১৩. আখাছুল খাছ মহাসম্মানিত মুহব্বত মুবারক এবং বিশেষ নৈকট্য মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ মুবারক-পর্ব-১৩
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪০ হিজরী শরীফ উনার ১৩ই যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুল খামীস শরীফ (বৃহস্পতিবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ উনার মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “একটি বিশেষ ওয়াক্বেয়াহ্ মুবারক আমি আজকে বলবো। যে, কুরবানী উনার মাধ্যম দিয়ে নৈকট্য হাছিল হয়। খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেটা আজকে সকালে (১২ই যিলহজ্জ শরীফ ইয়াওমুল আরবিয়া শরীফ ১৪৪০ হিজরী শরীফ) যে বিষয়টা সংঘটিত হয়েছে। এটা সকাল সাড়ে ১০টার কাছাকাছি হবে। যিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, যিনি ইমামুল মুরসালীন, যিনি খাতামুন নাবিয়্যীন, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হাযির এবং নাযির ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্তালা’ ‘আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই মহাসম্মানিত মহাপবিত্র রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র বিশেষ যিয়ারত মুবারক দান করলেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তিনি উনার নূরুত তাক্বরীর মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত হাস্যোজ্জ্বল চেহারা মুবারক উনার সাথে যিয়ারত মুবারক দান করলেন বিশেষভাবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি তখন আরজু করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি
আমাকে আরো নৈকট্য-মুহব্বত দান করুন। তিনি দয়া করে, ইহসান করে প্রথমত তিনি উনার মহাসম্মানিত নূরুল মালাহাত অর্থাৎ কপাল মুবারক আমার কপালে ঠেকিয়ে একজন সন্তানকে যেমন মুহব্বত করা হয়, স্নেহ করা হয়, ঠিক তদ্রুপ তিনি অনেকক্ষণ যাবৎ আমাকে মুহব্বত মুবারক, স্নেহ মুবারক করতে থাকলেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! দ্বিতীয়ত আমি আবার বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাকে আরো মুহব্বত-মা'রেফত, নৈকট্য মুবারক দান করুন। তিনি তখন দয়া করে, ইহসান করে তিনি উনার নূরুল ইলিম (সিনা) মুবারক উনার মধ্যে আমার মাথাকে নিয়ে অনেক্ষণ রেখে আমাকে আলাদা একটা ইতমিনান দান করলেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তিনি অত্যন্ত খুশি মুবারক প্রকাশ করলেন। যে স্থানে তিনি অবস্থান মুবারক করতেছিলেন, আমিও ছিলাম উনার সাথে। সেখান থেকে আবার বের হয়ে আসলাম। কিছু দূর আসার পর, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একস্থানে অবস্থান মুবারক করলেন। আমি প্রথমত উনার সেই চেহারা মুবারক উনার দিকে দৃষ্টি মুবারক রেখেছিলাম। এরপর আমি ফিকির করলাম, সরাসরি উনার যে নূরুল মুনাওওয়ার অর্থাৎ চক্ষু মুবারক উনার দিকে দৃষ্টি করাটা কোনো আদবের খেলাফ হয় কি না? সেজন্য আমি উনার নূরুদ দারাজাত (কদম) মুবারক উনার দিকে দৃষ্টি মুবারক করতেছিলাম যাহিরীভাবে, আর বাতিনীভাবে আমি উনার চেহারা মুবারক উনার দিকে দৃষ্টি মুবারক করতেছিলাম। এমতাবস্থায় অনেকক্ষণ অবস্থান মুবারক করার পর তিনি কিছু বললেন। এরপর তিনি অদৃশ্য হয়ে গেলেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
এখন উনার সম্মানার্থে কুরবানী করা হোক বা উনার সম্মানার্থে ফালইয়াফর″ শরীফ সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ পালন করা হোক, উনার শান-মান মুবারক বর্ণনা করা হোক, উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান-মান মুবারক বর্ণনা
করা হোক ইত্যাদি কারণে তিনি এই সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করলেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
কাজেই এই কুরবানী যে 'কুরব' নৈকট্য হাছিল হয়ে থাকে, সেই বিষয়টাই কিন্তু এখানে প্রকাশ করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
আর যেটা আমি সব সময় বলে থাকি কোনো বান্দা-বান্দী, জিন ইনসান সে যত রিয়াযত-মাশাক্কাত করুক, যত ইবাদত করুক, তার আর্থিক টাকা-পয়সা দ্বারা যতটুকু নৈকট্য হাছিল করা সম্ভব, অন্য কোনো কিছু দ্বারা সেটা সম্ভব হয় না। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কাজেই সেই বিষয়টাই তিনি এখানে প্রকাশ করলেন। তিনি অত্যন্ত সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করলেন এবং অত্যন্ত মুহব্বত মুবারক করলেন, স্নেহ মুবারক করলেন এবং উনার সেই নূরুল মালাহাত (কপাল মুবারক), নূরুল ইলিম (সীনা মুবারক ) উনার সাথে স্পর্শ করে রাখলেন। আলাদা ইতমিনান দান করলেন এবং এমন কিছু বললেন, যে বিষয়গুলি হয়তো এখন আপতত বলা যাবে না। তবে সময় যদি হয় কখনো, তাইলে বলা সম্ভব হবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! অনেকগুলো কথা। এর মধ্যে একটা কথা- 'হ্যাঁ, মহান আল্লাহ পাক তিনি সব সময় ভালোই করবেন।' সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!”
তাহলে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, স্খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা'য়াল্লুক-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন
ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি । সুবহানাল্লাহ!
0 Comments:
Post a Comment