উচ্চতায় উঠতে থাকলে বক্ষ গহ্বর সংকুচিত হতে থাকে ! কিন্তু বাস্তবে বিপরীত ঘটনা ঘটতে দেখা যায়, কেন?

উচ্চতায় উঠতে থাকলে বক্ষ গহ্বর সংকুচিত হতে থাকে ! কিন্তু বাস্তবে বিপরীত ঘটনা ঘটতে দেখা যায়, কেন?

নাস্তিকদের আপত্তি ৯ : "কুরানের আয়াত 6:125  অনুসারে, উচ্চতায় উঠতে থাকলে বক্ষ গহ্বর (Chest cavity)  সংকুচিত হতে থাকে ! কিন্তু বাস্তবে বিপরীত ঘটনা ঘটতে দেখা যায়, কেন?

Air is compressible, so the weight of all the air above us compresses the air around us, making it denser. As you go up a mountain, the air becomes less compressed and is therefore thinner (less oXzgen to breathe). Several areas of the bodz also normally contain gas (sinuses of the face, stomach and bowel, middle ear cavity, lungs and air-passages). The laws of gas behavior dictate that as the pressure falls, a given amount of gas will expand (mass and temperature remaining constant). So as a person is subjected to progressively higher altitude (and therefore progressively less air pressure) the collections of gas within the bodz will expand. If anything, the lower pressure found at higher altitudes would allow your lungs to expand more than at lower altitudes. There is no tightening of the chest. The constrictive sensation experienced at high altitudes is simply a result of having less air to breathe into your lungs, in addition to the gas alreadz there actually expanding.

http://www.webcitation.org/query?url=http://www.pilotfriend.com/aeromed/medical/ascent_descent.htm&date=2011-12-05"

খণ্ডন : মানুষ উচ্চতায় উঠতে থাকলে বায়ুচাপ কমে গিয়ে মোট বাতাস প্রসারিত হয়ে যায়, সাথে সাথে তাপমাত্রাও কমতে থাকে। যার ফলশ্রুতিতে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে ও সল্প বাতাসের সল্প অক্সিজেন দিয়ে শরীরের চাহিদা পূরণ করতে বক্ষ গহ্বর সংকুচিত হয়ে আসে। এই কৌশলকে বলা হয় হোমিওস্ট্যাসিস (Homeostasis)

হোমিওস্ট্যাসিস প্রাণের বা দেহের এমন এক বিস্ময়কর এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রাণরাসায়নিক ব্যবস্থা, যার কারণে দেহে আপেক্ষিক স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিবর্তনশীল বিষয়গুলো এমনভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় (প্রয়োজন মত শক্তি দেহে যোগ বা বিয়োগ করা হয়) যে, উক্ত ব্যবস্থার আভ্যন্তরীণ অবস্থা অপরিবর্ণিত থাকে, কিংবা একটি নির্দিষ্ট মানের কাছাকাছি থাকে।

এর মানে এই দাঁড়াচ্ছে, বাহ্যিক কোন প্রভাবে বা অন্য কোন ঘটনায় যদি শরীরের কোন অবস্থার পরিবর্তন ঘটে, তার জন্য দেহে এমন কৌশল ঠিক করা আছে যা সেই পরিবর্তনকে কমিয়ে দিতে পারে বা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার জন্য কাজ শুরু করে দেয়। আর এই কৌশলই হচ্ছে হোমিওস্ট্যাসিস।

সুতরাং কোন জীবের শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় খাপ খাইয়ে আভ্যন্তরীণভাবে ভারসাম্য রক্ষার ক্ষমতা বা প্রবণতাই হচ্ছে হোমিওস্ট্যাসিস।

হোমিওস্ট্যাসিসের দুইটি প্রধান অংশ আছে- 

১) সেন্সর (Sensor) ও ২ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (Control Center)|

সেন্সরের কাজ হচ্ছে পরিবর্তনকে সনাক্ত করা আর নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের কাজ হলো এমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাতে পরিবর্তন কমে গিয়ে আগের অবস্থায় ফিরে যায়। তখন কিন্তু আর সেন্সর কাজ করে না।

প্রয়োজন অনুযায়ী হোমিওস্ট্যাসিস দুই ধরণের হয়-

১. নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া (নেগেটিভ ফিডব্যাক) : নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে এমন নিয়ন্ত্রণ যা কোন পরিবর্তনকে স্বাভাবিক অবস্থায় বা ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় নিয়ে আসে।

উদাহারণ হিসেবে বলা যেতে পারে, যখন আমাদের চারপাশের পরিবেশের তাপমাত্রা কমে যায়, তখন তাপগতিবিদ্যার সূত্র মেনে আমাদের দেহ যথারীতি আগের চেয়ে বেশী পরিমাণে তাপ হারাতে শুরু করে। যার ফলে আমাদের দেহের তাপমাত্রাও কমতে শুরু করে। আর তখনি এর বিরূদ্ধে রূখে দাঁড়ায় হোমিওস্ট্যাসিস। দেহ তখন তার তূণে রাখা একেকটি অস্ত্র বের করতে শুরু করে। প্রথমে পারলে সচেতনভাবে গরম কাপড় পরে। আর নিজে মারে গুটিশুটি। এই গুটিশুটি মারাটা কোন মামুলি ঘটনা নয়, যাতে দেহ থেকে তাপের বিকিরণ কম হয় সেই জন্যই এই কাজটা করে। একটি বড়সড় প্রশস্ত গরম বস্তু থেকে নিম্ন তাপমাত্রার পরিবেশে যে পরিমাণ তাপ বের হয়ে যাবে, স্বাভাবিকভাবে উক্ত পরিবেশে একই পরিমাণ উষ্ণ বস্তু থেকে তার চেয়ে কম তাপমাত্রা বের হবে। দুইটি বস্তুর সব বৈশিষ্ট্য এক হলেও শুধুমাত্র বস্তুর ক্ষেত্রফলের ভিন্নতার কারণেই তাপ বিকিরণের পরিমাণ ভিন্ন হচ্ছে। আমাদের দেহটি এই কারণেই দেহের তাপ বিকিরণকারী স্থান কমিয়ে দিচ্ছে, যার ফলে আগের চেয়ে কম তাপ বিকিরিত হচ্ছে।

এরপর শরীর রক্তনালীগুলো সংকুচিত করে ফেলে, যা দেহের ভিতর থেকে (দেহের অভ্যন্তরীণ তাপ পরিবহন বা রক্তনালীর ভিতরে তাপ পরিচলন কমিয়ে দেয়) সহজে তাপ বের হতে বাধা দেয়, আবারও দেহের তাপ নিজের ভেতরেই রাখার ব্যবস্থা করে ফেলল। কিন্তু দেখা গেলো, গরম কাপড় পড়া, গুটিশুটি মারা বা রক্তনালী সঙ্কুচিত করে ফেলা, এসব করেও আশঙ্কাজনকভাবে তাপ বেরিয়ে যাচ্ছে, বাইরের তাপমাত্রা যে খুব কম! এইবার শরীর কাঁপাকাঁপি শুরু করে দিল। দাঁতে দাঁত ঠকঠক শুরু হয়ে গেল। একসময় দেখা গেলো, আস্তে আস্তে শীত লাগাও কমে গেলো, আবার কাঁপাকাঁপিও কমে এলো, কিন্তু থার্মোমিটার বলছে, বাইরের তাপমাত্রা এখনো কম। অথচ এখন আগের চেয়ে শীত কম লাগছে। এর কারণ হল, যখন শরীর কাঁপাকাঁপি করছিল, তখন গোশতপেশী বারবার সঙ্কুচিত আর প্রসারিত হচ্ছিল, এই সঙ্কোচন আর প্রসারণের জন্য গোশতকোষের ভিতরে কিছু রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়েছে, যা উৎপাদন করেছে বাড়তি তাপ। আর কাঁপাকাঁপি তখনই থেমেছে, যখন দেহ থেকে বেরিয়ে যাওয়া তাপের প্রায় সম পরিমাণ তাপ দেহের ভিতরেই উৎপাদিত হয়েছে। অর্থাৎ সুরক্ষা আসলে হচ্ছে দেহের ভিতর থেকে, কেবল বাইরের গরম কাপড়ে নয়। এইবার আগের মতই স্বাভাবিকভাবেই সকল কাজ করা যাচ্ছে। কারণ এখন বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রার সাথে শরীর খাপ খাইয়ে নিয়েছে।

আরও একটি সহজ উদাহরণ- আমাদের শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস। কোন কারণে যদি তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়, তাহলে মস্তিষ্ক ডার্মাল ব্লাড ভেসেলে সংকেত পাঠায়, আর তখন ঘামগ্রন্থি থেকে ঘাম নিঃসৃত হয়। ফলশ্রুতিতে শরীর কিছু তাপ হারায়, আর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

২. ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া (পজিটিভ ফিডব্যাক) : ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া এমনভাবে কাজ করে যাতে যে পরিবর্তনটি হয়েছে তা একই দিকে যেতে থাকে অর্থাৎ পরিবর্তন কমানোর বদলে আরও বাড়িয়ে দেয়।

এর খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি উদাহরণ হল প্রসব যন্ত্রণা। যখন কোন মা সন্তান জন্ম দেন, তখন সন্তানের মাথা জরায়ুর মুখের দিকে চাপ দেয়, যেখানে সেন্সর রিসেপ্টর থাকে। এতে মস্তিষ্কে সংকেত যায়, আর মস্তিষ্ক পিটুইটারি গ্রন্থিকে অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসরণ করতে নির্দেশ দেয়। অক্সিটোসিন রক্তের মাধ্যমে এসে জরায়ুকে আরও সঙ্কুচিত করে। তাতে ব্যথা আরও বেড়ে যায়, আর জরায়ুর মুখ আরও বেশি উদ্দীপিত হয়। সন্তান জন্মের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই ক্রিয়া চলতে থাকে, অর্থাৎ জরায়ু সঙ্কোচন আরও বাড়তে থাকে, সাথে প্রসব যন্ত্রণাও। অর্থাৎ ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমেই স্বাভাবিকভাবে একটি সন্তান জন্মের প্রক্রিয়া শেষ হয়।

হোমিওস্ট্যাসিস প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদ দেহেও দেখা যায়। শীতকালে গাছের পাতার রঙ বদলানোর বা ঝরে পড়ার পেছনে মূল কারণই হচ্ছে হোমিওস্ট্যাসিস।

সাধারণভাবে গাছ মাটি থেকে যতখানি পানি উত্তোলন করে ততখানি পানি তার শারীরবৃত্তীয় কাজে ব্যবহৃত হয় না। অতিরিক্ত পানিটুকু পাতার স্ট্যোমাটার মাধ্যমে বাষ্পাকারে বাতাসে ছেড়ে দেয়। শীতকাল এলেও পাতা থেকে এই পানি ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াটি বন্ধ হয় না। গাছে যত বেশি পাতা থাকবে তত বেশি পানি হারিয়ে যাবে গাছের শরীর থেকে। ফলে গাছে পানির ঘাটতি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ কারণে শীতকালের শুরুতে যখন দিনের দৈর্ঘ্য ছোট হতে শুরু করে, বাতাসের তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা দুটোই কমতে থাকে তখন গাছের শরীরে তৈরি হয় একটি হরমোন যা পাতাগুলো ঝরে পড়ার নির্দেশ পাঠায়। তখন পাতা যেখানে গাছের সাথে সংযুক্ত থাকে, সেখানে তৈরি হয় ছোট ছোট কিছু কোষের। এ কোষগুলোর নাম ÒAbscission cellÓ  বা “কর্তন কোষ”। কিছুদিনের মাঝেই এই কোষগুলো আকারে এবং সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়ে গাছ এবং পাতার মাঝে একটি চিকন অঞ্চল তৈরি করে। এই অঞ্চলটি পাতাকে ক্রমশ গাছ থেকে আলাদা করে ফেলে এবং একটু বাতাস পেলেই সেই পাতাটিকে একেবারেই গাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। গাছের সব পাতার গোড়াতেই এই অঞ্চল তৈরি হয় ফলে পাতা ঝরে যায়। অর্থাৎ গাছ নিজের স্বার্থেই পাতাগুলোকে ঝরিয়ে ফেলে এবং শীতকালের স্বল্প পরিমাণ পানিটুকু নিজের মাঝে বাঁচিয়ে রাখে।

সুতরাং দেখা যায় যে, সৃষ্টিজগতে আত্মরক্ষা বা প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা হিসেবে হোমিওস্ট্যাসিস প্রক্রিয়াটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। আর এ জন্যই মানুষ শীতাক্রান্ত হলে ঠকঠক করে কেঁপে বা গরমাক্রান্ত হলে শরীর থেকে ঘাম নিঃসরণ করে দেহের তাপমাত্রার ভারসাম্য তৈরী করে থাকে। ঠিক একইভাবে মানুষ যখন স্বাভাবিক অবস্থান থেকে উঁচু স্থানের দিকে উঠে তখন তুলনামূলক কম তাপমাত্রায় দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখার জন্য রক্তনালী সঙ্কুচিত করে ফেলে। এর পাশাপাশি উপরের দিকে চাপ কম থাকায় চাপের সূত্র মেনে বাতাস যথারীতি পাতলা হয়ে যায়, ফলে অক্সিজেনের ঘনত্বও কমে যায়। কিন্তু এই অল্প অক্সিজেন দিয়ে দেহের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে আত্মরক্ষা বা প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা হিসেবে মানুষের বক্ষগহ্বর সঙ্কুচিত হয়ে আসে।

এই বিষয়টিই মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন-

فَمَنْ يُّرِدِ اللهُ اَنْ يَّهْدِيَهُ يَشْرَحْ صَدْرَهُ لِلْاِسْلَامِ ۖ وَمَنْ يُّرِدْ اَنْ يُّضِلَّهُ يَـجْعَلْ صَدْرَهُ ضَيِّقًا حَرَجًا كَاَنَّـمَا يَصَّعَّدُ فِى السَّمَاءِ ۚ كَذٰلِكَ يَـجْعَلُ اللهُ الرِّجْسَ عَلَى الَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ.

অর্থ : “অতঃপর মহান আল্লাহ তিনি যাঁকে পথ প্রদর্শন করতে চান, তার বক্ষকে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার জন্যে উম্মুক্ত করে দেন এবং যাকে বিপথগামী করতে চান, তার বক্ষকে সঙ্কীর্ণ অত্যধিক সঙ্কীর্ণ করে দেন যেন সে সবেগে আকাশে আরোহণ করছে। এমনিভাবে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে না। মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের উপর আযাব বর্ষণ করেন।” (পবিত্র সূরা আন‘য়াম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১২৫)

অথচ গণ্ডমূর্খ নাস্তিকরা যুক্তি দিচ্ছে, The laws of gas behavior dictate that as the pressure falls, a given amount of gas will expand (mass and temperature remaining constant). So as a person is subjected to progressively higher altitude (and therefore progressively less air pressure) the collections of gas within the bodz will expand. If anything, the lower pressure found at higher altitudes would allow your lungs to expand more than at lower altitudes. There is no tightening of the chest. The constrictive sensation experienced at high altitudes is simply a result of having less air to breathe into your lungs, in addition to the gas alreadz there actually expanding.

বায়বীয় পদার্থের ক্ষেত্রে চাপ কমে গেলে তা প্রসারিত হয় সত্য। তাহলে তো স্বাভাবিক অবস্থান থেকে উঁচু স্থানের দিকে উঠতে থাকলে আশেপাশের বাতাসের চাপ কমে যাওয়ার কারণে মানুষ পড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু মানুষ কিভাবে সোজা থাকে? তাহলে নিশ্চয়ই পরিবেশের বাতাসের চাপের সাথে দেহাভ্যন্তরের বাতাসের চাপের একটি সাম্যতা বিধান করতে থাকে, যেমনটি পরিবেশের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে দেহের তাপমাত্রার ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য করে থাকে। ফলশ্রুতিতে মানুষ স্থিরভাবে দাঁড়াতে পারে।

ঠিক একইভাবে উপরে বা উঁচু স্থানে চাপ কমে যাওয়ায় বাতাস প্রসারিত হয়ে যায়। কিন্তু পরিবেশে বাতাসের যেভাবে প্রসারণ ঘটে, দেহাভ্যন্তরের বাতাসের প্রসারণ একই হারে হয় না। তদুপরি উঁচু স্থানে শুধুমাত্র চাপের ঘাটতি ঘটে না বরং তাপমাত্রা ও ভরও কমে যায়। অথচ গ-মূর্খ নাস্তিকরা উচ্চতার পার্থক্যের কারণে শুধুমাত্র বাতাসের চাপ কমে যাওয়াকেই উল্লেখ করছে আর তাপমাত্রা বা ভরের বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছে।

উপরের উঠার কারণে মানুষের দেহের ভরও কমবে। ফলশ্রুতিতে ফুসফুসের প্রতি একক ক্ষেত্রফলের জন্য স্বাভাবিক স্থানের চেয়ে উঁচু স্থানে অক্সিজেনের চাহিদাও কম হবে। আবার উপরের কম তাপমাত্রায় দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখার জন্য রক্তনালী সঙ্কুচিত হয়ে যাওয়ার কারণেও অক্সিজেনের চাহিদাও কমে যাবে।

অথচ গণ্ডমূর্খ নাস্তিকরা যুক্তি দিচ্ছে উঁচু স্থানে মানুষের বক্ষগহ্বর প্রসারিত হয়। কিন্তু বক্ষগহ্বর প্রসারিত হওয়ার অর্থ হচ্ছে স্বাভাবিক অবস্থার চেয়েও অধিক অক্সিজেনের চাহিদা। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, হোমিওস্ট্যাসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অক্সিজেনের চাহিদাকে কমিয়ে এনে মানুষ নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে চেষ্টা করে। বাস্তবতার বিপরীত ঘটনা অর্থাৎ উঁচু স্থানে মানুষের বক্ষগহ্বর যদি প্রসারিত হতো তাহলে মানুষ অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসরোধ হয়ে মারা যেত। আজ পর্যন্ত কোন পবর্ত আরোহীর শ্বাসরোধে মৃত্যুবরণের ঘটনা শোনা যায়নি।

তবে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেহেতু পবিত্র কুরআন শরীফ (৬:১২৫) উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন- 

كَذٰلِكَ يَـجْعَلُ اللهُ الرِّجْسَ عَلَى الَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ

অর্থ : “এমনিভাবে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে না। মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের উপর আযাব বর্ষণ করেন।” (পবিত্র সূরা আন‘য়াম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১২৫)

তাই মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে অবিশ্বাসী নাস্তিকদের প্রতি আযাব বর্ষণের দরুণ তারা পর্বত আরোহণের সময় মৃত্যুমুখে পতিত হতে পারে।


0 Comments: