নছীহতে উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম -(১ম খণ্ড) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সুসংবাদ প্রদানকারী ও সতর্ককারী-পর্ব-২



নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সুসংবাদ প্রদানকারী ও সতর্ককারী-পর্ব-২

মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা আহযাব শরীফ-এর ৪৫-৪৭ নং আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন,

يا أيها النبي إنا أرسلناك شاهدا ومبشرا ونذيرا (٢٥) وداعيا إلى الله بإذنه وسراجا منيرا (٢٦) وبشر المؤمنين بأن لهم من الله فضلا كبيرا (٢٧) سورة الاحزاب

হে নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে শাহিদ তথা উপস্থিত বা প্রত্যক্ষদর্শী, সুসংবাদ প্রদানকারী ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হুকুমে উনারই দিকে আহবানকারী ও প্রদীপ্ত প্রদীপ রূপে প্রেরণ করেছি। আপনি মু'মিনদেরকে সুসংবাদ প্রদান করুন, নিশ্চয়ই (আপনি) তাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে বিরাট অনুগ্রহ। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে বান্দা-বান্দীদের জন্য বিরাট অনুগ্রহ

হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক

ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে তাদের মাঝে শাহিদ তথা উপস্থিত,

সুসংবাদ প্রদানকারী ও সতর্ককারী এবং সিরাজুম মুনীরা (প্রদীপ্ত প্রদীপ)

হিসেবে প্রেরণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

এই শ্রেষ্ঠ অনুগ্রহ লাভ করার কারণে বান্দার দায়িত্ব-কর্তব্য হবে খুশি মুবারক প্রকাশ করা, এটাই হবে তাদের জীবনের শ্রেষ্ঠতম আমল। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ করেছেন

قل بفضل الله وبرحمته فبذلك فليفرحوا هو خير مما يجمعون (۵۸) سورة يونس

(হে রাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলে দিন যে, মহান আল্লাহ পাক উনার ফযল এবং রহমত স্বরূপ (আপনাকে) লাভ করার কারণে তারা যেন খুশী মুবারক প্রকাশ করে। আর এটা (খুশী মুবারক প্রকাশ করা) হবে তারা যা কিছু জমা করে তার চেয়েও উত্তম বা শ্রেষ্ঠ। অর্থাৎ তাদের সমস্ত আমলের চেয়েও শ্রেষ্ঠ আমল । সুবহানাল্লাহ। [সূরা ইউনুস শরীফ: ৫৮]

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন,

هو الذي أرسل رسوله بالهدى ودين الحق ليظهره على الدين كله : وكفى بالله شهيدا (٢٨) سورة الفتح

মহান আল্লাহ পাক তিনিই উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সমস্ত দ্বীনের উপর প্রাধান্য দিয়ে হিদায়েত ও সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে সাক্ষী হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনিই যথেষ্ট। [সূরা ফাত্হ শরীফ: ২৮]

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সত্য দ্বীনসহ তাশরীফ মুবারক এনে যমীনে দ্বীন ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়ে উম্মতকে নিয়ামত দানে ধন্য করেছেন। তাই উম্মতের দায়িত্ব-কর্তব্য হবে খুশি মুবারক প্রকাশের লক্ষ্যে উনার প্রতিষ্ঠিত দ্বীন ইসলামকে পুনরুজ্জীবিত করার মাধ্যমে উনার সন্তুষ্টি মুবারক অর্জন করা।

যদি শুধু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেয়ে খুশি প্রকাশ করি; দ্বীন ইসলাম উনার বিধি-বিধান পালন না করি তাহলে কি হাক্বীক্বীভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য খুশি প্রকাশ করা হবে? কখনোই নয়। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা উনাদের সম্পর্কে পরকালের সুসংবাদ মুবারক শ্রবণ করার পরও দ্বীন ইসলাম পালন করা থেকে গাফিল থাকেননি বা কাফির-মুশরিকদের তর্জ-তরীকার অনুসরণ করেননি বা গোলামী করেননি।

মূলত দ্বীন ইসলাম পুনরুজ্জীবিত করার মাধ্যমে খুশি প্রকাশ করা হলো আসল খুশি প্রকাশ তথা হাক্বীক্বী ঈদ। যা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা করেছেন।

মহান আল্লাহ পাক তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু; তার ধোঁকায় পড়ে তার অনুসরণ করে পবিত্র দ্বীন ইসলামে পরিপূর্ণভাবে দাখিল হওয়া থেকে বিরত থেকো না।

পবিত্র দ্বীন ইসলামে কিভাবে দাখিল হতে হবে মহান আল্লাহ পাক তিনি সেই বিষয়টাও জানিয়ে দিয়েছেন,

واعتصموا بحبل الله جميعا ولا تفرقوا ، واذكروا نعمت الله عليكم إذ كنتم أعداء فألف بين قلوبكم فأصبحتم بنعمته إخوانا وكنتم على شفا حفرة من النار فأنقذكم منها كذلك يبين الله لكم آياته لعلكم تهتدون (103) ولا تكونوا كالذين تفرقوا واختلفوا من بعد ما جاءهم البينات، وأولئك لهم عذاب عظيم (۱۰۵) سورة

آل عمران

তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার রজ্জুকে (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ মুবারককে তথা দ্বীন ইসলামকে)

সকলে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরো এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে যে নিয়ামত মুবারক দিয়েছেন তা স্মরণ করো। যখন তোমরা ছিলে শত্রু, তিনি (ছহিবে নিয়ামত) তোমাদের পরস্পরের অন্তরে মুহাব্বত দান করেছেন, সুতরাং নিয়ামত মুবারকের উসীলাতেই তোমরা হয়ে গেলে পরস্পর ভাই। তোমরা ছিলে জাহান্নামের গর্তের কিনারে, তিনি সেখান থেকে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবেই মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার আয়াত শরীফ তোমাদের জন্য সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন, যাতে তোমরা হিদায়েত লাভ করতে পারো। আর তোমরা তাদের মত হয়ো না; যাদের কাছে দলীল-প্রমাণ আসার পরও ইখতিলাফ করে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাদের জন্য রয়েছে কঠিন আযাব। [সূরা আল ইমরান শরীফ: ১০৩, ১০৫]

স্মরণীয় যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উম্মতের মাঝে নিয়ামত স্বরূপ প্রেরণ করেছেন। উনার আগমনের পূর্বে তাদের পরষ্পরের মাঝে শত্রুতা বিরাজ ছিল এবং সবাই ছিল জাহান্নামের কিনারে কিন্তু উনার আগমনের কারণে শত্রুতা দূর হয়ে পরস্পরের মাঝে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন তৈরী হয়েছে; এমনকি তিনি তাদেরকে জাহান্নামের কিনার থেকে রক্ষা করেছেন। এই বিষয়গুলো মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যাতে মানুষ হিদায়েত লাভ করতে পারে বা হিদায়েতের উপর ইস্তেক্বামত থাকতে পারে।

এজন্য আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ মুবারককে (দ্বীন ইসলামকে) দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরতে হবে, পৃথকভাবে নয়। পৃথক হলে দ্বীন ইসলাম শক্তিশালী হতে পারবে না। আর শক্তিশালী না হলে দ্বীন ইসলাম সঠিকভাবে পালন করা কারো পক্ষেই সম্ভব হবেনা। আর ঐ সমস্ত লোকদের মত হওয়া যাবে না, যারা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ মুবারক থেকে দূরে সরে গিয়েছে, বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তাদের জন্য রয়েছে কঠিন

আযাব। কাফিররা চায় মুসলমানরা যেন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাহলে তারা দুর্বল হয়ে পড়বে, তাদেরকে পরাস্ত করা সহজ হবে। নাউযুবিল্লাহ!

কিন্তু অধিকাংশ মানুষই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ মুবারক গ্রহণ না করে উনার থেকে দূরে সরে যায় অর্থাৎ জাহান্নামের দিকে ধাবিত হয়।

যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

عن أبي هريرة رضي الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم مثلي كمثل رجل استوقد نارا فلما أضاءت ما حولها جعل الفراش و لهذه الدواب التي تقع في النار يقعن فيها و جعل يحجرهن و يغلينه فيتقحمن فيها فأنا أخذ بحجزكم عن النار و أنتم تقحمون فيها – لهذه رواية البخاري و لمسلم نحوها و قال في أخرها قال فذلك مثلي و مثلكم أنا أخذ بحجزكم عن النار هلم عن النار هلم عن النار فتغلبوني تقحمون فيها. (متفق عليه)

হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার মেছাল ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে আগুন প্রজ্জ্বলিত করল। অতঃপর যখন তার চারপাশ আলোকিত হল তখন যেসব পোকা-মাকড় আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ে; সেসব পোকামাকড়গুলো আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়তে লাগল। ঐ ব্যক্তি (আগুন প্রজ্জ্বলনকারী) তাদেরকে বাধা দিতে লাগলেন। কিন্তু সেই পোকামাকড়গুলো বাধা না মেনে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ল। অনুরূপ আমি তোমাদেরকে তোমাদের কোমর ধরে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করছি। তারপরও তোমরা সেখানেই (আগুন) ঝাঁপিয়ে পড়ছো। এটা ইমাম বুখারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার বর্ণনা। ইমাম মুসলিম

রহমাতুল্লাহি আলাইহিও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি শেষাংশে বলেছেন, এটিই হলো আমার ও তোমাদের উদাহরণ। আমি তোমাদের কোমর ধরে আগুন হতে রক্ষা করছি (আর বলছি), তোমরা জাহান্নাম থেকে ফিরে এসো, তোমরা জাহান্নাম থেকে ফিরে এসো। অথচ তোমরা আমার বাধা অমান্য করে জাহান্নামে ঝাঁপিয়ে পড়ছো। নাঊযুবিল্লাহ!

[বুখারী ও মুসলিম শরীফ]

উপরোক্ত হাদীছ শরীফখানা বুঝার সুবিধার্তে এখানে একটি উদাহরণ পেশ করা হলো, কেউ একজন একটি বাতি জ্বালালো আর সেই আলো যখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল। তখন বাতির আগুন দেখে পোকা-মাকড় এসে ঝাঁপিয়ে পড়তে লাগল। যে ব্যক্তি বাতি জ্বালিয়েছে সে পোকা-মাকড়গুলো তাড়িয়ে দিচ্ছিলো কিন্তু সেই পোকা-মাকড়গুলো আবারও এসে আগুনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজেরাই নিজেদেরকে ধ্বংস করে দিচ্ছিলো। ঠিক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উম্মতের মেছাল অনুরূপ। কতক উম্মত জাহান্নামে ঝাঁপিয়ে পড়ছে আর রহমাতুল্লিল আলামীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদের কোমর ধরে তাদেরকে সেখানে যেতে বাধা দিচ্ছেন। কিন্তু তারা উনার কথা শুনছে না বা মানছে না অর্থাৎ উনার আদর্শ মুবারক গ্রহণ না করে জাহান্নামের দিকে ধাবিত হচ্ছে, যেই কাজগুলোর দ্বারা জাহান্নামী হতে হবে সেই কাজগুলোই করে যাচ্ছে। যেমন: ছবি তোলা, দেখা এবং রাখা, গানবাজনা করা এবং শোনা, বেপর্দা হওয়া, কাফির-মুশরিকদের গোলামী ও অনুসরণ করা, অশ্লীল-অশালীন কাজ ইত্যাদি হারাম-নাজায়িয কাজ করা হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!

এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

وترى كثيرا منهم يسارعون في الإثم والعدوان وأكلهم الشخت

لبئس ما كانوا يعملون (٦٢) سورة المائدة

আপনি তাদের অধিকাংশকে দেখবেন, তারা গুনাহ, শত্রুতা বা সীমালঙ্ঘন এবং হারাম খাদ্যের দিকে দ্রুত ধাবিত হয়। তারা যে আমল করে, তা কতই না নিকৃষ্ট! নাঊযুবিল্লাহ! [সূরা মায়িদা শরীফ: ৬২]

মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা আলে ইমরান শরীফে বলেন,

يا أيها الذين آمنوا اتقوا الله حق تقاته ولا تموتن إلا وأنتم

مسلمون (۱۰۲) سورة آل عمران

হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করার মত ভয় করো (অর্থাৎ প্রকৃতভাবে ভয় করো) এবং মুসলমান না হয়ে মারা যেওনা। [সূরা আলে ইমরান শরীফ: ১০২]

মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনীত বিধানের উপর যে ব্যক্তি পূর্ণ আত্মসমর্পণ করবে সেই ব্যক্তিই প্রকৃত মুসলমান হবে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ মুবারকই আনিত বিধান যা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম।

কাজেই, মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদেরকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারণে খুশি প্রকাশ করে উনার আদর্শ মুবারক গ্রহণ করার মাধ্যমে প্রকৃত মুসলমান হয়ে ইন্তেকাল করার তাওফীক্ব দান করেন। (আমীন)

0 Comments: