আল্লাহ কেন হাঁচি দেওয়া পছন্দ করেন কিন্তু হাই তোলাকে করেন না তিনি কি এটা জানেন না যে হাঁচি দেওয়ার ফলে বাতাসে জীবানু ছাড়ায় আর অন্য দিকে হাই তুললে আমাদের শরীর প্রচুর অক্সিজেন পায়?

আল্লাহ কেন হাঁচি দেওয়া পছন্দ করেন কিন্তু হাই তোলাকে করেন না তিনি কি এটা জানেন না যে হাঁচি দেওয়ার ফলে বাতাসে জীবানু ছাড়ায় আর অন্য দিকে হাই তুললে আমাদের শরীর প্রচুর অক্সিজেন পায়?

 নাস্তিকদের আপত্তি ৮ : আল্লাহ কেন হাঁচি দেওয়া পছন্দ করেন কিন্তু হাই তোলাকে করেন না (Sahih Bukhari 8:73:245)?  তিনি কি এটা জানেন না যে হাঁচি দেওয়ার ফলে বাতাসে জীবানু ছাড়ায় আর অন্য দিকে হাই তুললে আমাদের শরীর প্রচুর অক্সিজেন পায়?

খণ্ডণ : হাঁচি আর হাই সম্পর্কিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- 

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـي هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ‏ اِنَّ اللهَ يُـحِبُّ الْعُطَاسَ وَيَكْرَهُ التَّثَاؤُبَ فَاِذَا عَطَسَ اَحَدُكُمْ وَحَـمِدَ اللهَ كَانَ حَقًّا عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ سَـمِعَهُ اَنْ يَقُوْلَ لَهُ يَرْحَـمُكَ اللهُ‏.‏ وَاَمَّا التَّثَاؤُبُ فَاِنَّـمَا هُوَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَاِذَا تَثَاوَبَ اَحَدُكُمْ فَلْيَرُدَّهُ مَا اسْتَطَاعَ فَاِنَّ اَحَدَكُمْ اِذَا تَثَاءَبَ ضَحِكَ مِنْهُ الشَّيْطَانُ‏‏.‏‏

অর্থ : “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি হাঁচি দেয়া পছন্দ করেন আর হাই তোলা অপছন্দ করেন। যদি তোমাদের কেউ হাঁচি দিয়ে ‘আল্হামদুলিল্লাহ’ বলে তবে প্রত্যেক মুসলিম শ্রোতার তার জবাবে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলা ওয়াজিব। আর হাই তোলা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়। কাজেই তোমাদের কোন ব্যক্তির হাই উঠলে সে যেন যথাসম্ভব তা রোধ করে। কেননা কেউ হাই তুললে শয়তান তার প্রতি হাসে।” (বুখারী শরীফ : কিতাবুল আদব : বাবু ইজা তাছাওয়াবা ফালইয়াদ্বোয়া ইয়াদাহু ‘আলা ফীহি : হাদীছ শরীফ নং ৬২২৬)

মহান আল্লাহ পাক তিনি যেহেতু সর্বদা বান্দা-বান্দীর কল্যাণ চেয়ে থাকেন তাই তিনি হাঁচি দেয়া পছন্দ করেন আর হাই তোলা অপছন্দ করেন। সাধারণভাবে হাঁচি হলো শ্বাসযন্ত্রের অনেকগুলো প্রতিরক্ষা কবচের একটি। শরীরের জন্য অনাকাংক্ষিত কোন বস্তু কতা বা জৈব কলা, যখন আমাদের শ্বাসযন্ত্রের উপরিভাগে ঢুকে পড়ে, তখন তা বের করে দেবার জন্য শ্বাসযন্ত্র অত্যন্ত সম্বনিত প্রক্রিয়ায় বিপুল পরিমাণে বাতাস ফুসফুসে ঢুকিয়ে তা প্রবল বেগে বের করে দেয়, যেন এই প্রবল বেগে বাতাস বেরিয়ে যাবার সময় ওই অনাকাংক্ষিত কতাটি সহ বেরিয়ে যায়। যেহেতু শরীরকে সার্বিকভাবে সুস্থ রাখার অন্যতম সহায়ক প্রক্রিয়া হলো এই হাঁচি, তাই স্বাভাবিকভাবে হাঁচি আটকান উচিত নয়।

গবেষণায় প্রমাণিত যে, একটি হাঁচির সাথে ৩ হাজার-১ লক্ষ রোগ-জীবাণু বেরিয়ে যায় আর মানুষ স্বাভাবিক অবস্থায় একসাথে দু’টি হাঁচি দেয়। এভাবে দু’টি হাঁচির সাথে ৬ হাজার- ২ লক্ষ রোগ জীবাণু বেরিয়ে যায়। এজন্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি হাঁচি দেয়া পছন্দ করেন। এই রোগ-জীবাণু বের হয়ে সুস্থ হওয়া অবশ্যই একটি রহমত এবং খুশির বিষয়। তাই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম তিনি উম্মতদেরকে হাঁচির পর الْـحَمْدُ لِلّٰه ‘আলহামদুলিল্লাহ’ পাঠ করতে শিক্ষা দিয়েছেন। এই হাঁচি এমন একটি নিয়ামত যে, হাঁচিদাতার হাঁচির উত্তর দেয়ার পর প্রত্যেক মুসলিম শ্রোতার তার জবাবে يَرْحَـمُكَ اللهُ ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলা ওয়াজিব।

এত বড় একটি নিয়ামতপূর্ণ বিষয়কে নাস্তিকরা তাদের অজ্ঞতা ও মূর্খতার কারণে বলে থাকে যে, হাঁচি দেওয়ার ফলে বাতাসে জীবাণু ছড়ায়। তাহলে তাদের ভাষ্য অনুসারে বুঝা যাচ্ছে যে, একজন মানুষ কষ্ট পেতে থাকলেই তাদের আনন্দ লাগে। নাঊযুবিল্লাহ! তারা চাচ্ছে যে, মানুষের শ্বাসযন্ত্র বিভিন্ন জীবাণু, বস্তু কতা বা জৈব কলায় ভরপুর হয়ে প্রতিটি মানুষ বিভিন্ন রোগ যন্ত্রণায় কষ্ট পেতে থাকুক।

স্বাভাবিকভাবে বিভিন্ন রোগের জীবাণু তো পরিবেশেই থাকে। সে জীবাণু শ্বাসের সাথে হোক, মুখ দিয়ে হোক বা অন্য কোন উপায়ে হোক শরীরের প্রবেশ করার পর রোগ প্রকাশ পায়। তাহলে পরিবেশেই তো মানুষের শরীরের তুলনায় অনেক বেশি জীবাণু ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমতবস্থায় একজন মানষের কাছ থেকে মাত্র ৩ হাজার-২ লক্ষ জীবাণু পরিবেশে আসলে তাতে কি আসে যায়? বর্তমান পৃথিবীতে প্রায় ৭০০ কোটি মানুষ রয়েছে। প্রতিটি মানুষ যদি একযোগে ১টি করে হাঁচি দেয় তাহলে কমপক্ষে ২১ লক্ষ কোটি ও সর্বোচ্চ ৭ কোটি কোটি আর প্রতিটি মানুষ যদি একযোগে ২টি করে হাঁচি দেয় তাহলে কমপক্ষে ৪২ লক্ষ কোটি ও সর্বোচ্চ ১৪ কোটি কোটি জীবাণু পরিবেশে ছড়িয়ে পড়বে। যদিও পৃথিবীর সব মানুষ এক যোগে কখনোই হাঁচি দেয় না। পরিবেশে ঘুরে বেড়ানো অসংখ্য-অগণিত জীবাণুর সাপেক্ষে হাঁচির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই জীবাণু কিছুই না। যেমন মহাসাগরের বিশাল পানিরাশির সাপেক্ষে একটি পুকুরে রক্ষিত পানি কিছুই না।

সুতরাং মহান আল্লাহ পাক তিনি যেহেতু হাঁচির মাধ্যমে একজন মানুষকে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা করে থাকেন, যা শরীরকে সার্র্বিকভাবে সুস্থ রাখার অন্যতম সহায়ক প্রক্রিয়া। তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি হাঁচি দেয়া পছন্দ করেন।

উপরন্তু সম্মানিত দ্বীন ইসলাম যেহেতু পূর্ণাঙ্গ তাই হাঁচির দেয়ার বিধানও সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে বাতলে দেয়া হয়েছে।

যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـي هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا عَطَسَ وَضَعَ يَدَهُ اَوْ ثَوْبَهُ عَلَى فِيْهِ وَخَفَضَ اَوْ غَضَّ بِـهَا صَوْتَهُ‏.‏

অর্থ : “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যখন হাঁচি আসতো তখন তিনি হাত বা কাপড় দিয়ে মুখ বন্ধ রাখতেন এবং হাঁচির শব্দ নিচু করতেন।” (আবূ দাঊদ শরীফ : কিতাবুল আদব : বাবু ফিল ‘য়ুত্বছি : হাদীছ শরীফ নং ৫০২৯; তিরমিযী শরীফ : ২৭৪৫)

এই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাধ্যমে শিক্ষা দেয়া হয়েছে যে- হাঁচি দেয়ার সময় মুখ বন্ধ রাখতে হবে এবং হাঁচির শব্দ নিচু করতে হবে। অর্থাৎ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখার দিকটিও খেয়াল রেখে থাকে। অথচ নাস্তিকরা সার্বিকভাবে সমন্বয়ের দিকটি মোটেও বিবেচনা করার সামর্থ রাখে না। তারা শুধু পরিবেশের দিকটিই দেখতে পেয়েছে কিন্তু একজন মানুষের সুস্থতার চিন্তাও করে না। পরিবেশের পরিচ্ছন্নতার দিকটি বিবেচনা করে প্রত্যেক নাস্তিকের উচিত তাদের হাঁচি দেয়া বন্ধ করে দেয়া।

নাস্তিকদের জ্ঞাতার্থে হাঁচি বন্ধ করার একটি উপায় উল্লেখ করা হলো। আমাদের উপরের ঠোঁটের মাঝখানে খাঁজকাটা যে অংশটা আছে যাকে পারিভাষিকভাবে philtrum  বলে, তাতে এক আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরলে হাঁচি আটকে যাবে। philtrum -এর নিচে থাকে depressor septi neris নামক একটি পেশী, আর এই পেশীতে চাপ লাগলেই হাঁচি থেমে যায়।

একইভাবে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেহেতু সর্বদা বান্দা-বান্দীর কল্যাণ চেয়ে থাকেন তাই তিনি হাই দেয়া অপছন্দ করেন। কেননা হাই তোলা শয়তানের কাজ আর এই কাজে শয়তান হাসে। মুখ বন্ধ না করলে শয়তান শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।

এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـي هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏ اِنَّ اللهَ يُـحِبُّ الْعُطَاسَ وَيَكْرَهُ التَّثَاؤُبَ فَاِذَا تَثَاءَبَ اَحَدُكُمْ فَلْيَرُدَّهُ مَا اسْتَطَاعَ وَلاَ يَقُلْ هَاهْ هَاهْ فَاِنَّـمَا ذَلِكُمْ مِنَ الشَّيْطَانِ يَضْحَكُ مِنْهُ‏.‏

অর্থ : “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি হাঁচি দেয়া পছন্দ করেন আর হাই তোলা অপছন্দ করেন। সুতরাং যখনই তোমাদের কারো হাই আসে সে যেন যথাসাধ্য তা প্রতিরোধ করে এবং হাহ্ হাহ্ ইত্যাদি শব্দ না করে। কারণ হাই তোলা শয়তানের কাজ, এতে শয়তান হাসে।” (আবূ দাঊদ শরীফ : কিতাবুল আদব : বাবু মা জায়া ফিত্তাছায়ুব : হাদীছ শরীফ নং ৫০২৮)

অন্য বর্ণনায় বর্ণিত আছে-

عَنْ حَضْرَتْ ابْنِ اَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ اَبِيهِ (رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ) قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا تَثَاءَبَ اَحَدُكُمْ فَلْيُمْسِكْ عَلَى فِيهِ فَاِنَّ الشَّيْطَانَ يَدْخُلُ.‏

অর্থ : “হযরত ইবনে আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার পিতা হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, তোমাদের কোন ব্যক্তির হাই আসলে সে যেন মুখ বন্ধ করে দেয়। কেননা শয়তান ভিতরে ঢুকে।” (আবূ দাঊদ শরীফ : কিতাবুল আদব : বাবু মা জায়া ফিত্তাছায়ুব : হাদীছ শরীফ নং ৫০২৬)

আর অন্য দিকে নাস্তিকরা বলে থাকে হাই তুললে আমাদের শরীর প্রচুর অক্সিজেন পায়। মূলত বিজ্ঞানীরা মনে করতো যে আমাদের মস্তিষ্ক যখন অক্সিজেনের অভাব বোধ করে তখন হাই আসে। বস্তুত কথাটি মোটেও ঠিক নয়। বিষয়টি যদি এরকমই হতো তাহলে কক্সবাজারের মানুষ ঢাকাতে বেড়াতে আসলে সারাক্ষুই হাই তুলতো। আর বাংলাদেশের মানুষ নেপাল বেড়াতে গেলে শুধু হাই তুলতে তুলতেই দিন শেষ হয়ে যেতো। কিন্তু তা ঘটে না।

আবার বিজ্ঞানীদের ভাষ্য হচ্ছে, ÒYawning is a peculiar infectious respiratory act whose physiological basis and significance are uncertain.Ó

বিজ্ঞানীরা একে infectious বলেছে এজন্যই যে, আসলে এক মানুষ আরেক মানুষকে হাই তুলতে দেখলে নিজেও হাই তুলে। এমনকি যদি টেলিফোনে অপর প্রান্তের কাউকে হাই তুলতে শুনে তাহলেও এ প্রান্তের শ্রোতার হাই চলে আসে।

এক সময় বিজ্ঞানীরা মনে করতো ঘুম ধরলে মানুষ হাই তোলে কিন্তু তাও ঠিক না। একটু খেয়াল করলেই দেখা যায় যে, মানুষ খুব কম সময়ই ঘুমাতে যাবার আগে হাই তোলে কিংবা হয়ত কারো প্রচ- ঘুম পেয়েছে কিন্তু এর মানে এই নয় যে তার হাই উঠবেই।

আবার এক সময় বিজ্ঞানীরা মনে করতো পরিশ্রান্ত শরীরের কারণে মানুষ হাই তোলে কিন্তু তাও ঠিক নয়। কেননা একটু খেয়াল করলেই দেখা যায়, যারা মাটি কাটেন কিংবা ভারী বোঝা বহন করেন, দিন শেষে তাদের কেউই হাই তুলতে তুলতে বাড়ি ফিরে না।

মোদ্দা কথা হচ্ছে, তথাকথিত বিজ্ঞানীরা এখনো হাই তোলার কোন শারীরবৃত্তীয় গুরুত্ব বা শারীরবৃত্তীয় প্রভাব নিরূপন করতে পারেনি। শুধুমাত্র চেতনানাশক পদার্থ (narcotic substance প্রত্যাহারের একটি উপসর্গ হিসাবে এর একটি পরিচিতি আছে।

সর্বোপরি নাস্তিকদের ভাষ্য অনুযায়ী যদি হাই তুললে শরীর প্রচুর অক্সিজেন পেয়েই থাকে তাহলে নাক দিয়ে শ্বাস টানার দরকার কি? হাই তুলে তুলে বাতাস থেকে অক্সিজেন টেনে নিলেই তো হয়।

বস্তুত হাই তোলার সময় যদি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিধান মুতাবিক মুখ বন্ধ না করা হয় কিংবা মুখে হাত দিয়ে মুখ বন্ধ না করা হয় তাহলে পরিবেশের ধূলা-বালি সহ বিভিন্ন রোগের জীবাণু ও অন্যান্য বস্তু অতি সহজেই মুখগহ্বর দিয়ে বিনা বাঁধায় ও ছাকনী ছাড়াই ফুসফুসে প্রবেশ করে ফুসফুসকে রোগগ্রস্থ করে ফেলবে। ফলশ্রুতিতে ফুসফুসের রোগসহ মুখ ও গলা নানান ব্যাধিতে আক্রান্ত হবে। অথচ মহান আল্লাহ পাক তিনি পরিবেশের ধূলা-বালি সহ বিভিন্ন রোগের জীবাণু ও অন্যান্য বস্তু যাতে সহজেই নাক দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য নাসারন্ধ্রে পশম দিয়ে দিয়েছেন এবং এ অঞ্চলটিতে পিচ্ছিল পদার্থ দিয়েছেন, যাতে উক্ত ধূলা-বালু নাসারন্ধ্রের পশমে ও পিচ্ছিল পদার্থে আটকা পড়ে যায়, ভিতরে ঢুুকতে না পারে। ফলশ্রুতিতে ফুসফুসসহ মুখগহ্বর ও গলা নানান ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়া থেকে বেঁচে যায়।

প্রমাণিত হলো যে, হাই তুললে শরীর প্রচুর অক্সিজেন পেয়ে থাকে কথাটি একটি বানোয়াট, অমূলক, বাস্তবতাবর্জিত, কল্পনাপ্রসূত উক্তি ছাড়া আর কিছুই নয়। বরং মুখে খুলে হাই তুললে পরিবেশের ধূলা-বালি সহ বিভিন্ন রোগের জীবাণু ও অন্যান্য বস্তু অতি সহজেই মুখগহ্বর দিয়ে বিনা বাঁধায় ও ছাকনী ছাড়াই ফুসফুসে প্রবেশ করে ফুসফুসকে রোগগ্রস্থ করে ফেলবে। তাই সকলের উচিত হাই আসলে মুখ বন্ধ করে রাখার সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।


0 Comments: