আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড) আন নরুর রবি ‘আহ্  সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার একখানা বিশেষ খুছূছিয়াত মুবারক-পর্ব-১৭

আন নরুর রবি ‘আহ্  সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার একখানা বিশেষ খুছূছিয়াত মুবারক-পর্ব-১৭

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল ঊলা শরীফ পবিত্র জুমু‘আহ্ শরীফ উনার খুৎবা মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “যেটা আমি আগেও বলেছি। যিনি খালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রুবূবিয়াত মুবারক প্রকাশ করেছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাধ্যম দিয়ে। তিনি প্রকাশ করেছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মাধ্যম দিয়ে। আর উনারা প্রকাশ করেছেন উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ আলাইহিমুস সালাম ও আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মাধ্যম দিয়ে। এটা ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারী থাকবেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এখানে একটা বিষয় রয়েছে। সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার যে খুছূছিয়াত মুবারক- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনি আসলে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মালাহাহ্ মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কপাল মুবারক-এ) বুছা মুবারক দিয়ে উনাকে বসাতেন। আবার তিনি গেলে সায়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আন নূরুর রবি‘আহ্সা ইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনিও অনুরূপ করতেন। আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে বিষয়টা জানতে চেয়েছিলাম যে, এটার হাক্বীক্বতটা কী? অন্যান্য যাঁরা ছিলেন উনাদের সাথে এরূপ করা হয়নি? তিনি তখন আমাকে জানালেন বিষয়টা- আসলে ৯ম হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৬ই রমাদ্বান শরীফ সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছিলেন। এরপরে কেউ ছিলেন না। আর একটা মূল কারণ হলো- 

যেহেতু সায়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সিলসিলা মুবারক ক্বিয়ামত পযর্ন্ত জারী থাকবেন, এই জারী রাখার জন্য যে অতিরিক্ত ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ যা প্রয়োজন ছিলো, এর মাধ্যম দিয়ে আমি সেটা দিয়েছি।

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কাউকে কম নেয়ামত দেওয়া হয়নি, সবাইকে সমান দেওয়া হয়েছে। তবে এখানে উনাকে অতিরিক্ত দেওয়া হয়েছে। যেহেতু উনার সিলসিলা মুবারক ক্বিয়ামত পযর্ন্ত জারী থাকতে হবে, সেজন্য রূহানী কুওওয়াত প্রয়োজন। সেই রূহানী কুওওয়াতটাই বার বার উনাকে দেওয়া হয়েছে। আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যম দিয়ে

لَوْلَكَ لَمَا اَظْهَرْتُ الرُّبوُْبِيَّةَ

এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার হাক্বীকত্বটা যাহির করেছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এবং

كُنْتُ كَنْزًا مَخْفِيًّا فَاَحْبَبْتُ اَنْ اُعْرَفَ فَخَلَقْتُ الْخَلْقَ لُِعْرَفَ

এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ উনার হাক্বীক্বত মুবারকও একইভাবে তিনি যাহির করেছেন।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৩ই জুমাদাল ঊলা শরীফ লাইলাতুস সাবত শরীফ (শনিবার রাত) ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি আজকে তো বলেছি- ‘সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আন নূরুর রবি‘আহ্ সায়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সাথে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি যে ব্যবহার মুবারক করেছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আমি জানতে চাইলাম যে, এটার হাক্বীক্বত মুবারক কী?’ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন, ‘নেয়ামত সবাইকে সমানই দেওয়া হয়েছে। তবে উনার দ্বারা যেহেতু সিলসিলা মুবারক ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারী থাকবেন, সেজন্য এর মাধ্যমে অতিরিক্ত ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ্ মুবারক দেওয়া হয়েছে। যাতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা ক্বিয়ামত পর্যন্ত ইস্তেক্বামত থাকতে পারেন। এর মাধ্যম দিয়ে অতিরিক্ত ফায়েয-তাওয়াজ্জুহ্ দেওয়া হয়েছে।’ এর হাক্বীক্বতটা তো মানুষ জানে না। আন নূরুর রবি‘আহ্ সায়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সাথে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এরকম ব্যবহার মুবারক করলেন কেন? অন্যদের সাথে দেখা যায় না। তার কী কারণ? কারণটাই সেটা- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি জানালেন যে, ‘আসল কারণ হচ্ছে- উনার মাধ্যমে ক্বিয়ামত পর্যন্ত সিলসিলা মুবারক জারী থাকবেন। যাঁরা আসবেন উনারা যাতে দৃঢ়চিত্ত-ইস্তেক্বামত থাকতে পারেন, সেজন্য এইভাবে ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ্ মুবারক দেওয়া হয়েছে। বার বার সেটা দেওয়া হয়েছে’।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড)  উনারা বললেন যে , ‘আমরা আরো কাছে আসবো ।’...আসতে আসতে উনারা একদম আমার কাছে এসে পড়লেন ।মনে হলো যে , উনারা আমার সাথে মিশে যাবেন ।”-পর্ব-১৬

 উনারা বললেন যে , ‘আমরা আরো কাছে আসবো ।’...আসতে আসতে উনারা একদম আমার কাছে এসে পড়লেন ।মনে হলো যে , উনারা আমার সাথে মিশে যাবেন ।”-পর্ব-১৬

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৪ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৯শে মুহররমুল হারাম শরীফ ইয়াওমুল আহাদ শরীফ (রোববার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “সাধারণত আমি মুনাজাত করার সময় মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের দিকেই রুজু হয়ে এবং উনাদেরকে দেখে দেখেই মুনাজাত করি। দেখি একটু দূরে। আজকে মুনাজাত করার সময় আমার মনে হচ্ছিল আমি নিসবত মুবারক থেকে কি অনেক দূরে! তখন আমি দেখতেছি যে, স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার কাছে এসে পড়েছেন। আমি মুনাজাতেই বলতেছি, ‘মহান আল্লাহ পাক! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনিও আমার কাছে তাহলে কোথায়?’ দেখলাম, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনিও আমার কাছে। তারপরে মহান আল্লাহ পাক তিনি একটু উপরে। কাছাকাছি। মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন যে, ‘আমি আপনার আরো নিকটে আসবো এবং আপনাকে আরো বেশী নৈকট্য মুবারক হাদিয়া করবো।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এটা বলে মহান আল্লাহ পাক উনি একদম আমার কাছে এসে পড়লেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনিও একদম কাছে। হয়ত উনারা আমার সাথে মিশে যাবেন এরকম। এর মধ্যেই মুনাজাত শেষ করলাম।

এই যে বিষয়টা- উনারা আমাকে উনাদের বিশেষ ছোহবত মুবারক দিলেন। এখন এটা ভাষা দিয়ে কিভাবে বুঝানো যাবে? সাধারণত উনাদেরকে দেখি মোটামুটি একটু দূরে। কিন্তু আজকে যখন আমি চিন্তা করলাম, আমি কি নিসবত মুবারক থেকে দূরে? তখন দেখলাম যে, আসতে আসতে উনারা একদম আমার কাছে এসে পড়লেন। মনে হলো যে, উনারা আমার সাথে মিশে যাবেন। মহান আল্লাহ পাক উনাকেই দেখলাম প্রমে। তখন আমি বললাম, ‘তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখতেছি না।’ উনিও আছেন, দেখতেছি উনি আমার সামনে আসলেন। মহান আল্লাহ পাক উনি একটু উপরে সাথে অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে একটু উপরে। উনাদের সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদেরকেও দেখেছি। উনারাও আছেন। উনারা বললেন যে, ‘আমরা আরো কাছে আসবো।’ উনারা আরো কাছে আসতেছেন, আসতে আসতে আমার সাথে মিশে যাবেন। মিশতে আমি দেখিনি। আমার একদম নিকটে এসে পড়েছেন। তাহলে এটা ভাষা দিয়ে কিভাবে প্রকাশ করা যাবে? ভাষা দিয়ে তো প্রকাশ করা যাবে না। এরকম অনেক অবস্থা আছে। সব অবস্থা তো আর বলা যায় না, প্রকাশ করা যায় না। এখন উনারা যদি দয়া করে ছোহবত মুবারক দান করেন, নিয়ামত মুবারক দান করেন, তাহলে পাওয়া যাবে; অন্যথায় পাওয়া যাবে না। উনাদের প্রতি যতো বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ পোষণ করা যায় এবং উনাদেরকে যতো মুহব্বত করা যায়, ততো ফায়দা পাওয়া যাবে। উনারা নিজ থেকে উনাদের ছোহবত মুবারক দান করেন। নিজ থেকে নৈকট্য মুবারক দান করেন। উনারা বললেন যে, ‘আমরা আরো নিকটে আসবো।’ ঠিক আছে। উনারা যদি আসেন, আমার তো আর কিছু করার নেই। আমার তো আরো ফায়দা বেশি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এখন এগুলো ভাষা দিয়ে কিভাবে বুঝানো যাবে?”


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড)  যাঁরা খালিছ ভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবেন , উনাদের কোন হিসাব নিকাশ হবে না । উনারা বিনা হিসেবে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ করবেন- পর্ব-১৫

যাঁরা খালিছ ভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবেন , উনাদের কোন হিসাব নিকাশ হবে না । উনারা বিনা হিসেবে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ করবেন- পর্ব-১৫

ছাহিবু সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৪ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৭ই মুহররমুল হারাম শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাত) ইরশাদ মুবারক করেন- “মালিক তো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি। তাহলে মালিক উনার আলোচনা করতে বাধা দিবে কে? কারো ক্ষমতা আছে? ক্ষমতা আছে কারো কোনো? কারো কোনো ক্ষমতা নেই। কবরে, হাশরে-নশরে, মীযানে, পুলসিরাতে এবং জানড়বাতে যেয়েও অনন্তকালব্যাপী সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতে হবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) কেউ যদি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে, তাহলে তাকে তা’যীম করে বেহেস্তে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হবে। কিসের হিসাব-নিকাশ? (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) যারা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আই’য়াদ শরীফ পালন করবে, এদের হিসাব-নিকাশ হবে কেন? হিসাব-নিকাশ হবে তো যারা ফাসিক-ফুজ্জার তাদের। যারা খালিছভাবে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আই’য়াদ শরীফ পালন করতে পারবে, এদের হিসাব-নিকাশ হবে কেন? এদের বিনা হিসাবে বেহেস্তে যেতে হবে। এরা হিসাব-নিকাশ ছাড়াই বেহেস্তে যাবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এখন খালিছভাবে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আই’য়াদ শরীফ পালন করতে হবে। এজন্য যিকিরফিকির করুক। তখন ফায়দা পাবে। নাহলে ফায়দা পাবে কোথা থেকে? ‘সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ’ উনার মালিক হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি। মালিক উনার কাজ বাধা দিতে পারে কে? কেউ বাধা দিতে পারবে না। তাহলে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আই’য়াদ শরীফ পালন করলে কোনো সমস্যা থাকার কথা না। এখন মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্ববূল করার মালিক। কোশেশ করতে হবে। কোশেশ না করলে কিভাবে হবে? আমি বলেছিলাম, আমি একদিন দেখলাম নূরে মুজাসাসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে। অনেক লম্বা ঘটনা মুবারক। আমি সংক্ষিপ্তভাবে বলবো- “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমি। উনি আসলেন। আমি বললাম, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি দাঁড়িয়ে থাকবেন, এটা কেমন দেখা যায়? একটি আসন মুবারক দরকার।’ একটি কুদরতী আসন মুবারক এসে পড়লো। আমি বললাম, ‘আপনি এখানে দয়া করে তাশরীফ মুবারক রাখেন।’ উনি বসলেন। আমি বললাম, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! অনেক লোক তো আসতেছে দেখা করার জন্য। তারা আপনার সাথে দেখা করবে।’ উনি বললেন, ‘ঠিক আছে আসুক।’ উনি খুব খুশি। আসলো। আমাদের অনেক লোক। চিনি অনেককে। হাজার হাজার লোক লাইন ধরে আসতেছে। আসার পর আমি বললাম, ‘কদমবুছি করো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুরুদ দারাজাত মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক উনার তল দিয়ে।’ সবাই ক্বদমবুছি করতেছে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুরুদ দারাজাত মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক উনার তল দিয়ে। কদমবুছি মুবারক করার পর তারা কোথায় যাবে? আমি বললাম, ‘এই যে ডান দিক দিয়ে যাও। এই যে উঁচু জায়গাটা দেখো, ডান দিক দিয়ে গেলেই সামনে বেহেস্ত। কোনো হিসাব-নিকাশ কিছুই নেই। এমনেই বেহেস্তে প্রবেশ করো।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন, ‘হ্যাঁ; ঠিক আছে।’ সবাই লাইন ধরে গিয়ে বেহেস্তে প্রবেশ করলো। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এই যে বিষয়টা। মালিক যিনি উনি যদি অনুমতি দেন, তাহলে এখানে চূ-চেরা করবে কে? কার ক্ষমতা আছে? (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) ক্ষমতা তো কারো নেই। আমি বললাম, ‘লাইন ধরে সবাই বেহেস্তে প্রবেশ করো।’ সবাই বেহেস্তে প্রবেশ করলো। এরকম ভাগে ভাগে কয়েকবার দেখলাম। এখন যিকির-ফিকির তো করতে হবে এবং জারীও করতে হবে। সাথে সাথে পাছ আনফাছও জারী করতে হবে। তাহলে ফয়ছালা হয়ে যাবে। এজন্য বললাম, যারা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আই’য়াদ শরীফ পালন করবে, এদের কোনো হিসাব-নিকাশ হবে না। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) খালিছ নিয়তে করুক, বিনা হিসাবে জানড়বাতে যাবে। ইনশাআল্লাহ।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)



 ১১ হিজরী সনের পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার আরবিয়ায়িল আখির বা শেষ বুধবারের সঠিক তারিখ প্রসঙ্গে

 


১১ হিজরী সনের পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার আরবিয়ায়িল আখির বা শেষ বুধবারের সঠিক তারিখ প্রসঙ্গে

 ‘পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’ আমাদের কাছে অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ এবং বরকত, রহমত, সাকীনা হাছিলের দিন। হাদিয়া মুবারক দেয়া এবং দান-ছদক্বা করার দিন। ‘আখির’ অর্থ শেষ এবং ‘চাহার শোম্বাহ’ অর্থ ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)। 

হিজরী সনের পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার শেষ ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)কে পবিত্র ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ শরীফ বলা হয়। কারণ এগারো হিজরী সনের পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার শেষ ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) দিন আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বেশ কিছু দিন মারীদ্বী শান মুবারক প্রকাশ করার পর এই দিনে ছিহহাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। ফলে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা এই দিনে খুশি মুবারক হয়ে সাধ্যমতো হাদিয়া মুবারক দিয়েছিলেন। কিন্তু চাঁদের গণনা অনুযায়ী ‘শেষ ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার ২৯ তারিখে ছিলো, নাকি ৩০ তারিখে ছিলো’ তা আমাদের আলোচ্য বিষয়।

এখানে প্রথমেই যে বিষয়টি মনে রাখতে হবে, তা হচ্ছে- পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বিশেষ দিনগুলোর ক্ষেত্রে যে তারিখ পাওয়া যায়, তার সাথে সঙ্গতি রেখেই তারিখ বিশ্লেষণ করতে হবে। যেমন, ১০ম হিজরী সনের পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার আরাফার পবিত্র দিন (৯ তারিখ) ছিলো জুমুয়াবার। 

আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ উনার তারিখ পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ, ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার। আবার পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার শেষ বার ছিলো আরবিয়া (বুধবার)। আরবিয়া বা বুধবারে পবিত্র ছফর শরীফ মাস শেষ না হলে পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম বা সোমবার হবে না। অবশ্যই পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস, খামীস বা বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছিলো। 

এখন প্রশ্ন, সেই ১১ হিজরী সন উনার পবিত্র ছফর শরীফ মাস ২৯ দিনে, নাকি ৩০ দিনে হয়েছিলো- তা নির্ণয় করতে হলে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে প্রাপ্ত তারিখগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে গণনা করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে ১০ হিজরী সনের পবিত্র যিলক্বদ শরীফ মাস থেকে গণনা করলে আমাদের হিসাব মিলাতে সুবিধা হবে। ১০ হিজরী সনের পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার আমাবস্যা সংঘটিত হয়েছিলো ২৫শে ফেব্রুয়ারি ৬৩২ ঈসায়ী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা বা মঙ্গলবার।

চাঁদ তালাশ করা হয়েছিলো আরবিয়া (বুধবার)। সেদিন চাঁদের বয়স ছিলো ১৮ ঘণ্টা ৩৩ মিনিট, উচ্চতা ৭ ডিগ্রি ২৬ মিনিট, কৌণিক দূরত্ব ৯ ডিগ্রি ৪৭ মিনিট। পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে চাঁদ দৃশ্যমান হয়েছিলো কিন্তু পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে চাঁদ দৃশ্যমান হয়নি। 

পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে আরবিয়া (বুধবার) চাঁদ দেখা গিয়েছিলো বলেই খামীস বা বৃহস্পতিবার দিন ছিলো পবিত্র পহেলা যিলহজ্জ শরীফ এবং জুমুয়াহ বা জুমুয়াবার ছিলো পবিত্র ৯ই যিলহজ্জ শরীফ (আরাফার দিন)। 

কিন্তু পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে চাঁদ দেখা যায়নি; তার প্রমাণ হচ্ছে- খামীস বা বৃহস্পতিবার থেকে পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস গণনা করলে পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার বার ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার মিলানো অসম্ভব। সুতরাং আমরা এবার পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মাস গণনা নিয়েই আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

পবিত্র যিলক্বদ শরীফ মাস খামীস বা বৃহস্পতিবার ৩০ দিনে পূর্ণ করে পবিত্র পহেলা যিলহজ্জ শরীফ মাস শুরু হয়েছিলো জুমুয়াহ বা জুমুয়াবার। পবিত্র ২৯শে যিলহজ্জ শরীফও ছিলো জুমুয়াহ বা জুমুয়াবার। পবিত্র ২৯শে যিলহজ্জ শরীফ, জুমুয়াবার পবিত্র মুহররম শরীফ মাস উনার চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও চাঁদ দেখা যায়নি। তাই পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস ৩০ দিনে পূর্ণ হয়েছিলো। ফলে ৩০শে পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ ছিলো সাবত বা শনিবার। অতঃপর পবিত্র পহেলা মুহররম শরীফ ছিলো আহাদ বা রবিবার। আর পবিত্র ২৯শে মুহররম শরীফও ছিলো আহাদ বা রবিবার। 

পবিত্র ২৯শে মুহররম শরীফ, আহাদ বা রবিবার পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার চাঁদ দেখা যাবার সম্ভাবনা থাকলেও চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে পবিত্র মুহররম শরীফ মাসও ত্রিশ দিনে পূর্ণ হয়।

পবিত্র ৩০শে মুহররম শরীফ ছিলো ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার। আর পবিত্র পহেলা ছফর শরীফ ছিলো ছুলাছা বা মঙ্গলবার। সেদিন পবিত্র ছফর মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনারও ৩০ দিন গণনা করা হয়। আর সে বছর পবিত্র ২৯শে ছফর শরীফও ছুলাছা বা মঙ্গলবার। পবিত্র ৩০শে ছফর শরীফ ছিলো ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)।

সুতরাং প্রতিভাত ও প্রমাণিত হচ্ছে যে, ১১ হিজরী সনের পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার শেষ আরবিয়া (বুধবার) ছিলো ৩০শে ছফর শরীফ। 

সে সময় পরপর কয়েকটি মাস ৩০ দিনে পূর্ণ হবার কয়েকটি কারণ বর্ণনা করা হলো-

(১) এখন আধুনিক প্রযুক্তির তথা মোবাইলের যুগে আমরা বিভিন্ন অঞ্চলের খবর সহজেই পেয়ে যাই; তখন তা সম্ভব ছিলো না। ফলে প্রতিটি শহর আলাদাভাবে চাঁদ দেখতো।

(২) সে সময় ঘনবসতি ছিলো না। ফলে কোনো কারণে কোনো অঞ্চলের আকাশ মেঘলা থাকলে লোকজন চাঁদ দেখতে না পেলে তারিখ পরিবর্তিত হয়ে যেত।

(৩) ১০ হিজরী সনের পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস এবং ১১ হিজরী সনের পবিত্র মুহররম শরীফ মাস এবং পবিত্র ছফর মাস শুরু হয়েছিলো গ্রীষ্মকালে (মার্চ-এপ্রিল)। অর্থাৎ সে সময় পবিত্র মদীনা শরীফ উনার আকাশ মেঘলা থাকাই ছিলো স্বাভাবিক।

(৪) মরুঝড় অনেক সময় চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।

প্রকৃত কারণ মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারাই ভালো জানেন। 

১১ হিজরী সনের পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার আরবিয়ায়িল আখির বা শেষ বুধবারের সঠিক তারিখ প্রসঙ্গে

 

‘পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’ আমাদের কাছে অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ এবং বরকত, রহমত, সাকীনা হাছিলের দিন। হাদিয়া মুবারক দেয়া এবং দান-ছদক্বা করার দিন। ‘আখির’ অর্থ শেষ এবং ‘চাহার শোম্বাহ’ অর্থ ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)। 

হিজরী সনের পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার শেষ ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)কে পবিত্র ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ শরীফ বলা হয়। কারণ এগারো হিজরী সনের পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার শেষ ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) দিন আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বেশ কিছু দিন মারীদ্বী শান মুবারক প্রকাশ করার পর এই দিনে ছিহহাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। ফলে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা এই দিনে খুশি মুবারক হয়ে সাধ্যমতো হাদিয়া মুবারক দিয়েছিলেন। কিন্তু চাঁদের গণনা অনুযায়ী ‘শেষ ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার ২৯ তারিখে ছিলো, নাকি ৩০ তারিখে ছিলো’ তা আমাদের আলোচ্য বিষয়।

এখানে প্রথমেই যে বিষয়টি মনে রাখতে হবে, তা হচ্ছে- পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বিশেষ দিনগুলোর ক্ষেত্রে যে তারিখ পাওয়া যায়, তার সাথে সঙ্গতি রেখেই তারিখ বিশ্লেষণ করতে হবে। যেমন, ১০ম হিজরী সনের পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার আরাফার পবিত্র দিন (৯ তারিখ) ছিলো জুমুয়াবার। 

আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ উনার তারিখ পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ, ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার। আবার পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার শেষ বার ছিলো আরবিয়া (বুধবার)। আরবিয়া বা বুধবারে পবিত্র ছফর শরীফ মাস শেষ না হলে পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম বা সোমবার হবে না। অবশ্যই পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস, খামীস বা বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছিলো। 

এখন প্রশ্ন, সেই ১১ হিজরী সন উনার পবিত্র ছফর শরীফ মাস ২৯ দিনে, নাকি ৩০ দিনে হয়েছিলো- তা নির্ণয় করতে হলে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে প্রাপ্ত তারিখগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে গণনা করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে ১০ হিজরী সনের পবিত্র যিলক্বদ শরীফ মাস থেকে গণনা করলে আমাদের হিসাব মিলাতে সুবিধা হবে। ১০ হিজরী সনের পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার আমাবস্যা সংঘটিত হয়েছিলো ২৫শে ফেব্রুয়ারি ৬৩২ ঈসায়ী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা বা মঙ্গলবার।

চাঁদ তালাশ করা হয়েছিলো আরবিয়া (বুধবার)। সেদিন চাঁদের বয়স ছিলো ১৮ ঘণ্টা ৩৩ মিনিট, উচ্চতা ৭ ডিগ্রি ২৬ মিনিট, কৌণিক দূরত্ব ৯ ডিগ্রি ৪৭ মিনিট। পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে চাঁদ দৃশ্যমান হয়েছিলো কিন্তু পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে চাঁদ দৃশ্যমান হয়নি। 

পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে আরবিয়া (বুধবার) চাঁদ দেখা গিয়েছিলো বলেই খামীস বা বৃহস্পতিবার দিন ছিলো পবিত্র পহেলা যিলহজ্জ শরীফ এবং জুমুয়াহ বা জুমুয়াবার ছিলো পবিত্র ৯ই যিলহজ্জ শরীফ (আরাফার দিন)। 

কিন্তু পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে চাঁদ দেখা যায়নি; তার প্রমাণ হচ্ছে- খামীস বা বৃহস্পতিবার থেকে পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস গণনা করলে পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার বার ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার মিলানো অসম্ভব। সুতরাং আমরা এবার পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মাস গণনা নিয়েই আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

পবিত্র যিলক্বদ শরীফ মাস খামীস বা বৃহস্পতিবার ৩০ দিনে পূর্ণ করে পবিত্র পহেলা যিলহজ্জ শরীফ মাস শুরু হয়েছিলো জুমুয়াহ বা জুমুয়াবার। পবিত্র ২৯শে যিলহজ্জ শরীফও ছিলো জুমুয়াহ বা জুমুয়াবার। পবিত্র ২৯শে যিলহজ্জ শরীফ, জুমুয়াবার পবিত্র মুহররম শরীফ মাস উনার চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও চাঁদ দেখা যায়নি। তাই পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস ৩০ দিনে পূর্ণ হয়েছিলো। ফলে ৩০শে পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ ছিলো সাবত বা শনিবার। অতঃপর পবিত্র পহেলা মুহররম শরীফ ছিলো আহাদ বা রবিবার। আর পবিত্র ২৯শে মুহররম শরীফও ছিলো আহাদ বা রবিবার। 

পবিত্র ২৯শে মুহররম শরীফ, আহাদ বা রবিবার পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার চাঁদ দেখা যাবার সম্ভাবনা থাকলেও চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে পবিত্র মুহররম শরীফ মাসও ত্রিশ দিনে পূর্ণ হয়।

পবিত্র ৩০শে মুহররম শরীফ ছিলো ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার। আর পবিত্র পহেলা ছফর শরীফ ছিলো ছুলাছা বা মঙ্গলবার। সেদিন পবিত্র ছফর মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনারও ৩০ দিন গণনা করা হয়। আর সে বছর পবিত্র ২৯শে ছফর শরীফও ছুলাছা বা মঙ্গলবার। পবিত্র ৩০শে ছফর শরীফ ছিলো ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)।

সুতরাং প্রতিভাত ও প্রমাণিত হচ্ছে যে, ১১ হিজরী সনের পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার শেষ আরবিয়া (বুধবার) ছিলো ৩০শে ছফর শরীফ। 

সে সময় পরপর কয়েকটি মাস ৩০ দিনে পূর্ণ হবার কয়েকটি কারণ বর্ণনা করা হলো-

(১) এখন আধুনিক প্রযুক্তির তথা মোবাইলের যুগে আমরা বিভিন্ন অঞ্চলের খবর সহজেই পেয়ে যাই; তখন তা সম্ভব ছিলো না। ফলে প্রতিটি শহর আলাদাভাবে চাঁদ দেখতো।

(২) সে সময় ঘনবসতি ছিলো না। ফলে কোনো কারণে কোনো অঞ্চলের আকাশ মেঘলা থাকলে লোকজন চাঁদ দেখতে না পেলে তারিখ পরিবর্তিত হয়ে যেত।

(৩) ১০ হিজরী সনের পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস এবং ১১ হিজরী সনের পবিত্র মুহররম শরীফ মাস এবং পবিত্র ছফর মাস শুরু হয়েছিলো গ্রীষ্মকালে (মার্চ-এপ্রিল)। অর্থাৎ সে সময় পবিত্র মদীনা শরীফ উনার আকাশ মেঘলা থাকাই ছিলো স্বাভাবিক।

(৪) মরুঝড় অনেক সময় চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।

প্রকৃত কারণ মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারাই ভালো জানেন। 


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড) সকলের জন্য ফরজ হচ্ছে সর্ব ক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দেয়া -পর্ব-১৪

সকলের জন্য ফরজ হচ্ছে সর্ব ক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দেয়া -পর্ব-১৪

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৫ই যিলহজ্জ শরীফ ইয়াওমুল জুমু‘আহ্ শরীফ ইরশাদ মুবারক করেন- “যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

قُلْ اِنَّ صَلَتِىْ وَنُسُكِىْ وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِىْ لِِّٰ رَبِّ العٰالَمِيْنَ

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জানিয়ে দিচ্ছেন তিনি যেন দয়া করে সবাইকে বলে দেন যে, তাদের মূল লক্ষ্যটা কী? সেটা তিনি বলে দিচ্ছেন যে, আপনি বলে দিন তাদেরকে-

قُلْ اِنَّ صَلَتِىْ وَنُسُكِىْ وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِىْ لِِّٰ رَبِّ العٰالَمِيْنَ

‘নিশ্চয়ই আমার ছলাত অর্থাৎ আমাদের ছলাত’ وَنُسُكِىْ এই শব্দ মুবারক উনার দ্বারা হজ্জ, কুরবানী, ইবাদত-বন্দেগী সমস্ত কিছুই বুঝানো হয়। আমার হায়াত, আমার মউত, সমস্ত কিছু একমাত্র যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এখানে আরেকটা বিষয় রয়েছে, সেটা হচ্ছে- প্রথমে বলা হচ্ছে قُلْ اِنَّ صَلَتِىْ اِ ছলাত অর্থ নামাজ আবার نُسُكِىْ । এই نُسُكِىْ শব্দ মুবারকখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে نُسُك তিন অর্থে ব্যাবহার করা হয়েছে। একটা হচ্ছে- সাধারণভাবে হজ্জ্ব, আরেকটা কুরবানী, আরেকটা সমস্ত ইবাদত-বন্দেগী বুঝানো হয়েছে। তাই যদি হয়, তাহলে এখানে প্রমে صَلَة শব্দটা আসলো কেন? যে, আমার ছলাত, আমার সমস্ত ইবাদত-বন্দেগী, হায়াত-মউত, সব যিনি খালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য।এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফখানা আমি একটু ফিকির করতেছিলাম- তাহলে ছলাত শব্দ মুবারকখানা কেন প্রমে আসলো? আমাকে তখন জানানো হল যে, আসলে ছলাত বলতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পেশ করা হয়, সেই ছলাত-ই বলা হয়েছে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সর্বক্ষেত্রে যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেই তারজীহ্ দিয়েছেন অর্থাৎ প্রাধান্য দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) কাজেই উম্মতের সমস্ত কিছুই করতে হবে একমাত্র যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। তবে অবশ্যই সকলের জন্য ফরজ হচ্ছে সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দেয়া। যেহেতু স্বয়ং যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সর্বক্ষেত্রে প্রাধান্য দিয়েছেন। তাই তিনি সমস্ত হযরত ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালামসহ ছলাত মুবারক পেশ করে যাচ্ছেন। যেটা মশহূর সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ-এ বলা হচ্ছে-

إن الله وملائكته يصلون على النبي

‘নিশ্চয়ই যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সকলেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পেশ করে যাচ্ছেন।’ সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)

সম্মানিত ও কাজেই সকলে যেন এটা বলে যে, সকলেই তাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক, সমস্ত ইবাদত-বন্দেগী, তাদের হায়াতমউত,সব কিছু একমাত্র যিনি খfলিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। তবে অবশ্যই সকলের জন্য ফরজ হচ্ছে সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দেয়া। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! অর্থাৎ নিজের জন্য কোনো আমল করা যাবে না, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের লক্ষ্যেই সব করতে হবে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ (ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর-২য় খণ্ড)  ‘আমি কি আলোচনা করি ,উনারা শুনেন । আমি বসার পরপর-ই দেখি উনারা উপস্থিত’-পর্ব-১৩

 ‘আমি কি আলোচনা করি ,উনারা শুনেন । আমি বসার পরপর-ই দেখি উনারা উপস্থিত’-পর্ব-১৩

ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৫শে যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ (বুধবার রাতে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন“গালিজ যুক্ত অন্তর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কিভাবে নিসবত স্থাপন করবে? কোনো দিন সম্ভব না। কারণ অন্তর তো কিছু ইছলাহ্ হতে হবে। অন্তরটা কিছু ইছলাহ্প্রাপ্ত হলে, তখন উনার সাথে একটা নিসবত স্থাপন করা যায়। এখন ইছলাহ্ নেই, অন্তরের মধ্যে গালিজে ভরা, তাহলে উনারা তো পছন্দ করবেন না। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার জীবনী মুবারক-এ আছে- উনার এক আত্মীয় একদিন উনার কাছে আসলো। তার মুখে শরাবের গন্ধ। উনি তাকে বের করে দিলেন এবং উনি তাকে বললেন, জীবনে আর কখনও আমার এখানে আসবে না। শরাবের গন্ধবের হওয়ার কারণে তাকে বের করে দিলেন। সে গালিজযুক্ত। তাহলে যাদের অন্তর গালিজযুক্ত, তাদের সাথে কি উনারা মুহব্বত রাখবেন? কোনো দিন মুহব্বত রাখবেন না। তাহলে কিভাবে মুহব্বত হবে? এবং কিভাবে নিসবত হবে? তাহলে অন্তর ইছলাহ্ করতে হবে না? হ্যাঁ; ইছলাহ্ করতে হবে। অন্তর ইছলাহ্ করতে হলে উনাদের রহমত-বরকত দরকার, ফায়েয-তাওয়াজ্জুহ্দ রকার। একদিকে যিকির-ফিকির দরকার আর অন্যদিকে উনাদের ছোহবত মুবারক দরকার। এই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাহফিল মুবারকগুলোতে উনাদের ছোহবত মুবারক হাছিল করা যায়। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) মানুষ তো আর এগুলো বুঝে না। উনারা যে হাযির-নাযির, এটা বিশ্বাস করলেই হয়। না করলে- যে করে না, তারটা তার উপরে। উনারা তো হাযির-নাযির। এই যে আমি পবিত্র জুমু‘আহ্ শরীফ-এ আলোচনা করি। আমি তো বলি না- প্রত্যেক পবিত্র জুমু‘আহ্ শরীফ উনার দিন আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিয়ে আলোচনা করতে বসলেই কিছুক্ষণের মধ্যে আমি দেখি আমার সামনের দিকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা সবাই উপস্থিত। আমি কি আলোচনা করি, উনারা শুনেন। আমি বসার পরপর-ই দেখি উনারা উপস্থিত হয়ে গেছেন। উনারা তো হাযির-নাযির। এখন উনারা যেখানে থাকেন, সেখানে তাহলে কত রহমত মুবারক বর্ষিত হন? (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) কাজেই বিষয়টা তো ফিকির করতে হবে।” আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ ও হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!


মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক-পর্ব-১৬

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক-পর্ব-১৬

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হচ্ছেন সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আমল মুবারক। সুবহানাল্লাহ! স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই সৃষ্টির শুরু থেকে অদ্যবধি দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ পালন করতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! তাই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার চেয়ে বড় ও ফযীলতপূর্ণ আর কোনো আমল নেই। সুবহানাল্লাহ! বান্দার তরফ থেকে সর্বশেষ মাক্বাম হচ্ছে আবদিয়াতের মাক্বাম আর মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ মাক্বাম মুবারক হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ! তাহলে এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করলে বান্দা-বান্দী, উম্মত, জিন-ইনসান কত বড় নিয়ামত লাভ করবে এবং তা পালন করার কত বেমেছাল ফযীলত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! নি¤েœ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক সম্পর্কে হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত ক্বওল শরীফসমূহ এবং একখানা বিশেষ ঘটনা মুবারক উল্লেখ করা হলো-

হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত ক্বওল শরীফসমূহ:

হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পর সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবার আলাইহিস সালাম উনার সমপরিমাণ মর্যাদা ও ফযীলত মুবারক লাভ:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-

عَنْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْـنَ الثَّالِثَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) قَالَتْ بَيْنَا رَأْسُ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِـىْ حِجْرِىْ فِـىْ لَيْلَةٍ ضَاحِيَةٍ اِذْ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَلْ يَكُوْنُ لِاَحَدٍ مِنَ الْـحَسَنَاتِ عَدَدُ نُـجُوْمِ السَّمَاءِ قَالَ نَعَمْ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقُ الْاَعْظَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ (سَيِّدُنَا حَضْرَتْ عُمَرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ) قُلْتُ فَاَيْنَ حَسَنَاتُ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْقِ الْاَكْبَـرِ عَلَيْهِ السَّلَامُ (سَيِّدِنَا حَضْرَتْ اَبِـىْ بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ) قَالَ اِنَّـمَا جَـمِيْعُ حَسَنَاتِ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقِ الْاَعْظَمِ عَلَيْهِ السَّلَامُ كَحَسَنَةٍ وَاحِدَةٍ مِنْ حَسَنَاتِ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْقِ الْاَكْبَـرِ عَلَيْهِ السَّلَامُ

অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক জোস্না রাতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল আযহার মুবারক-এ (মহাম্মানিত ও মহাপবিত্র কোল মুবারক-এ) উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল হুদা মুবারক (মহাম্মানিত ও মহাপবিত্র মাথা মুবারক) রেখে শুয়ে ছিলেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কারো কি আকাশের তারকার সমপরিমাণ নেকী মুবারক রয়েছেন? তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, হ্যাঁ; সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার আকাশের তারকার সমপরিমাণ নেকী মুবারক রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তখন আমি বললাম, তাহলে আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত নেকী মুবারক উনার পরিমাণ কত? জবাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, নিশ্চয়ই সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার জিন্দেগীর সমস্ত নেকী মুবারক হচ্ছেন আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার একখানা সম্মানিত নেকী মুবারক উনার সমান।” সুবহানাল্লাহ! (রযীন, জামিউল উছূল লি ইবনে আছীর, মিশকাত শরীফ ইত্যাদি)

আর তা হচ্ছেন- আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার সময় সম্মানিত ছাওর গুহা মুবারক-এ ৪ দিন ৩ রাত্রি মুবারক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিয়ে যেই সম্মানিত নেকী মুবারক অর্জন করেছিলেন, সেই সম্মানিত নেকী মুবারক। সেই সম্মানিত নেকী মুবারকখানা হচ্ছেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার জিন্দেগীর সমস্ত নেকী মুবারক উনার সমান। সুবহানাল্লাহ!

আর আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন-

مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَـمًا عَلـٰى قِرَاءَةِ مَوْلِدِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ رَفِـيْقِىْ فِـى الْـجَنَّةِ

অর্থ: “যে ব্যক্তি মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে এক দিরহাম (চার আনা রূপা অথবা সমপরিমাণ অর্থ) ব্যয় করবেন, তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে আমার বন্ধু হবেন।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ৫ নং পৃষ্ঠা, নাফহাতুল আম্বরিয়া ৮ নং পৃষ্ঠা, মাদারিজুস সউদ, তালহীনুছ ছাননাজ ইত্যাদি)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার এই সম্মানিত ক্বওল শরীফ উনার ব্যাখ্যায় ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে এক দিরহাম খরচ করবেন, তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার বন্ধু হবেন। অর্থাৎ সেই ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে মাত্র এক দিরহাম খরচ করে আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সমপরিমাণ মর্যাদা ও ফযীলত মুবারক অর্জন করবেন।” সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পুনরুজ্জীবিত করার ফযীলত মুবারক লাভ:

আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,

مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدَ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ اَحْيَـى الْاِسْلَامَ

অর্থ: “যিনি মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে সম্মান করলেন, মর্যাদা দিলেন, তিনি মূলত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকেই পুনরুজ্জীবিত করলেন।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ৬ নং পৃষ্ঠা, নাফহাতুল আম্বরিয়া ৮ নং পৃষ্ঠা, মাদারিজুস সউদ, তালহীনুছ ছাননাজ ইত্যাদি) 

অর্থাৎ তিনি মূলত স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান মুবারক, বোল-বালা মুবারক প্রকাশ করলেন। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত বদর ও হুনাইন জিহাদ মুবারক-এ অংশগ্রহণ করার ফযীলত মুবারক লাভ:

আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, জামি‘উল কুরআন, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,

مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَـمًا عَلـٰى قِرَاءَةِ مَوْلِدِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَاَنَّـمَا شَهِدَ غَزْوَةَ بَدْرٍ وَّحُنَيـْنٍ

অর্থ: “যিনি মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাহফিল মুবারক উপলক্ষে এক দিরহাম (চার আনা রূপা অথবা সমপরিমাণ অর্থ) ব্যয় করলেন, তিনি যেন সম্মানিত বদর ও হুনাইন জিহাদ মুবারক-এ অংশগ্রহণ করলেন।” সুবহানাল্লাহ ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ৬ নং পৃষ্ঠা, নাফহাতুল আম্বরিয়া ৮ নং পৃষ্ঠা, মাদারিজুস সউদ, তালহীনুছ ছাননাজ ইত্যাদি) 

সম্মানিত ঈমান নিয়ে ইন্তেকাল এবং বিনা হিসেবে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ:

আসাদুল্লাহিল গালিব, বাবুল ইলম, ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্ল¬াহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,

مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدَ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ سَبَبًا لِقِرَائَتِهٖ لَايَـخْرُجُ مِنَ الدُّنْيَا اِلَّا بِالْاِيْـمَانِ وَيَدْخُلُ الْـجَنَّةَ بِغَيْـرِ حِسَابٍ

অর্থ: “যিনি মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে সম্মান করবেন, মর্যাদা দিবেন এবং এই উদ্দেশ্যে সম্মানিত ও পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল উনার ইন্তিজাম মুবারক করবেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক উনার ইন্তিজাম মুবারক করবেন, তিনি অবশ্যই সম্মানিত ঈমান নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিবেন এবং বিনা হিসাবে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ করবেন। (অর্থাৎ তিনি অবশ্যই হাক্বীক্বী মুহব্বত মুবারক এবং হাক্বীক্বী রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করবেন।)” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ৬ নং পৃষ্ঠা, নাফহাতুল আম্বরিয়া ৮ নং পৃষ্ঠা, মাদারিজুস সউদ, তালহীনুছ ছাননাজ ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি খুশি হন, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি খুশি হন, সবাই খুশি হন:

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৬ই জুমাদাল ঊলা শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার রাতে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছনাইনিল আ’যীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার) ভালোভাবে পালন করতে হবে। আর পবিত্র জুমু‘আহ্ শরীফ তো করতেই হবে। দুইটাই করতে হবে। তবে ওটা বেশি করতে হবে। এটা ফরয। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

আজকে (অর্থাৎ ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৫ই জুমাদাল ঊলা শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ) সকালে একটা জিনিস দেখলাম। দেখলাম- আমি একটি বাড়িতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিয়েছি। ওটা আমার-ই বাড়ি। কোনো বাতি নেই। সুইচ দিলে একটা বাতিও জ্বলে না। এমনে অতি সামান্য আলো আছে। চোখে আবছা আবছা কিছু দেখা যায়। কিন্তু কোনো বাতি নেই। এই অবস্থা দেখে আমি বললাম, ‘যারা দায়িত্বে আছে এদেরকে শাস্তি দিতে হবে। এদেরকে বরখাস্ত করতে হবে। সুইচ দিলে একটা বাতিও জ্বলে না। তাহলে কিভাবে হবে? অন্ধকারে থাকে কিভাবে?’

এমন সময় দেখি, আবুল বাশার হযরত আদম ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনি এবং উনার সাথে আরেকজন রসূল আলাইহিস সালাম উনি অর্থাৎ উনারা। উনারা অনেক লোক নিয়ে এসেছেন। হযরত আবুল বাশার ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনি বললেন যে, ‘গোশ্শা করিয়েন না, আর এদেরকে বদ দু‘আ দিয়েন না। আমরা কাজটা করে দেই।’ তারপর হযরত আবুল বাশার ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনি বেহেশতে যেরকম আলো, সেরকম আলো করে দিলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আর বেহেশতে যেরকম ঠা-াও থাকবে না, গরমও থাকবে না, ওরকম করে দিলেন। উনার সাথে আরেকজন রসূল আলাইহিস সালাম উনি ছিলেন। হযরত আবুল বাশার ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনি অনেক লম্বা। সমস্ত লোকের থেকে উনি অনেক লম্বা। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনার সাথে অনেক লোকজন নিয়ে এসে উনি করে দিলেন। উনি বললেন, ‘এটা আমরা করে দিলাম।’ বেহেশতের মতো সুখ-শন্তি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) ঠা-াও না, গরমও না। আর আলোটা ঠিক বেহেশতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আওক্বাত শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছুবহে ছাদিক্ব শরীফ) উনার সময় যেরকম আলো, ওই রকম আলো। না অতি আলো, না অন্ধকার। খুব সুন্দর স্পষ্ট দেখা যায়। উনারা এটা করে দিলেন। আবুল বাশার হযরত ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনি সবার থেকে অনেক লম্বা। উনি আসলেন। উনি এসে বললেন যে, ‘আমরা এটা করে দেই। বদ দু‘আ করিয়েন না, এদেরকে শাস্তি দিয়েন না।’ আমি বললাম, ‘ঠিক আছে।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) সেটাই বললাম যে, মহাম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি বরকত দেন, নিয়ামত দেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

নূরে মুজাসসাম হবীবূল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তো মূল। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মুহব্বত মুবারকই হলেন মূল। দেখা গেলো আবুল বাশার হযরত ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনি স্বাভাবিক থেকে ডাবলের থেকে বেশি লম্বা। অনেক লম্বা। অনেক লোক নিয়ে এসেছেন। উনি সবার পিছনে। সামনে আরেকজন রসূল আলাইহিস সালাম। আসলেন। এসে বললেন। আমি বললাম, ‘আচ্ছা; ঠিক আছে।’ পরে করে দিলেন। আলোটা এমন করলেন যে, বেহেশতে যেরকম আলো থাকবে, সেরকম। খুব প্রখর না, আবার হালকাও না। সব স্পষ্ট। আবার আবহাওয়াটাও ঐরকম। গরমও না, ঠা-াও না। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) পরিবেশটা খুবই শান্তিদায়ক। এখন উনি আসলেন। মধ্যে অনেকগুলি লোক। সামনে একজন, পিছে উনি। সামনে যিনি, উনি উনার সমসাময়িক, কাছাকাছি। সেটাই বললাম যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি খুশি হন, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি খুশি হন, সবাই খুশি হন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) কারণ, মূল তো হলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি। উনার জন্য করতে পারলে সব হয়ে গেলো। এখন উনারা কি বুঝেছেন কে জানে? তবে এই কথাগুলি আমাকে উনারা বললেন- ‘বদ দু‘আ যেন না দেই, শাস্তিও যেন না দেই। আমরা কাজটা করে দিচ্ছি।’ পরে উনি করে দিলেন। 

আমি বলেছিলাম; কারণ কোনো বাতি নেই। এখানে থাকে কিভাবে মানুষ? তখন দেখলাম যে, সামনে বড় রাস্তা আছে। সেই রাস্তা দিয়ে উনারা আসতেছেন। আসলেন। এসে বললেন। আমি বললাম, ‘আচ্ছা; ঠিক আছে।’ পরে করে দিলেন। পরে সব স্বাভাবিক হয়ে গেলো। আবহাওয়াটা খুব ঠা-াও না, খুব গরমও না, আরামদায়ক। আলোটা ঐরকমই চোখেও লাগে না, আবার সব দেখা যায় স্পষ্ট পরিষ্কার। আর বেহেশতি আবহাওয়া। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এখন যতো করা যায়। বুঝতে পারলে? সেটাই বললাম যে, যতটুকু করা সম্ভব।

 যেটা আমরা বলি যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি হাযির-নাযির। শুনতেছেন না? দেখতেছেন না? তাহলে আর কি? আর উনার ফায়ছালা তো মূল ফায়ছালা। মূল তো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি। মহান আল্লাহ পাক তিনি তো আছেন-ই। এখন তো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি মূল। এখন উনাকে সন্তুষ্ট করতে পারলে, সব হয়ে গেলো। উনার সাথে যতো নিসবত রাখা যায়। সবাই মুহব্বত করবে। ঐরকমই দেখা গেছে। অনেক লম্বা তিনি, সবার শেষে। উনি সবাইকে নিয়ে আসতেছেন। সামনে একজন ছিলেন। বেহেশতি আবহাওয়া। ঠা-াও না, শীতও না, গরমও না। আবার খুব প্রখর আলোও না। সব স্পষ্টই দেখা যায়। প্রখরতা নেই। এখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ যতো করা যায়। এগুলোর তো ভাষা নেই। এটা বললাম, বললে তোমাদের যদি ঈমানী কুওয়াত বাড়ে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) 

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার কাজ তো আমাদের শুরু হয়ে গেছে। খরচ তো আমরা করতেছি। এখন যে শরীক থাকবে, সে পাবে। বলার কিছু নেই। তোমাদেরকে সুসংবাদগুলি এজন্য বলি যে, বললে যদি তোমাদের ঈমানী কুওয়াত বাড়ে। আমরা আলোচনা করলাম যে, মহাম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইছনাইনিল আ’যীম শরীফ) উনাকে সম্মান করতে হবে, পালন করতে হবে। আর সকালে এই ঘটনা মুবারক ঘটলো। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ আলাইহিস সালাম!) কেমন হলো? এটা কল্পনাতীত বিষয়। দুজন হযরত রসূল আলাইহিমাস সালাম উনারা এসেছেন। উনারা আসবেন কেন? হ্যাঁ? আমি বললাম যে, ‘বাড়িটা এরকম করলো! কি করলো এটা? সুইচ দিলে একটা বাতিও জ্বলে না। যারা দায়িত্বে আছে এদেরকে শাস্তি দিতে হবে। এদেরকে বরখাস্ত করতে হবে। কারণ বাতি জ্বলে না। অন্ধকারে থাকে কিভাবে?’ চোখে আবছা আবছা কিছু দেখা যায়। বাকীটা সুন্দরই। তারপরে দেখলাম- উনারা আসতেছেন। অনেক লোকজন নিয়ে বিরাট রাস্তা দিয়ে উনারা হেঁটে এসেছেন। আসলেন। তারপর এই ঘটনা।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ আলাইহিস সালাম!)

তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার কতো বেমেছাল ফযীলত মুবারক সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক উনার মধ্যে মাল-জান, সময় সমস্ত কিছু দিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!


মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক-পর্ব-১৫

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক-পর্ব-১৫

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হচ্ছেন সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আমল মুবারক। সুবহানাল্লাহ! স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই সৃষ্টির শুরু থেকে অদ্যবধি দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ পালন করতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! তাই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার চেয়ে বড় ও ফযীলতপূর্ণ আর কোনো আমল নেই। সুবহানাল্লাহ! বান্দার তরফ থেকে সর্বশেষ মাক্বাম হচ্ছে আবদিয়াতের মাক্বাম আর মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ মাক্বাম মুবারক হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ! তাহলে এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করলে বান্দা-বান্দী, উম্মত, জিন-ইনসান কত বড় নিয়ামত লাভ করবে এবং তা পালন করার কত বেমেছাল ফযীলত মুবারক সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! নি¤েœ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক সম্পর্কে একখানা বিশেষ ঘটনা মুবারক উল্লেখ করা হলো-

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কথোপকথন মুবারক:

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২০শে রবী‘উছ ছানী শরীফ ইয়াওমুল জুমু‘আহ্ শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়ায শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “আজকের খুতবা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার শান-মান মুবারক সম্পর্কে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কিতাব কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْـرٌ مِّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ

অর্থ: “যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করতেছেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র  হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেন সমস্ত কায়িনাত, বান্দা-বান্দী, উম্মত, জিন-ইনসান সবাইকে বলে দেন, সকলেই যে মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ফযল মুবারক, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র রহমত মুবারক হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে লাভ করতে পেরেছে, এজন্য সকলের দায়িত্ব হলো, কর্তব্য হলো, ফরয হলো উনার সম্মানার্থে শুকুর গুজারির সাথে ফালইয়াফরাহূ শরীফ অর্থাৎ খুশি মুবারক প্রকাশ করা। এই খুশি মুবারক প্রকাশ করা হচ্ছেন সকলের যিন্দেগীর সমস্ত ইবাদত থেকেও সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম ইবাদত।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

 অর্থাৎ সমস্ত কায়িনাত একমাত্র যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, যিনি ইমামুল মুরসালীন, যিনি খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থেই সর্বপ্রকার নিয়ামত মুবারক পেয়েছে, পাচ্ছে, এবং অনন্তকাল ধরে পেতেই থাকবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) সবচেয়ে বড় নিয়ামত হচ্ছেন এই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এখন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফটা কি? আমরা এখানে অনন্তকালব্যাপী জারী করেছি এবং উনার বিশেষ ইন্তেজামও করেছি। এই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ সম্পর্কে আজকে আমি কিছু জরুরী কথা বলবো। যে বিষয়গুলি আমার সাথে সরাসরি যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার কথোপকথন হয়েছে। আমি তার থেকে জরুরত আন্দাজ কিছু কথা বলবো। এই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার গুরুত্ব ফযীলত মুবারক কি? কথাগুলি অনেক লম্বা। আমি সংক্ষিপ্তভাবে বলবো। কিছু আমার ভাষায়, কিছু যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ভাষায় আর কিছু ওয়াকেয়া বলবো- যেটা হয়তো আলোচনা মুবারক উনার মধ্যে দু-একটা আগে পরে হতে পারে। 

আমরা এই বছর সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ-এ যা করেছি, সামনে আরো অনেক বড় ব্যাপক আকারে করার জন্য চিন্তা-ফিকির করেছি। এখন এই চিন্তা ফিকিরটা কি শরীয়ত সম্মত? নাকি তার খেলাফ হবে? এতো খরচ করা কতটুকু শরীয়ত সম্মত? বাতিল ফেরকারা একখানা সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নিয়ে এ বিষয়ে অপব্যাখ্যা করে থাকে। আর তা হচ্ছেন-

اِنَّ الْمُبَذِّرِيْنَ كَانُوْاۤ اِخْوَانَ الشَّيٰطِيْنِ

‘নিশ্চয়ই অপচয়কারীরা হচ্ছে শয়তানের ভাই।’ না‘ঊযুবিল্লাহ!

এ বিষয়গুলো আমি ফিকির করতেছিলাম। এর সাথে সাথে আমার ফিকিরে আসলো- যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন,

كُنْتُ كَنْزًا مَخْفِيًّا فَاَحْبَبْتُ اَنْ اُعْرَفَ فَخَلَقْتُ الْـخَلْقَ لِاُعْرَفَ

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার সাধারণ অর্থ মুবারক করা হয়- كُنْتُ كَنْزًا مَخْفِيًّا আমি গুপ্ত ছিলাম। অনেকে বলে আমি গুপ্ত ভান্ডার ছিলাম। 

 যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন- كُنْتُ كَنْزًا مَخْفِيًّا কানযান ((كَنْزًا হচ্ছেন ছহিবে নিয়ামত অর্থাৎ আমি নিজেই। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমি পুশিদা ছিলাম।كُنْتُ كَنْزًا مَخْفِيًّا  আমি যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব পুশিদা ছিলাম।فَاَحْبَبْتُ اَنْ اُعْرَفَ  আমার মুহব্বত হলো আমি প্রকাশ হই। فَخَلَقْتُ الْـخَلْقَ لِاُعْرَفَ সৃষ্টি করলাম আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমার প্রকাশের জন্য। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) 

আমার প্রকাশ এবং প্রচারের জন্য উনাকে আমি সৃষ্টি করেছি। সেটাই বলা হচ্ছে-

اَوَّلُ مَا خَلَقَ اللهُ نُوْرِىْ وَخَلَقَ كُلَّ شَيْئٍ مِّنْ نُّوْرِىْ

প্রথম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক সৃষ্টি করা হয়েছে। তারপর এখান থেকে সমস্ত কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে। 

আবার বলা হচ্ছে- خَلَقَ اللهُ كُلَّ شَيْئٍ مِّنْ نُّوْرِىْ সমস্ত কিছু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক থেকেই সৃষ্টি করা হয়েছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

 যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন- উনার প্রচার-প্রসারের জন্যই উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর ঠিক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রচার-প্রসারটাই হচ্ছেন যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার প্রচার-প্রসারের অন্তর্ভূক্ত। এটাই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) 

কাজেই যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিয়েছেন- তিনি নিজেই এই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) তাই সমস্ত কায়িনাতের জন্য ফরযে আইন হচ্ছেন- এই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

এরপর জানতে চেয়েছিলাম যে, বারে এলাহী! يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِىِّ উনার আসল অর্থ মুবারক কি? আপনি যে ইরশাদ মুবারক করেছেন-

اِنَّ اللهَ وَمَلٰئِكَتَهٗ يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِىِّ يٰاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا

উনার অর্থ মুবারক কি? সাধারণ মানুষ তো ৪টি অর্থ করে থাকে। ১. যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে রহমত মুবারক। ২. হযরত ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালাম উনাদের পক্ষ থেকে ইস্তেগফার। ৩. আর অন্যান্য গাছ-পালা, তরুলতা-শাজারাত যা কিছু আছে তাদের তরফ থেকে তাস্বীহ-তাহ্লীল। ৪. জিন-ইনসানের তরফ থেকে ছলাত হচ্ছে দরূদ শরীফ, নামায। মানুষ এই অর্থ করে। যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন- সাধারণভাবে অর্থ ঠিকই আছে। এরকম আরো লক্ষ কোটি অর্থ রয়েছে। এখানে মূল যে অর্থ বুঝানো হয়েছে, সেটা হচ্ছেন- يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِىِّ এটা হচ্ছেন ওই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফখানা। কোন্ সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফখানা? মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন,

اِنَّاۤ اَرْسَلْنٰكَ شَاهِدًا وَّمُبَشِّرًا وَّنَذِيْرًا. لِتُؤْمِنُوْا بِاللهِ وَرَسُوْلِهٖ وَتُعَزِّرُوْهُ وَتُوَقِّرُوْهُ وَتُسَبِّحُوْهُ بُكْرَةً وَّاَصِيْلًا

আমি জানতে চাইলাম এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার হাক্বীক্বতটা কি? যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, আমি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছি, হাযির-নাযির, সাক্ষ্যদাতা হিসাবে। উনি সমস্ত সৃষ্টির তাছদীক্ব করবেন, সত্যায়িত করবেন, তাদেরকে সুসংবাদ দিবেন, ভয় প্রদর্শন করবেন, যাতে তারা হক্ব মতে-পথে থাকতে পারে।

لِتُؤْمِنُوْا بِاللهِ وَرَسُوْلِهٖ

যেন যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ঈমান আনে, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান আনে। এরপর বললেন,

وَتُعَزِّرُوْهُ وَتُوَقِّرُوْهُ وَتُسَبِّحُوْهُ بُكْرَةً وَّاَصِيْلًا

৩টি কথা। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক করবে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক করবে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করবে অনন্তকালব্যাপী। যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আসলে يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِىِّ শব্দের অর্থ এই ৩টা। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) 

যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তো আর খিদমত করেন না, উনি খিদমতের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মান করেন এবং করার জন্য বলেছেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করেন এবং করার জন্য বলেছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) 

وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ

মর্যাদা বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করা হয়েছে। এই ব্যাপারে আমরা আমভাবে দুইটি বিষয় বলে থাকি। একটা বিষয় হচ্ছেন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ। যেখানে যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম মুবারক উনার সাথে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নাম মুবারক সংযুক্ত করে দিয়েছেন-

لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

ক্বিয়ামত পর্যন্ত কেউ যদি শুধু لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ পাঠ করে, সে ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত বাকিটুকু সে পাঠ না করবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) 

আর দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হচ্ছেন হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা। উনাদের থেকে শপথ নেওয়া হয়েছে-

وَاِذْ اَخَذَ اللهُ مِيْثَاقَ النَّبِيّنَ لَمَاۤ اٰتَيْتُكُمْ مِّنْ كِتٰبٍ وَّحِكْمَةٍ ثُمَّ جَآءَكُمْ رَسُوْلٌ مُّصَدِّقٌ لِّمَا مَعَكُمْ لَتُؤْمِنُنَّ بِهٖ وَلَتَنْصُرُنَّهٗ قَالَ ءَاَقْرَرْتُمْ وَاَخَذْتُمْ عَلٰى ذٰلِكُمْ اِصْرِىْ قَالُوْاۤ اَقْرَرْنَا قَالَ فَاشْهَدُوْا وَاَنَا مَعَكُمْ مِّنَ الشّٰهِدِيْنَ. فَمَنْ تَوَلّٰى بَعْدَ ذٰلِكَ فَاُولٰئِكَ هُمُ الْفٰسِقُوْنَ

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক প্রকাশ করা হয়েছে। যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের থেকে ওয়াদা নিয়েছেন যে, আপনাদেরকে নুবুওয়াত-রিসালাত সব দেওয়া হবে। কিন্তু পরবর্তী সময় আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিবেন। উনাকে পেলে উনার প্রতি আপনারা ঈমান আনবেন, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিবেন। এটা কি আপনারা স্বীকার করে নিলেন? উনারা বললেন, আমরা স্বীকার করে নিলাম। এই শর্ত মেনে নিলেন? উনারা বললেন, মেনে নিলাম। যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, তাহলে আপনারা সাক্ষী থাকুন, আমিও সাক্ষী থাকলাম। তবে এরপরে কেউ ফিরে গেলে, তাহলে বিপরীত অবস্থা হবে। 

এখন উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক হচ্ছেন-

وَتُعَزِّرُوْهُ وَتُوَقِّرُوْهُ وَتُسَبِّحُوْهُ بُكْرَةً وَّاَصِيْلًا

উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক করবে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক করবে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করবে অনন্তকালব্যাপী। এটা হচ্ছেন- يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِىِّ। 

এখন এই تُعَزِّرُوْهُ وَتُوَقِّرُوْهُ وَتُسَبِّحُوْهُ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক সমস্ত সৃষ্টিকে করতে হবে। 

আমি জানতে চেয়েছিলাম- বারে এলাহী! তাহলে يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِىِّ বলার পর এখানে আপনি তো সালাম দেন নি? কিন্তু উম্মতকে বলা হয়েছে- يٰاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا এর অর্থটা কি? মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, আসলে বান্দা-বান্দী, জিন-ইনসানকে যে বলা হয়েছে- صَلُّوْا عَلَيْهِ আর يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِىِّ একই অর্থ। অর্থাৎ তাদের উপর ফরয হচ্ছেন- আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক করা, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেওয়া, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা এবং  মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করা। আর سَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন- আসলে যেমন একজন লোক যখন কাউকে সালাম দেয়- اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ তাহলে এর অর্থটা কি? এর অর্থ হচ্ছে- আমার তরফ থেকে তোমার জন্য নিরাপত্তা। আমার তরফ থেকে তোমার জন্য পরিপূর্ণ নিরাপত্তা। কোনো বিপদের আশঙ্কা নেই। শান্তি, সালাম। يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِىِّ এখানে سَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا  রয়ে গেছে। আরেকটা হচ্ছেন ঐ সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে-

فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُوْنَ حَتّٰى يُحَكِّمُوْكَ فِيْمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوْا فِىْۤ اَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِّـمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا 

একই অর্থ। এখানে যদিও মানুষ বলে থাকে সালাম দেওয়া-اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ সম্মানিত মীলাদ শরীফ পাঠ করে মানুষ ছলাত পাঠ করে, সালাম দেয়। হ্যাঁ; ঠিকই আছে। এটা সাধারণ অর্থ। কিন্তু হাক্বীক্বী অর্থ হচ্ছেন- বান্দা-বান্দীর তরফ থেকে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা। কেমন নিরাপত্তা? অর্থাৎ সে বিদ্রোহ করবে না, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান মুবারক নিয়ে চূ-চেরা করবে না, ক্বীল-ক্বাল করবে না, বিপরীত ব্যাখ্যা করবে না, বেয়াদবি করবে না, বিদ্বেষ পোষণ করবে না, সবটা মানার মতো মেনে নিতে হবে। সেটাই বলা হচ্ছে-سَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا ।

আবার এখানে বলা হচ্ছে- فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُوْنَ আপনার রব তা‘য়ালা উনার ক্বসম! কেউ ঈমানদার হতে পারবে না, حَتّٰى يُحَكِّمُوْكَ فِيْمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ অর্থাৎ তাদের পরস্পরের যে ইখতিলাফ সেগুলির ব্যাপারে আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আদেশ-নির্দেশ মুবারক না মেনে নেওয়া পর্যন্ত। এবং শুধু মানবে না-  لَا يَجِدُوْا فِىْۤ اَنْفُسِهِمْ حَرَجًاঅন্তরে কোনো সংকীর্ণতা অনুভব করতে পারবে না। مِـمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا এবং আপনি যেটা ফয়সালা মুবারক করবেন, সেটা মানার মতো মেনে নিতে হবে। এখানে কেনো চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করতে পারবে না। যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনি বললেন- এটা হচ্ছে বান্দার জন্য এখানে এই অর্থ। কোনো বিষয়ে চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করতে পারবে না, প্রত্যেকটা মেনে নিতে হবে। আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সব মেনেتُعَزِّرُوْهُ وَتُوَقِّرُوْهُ وَتُسَبِّحُوْهُ بُكْرَةً وَّاَصِيْلًا  মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক দায়িমীভাবে করা। এটা হচ্ছেন হাক্বীক্বী ‘ফালইয়াফরাহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) পরিপূর্ণ মেনে নিতে হবে। এখানে কোনো চূ-চেরা, ক্বীল-কাল করার সুযোগ নেই। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

আর যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার যে বিষয়; তিনি বললেন-

 هُوَ الَّذِىْۤ اَرْسَلَ رَسُوْلَهٗ بِالْهُدٰى وَدِيْنِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهٗ عَلَى الدِّيْنِ كُلِّهٖ وَكَفٰى بِاللهِ شَهِيْدًا. مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ  

মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আমি নিজেই তো আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন হিসেবে সৃষ্টি মুবারক করে পাঠিয়েছি। সমস্ত অতীতের ওহী দ্বারা নাযিলকৃত এবং অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ সব মতবাদকে খ-ন করে দিয়ে, বাতিল করে দিয়ে, সম্মানিত হিদায়েত এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম দিয়ে উনাকে আমি পাঠিয়েছি এবং এর জন্য আমিই সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট। 

এ জন্য আমার সম্পর্কে এখানে ‘সালাম’ শব্দ আমি ব্যবহার করিনি। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

আর সেজন্যই তিনি এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফখানা নাযিল করেছেন-

مَا كَانَ لِاَهْلِ الْمَدِيْنَةِ وَمَنْ حَوْلَهُمْ مِّنَ الْاَعْرَابِ اَنْ يَّتَخَلَّفُوْا عَنْ رَّسُوْلِ اللهِ وَلَا يَرْغَبُوْا بِاَنْفُسِهِمْ عَنْ نَّفْسِهٖ

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাদীনা শরীফ এবং উনার আশেপাশে যারা অর্থাৎ আরবী-আজমী কারো জন্য জায়েয হবে না- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আদেশ-নিষেধ মুবারক উনাদের খিলাফ করা, কোনো বিষয়ে পিছিয়ে থাকা (এটা জায়েয হবে না)। এবং কোনো অবস্থাতেই উনার থেকে নিজেকে প্রাধান্য দেওয়াটাও জায়েয হবে না। সেটাই নাযিল করে দেওয়া হয়েছে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) 

আর একইভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলে দেওয়া হয়েছে- 

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَليْهِ وَسَلَّمَ لَا يُؤْمِنُ اَحَدُكُمْ حَتّٰى اَكُوْنَ اَحَبَّ اِلَيْهِ مِنْ وَّالِدِهٖ وَوَلَدِهٖ وَالنَّاسِ اَجْمَعِيْنَ وَفِىْ رِوَايَةٍ مِنْ مَّالِهٖ وَنَفْسِهٖ

অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা আমাকে তোমাদের পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি এবং সমস্ত মানুষ থেকে বেশি মুহব্বত না করবে। আর অন্য বর্ণনায় এসেছেন, সমস্ত ধন-সম্পদ থেকে এবং নিজের জীবনের চেয়েও বেশি মুহব্বত না করবে (ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না)।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, নাসাঈ শরীফ, ইবনে মাজাহ্ শরীফ, মুসনাদে আহমদ, ছহীহ ইবনে হিব্বান, মুসনাদে বাযযার, মুসনাদে আবী ইয়া’লা, মুস্তাদরাকে হাকিম, মুসনাদে আবী আওয়ানাহ্, আল মু’জামুল কাবীর, আল মু’জামুল আওসাত্ব, দারিমী, মিশকাত শরীফ ইত্যাদি)

তাহলে সবকিছু থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বেশি মুহাব্বত করতে হবে, প্রাধান্য দিতে হবে, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক করতে হবে। সেটাই হচ্ছেন হাক্বীক্বী ‘ফালইয়াফরাহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) 

এই প্রসঙ্গে বিশেষ করে আমরা যেটা আলোচনা করেছিলাম, চার জন মহিলা ছাহাবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুন্না উনাদের খুছূছিয়াত মুবারক। (১) প্রথম হচ্ছেন- আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার যিনি সম্মানিতা আহলিয়া হযরত উম্মে রুম্মান আলাইহাস সালাম। উনি তাবুকের জিহাদে সমস্ত মাল-সম্পদ বস্তায় ভরে দিয়েছিলেন হাদিয়া মুবারক করার জন্য। তিনি একজন। (২) দ্বিতীয় হচ্ছেন হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সম্মানিতা আহলিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা। তিনি উনার দুইজন ছেলে শহীদ হওয়ার পরও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যে সম্মানিত দাওয়াত মুবারক দিয়েছিলেন, সেটা যেন কোনো মতেই বাতিল হয়ে না যায়, সেই ব্যাবস্থা করেছেন। তিনি কোনো অবস্থাতেই সন্তানকে প্রাধান্য দেননি। (৩) তৃতীয় হচ্ছেন হযরত আফরা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা। যিনি উনার দুই ছেলেকে পাঠিয়েছিলেন আবূ জেহেলকে হত্যা করার জন্য। তিনি উনার দুই ছেলে উনাদেরকে বলে দিয়েছিলেন যে, আপনারা শহীদ হয়ে যান তাতে কোনো অসুবিধা নেই; কিন্তু আবূ জেহেলকে হত্যা করতেই হবে। উনারা কিন্তু সেটা করেছেন। পরবর্তীতে একজন শহীদ হয়েছেন। (৪) চতুর্থ হচ্ছেন ঐ সম্মানিত হযরত মহিলা ছাহাবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা- সম্মানিত উহুদের জিহাদে উনার পিতা, ভাই, আওলাদ, আহাল উনারা শহীদ হয়েছেন। উনি শুনেছেন; কিন্তু তিনি গুরুত্ব দেননি। তিনি শুধু বলেছেন- আমি তো উনাদের সংবাদ শুনতে চাইনি, আমি শুনতে চেয়েছি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কেমন আছেন। তিনি যখন সে স্থানে পৌঁছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইতমিনানী ছূরত মুবারক-এ দেখতে পেলেন, তিনি তখন বললেন- 

كُلُّ مُصِيْبَةٍ بَعْدَكَ زَلَلٌ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهِ عَليْهِ وَسَلَّمَ

‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনাকে ইতমিনানী ছূরত মুবারক-এ দেখে আমার সমস্ত মুছীবত দূর হয়ে গেছে।’ এটা বলে তিনি যমীনে বসে পড়লেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

 উনার আহাল, উনার সন্তান, উনার বাবা ও ভাই সকলেই শহীদ হয়ে গেছেন। তিনি কিন্তু চিন্তিত হননি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইতমিনানী হাল মুবারক-এ দেখে তিনি সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনারাই হাক্বীক্বী ‘ফালইয়াফরাহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) সেটাই বলা হয়েছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে-

فَاِنْ اٰمَنُوْا بِمِثْلِ مَاۤ اٰمَنْتُمْ بِهٖ فَقَدِ اهْتَدَوْا

“যদি তারা ঈমান আনে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুমগণ উনারা যেভাবে ঈমান এনেছেন সেভাবে, তাহলে অবশ্যই তারা হিদায়েত লাভ করবে।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) 

এটাই হচ্ছেন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ফালইয়াফরাহূ শরীফ। যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি করে যাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, আরো বেশি করতে পারলে উনারা আরো বেশী খুশি হবেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) তাহলে কতটুকু করতে হবে সেটা ফিকির করতে হবে। সেটাই

وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ

অর্থাৎ যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং নিজেই উনার মহাম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান মুবারক, মর্যাদা মুবারক বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করেছেন। কতটুকু বুলন্দ করেছেন? সে বিষয়ে যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারাই ভালো জানেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) 

এখন এই ফালইয়াফরাহূ শরীফ উনার মধ্যে উনাদের বুলন্দী শান-মান মুবারক প্রকাশ করতে হবে। এখানে আরেকটা বিষয় রয়ে গেছে। যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اَلنَّبِـىُّ اَوْلـٰى بِالْمُؤْمِنِـيْـنَ مِنْ اَنْـفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهٓٗ اُمَّهٰتُـهُمْ

এখানে বলা হচ্ছে- ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মু’মিনদের কাছে তাদের জানের চেয়েও বেশি প্রিয়। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) 

وَاَزْوَاجُهٓٗ اُمَّهٰتُـهُمْ

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম।’ সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) 

এখানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বুলন্দী শান মুবারকও প্রকাশ করা হয়েছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

আবার বলা হয়েছে-

وَتَقَلُّبَكَ فِى السّٰجِدِيْنَ

আপনাকে সিজদাকারী উনাদের মাধ্যম দিয়েই স্থানান্তর করা হয়েছে অর্থাৎ যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক আনার ব্যাপারে যাঁরা সিজদাকারী উনাদেরকে অবলম্বন করা হয়েছে। সিজদাকারী উনাদের মাধ্যম দিয়েই আপনি যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক এনেছেন। এটা একটা বুলন্দী শান মুবারক। এই যে শান মুবারক, এটাই হচ্ছেন-

وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ

বান্দা-বান্দী, জিন-ইনসানের দায়িত্ব হচ্ছে, কর্তব্য হচ্ছে, ফরয হচ্ছেন এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারকগুলি প্রচার এবং প্রসার করা। এই প্রচার-প্রসার করাটাই হচ্ছেন হাক্বীক্বী ‘ফালইয়াফরাহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। আর এটাই বান্দা-বান্দী, জিন-ইনসানের হাক্বীক্বী মর্যাদা-মর্তবা, ফযীলত, নিসবত-কুরবত হাছিলের সর্বোত্তম একটা মাধ্যম। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) 

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান মুবারক যদি মানুষ না বুঝে, তাহলে সে বর্ণনা করবে কি করে? আর বর্ণনা না করতে পারলে, উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফযীলত মুবারক প্রচার-প্রসার করতে না পারলে, সে কি করে নিয়ামত হাছিল করবে? আমরা তো এজন্য অনেক রেসালা শরীফ প্রকাশ করেছি। এই রেসালা শরীফগুলো ব্যাপক প্রচার-প্রসার করা দরকার, এই বুলন্দী শান মুবারক। তাহলে নিসবত-কুরবত হাছিলে সহযোগিতা হবে। এখন ‘ফালইয়াফরাহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ এটা অনন্তকাল পালন করতে হবে। যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি করে যাচ্ছেন, সমস্ত হযরত ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালাম উনারা করে যাচ্ছেন, সমস্ত সৃষ্টি করে যাচ্ছে। সমস্ত জিন-ইনসানকে করতে হবে অনন্তকাল যাবৎ। আমরা যেটা বলে থাকি- হায়াতে, মউতে, কবরে, হাশরে-নশরে, মীযানে, পুলছিরাতে, জান্নাতে যেয়েও অনন্তকাল যাবৎ করতে হবে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার কতো বেমেছাল ফযীলত মুবারক সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!

যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক উনার মধ্যে মাল-জান, সময় সমস্ত কিছু দিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার, হাক্বীক্বী ছানা-ছিফত মুবারক করার, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!


মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক-পর্ব-১৪

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক-পর্ব-১৪

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হচ্ছেন সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আমল মুবারক। সুবহানাল্লাহ! স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই সৃষ্টির শুরু থেকে অদ্যবধি দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ পালন করতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! তাই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার চেয়ে বড় এবং ফযীলতপূর্ণ আর কোনো আমল নেই। সুবহানাল্লাহ! বান্দার তরফ থেকে সর্বশেষ মাক্বাম হচ্ছে আবদিয়াতের মাক্বাম আর মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ মাক্বাম মুবারক হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ! তাহলে এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করলে বান্দা-বান্দী, উম্মত, জিন-ইনসান কত বড় নিয়ামত লাভ করবে এবং তা পালন করার কত বেমেছাল ফযীলত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! নিম্নে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক সম্পর্কে হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কিছু ক্বওল শরীফ এবং একখানা বিশেষ ঘটনা মুবারক উল্লেখ করা হলো-

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে খাদ্যাভাব, মহামারী, অগ্নিকান্ড, ডুবে মরা এবং চুরি-ডাকাতি ইত্যাদি বালা-মুছীবত থেকে মুক্তি লাভ:

সুলত্বানুল আরিফীন হযরত জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,

مَا مِنْ مُسْلِمٍ قَرَاَ فِىْ بَيْتِهٖ مَوْلِدَ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِلَّا رَفَعَ اللهُ سُبْحَانَهٗ وَتَعَالٰى اَلْقَحْطَ وَالْوَبَاءَ وَالْحَرْقَ وَالْغَرْقَ وَالْاٰفَاتِ وَالْبَلِيَّاتِ وَالْبُغْضَ وَالْـحَسَدَ وَعَيْنَ السُّوْءِ وَاللُّصُوْصَ عَنْ اَهْلِ ذٰلِكَ الْبَيْتِ فَاِذَا مَاتَ هَوَّنَ اللهُ عَلَيْهِ جَوَابَ حَضْرَتْ مُنْكَرٍ وَّنَكِيْرٍ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ وَيَكُوْنُ فِىْ مَقْعَدِ صِدْقٍ عِنْدَ مَلِيْكٍ مُّقْتَدِرٍ

অর্থ: “যখন কোনো সম্মানিত মুসলমান তিনি নিজ বাড়ীতে সম্মানিত ও পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করেন বা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেন, তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি অবশ্যই সেই বাড়ীর অধিবাসীগণ উনাদের থেকে খাদ্যাভাব, মহামারী, অগ্নিকান্ড, ডুবে মরা, বালা-মুছীবত, হিংসা-বিদ্বেষ, কুদৃষ্টি এবং চুরি-ডাকাতি ইত্যাদি উঠিয়ে নেন। যখন ঐ ব্যক্তি তিনি ইন্তিকাল করেন, তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার জন্য হযরত মুনকার-নাকীর আলাইহিমাস সালাম উনাদের সুওয়াল-জাওয়াব সহজ করে দেন। আর উনার অবস্থান হয় মহান আল্লাহ পাক উনার নিকটে ছিদক্বের মাক্বামে।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম, আল ওয়াসাইল ফী শরহিশ শামাইল, ই‘আনাতুত্ ত্বালিবীন ৩/৪১৫, কিতাবু ফাদ্বায়িলি মাওলিদিন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৪ নং পৃষ্ঠা, রিসালাতু মাওলিদিন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১১ নং পৃষ্ঠা ইত্যাদি)

অত্যন্ত মর্যাদা সম্পন্ন আমল মুবারক, যা কখনও বৃথা যাবে না:

হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,

اے اﷲ! میرا کوئی عمل ایسا نہیں ہے جسے تیرے دربار میں پیش کرنے کے لائق سمجھوں میرے تمام اعمال میں فسادِ نیت موجود رہی ہے البتہ مجھ حقیر فقیر کا ایک اعمل صرف تیری ذات پاک کی عنایت کی وجہ سے بہت شاندار ہے اور وہ یہ ہے کہ مجلس میلاد کے موقع پر میں کھڑے ہوکر سلام پڑھتا ہوں اور بہت ہی عاجزی و انکساری محبت و خلوص کے ساتھ حبیب پاک صلی اللہ علیہ وسلم پر درود وسلام بھیجتا ہوں۔ اے اﷲ! وہ کون سا مقام ہے جہاں میلاد مبارک سے زیادہ تیری خیروبرکت کا نزول ہوتا ہے۔ اس لئے  اے ارحم الراحمین! مجھے پکا یقین ہے کہ میرا یہ عمل کبھی بےکار نہ جائے گا بلکہ یقینا تیری بارگاہ میں قبول ہوگا اور جو کوئی درود سلام پڑھے اور اس کے ذریعہ دعا کرے وہ کبھی مسترد نہیں ہوسکتی

অর্থ: “আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! আমার এমন কোনো আমল নেই; যা আপনার মহান দরবার শরীফ-এ পেশ করার যোগ্য মনে করি। আমার সমস্ত আমলই অশুদ্ধ নিয়ত ও ভুল-ত্রুটিতে পরিপূর্ণ। কিন্তু আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র যাত পাক উনার অনুগ্রহে আমি নগন্য ও অধমের একখানা আমল মুবারক অত্যন্ত মর্যাদা সম্পন্ন। আর তা হচ্ছেন এই যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ও পবিত্র মীলাদ শরীফ মজলিস উনার সময় আমি দাঁড়িয়ে সালাম পাঠ করি এবং অত্যন্ত আজিযী-ইনকেসারী (অনুনয়-বিনয়), মুহব্বত ও খুলূছিয়াতের সাথে আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ও পবিত্র ছলাত শরীফ এবং সালাম শরীফ পেশ করি। সুবহানাল্লাহ! আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! এমন কোন্ স্থান আছে যেখানে সম্মানিত ও পবিত্র মীলাদ শরীফ অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক উনার চেয়ে অধিক খায়ের-বরকত নাযিল হয়? হে আরহামুর রাহিমীন! এ কারণেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আমার এই আমল মুবারক কখনও বৃথা যাবে না; বরং অবশ্যই আপনার পবিত্র দরবার শরীফ-এ ক্ববূল হবেন। আর যে ব্যক্তি সম্মানিত ছলাত মুবারক ও সালাম শরীফ পাঠ করবেন অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবেন এবং উনাকে উছীলা দিয়ে দু‘আ করবেন, তিনি কখনও মাহরূম হবেন না। অর্থাৎ উনার সমস্ত দু‘আ অবশ্যই ক্ববূলযোগ্য।” সুবহানাল্লাহ! (আখবারুল আখইয়ার ৪১১ নং পৃষ্ঠা)

ছিদ্দীক্ব, শহীদ ও ছালেহ্ উনাদের সাথে হাশর-নশর:

কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,

قَالَ حَضْرَتْ اَلْاِمَامُ الْيَافِعِىُّ الْيَمَنِىُّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ مَنْ جَمَعَ لِمَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِخْوَانًا وَهَيَّاَ طَعَامًا وَاَخْلٰى مَكَانًا وَعَمِلَ اِحْسَانًا وَصَارَ سَبَبًا لِقِرَاءَةِ مَوْلِدِ الرَّسُوْلِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ الصِّدِّيْقِيْنَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِيْنَ وَحَسُنَ اُولٰئِكَ رَفِيْقًا وَيَكُوْنُ مَعَهُمْ فِىْ جَنَّاتِ النَّعِيْمِ

অর্থ: “হযরত ইমাম ইয়াফিয়ী ইয়ামানী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ৬৯৬ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন, মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে যে ব্যক্তি খুশি মুবারক প্রকাশ করে লোকজন একত্রিত করবেন, খাদ্য প্রস্তুত করবেন, জায়গা নির্দিষ্ট করবেন এবং উত্তম আমল করবেন (অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পাঠ করবেন, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করবেন), মহান আল্লাহ পাক তিনি সেই ব্যক্তি উনাকে হাশরের দিন ছিদ্দীক্ব, শহীদ ও ছালেহ্ উনাদের সাথে উঠাবেন। উনারাই উত্তম সঙ্গী। আর তিনি সম্মানিত জান্নাতুন না‘ঈম মুবারক উনার মধ্যে উনাদের সাথী হবেন।” সুবহানাল্লাহ! (ইয়ানাতুত্ ত্বালিবীন ৩/৪১৫, কিতাবু ফাদ্বায়িলি মাওলিদিন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৩ নং পৃষ্ঠা, রিসালাতু মাওলিদিন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৫ নং পৃষ্ঠা ইত্যাদি)

মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত-বরকত প্রাধান্য বিস্তার করেন, শান্তি-নিরাপত্তা বিরাজমান থাকে এবং তাৎক্ষণিকভাবে মক্বছূদ হাছিল হয়:

হযরত ইমাম কুস্ত¡লানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এবং হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অর্থাৎ উনারা বলেন,

وَلَا زَالَ اَهْلُ الاِسْلَامِ يَحْتَفِلُوْنَ بِشَهْرِ مَوْلِدِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَعْمَلُوْنَ الْوَلَائِمَ وَيَتَصَدَّقُوْنَ فِىْ لَيَالِيْهِ بِاَنْوَاعِ الصَّدَقَاتِ وَيَظْهَرُوْنَ السُّرُوْرَ وَيَزِيْدُوْنَ فِى الْمَبَرَّاتِ وَيَعْتَنُوْنَ بِقِرَاءَةِ مَوْلِدِهِ الْكَرِيْمِ وَيَظْهَرُ عَلَيْهِمْ مِنْ بَرَكَاتِهٖ كُلِّ فَضْلٍ عَمِيْمٍ وَمِمَّا جُرِّبَ مِنْ خَوَاصِّهٖ اَنَّهٗ اَمَانٌ فِىْ ذٰلِكَ الْعَامِ وَبُشْرٰى عَاجِلَةٌ نَبِيْلَ الْبُغْيَةِ والْمَرَامِ فَرَحِمَ اللهُ اِمْرَاً اِتَّخَذَ لَيَالِىْ شَهْرِ مَوْلِدِهِ الْمُبَارَكِ اَعْيَادًا لِيَكُوْنَ اَشَدَّ عِلَّةٍ عَلٰى مَنْ فِىْ قَلْبِهٖ مَرَضٌ وَعِنَادٌ

অর্থ: “সম্মানিত মুসলমান উনারা সবসময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাস মুবারক-এ মাহফিল মুবারক করে আসছেন। সেই উপলক্ষে উনারা ওলীমা মুবারক অর্থাৎ বিশেষ মেহমানদারী মুবারক উনার আয়োজন করেন এবং ঐ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাস মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রাত্র মুবারক-এ বিভিন্ন ধরণের দান-ছদক্বাহ্ করেন, হাদিয়া-তোহফা দেন। আর খুশি মুবারক প্রকাশ করে নেক কাজ বৃদ্ধি করেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত মাওলিদ শরীফ পাঠের বিষয়ে গুরুত্ব দেন, মনোযোগ দেন। যার কারণে মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত-বরকত, সমস্ত প্রকার ফযল-করম মুবারক (মাওলিদ শরীফ পাঠকারী অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারী) উনাদের উপর প্রাধান্য বিস্তার করেন। সুবহানাল্লাহ! আর সম্মানিত ও পবিত্র মীলাদ শরীফ বা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক করার অনেক বৈশিষ্ট্য মুবারক উনাদের মধ্য থেকে একটি পরীক্ষিত বৈশিষ্ট্য মুবারক হচ্ছেন এই যে, ঐ বছর শান্তি-নিরাপত্তা বিরাজমান থাকে এবং তা মহৎ উদ্দেশ্য হাছিল করার তাৎক্ষণিক সুসংবাদ। অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার মাধ্যমে সমস্ত নেক মক্বছূদ তাৎক্ষণিকভাবে হাছিল হয়। কাজেই (আমি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আরজী পেশ করছি-) মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তির উপর সম্মানিত রহমত মুবারক বর্ষণ করুন, যেই ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাস মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রাত্রসমূহ উনাদেরকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করেছেন বা করবেন। যেন রোগগ্রস্ত ও বিরোধিতাপূর্ণ অন্তরসমূহে কঠিন যন্ত্রণা অনুভূত হয়।” (আল মাওয়াহিবুল লাদুননিয়্যাহ্ ১/৮৯, শরহুয যারক্বানী ১/২৬১-২৬২, তারীখুল খমীস ১/২২৩, মা ছাবাতা বিস্ সুন্নাহ্ ৮৩ নং পৃষ্ঠা ইত্যাদি)

বিশিষ্ট বুযূর্গ আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে জামা‘আহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আমল মুবারক এবং প্রত্যাশা:

আল্লামা হযরত ইমাম শামসুদ্দীন সাখাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৯০২ হিজরী শরীফ) তিনি ৭ম হিজরী শতকের বিশিষ্ট বুযূর্গ, ছূফী, মহান আল্লাহ পাক উনার মাহবূব ওলী আল্লামা হযরত ইমাম বুরহানুদ্দীন ইবরাহীম ইবনে জামা‘আহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ৫৯৬ হিজরী শরীফ : বিছাল শরীফ ৬৭৫ হিজরী শরীফ) উনার সম্পর্কে বলেন,

كَانَ يَعْمَلُ طَعَامًا فِى الْمَوْلِدِ النَّبَوِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيُطْعِمُ النَّاسَ وَيَقُوْلُ لَوْ تَمَكَّنْتُ عَمِلْتُ بِطُوْلِ الشَّهْرِ كُلِّ يَوْمٍ مَوْلِدًا

অর্থ: “আল্লামা হযরত ইমাম বুরহানুদ্দীন ইবরাহীম ইবনে জামা‘আহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে খাদ্য পাকাতেন এবং মানুষদেরকে মেহমানদারী করাতেন। আর তিনি বলতেন, যদি আমি সক্ষম হতাম অর্থাৎ আমার যদি সামর্থ্য থাকতো, তাহলে আমি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) মাস মুবারক উনার প্রতিদিন মাওলিদ শরীফ অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক উনার ইন্তিজাম করতাম।” সুবহানাল্লাহ! (আত তুহ্ফাতুল লাত্বীফাহ্ ফী তারীখিল মাদীনাতিশ শারীফাহ্ ১/৯১, আল আজূবাতুল মারদ্বিয়্যাহ্ ৩/১১১৯)

আল্লামা হযরত মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রত্যাশা:

আল্লামা হযরত মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ১০১৪ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,

كَانَ يَعْمَلُ طَعَامًا فِى الْمَوْلِدِ النَّبَوِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيُطْعِمُ النَّاسَ وَيَقُوْلُ لَوْ تَمَكَّنْتُ عَمِلْتُ بِطُوْلِ الشَّهْرِ كُلِّ يَوْمٍ مَوْلِدًا قُلْتُ وَاَنَا لَمَا عَجَزْتُ عَنِ الضِّيَافَةِ الصُّوْرِيَّةِ كَتَبْتُ هٰذِهِ الْاَوْرَاقَ لِتَصِيْرَ ضِيَافَةً مَعْنَوِيَّةً نُوْرِيَّةً مُسْتَمِرَّةً عَلٰى صَفَحَاتِ الدَّهْرِ غَيْرَ مُخْتَصَّةٍ بِالسَّنَةِ وَالشَّهْرِ وَسَمَّيْتُهٗ بِالْمَوْرِدِ الرَّوِىِّ فِى الْمَوْلِدِ النَّبَوِىِّ 

অর্থ: “আল্লামা হযরত ইমাম বুরহানুদ্দীন ইবরাহীম ইবনে জামা‘আহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে খাদ্য পাকাতেন এবং মানুষদেরকে মেহমানদারী করাতেন। আর তিনি বলতেন, ‘যদি আমি সক্ষম হতাম অর্থাৎ আমার যদি সামর্থ্য থাকতো, তাহলে আমি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) মাস মুবারক উনার প্রতিদিন মাওলিদ শরীফ অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক উনার ইন্তিজাম করতাম।’ সুবহানাল্লাহ! (হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,) আমি বলি- যেহেতু আমি বাহ্যিক মেহমানদারীর ব্যবস্থা করতে অক্ষম, তাই আমি (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাওলিদ শরীফ অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার ফযীলত মুবারক সম্বলিত) এই পৃষ্ঠাসমূহ লিখলাম। অবশ্যই এই পৃষ্ঠাসমূহ বাতিনী নূরানী মেহমানদারীর ব্যবস্থা করবেন; যা কোনো বছর এবং মাসের মধ্যে নির্দিষ্ট হওয়া ব্যতীত যুগ-যুগান্তরের পাতায় স্থায়ী থাকবেন। আর আমি (এই সম্মানিত কিতাব মুবারক) উনার নামকরণ করেছি- ‘আল মাওরিদুর রওয়ী ফিল মাওলিদিন নাবাওয়ী’ অর্থাৎ মাওলিদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিষয়ে তৃষ্ণা-নিবারক ঘাট।” সুবহানাল্লাহ! (আল মাওরিদুর রওয়ী ফিল মাওলিদিন নাবাওয়ী)

সর্বোচ্চ নৈকট্য মুবারক এবং বেমেছাল মহাসম্মানিত নিসবত মুবারক ও মর্যাদা মুবারক উনাদের বহিঃপ্রকাশ:

ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র  রজবুল হারাম শরীফ চতুর্থ তলা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পবিত্র খানকাহ্ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে ‘ছানী ইছনাঈন বা দুইজনের দ্বিতীয়’ বলা হয়েছে। এটা সম্মানিত ও পবিত্র ছাওর গুহা মুবারক-এ অবস্থান করা অবস্থায়। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, 

ثَانِىَ اثْنَيْنِ اِذْ هُمَا فِى الْغَارِ اِذْ يَقُوْلُ لِصَاحِبِهٖ لَا تَحْزَنْ اِنَّ اللهَ مَعَنَا

‘দুইজনের দ্বিতীয়। যখন উনারা সম্মানিত (ছাওর) গুহা মুবারক-এ অবস্থান মুবারক করছিলেন, তখন তিনি উনার ছাহিব অর্থাৎ সঙ্গী, ছাহাবী, খাদিম উনাকে বললেন, আপনি চিন্তিত হবেন না, মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সাথে রয়েছেন।’ সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তাওবা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪০)

মহান আল্লাহ পাক তিনি এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে দু’জনের দ্বিতীয় বলেছেন। সুবহানাল্লাহ! যদিও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দ্বিতীয় কেউ নেই। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন খ¦ালিক্ব মালিক রব হিসেবে একক; তেমনিভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বায়িম মাক্বাম হিসেবে একক। উনার সমকক্ষ কেউ নেই। তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া সমস্ত মর্যাদা-মর্তবা, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সমস্ত কিছুর মালিক হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! তারপরেও এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ছাওর গুহা মুবারক-এ অবস্থানরত অবস্থায় সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দ্বিতীয় বলা হয়েছে।

আর যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা আমাকে বলেছেন, কেউ যদি হাক্বীক্বীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতে পারেন, তাহলে উনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম উনার অর্থাৎ উনাদের দুজনের পর উনাকে তৃতীয় করা হবে। অর্থাৎ উনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাকে হাদিয়া করা হবে। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু উনার অর্থাৎ উনাদের পরেই উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাক্বাম মুবারক হাদিয়া মুবারক করা হবে।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!

তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার কতো বেমেছাল ফযীলত মুবারক সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক উনার মধ্যে মাল-জান, সময় সমস্ত কিছু দিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!