর ঐক্যমত পোষণ করে আইম্মাতুল্ ফুক্বাহারহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ বর্ণনা করেছেন, নিশ্চয়ই মৃতের উদ্দেশ্যে নামায অর্থাৎ জানাযা নামায ফরযে কিফায়াহ্ যা আদায়ের ব্যাপারে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নির্দেশ রয়েছে। যাতে মুসলমানগণ জানাযার প্রতি যতœবান হয়।” (ফিক্বহুস্সুন্নাহ্ লিস্ সাইয়্যিদ সাবিক্ব ১ম জিঃ ৫২১ পৃষ্ঠা)
 [২১১]
 وهى فرض على الكفاية، لان النبى صلى الله عليه وسلم قال: صلوا على من قال  لا اله الا الله ويكفى واحد لانها صلاة ليس من شرطها الجماعة فلم يشترط لها العدد كالظهر- (الكافى فى فقه الامام احمد ج 1 ص 362) 
 অর্থঃ- জানাযা নামায ফরযে কিফায়াহ্। কেননা, নিশ্চয়ই হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
صلوا على من قال لا اله الا الله.
অর্থাৎ যারা আল্লাহ্ পাক ছাড়া অন্য কোন মাবূদ নাইসাক্ষ্য দেয়, তাদের তোমরা নামায (জানাযা) পড়।একজন ব্যক্তি জানাযা পড়লেই যথেষ্ট হবে, যেহেতু জানাযা নামাযের জন্য জামায়াত শর্ত নয়। এর জন্য কোন সংখ্যা শর্ত নাই, যেমন যোহরের নামাযে শর্ত রয়েছে।” (আল্ কাফী ফী ফিক্বহিল্ ইমামি আহমদ রহমতুল্লাহি আলাইহি ১ম জিঃ ৩৬২ পৃষ্ঠা)
 [২১২]
 احكام صلاة الجنازة: الصلاة على الميت قرض كفاية على المسلمين اذ اصلى على الميت واد من المسلمين سقط الفرض عن الباقين- وان لم يصلى عليه احد اثم الجميع- (الفقه الميسر ص (196
অর্থঃ- জানাযা নামাযের হুকুম (বিধান)ঃ জীবিত মুসলমানগণের জন্য মৃতের উদ্দেশ্যে ছলাতুল জানাযাপড়া ফরযে কিফায়াহ্। যদি মাইয়্যিতের উদ্দেশ্যে মুসলমানগণের মধ্যে একজন নামাযে জানাযা পড়ে এতেই অন্যান্যদেরকে ফরযিয়াতের দায়িত্ব মুক্ত করবে। আর যদি কেউই নামাযে জানাযা না পড়ে তাহলে সকলেই গুণাহ্গার হয়ে যাবে।” (আল্ ফিক্বহুল্ মুইয়াস্সার ১৯৬ পৃষ্ঠা)
 [২১৩]
 والصلاة على الميت فرض كفاية لقول النبى صلى الله عليه وسلم صلوا على من قال لا اله الا الله. (الشرح الكبير لابن قدامة المقدسى ج 2 ص 244)
 অর্থঃ- মাইয়্যিতের উদ্দেশ্যে নামায অর্থাৎ জানাযা নামায ফরযে ক্বিফায়াহ্। হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বাণীঃ 
صلوا على من قال لا اله الا الله.
অর্থাৎ তোমরা তাঁদের উদ্দেশ্যে জানাযা পড়, যাঁরা আল্লাহ্ পাক ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নাইএতে সাক্ষ্য দেয়।” (আশ্ শরহুল্ কবীর লিইবনি কুদামাতিল্ মুক্বদাসী ২য় জিঃ ৩৪৪ পৃষ্ঠা)
 [২১৪]
 بل هى عند نا قرض كفاية. (الحاوى للفتاوى للسيوطلى ج 1 ص 84)
অর্থঃ- বরং, এটা (জানাযা নামায) আমাদের হানাফী ইমামদের মতে ফরযে কিফায়াহ্।” (আল্ হাবী লিল ফাতাওয়া লিস্ সুয়ূত্বী ১ম জিঃ ৮৪ পৃষ্ঠা)
 [২১৫]
سترھواں مسئلہ یہ ھے. کہ اماموں کے نزدیک میت پرنماز پڑھنا فرض کفا یۃ ھے. (میزان شعرانی (اردو) المعروف بہ مواھب رحمانی ج 1 ص 517)
 অর্থঃ- সতের (১৭) নম্বর মাসয়ালা হচ্ছে এই যে, ইমামের উপর মাইয়্যিতের উদ্দেশ্যে জানাযা নামায পড়িয়ে দেয়া ফরযে কিফায়াহ্।” (মিযানে শারানী (উর্দূ) আল্ মারুফ বিহী মাওয়াহিবে রহমানী ১ম জিঃ ৫১৭ পৃষ্ঠা)
 [২১৬-২১৭]


مرده مسلمان راغسل وكفن دادن ونماز جنازه خواندن ودفن كردن فرض كفايت ست وبدون غسل وكفن نماز جنازه صحيح نيست. (مالابد منه ص 93) انوار محموده شرح مالابد منه ص(74
অর্থঃ- মুসলমান মুর্দা ব্যক্তির গোসল করানো, কাফন পড়ানো, নামাযে জানাযা পড়া এবং তাকে দাফন করা জীবিতদের জন্য ফরযে কিফায়াহ্। আর গোসল করানো এবং কাফন পরানো ছাড়া জানাযা নামায পড়া জায়েয নেই।” (মালা বুদ্দা মিনহু ৯৩ পৃষ্ঠা, আনওয়ারে মাহমূদাহ্ শরহে মালা বুদ্দা মিনহু ৭৪ পৃষ্ঠা)
 [২১৮-১২১]
جناز يكى نماز فرض كفايه هى. (تحفة العجم ص 52، نهاية المحتاج الى شرح المنهاج ج 2 ص 469،   حاشية القاهرى على نهاية المحتاج ج 2 ص 469- ركن الدين مسمى به عمادا لدين ص 142)
অর্থঃ- জানাযা নামায ফরযে কিফায়াহ্।” (তুহফাতুল আজম ৫২ পৃষ্ঠা, নিহাইয়াতুল্ মুহতাজ ইলা শরহিল মিনহাজ ২য় জিঃ ৪৬৯ পৃষ্ঠা, হাশিয়াতুল্ ক্বাহিরী আলা নিহাইয়াতিল মুহতাজ ২য় জিঃ ৪৬৯ পৃষ্ঠা, রুকনুদ্দীন মুসাম্মা বিহী ইমাদুদ্দীন ১৪২ পৃষ্ঠা)) উল্লিখিত দলীলভিত্তিক আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, জানাযা নামায একটি বিশেষ নামায। যা আদায় করা জীবিতদের জন্য ফরযে কিফায়াহ। যারা জানাযা নামাযকে দোয়া বলে আখ্যায়িত করে এবং নামায নয় বলে উক্তি পেশ করে, তাদের সেই বক্তব্য উল্লিখিত আলোচনার মাধ্যমে শক্তভাবে খন্ডিত করা হল।  (অসমাপ্ত

0 Comments: