মুনাফিক সরদার উবাই বিন সুলূল ৩০০ সহচর নিয়ে পলায়ন:
অর্থাৎ যারা মুনাফিক তারা মুসলমানদের বুঝাতে
চাচ্ছিল যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার
হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
যে জিহাদ মুবারকে নিয়ে যাচ্ছেন তাতে পরাজয় অনিবার্য। নাউযূবিল্লাহ! কাট্টা মুনাফিক
উবাই বিন সুলূল ও তার অনুসারিরা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ-নির্দেশ
মুবারক মানেনি এবং কখনই মানবেও না। এটাই সত্য কথা। যারা মুনাফিক তাদের অন্তরে কঠিন
রোগ থাকায় মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনাকে মানা তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে গেছে। নাউযূবিল্লাহ!
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র
কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
فِيْ قُلُوْبِهِم مَّرَضٌ فَزَادَهُمُ اللهُ مَرَضاً وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ بِمَا كَانُوْا يَكْذِبُوْنَ.
অর্থ: “এদের (মুনাফিকদের) অন্তরের মধ্যে রয়েছে
মারাত্মক ব্যাধি। অতঃপর তাদের প্রতারণার কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের
ব্যাধিকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাদের মিথ্যাবাদীতার কারণে তাদের জন্য রয়েছে কঠিন
পীড়াদায়ক শাস্তি।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ- ১০)
অর্থাৎ এই মুনাফিকদের অন্তরে কঠিন ব্যাধি তথা
রোগ থাকায় তারা হক্ব ও নাহক্বকে পার্থক্য করতে পারে না। এজন্য তারা সদাসর্বদাই
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং
মহাসম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিরোধিতা করে থাকে।
নাউযূবিল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি যখন সম্মানিত উহুদ জিহাদের প্রস্তুতি মুবারক নিচ্ছিলেন তখন মুনাফিকরা
চূ-চেরা ও ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিল। নাউযূবিল্লাহ! তারা বিভিন্নরকম মিথ্যা অজুহাত
দেখিয়ে সম্মানিত জিহাদ থেকে পিছন দিকে পলায়ন করেছিলো। নাউযূবিল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ
উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন,
قَدْ يَعْلَمُ اللَّـهُ الْمُعَوِّقِينَ مِنكُمْ وَالْقَائِلِينَ لِإِخْوَانِهِمْ هَلُمَّ إِلَيْنَا ۖ وَلَا يَأْتُونَ الْبَأْسَ إِلَّا قَلِيلً. أَشِحَّةً عَلَيْكُمْ ۖ فَإِذَا جَاءَ الْخَوْفُ رَأَيْتَهُمْ يَنظُرُونَ إِلَيْكَ تَدُورُ أَعْيُنُهُمْ كَالَّذِي يُغْشَىٰ عَلَيْهِ مِنَ الْمَوْتِ ۖ فَإِذَا ذَهَبَ الْخَوْفُ سَلَقُوكُم بِأَلْسِنَةٍ حِدَادٍ أَشِحَّةً عَلَى الْخَيْرِ ۚ أُولَـٰئِكَ لَمْ يُؤْمِنُوا فَأَحْبَطَ اللَّـهُ أَعْمَالَهُمْ ۚ وَكَانَ ذَٰلِكَ عَلَى اللَّـهِ يَسِيرًا.
অর্থ: “অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি জানেন আপনাদের
মধ্যে কারা আপনাদেরকে জিহাদে অংশগ্রহণে বাধা দেয় এবং তাদের ভ্রাতাদের বলে তোমরা
আমাদের সঙ্গে এসো। তারা কমই জিহাদে অংশ নেয়। তারা আপনাদের প্রতি কুন্ঠাবোধ করে।
যখন কোন পরীক্ষা আসে তখন আপনি দেখবেন, মৃত্যু ভয়ে অচেতন ব্যক্তির মত চক্ষু উলটিয়ে তারা আপনার দিকে তাকিয়ে আছে।
কিন্তু যখন পরীক্ষা বা ভয় চলে যায় তখন তারা সম্পদের লালসায় আপনাদের সাথে
বাকচাতুরীতে অবতীর্ণ হয়। নাউযূবিল্লাহ! ঐ সমস্ত লোক তারা মূলত ঈমান আনেনি, অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের কার্যাবলী নিষ্ফল করে
দিয়েছেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষে এটা খুবই সহজ।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ:
পবিত্র আয়াত শরীফ- ১৮,১৯)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি এখানে জানিয়ে
দিয়েছেন আমি ভালো করে জানি, সমস্ত
মুনাফিকদের কার্যকলাপ সম্পর্কে। যারা মুনাফিক তারাতো নিজেরা জিহাদে যায় না বরং
তারা অন্যদেরকেও সম্মানিত জিহাদে গমন করতে বাধা দেয়। যেমন নিজেদের সন্তান-সন্ততি, সঙ্গী-সাথী, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদেরকে
তারা জিহাদে যেতে বাধা দিয়ে থাকে। তারা বলে, তোমরা জিহাদে না গিয়ে আমাদের সঙ্গেই স্বীয় ঘরবাড়ীতে থাকো। নাউযূবিল্লাহ! তোমরা
কখনও এই সুন্দর আরাম-আয়েশ, জমি-জমা ও
পরিবারবর্গকে পরিত্যাগ করে জিহাদে যোগদান করো না। নাউযূবিল্লাহ! কোন কোন সময় তারা
জিহাদের প্রাক্কালে মুখ দেখিয়ে যায় এবং নাম লিখিয়ে দেয় জিহাদের তালিকায় কিন্তু
সম্মানিত জিহাদের ময়দানে তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যায় না। নাউযূবিল্লাহ!
আর মুনাফিক সরদার উবাই বিন সুলূল ও তার অনুচররা
ছিলো খুবই বখিল বা কৃপণ। মুসলমান উনারা কখনই তাদের কাছ থেকে বিন্দুমাত্র কোন
প্রকার আর্থিক সহযোগিতা পাননি এবং মুসলমান উনাদের প্রতি তাদের অন্তরে কোন
সহানুভূতিও ছিলো না। আর মুনাফিকরা এসব কিছু করতো সম্মানিত মুসলমান উনাদের প্রতি
ঈর্ষান্বিত হয়ে। নাউযূবিল্লাহ!
উল্লেখ্য যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা যখন গনীমতের মাল
প্রাপ্ত হন তখন তারা অসন্তুষ্ট হয়। হিংসায় তারা তাদের আঙ্গুল কামড়াতে থাকে। আর
আপনারা দেখবেন, যখন নিজেদের তথা মুনাফিকদের ধ্বংস
আসে তখন তারা মৃত্যুর ভয়ে অচেতন ব্যক্তির মত চক্ষু উল্টিয়ে মুসলমান উনাদের দিকে
তাকিয়ে থাকে, যাতে বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
উছীলা মুবারকে তাদের উপর থেকে বিপদ দূর হয়ে যায় তখন তারা সম্পদ লাভের আশায় আপনাদের
সাথে বাকচাতুরীতে অবতীর্ণ হয়। নাউযূবিল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে তারা বলে, আমরাতো আপনারই ছাহাবী। নাউযূবিল্লাহ! আমরা আপনার খিদমত মুবারকে থেকেই রীতিমত
জিহাদ করেছি। সুতরাং গনীমতের মালে আমাদেরও অংশ রয়েছে। নাউযূবিল্লাহ! কিন্তু
জিহাদের সময় তাদের মুখ দেখা যায়নি। তারা সবসময় পলাতকদের আগে এবং মুসলিম সৈন্যদের
পিছনে থাকে। ধন-সম্পদের দিকে তারা মাছির মত লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকায়। মিথ্যা ও
কাপুরুষতা এ দুটো দোষই তাদের মধ্যে শক্তভাবে বিদ্যমান। এ দুটো দোষে যারা দোষী হয়
তাদের কাছে কল্যাণের কোন আশা করা যায় কি? শান্তির সময় প্রতারণা, দুশ্চরিত্রতা
এবং রূঢ়তা, আর জিহাদের সময় ভীরুতা ও
নারীত্বপনা। জিহাদের সময় নষ্ট কাফির মাজুর নারীর ন্যায় পৃথক হয়ে যাওয়া। আর
মাল-সম্পদ নেয়ার সময় গাধার মত লোভনীয় দৃষ্টি নিক্ষেপ করাই মুনাফিকদের কাজ। আর
মুনাফিকদের সরদার উবাই বিন সুলূল ছিলো এসমস্ত বদকার্যকলাপের মূলহোতা।
এজন্য
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্ট এসেছে, এইসব মুনাফিকরা আসলে ঈমানদার নয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি মুনাফিকদের সমস্ত
কার্যাবলী, তাদের ষড়যন্ত্রসমূহ, তাদের দুষ্টচিন্তা ও ভাবনা নিষ্ফল করে দিয়েছেন। আর এসব করা
মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট খুবই সহজ। সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম!
কাজেই বলার অপেক্ষা রাখে না, সমস্ত মুনাফিকরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ
আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং সমস্ত মুসলমান উনাদের শত্রু এবং সম্মাানিত দ্বীন
ইসলামের শত্রু। নাউযূবিল্লাহ! (তাফসীরে ইবনে কাছীর, তাফসীরে মাযহারী)
মহান আল্লাহ পাক তিনি মুনাফিকদের সম্পর্কে একটি
পবিত্র সূরা শরীফ নাযিল করেছেন। সেই সম্মানিত সূরা শরীফ উনার মধ্যে মুনাফিকদের
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচিত হয়েছে। মুনাফিকদের আরেকটি বদস্বভাব হলো, যখন তারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে আসতো তখন ক্বসম করে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার
বিষয়গুলো প্রকাশ করতো এবং উনার রিসালত মুবারক মুখে মুখে স্বীকার করতো। প্রকৃতপক্ষে
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি
তাদের কোন মুহব্বতই ছিলো না তাদের অন্তরে দ্বীন ইসলাম উনারও কোন সামান্যতম
মুহব্বতই ছিলো না। এই মুনাফিকরা বাহ্যিক ভাবে বলতো, নিঃসন্দেহে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নবী ও রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
কিন্তু অন্তরে এর কোন ক্রিয়া ছিলো না। বর্তমানেও তদ্রুপ দেখা যায়, একদল মুনাফিক রয়েছে যারা মুখে মুখে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম
উনার কথা বলে থাকে অথচ তাদের কার্যক্ষেত্রে এবং তাদের সার্বিক জীবনে সম্মানিত
দ্বীন ইসলাম উনার কোন প্রতিফলন দেখা যায় না।
যেমন বর্তমান যামানায় যারা নামধারী ওলামায়ে
‘সূ’গং তারা সবাই কাট্টা মুনাফিকদের অন্তর্ভূক্ত। এই সমস্ত মুনাফিকদের মধ্যে কতিপয়
মুনাফিক হলো- মাহিউদ্দীন, আনসার আলী কমীনি, আহমক শফী (এ হলো কাট্টা মুরতাদ ও কাট্টা ওলামায়ে সূ), শাইখুল হদস, বাংলার ইহুদী (সে হলো কাট্টা ওলামায়ে ‘সূ’), কাযযাবউদ্দীন (সে হলো কাট্টা মুরতাদ ও কাট্টা ওলামায়ে ‘সূ’), চামড়া ছাড়া (সে এখন জাহান্নামের নিকৃষ্ট কিট) সহ আরো অনেক ওলামায়ে
‘সূ’ বা মুনাফিক রয়েছে। যার প্রত্যেকেই মুনাফিক সরদার উবাই বিন সুলূলের ভূমিকা
পালন করে থাকে। নাউযূবিল্লাহ! এরা সবাই মুনাফিক সরদার উবাই বিন সুলূলের পোষ্য
সন্তান। নাউযূবিল্লাহ!
স্মরণীয় যে,
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, যিনি হায়াতুন
নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্বালা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সেই মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
বিরোধিতায় মেতে উঠেছিল মুনাফিক সরদার উবাই বিন সুলূল ও তার সহচররা। অনুরূপ ভাবে
বর্তমান যামানায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ ও ইমাম, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু
রসূলিল্লাহ, মুুহ্ইউস সুন্নাহ, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল
আউওয়াল,
ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আখাছুল খাছ আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম,
জামিউল আলক্বাব ওয়ান নিছবত, হাবীবুল্লাহ, মাওলানা, আস সাফ্ফাহ রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা হযরত মামদূহ
মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতা করেছে এবং করে যাচ্ছে কাট্টা মুনাফিক
উবাই বিন সুলূলের মতো বাইতুল মুকাররামের খবীব উবাইদ আহমক শফী, জামাতী, দেওবন্দী, লা-মাযহাবী, ওহাবী, খারেজী ও তবলীগি মুনাফিকগংরা।
নাউযূবিল্লাহ! এই সমস্ত মুনাফিকদের উপর অনন্তকাল ব্যাপী মহান আল্লাহ পাক উনার
লা’নত,
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লা’নত এবং
কুল-কায়িনাতের সকলের লা’নত বর্ষিত হচ্ছে এবং হতেই থাকবে।
সাবধান!
সাবধান! সাবধান! যারা ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা ইমামুল উমাম হযরত
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিরোধিতা করেছে এবং করবে প্রথমতঃ
তারা বেঈমান হয়ে মারা যাবে। দ্বিতীয়তঃ তদের মৃত্যুর পর আকৃতি-বিকৃতী ঘটবে এবং তারা
চির জাহান্নামী হবে। ইতিপূর্বে অনেক মুনাফিক, মুরতাদ বা কাট্টা ওলামায়ে ‘সূ’ যারা মারা যাওয়ার পর চেহারা বিকৃতী হয়েছে এবং
জাহান্নামীদের লক্ষণ তাদের মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। কাজেই সমস্ত জ্বীন-ইনসানকে সাবধান
ও সতর্ক থাকতে হবে যে, সর্বকালের
সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ ও ইমাম, আখাছছুল খাছ
আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম উনার প্রতি এবং উনার মহাসম্মানিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের
প্রতি কখনও কোন প্রকার চূ-চেরা না আসে। মনে রাখতে হবে, উনাদের প্রতি যারা চূ-চেরা কিল কাল করবে সে কাট্টা কাফির ও
চির জাহান্নামীদের অন্তর্ভূক্ত হবে এতে বিন্দুমাত্র কোন সন্দেহ নাই।
খুশির বিষয় হচ্ছে, আমাদের যিনি আঁকা ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা হযরত মামদূহ মুর্শিদ
ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এমন একজন সুমহান মুজাদ্দিদে আ’যম ও ইমামুল উমাম
আলাইহিস সালাম যে, তিনি নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাছছুল খাছ
আহলে বাইত শরীফ আলাইহিস সালাম উনাদের অন্তর্ভূক্ত। সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক উনার জিসিম মুবারকে বহমান। সুবহানা মামদূহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা হযরত
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সৃষ্টির
শুরুতে ছিলেন এখনও দায়িমী দিদার মুবারক অবস্থান মুবারক করছেন এবং অনন্তকাল ব্যাপী
সম্মানিত জান্নাতে দিদার মুবারকে অবস্থান মুবারক করবেন। সুবহানা হযরত মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! আমাদের প্রাণ প্রিয় আঁকা সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি
সৃষ্টির শুরু থেকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত যত ইমাম, মুজাদ্দিদ, ওলী, আব্দাল, গাউছ, কুতুব এসেছেন বা আসবেন সকলের তিনি সাইয়্যিদ বা সরদার।
সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সুুবহানা
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! তামাম মাখলুকাত উনার খিদমত মুবারকের
আঞ্জাম দিতে এবং উনার ছানা-ছিফত মুবারক পাঠে ব্যাস্ত। উনার বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক হচ্ছেন, তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন, এছাড়া সমস্ত মর্যাদা-মর্তবা, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানা মামদূহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
সুতরাং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ ও ইমাম
সাইয়্যিদুনা হযরত মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক বর্ননা করা কোন মাখলুকাতের পক্ষে
বিন্দু থেকে বিন্দু মাত্রও সম্ভব নয়। সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম! সাইয়্যিদুনা ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম তিনি বর্তমানে সমস্ত সুন্নত মুবারক জারি করে যাচ্ছেন। সুবহানা
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
যেহেতু তিনি সমস্ত সুন্নত মুবারক পালন ও জারি করছেন। কাজেই উনার বিরুদ্ধে
মুনাফিক থাকাটাও যে একখানা সুন্নত মুবারক উনার অন্তুর্ভূক্ত সে বিষয়টি ও পালন হয়ে
যাচ্ছে। এজন্য সাইয়্যিদুনা হযরত মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার এবং
উনার সুমহান মুত্বহ্হার ও মুত্বাহহির আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা
বিরোধিতা করছে এবং করবে জ্বীন-ইনসানের মধ্যে মূলত তারা কাট্টা মুনাফিকদের
অন্তর্ভূক্ত। মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত মুসলমান উনাদেরকে নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উছীলা মুবারকে সমস্ত
নিফাক্বী থেকে হিফাযত করুন এবং হক্বের উপর ইস্তেকামাত থাকার তাওফীক্ব দান করুন।
আমীন!
উল্লেখ্য যে, যারা মুনাফিক তারা সম্মানিত জিহাদে যেত না বিপরীতে তারা ক্বসমও খেতো। সেটাই
বলা হয়েছে, মুনাফিকরা যতই ক্বসম খেয়ে
স্বীকারোক্তি করুক না কেন তাদের ক্বসমের কোনই মূল্য নেই। এটা তাদের মিথ্যাকে সত্য
বানাবার একটা মাধ্যম মাত্র। কাট্টা মুনাফিক সরদার উবাই বিন সুলূল মুনাফিকদের মধ্যে
সবচেয়ে বেশি ক্বসম খেতো আর মিথ্যা বলাতে সে ছিল পটু। নাউযূবিল্লাহ! নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উবাই বিন সুলূল তথা
মুনাফিকদেরকে চিনার জন্য অনেক আলামত বা লক্ষণ বলে দিয়েছেন। এখানে আমরা কতিপয় আলামত
পেশ করবো।
পবিত্র
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلاَثٌ إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ، وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ.
অর্থ: “হযরত আবূ হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, মুনাফিকের আলামত বা চিহ্ন তিনটিঃ ১. যখন কথা বলে মিথ্যা বলে
২. ওয়াদা করলে ভঙ্গ করে ৩. আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে। (বুখারী শরীফ: পবিত্র হাদীছ
শরীফ নং- ৩৩, মুসলিম শরীফঃ পবিত্র হাদীছ শরীফ
নং- ২২০,
সুনানে আবূ দাউদ, সুনানে তিরমিযী, সুনানে নাসায়ী, মুসনাদে আহমদ, সুনানে বাইহাক্বী)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক
হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ لِلْمُنَافِقِينَ
عَلاَمَاتٍ يُعْرَفُونَ بِهَا تَحِيَّتُهُمْ لَعْنَةٌ، وَطَعَامُهُمْ نُهْبَةٌ، وَغَنِيمَتُهُمْ غُلُولٌ، وَلاَ يَقْرَبُونَ الْمَسَاجِدَ إِلاَّ هَجْرًا، وَلاَ يَأْتُونَ الصَّلاَةَ إِلاَّ دَبْرًا، مُسْتَكْبِرِينَ، لاَ يَأْلَفُونَ وَلاَ يُؤْلَفُونَ، خُشُبٌ بِاللَّيْلِ، صُخُبٌ بِالنَّهَارِ.
অর্থ: “হযরত আবূ হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করেছেন, নিশ্চয়ই মুনাফিকদের
বহু নিদর্শন রয়েছে যেগুলো দ্বারা তাদের চেনা যায়। যেমন তাদের সালাম হলো লা’নত, তাদের খাদ্য হলো লুটতরাজ, তাদের গণীমত হলো আত্মসাৎ বা চুরির মাল, তারা পবিত্র মসজিদের নিকটবর্তী হওয়াকে অপছন্দ করে, পবিত্র নামাযের সময় তারা শেষ সময়ে উপস্থিত হয়ে থাকে, তারা অহংকারী ও আত্মগর্বী হয় এবং তারা ন¤্রতা ও বিনয়
প্রকাশ হতে বঞ্চিত থাকে। তারা নিজেরাও ভালো কাজ করে না এবং অন্যদেরকেও ভালো কাজের
প্রতি উৎসাহ প্রদান করে না। তারা রাত্রে কাঠ
এবং দিনে শোরগোলকারী।” অন্য বর্ণনায় রয়েছে যে, তারা দিনে খুবই পানাহারকারী হয় এবং রাত্রে শুষ্ক কাঠের মত পড়ে থাকে।
নাউযূবিল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ, শুয়াইবুল ঈমান, মুসনাদে আল বায্যার)
0 Comments:
Post a Comment