সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খাতামুন নাবিয়্যীন,
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার সাথে ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর
রবি’য়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবাতুল আযীম
শরীফ:
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ সংঘটিত হয়েছিলেন, ৩য় হিজরী শরীফ উনার ৪ঠা শা’বান শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি
সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ তথা লাইলাতুল ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সুবহানা
রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম!
স্মরণীয় যে, ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন হযরত উম্মাহাতুল
মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্বা মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসম বা নাম মুবারক হচ্ছেন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত হাফছাহ্ আলাইহাস সালাম। উনার সম্মানিত
লক্বব মুবারক হচ্ছেন, উম্মুল মু’মিনীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আত্ব ত্বাহিরাহ, আত্ব ত্বইয়্যিবাহ্, মালিকাতুল
জান্নাহ,
মালিকাতুল কায়িনাত, হাবীবাতুল্লাহ, হাবীবাতু
রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, এছাড়াও আরো অসংখ্য-অগণিত সম্মানিত লক্বব মুবারক রয়েছে। সুবহানাল্লাহ! যেই
সম্মানিত লক্বব মুবারক-এ তিনি সম্মানিত পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছেন, তা হলো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আর রবি‘য়াহ
সাইয়্যিদাতুনা হযরত ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত
পিতা আলাইহিস সালাম হচ্ছেন, সাইয়্যিদুনা
হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি। উনার মহাসম্মানিতা মাতা আলাইহাস সালাম
হচ্ছেন,
সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিনতে মায‘ঊন আলাইহাস সালাম।
সুবহানাল্লাহ! তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ
করেন,
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ-এ আনুষ্ঠানিকভাবে
মহাসম্মানিত নুবুওওয়াত ও রিসালত মুবারক প্রকাশের ৫ বছর পূর্বে ১৪ই রজবুল হারাম
শরীফ ইয়াওমুল আহাদ শরীফ। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আ’যীম
শরীফ অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় দুনিয়াবী দৃষ্টিতে উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন, ২১ বছর ২ মাস ২০ দিন। সুবহানাল্লাহ! তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
মহাসম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিয়েছিলেন, ৭ বছর ৭ মাস ৮ দিন। সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে
‘আযীম শরীফ: ২য় হিজরী শরীফ উনার ১৮ই রমাদ্বান শরীফ বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। আর এই দিকে
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রাবি‘য়াহ ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম উনার
সম্মানিত আহাল বিশিষ্ট বদরী ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত খুনাইস ইবনে হুযাফাহ সাহ্মী
রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনিও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ-এ সম্মানিত
ও পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম
আলাইহিস সালাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন আর রাবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ইবনাতু আবীহা
আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ উনার
প্রস্তাব মুবারক নিয়ে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার এবং
সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার নিকট যান। কিন্তু উনারা প্রস্তাবে
সাড়া দেননি। ফলে তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ বিষয়টি উপস্থাপন করেন, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
يَتَزَوَّجُ حَضْرَتْ حَفْصَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْ حَضْرَتْ عُثْمَانَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَيَتَزَوَّجُ حَضْرَتْ عُثْمَانُ عَلَيْهِ السَّلَامُ مَنْ هِيَ خَيْرٌ مِنْ حَضْرَتْ حَفْصَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ.
অর্থ: “ইবনাতু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবি‘য়াহ আলাইহাস
সালাম উনাকে হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার চেয়ে উত্তম মহাসম্মানিত
ব্যক্তিত্ব মুবারক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ
(শাদী মুবারক) করবেন। আর হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত
উম্মুল মু’মিনীন আর রাবি‘য়াহ ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম উনার থেকে উত্তম
ব্যক্তিত্বা মুবারক উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ
করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (আল ইছাবাহ্, নসবু কুরাইশ)
অপর
বর্ণনা রয়েছে,
عن حَضْرَتْ عُمَرُ عَلَيْهِ السَّلامُ قَالَ لَمَّا تُوُفِّيَ حَضْرَتْ خُنَيْسُ بْنُ حُذَافَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ عَرَضْتُ حَضْرَتْ حَفْصَةَ عَلَيْهَا السَّلَامِ عَلَى حَضْرَتْ عُثْمَانَ عَلَيْهِ السَّلامُ فَأَعْرَضَ عَنِّي فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَلا تَعْجَبُ مِنْ حَضْرَتْ عُثْمَانَ عَلَيْهِ السَّلامُ ! إِنِّي عَرَضْتُ عَلَيْهِ حَضْرَتْ حَفْصَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ فَأَعْرَضَ عَنِّي.
অর্থ:
“সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন খুনাইস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বিছাল শরীফ
গ্রহণ করেন, তখন আমি ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস
সালাম উনার বিষয়ে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার নিকট প্রস্তাব
পেশ করি,
তখন তিনি তা গ্রহণ করেননি। আমি বিষয়টি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ পেশ করে বলি যে, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কি সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস
সালাম উনার বিষয়ে আশ্চর্য হবেন না? আমি ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনার বিষয়ে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন
নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার নিকট প্রস্তাব পেশ করেছি, কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন,
قَدْ زَوَّجَ اللَّهُ حَضْرَتْ عُثْمَانَ عَلَيْهِ السَّلامُ خَيْرًا مِنَ ابْنَتِكَ وَزَوَّجَ ابْنَتَكَ خَيْرًا مِنْ حَضْرَتْ عُثْمَانَ عَلَيْهِ السَّلامُ .
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার
মহাসম্মানিত আওলাদ, ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস
সালাম উনার চেয়ে উত্তম ব্যক্তিত্বা মুবারক উনার সাথে হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস
সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ সম্পন্ন করবেন
এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার মহাসম্মানিত আওলাদ, ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনাকে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন
আলাইহিস সালাম উনার চেয়ে উত্তম মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার সাথে
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ সম্পন্ন মুবারক করবেন।”
সুবহানাল্লাহ! (ইবনে সা’দ, সুবুলুল হুদা
ওয়ার রশাদ)
অপর
বর্ণনায় রয়েছে, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
هَلْ أَدُلُّكَ عَلَى خَيْر مِنْ ذَلِكَ أَتزوّج أَنا حَضْرَتْ حَفْصَة عَلَيْهَا السَّلَامُ وأزوج حَضْرَتْ عُثْمَان عَلَيْهِ السَّلامُ خيرا مِنْهَا حَضْرَتْ أم كُلْثُوم عَلَيْهَا السَّلَامُ.
অর্থ: “আমি কি আপনাকে এর চেয়ে উত্তম বিষয় অবহিত
করবো না?
আমি উম্মুল মু’মিনীন আর রাবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ইবনাতু
আবীহা আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ
করবো এবং হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনাকে উনার চেয়ে উত্তম ব্যক্তিত্বা মুবারক
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ দিবো।” সুবহানাল্লাহ! (সিমতুন নুজূম, শাখছিয়্যাতু হযরত উমর ইবনে খাত্তাব আলাইহিস সালাম)
হযরত
ইমাম শামসুদ্দীন যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
ثُمَّ خَطَبَهَا مِنْهُ فَزَوَّجَهُ حَضْرَتْ عُمَرُ عَلَيْهِ السَّلامُ
অর্থ: “অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন আর রাবি‘য়াহ
সাইয়্যিদাতুনা হযরত ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ করার জন্য সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস
সালাম উনার নিকট সম্মানিত প্রস্তাব মুবারক দেন এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম
আলাইহিস সালাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন আর রাবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ইবনাতু আবীহা
আলাইহাস সালাম উনাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার নিকট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ দেন।
অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
উনাকে উম্মুল মু’মিনীন হিসেবে গ্রহণ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (তারীখুল ইসলাম)
হযরত ইমাম ইবনে হাজার আসক্বালানী রহমতুল্লাহি
আলাইহি তিনি বলেন,
وَتَزَوَّجُ رَسُوْلُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَضْرَتْ حَفْصَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ بَعْدَ حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ.
অর্থ: “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল
মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার পর ইবনাতু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবি‘য়াহ্ আলাইহাস
সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ-এ আবদ্ধ করেন।
সুবহানাল্লাহ! (আল ইছাবাহ, আস সীরাতুন
নববিয়্যাতু ওয়া আখবারুল খুলাফা’)
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
وَهِيَ الرَابِعَةُ فِي تَرْتِيْبِ زَوْجَاتُهُ بِعْدَ حَضْرَتْ خَدِيْجَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ و حَضْرَتْ سَوْدَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ و حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ.
অর্থ: “আর ইবনাতু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবি‘য়াহ আলাইহাস
সালাম তিনি সাইয়্যিদাতুন হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছানিয়াহ আলাইহাস
সালাম উনার এবং উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ
আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মাহাতুল মু’মিনীন
আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ধারাবাহিকতা মুবারক অনুযায়ী ‘আর রবি‘য়াহ তথা চতুর্থ।”
সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম,
মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম
খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “৩য় হিজরী শরীফ উনার ৪ঠা শা’বান শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি
সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ রাত) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
সাথে ইবনাতু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা
হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবি‘য়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন। সুবহানাল্লাহ! তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে
ইবনাতু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল
মু’মিনীন আর রবি‘য়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার বয়স মুবারক ছিলেন ২১ বছর ২ মাস ২০ দিন।
সুবহানাল্লাহ! তিনি ৭ বছর ৭ মাস ৮ দিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেন।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম!
ইবনাতু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবি’য়াহ আলাইহাস
সালাম উনার সংক্ষিপ্ত মহাসম্মানিত সাওয়ানেহ উমরী মুবারক:
ইবনাতু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম তিনি
সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত মেয়ে। পিতার বংশ মুবারক
হচ্ছে,
কুরাইশ বংশের বনু ‘আদী বিন কা‘ব শাখা। তিনি ও উনার সহোদর
ভাই সাইয়্যিদুনা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। উনাদের
সম্মানিতা মাতা হযরত যাইনাব বিনতে মাজ‘উন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা। যিনি ছিলেন
একজন সুপ্রসিদ্ধ সম্মানিতা ছাহাবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা। ইবনাতু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবি‘য়াহ আলাইহাস
সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার
ছয় বছর পূর্বে মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
(সিয়ারু আলামিন নুবালা)
ইবনাতু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম তিনি নূরে
মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
আনুষ্ঠাানিকভাবে সম্মানিত নবুওয়াত মুবারক প্রকাশের ৫ বছর পূর্বে, সম্মানিত হিজরত মুবারকের ১৮ বছর পূর্বে, পবিত্র মাহে রজবুল হারাম শরীফ উনার ১৪ তারিখ, ইয়াওমুল আহাদ শরীফ (রোববার) পবিত্র মক্কা শরীফে মহাসম্মানিত
বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! সে সময় কুরাইশগণ পবিত্র কা’বা ঘর
পূণঃর্নির্মানে ব্যস্ত ছিলেন। (তাবাক্বাত, আসাহহুস সিয়ার, দৈনিক আল-ইহসান
শরীফ)।
প্রাথমিক মহাসম্মানিত জীবন মুবারক: প্রথমে হযরত
খুনায়স বিন হুজাফা আস-সাহমী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সাথে ইবনাতু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবি‘য়াহ আলাইহাস
সালাম উনার নিসবাতুল আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। হযরত খুনায়স রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু তিনি ছিলেন পবিত্র মক্কা শরীফে السَّابِقُونَ
الْأَوَّلُونَ“আস-সাবিকুনাল আউওয়ালূন” অর্থাৎ প্রথম দিকের সম্মানিত দ্বীন ইসলাম
গ্রহণকারী হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে অন্যতম।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত
দারুল আরকাম শরীফে তাশরীফ মুবারক গ্রহণের পূর্বেই তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ
করেন। তিনি হাবশায় দ্বিতীয় দলটির সাথে সম্মানিত হিজরত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!
(তাবাকাত)।
এক সময় হাবশায় একটি খবর প্রচারিত হয় যে, পবিত্র মক্কা শরীফে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণ সবাই সম্মানিত
দ্বীন ইসলাম কবুল করছেন। এ খবর শুনে অনেকেই পবিত্র মক্কা শরীফে ফিরে আসেন। ফিরে
এসে দেখেন খবরটি সঠিক নয়। তখন অনেকে পবিত্র মক্কা শরীফে অবস্থান মুবারক করতে
থাকেন। আর অনেকে পুনরায় হাবশায় ফিরে যান। হযরত খুনায়স বিন হুজাফা রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু তিনি এ সময় পবিত্র মক্কা শরীফে ফিরে আসেন এবং এখানেই অবস্থান মুবারক
করতে থাকেন।
ইবনাতু
আবীহা,
উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস
সালাম উনার আনুষ্ঠানিক ভাবে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে বলা হয় যে, তিনি উনার সম্মানিত পিতা-মাতা উনাদের সাথে সম্মানিত দ্বীন
ইসলাম গ্রহণ করেন। পবিত্র মদীনা শরীফে হিজরত উনার নির্দেশ মুবারক হলে তিনি ও উনার
আহাল হযরত খুনায়স রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা উভয়ে পবিত্র মদীনা শরীফে হিজরত
মুবারক করেন। পবিত্র মদীনা শরীফে পৌঁছে উনারা কুবার বানু আমর ইবনে আওফ গোত্রের
হযরত রিফা’য়া ইবনে আবদুল মুনজির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সম্মানিত গৃহ
মুবারকে অবস্থান মুবারক গ্রহণ করেন। (ইবনে হিশাম)।
হযরত
খুনায়স রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সম্মানিত বদর জিহাদ মুবারকে অংশগ্রহণ করে, সম্মানিত জিহাদে তিনি দেহের একাধিক স্থানে জখম প্রাপ্ত হন
এবং পবিত্র মদীনা শরীফে ফিরে এসে সম্মানিত শাহাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। হযরত
উছমান ইবনে মাজউন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পাশে জান্নাতুল বাকীতে উনাকে
দাফন মুবারক করা হয়। সুবহানাল্লাহ! (সিয়ারু আলামিন নুবালা)।
ইবনাতু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবি‘য়াহ আলাইহাস
সালাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মর্যাদা-মর্তবা মুবারক:
সামগ্রিকভাবে
সমস্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা
অপরিসীম ও বেমেছাল মর্যাদা-মর্তবা মুবারকের অধিকারীনি। এককথায় উনারা শুধু মহান
আল্লাহ পাক নন এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নন, এতটুকু। এছাড়া সমস্ত মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারকের অধিকারীনি হচ্ছেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস
সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ
উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের
শান মুবারকে ইরশাদ মুবারক করেন,
ألنَّبِيُّ أوْلَى بِالْمُؤْمِنِيْنَ
مِنْ أنْفُسِهِمْ وَ أزْوَاجُهُ أمُّهَاتُهُمْ
অর্থ: মু’মিনগণ উনাদের নিকট উনাদের জীবনের চেয়ে
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অধিক
প্রিয়। আর উনার ‘আওওয়াজুম মুত্বহহারাহ’ আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন মু’মিনগণ
উনাদের মাতা তথা মহাসম্মানিত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম। (পবিত্র সুরা
আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ- ৬)
খালিক, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক তিনি এই পবিত্র আয়াত শরীফে উনাদেরকে أمَّهَاتُ
الْمُؤْمِنِيْنَ (মু’মিন উনাদের মাতা) এই সম্মানিত লক্বব মুবারকে উল্লেখ করেছেন।
এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মর্ম থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস
সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ব্যতীত
অন্যান্য সকল মু’মিন অর্থাৎ সৃষ্টির শুরু থেকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত যত মু’মিন-মু’মিনা
দুনিয়াতে এসেছেন, এখনও আছেন এবং
ভবিষ্যতে ক্বিয়ামত পর্যন্ত থাকবেন উনাদের সকলেরই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা।
সুবহানাল্লাহ! সুতরাং উনাদের মর্যাদা-মর্তবা মুবারক যা বলার অপেক্ষা রাখে না।
খালিক, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে বেমেছাল পুতঃপবিত্রা ও সুমহান চরিত্র মুবারকের
অধিকারিণী করে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য খাছ করে সৃষ্টি করেছেন। সেজন্য উনাদের
আরেকটি লক্বব মুবারক হচ্ছেন أَزْوَاجٌ
مُّطَهَّرَةٌ (আযওয়াজুম মুত্বাহহারাত অর্থাৎ পুতঃপবিত্রা আহলিয়াগণ) অর্থাৎ
উনাদের মহাসম্মানিত চরিত্র মুবারক সকল প্রকার কলুষ-মুক্ত। উনারা মুত্বহহার ও
মুত্বহহির অর্থাৎ পবিত্রা ও পবিত্রতা দানকারীনি। সুবহানাল্লাহ!
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম
উনারা একদিক দিয়ে সম্মানিত মহিলা ছাহাবী আলাইহিন্নাস সালাম, অন্যদিকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র আযওয়াজুম মুত্বহহারাত এবং উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ
উনাদের মহাসম্মানিত সদস্য। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ উনাদের
মর্যাদা-মর্তবা মুবারক সম্পর্কে খালিক, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন,
إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّـهُ لِيُذْهِبَ عَنكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا
অর্থ: “হে মহাসম্মানিত মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ
আলাইহিমুস সালাম! নিশ্চয়ই খালিক, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক
তিনি চান আপনাদের থেকে সমস্ত প্রকার অপবিত্রতা দূর করে পবিত্র করার মতো পবিত্র
করতে। (অর্থাৎ তিনি আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক
করেছেন।)” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-৩৩)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মাহাতুল মু’মিনীন
আলাইহিন্নাস সালাম উনারা শুধু নিজেরাই পবিত্রই নন বরং উনারা পবিত্রতা দানকারীনি, যা উনাদের সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করলে স্পষ্টভাবে
বুঝা যায়। সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ উনাদের
মর্যাদা-মর্তবা মুবারক উনার দিক থেকে কয়েকটি স্তর রয়েছেন। সর্বপ্রথম এবং সর্বাধিক
মর্যাদা-মর্তবা মুবারক উনার অধিকারী হচ্ছেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা
আলাইহিস সালাম এবং মহাসম্মানিতা ও মহাপবিত্রা হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনারা।
কারণ উনারা হচ্ছেন, মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মূল। এরপর হচ্ছেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন
আলাইহিন্নাস সালাম উনারা। অতঃপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসুলিল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু
রসুলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা। এবং অতঃপর অন্যান্য মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র আওলাদে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা।
সুবহানাল্লাহ! উনারা সকলই উল্লেখিত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক। উনাদের
খাছ লক্বব মুবারক হচ্ছেন, ”মুতাহহার” ও
”মুতাহহির”। অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা
সৃষ্টিগতভাবেই পবিত্র এবং সাথে সাথে পবিত্রতাদানকারী। সুবহানাল্লাহ! সুবহানা
রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সুবহানা মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম।
মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্মানিত জান্নাত মুবারকে
একসাথে অনন্তকালব্যাপী অবস্থান মুবারক করবেন। সেজন্য উনারা সকলেই সর্বো””
মর্যাদা-মর্তবা মুবারকের অধিকারিনী।
সেজন্যই খালিক, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
وَلَا أنْ تَنْكِحُوْا أزْوَاجَهُ مِنْ بَعْدِهِ أبَدًا
অর্থ: নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম
উনাদেরকে তোমাদের কেউ বিবাহ করতে পারবে না। (পবিত্র সুরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত
শরীফ- ৫৩)
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম
উনাদের সুউচ্চ মর্যাদা-মর্তবা মুবারক সম্পর্কে যিনি খালিক, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন,
يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَاَحَدٍ مِّنَ النِّسَاءِ
অর্থ: “হে নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালাম! অর্থাৎ হযরত
উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালামগণ! আপনারা অন্যান্য নারীদের মত নন।”
সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সুরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ- ৩২)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমন অন্য কোন পুরুষ মানুষের মত নন, অনুরূপ ভাবে মহাসম্মানিত মহাপবিত্র উম্মাহাতুল মু’মিনীন
আলাইহিন্নাস সালাম উনারা অন্য কোন নারীর মত নন। অর্থাৎ উনারা অন্য কোন পুরুষ মহিলা
কারো মতো নন। সুবহানাল্লাহ!
বিশেষ করে ইবনাতু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবি‘য়াহ আলাইহাস
সালাম উনার আলাদা ভাবে বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক উল্লেখ রয়েছে। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র মর্যাদা-মর্তবা, ছানা-ছিফত মুবারক সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
فَنَزَلَ عَلَى رَسُوْلِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَضْرَتْ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَقَالَ إِنَّ حَضْرَتْ حَفْصَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ صَوَّامَةٌ قَوَّامَةٌ وَكَانَتِ امْرَأَةً صَالِحَةً.
অর্থ: “হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি নূরে
মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ এসে বলেন, নিশ্চয়ই ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি অধিক রোযা পালনকারিনী এবং
রাতের বেলায় অধিক ইবাদাতকারিনী এবং সৎকর্মশীল ব্যক্তিত্বা
মুবারক।” সুবহানাল্লাহ!
অপর বর্ণনায় রয়েছে,
فَإِنَّهَا صَوَّامَةٌ قَوَّامَةٌ وَهِيَ زَوْجَتُكَ فِي الْجَنَّةِ.
অর্থ: “নিশ্চয়ই ইবনাতু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবি‘য়াহ্ আলাইহাস
সালাম তিনি হচ্ছেন অধিক রোযা পালনকারিণী, রাতের বেলায় অধিক ইবাদাতকারিণী এবং তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ আপনার
‘আযওয়াজুম মুত্বহ্হারাত’ অন্তর্ভুক্ত।” সুবহানাল্লাহ!
অপর বর্ণনায় রয়েছে,
فَنَزَلَ عَلَيْهِ حَضْرَتْ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَقَالَ إِنَّ حَضْرَتْ حَفْصَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ صَوَّامَةٌ قَوَّامَةٌ وَكَانَتِ امْرَأَةً صَالِحَةً.
অর্থ: “হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি নূরে
মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ এসে বলেন, নিশ্চয়ই ইবনাতু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা
হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবি‘য়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি অধিক রোযা পালনকারিণী, রাতের বেলায় অধিক ইবাদাতকারিণী এবং তিনি হচ্ছেন একজন
অত্যন্ত নেককার ব্যক্তিত্বা।” সুবহানাল্লাহ!
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ نَافِعٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ مَا مَاتَتْ حَضْرَتْ حَفْصَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ حَتَّى مَا تُفْطِرُ.
অর্থ: “হযরত নাফে’ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে
বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনাতু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবি‘য়াহ আলাইহাস
সালাম তিনি রোযা রাখা অবস্থায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক
করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (ইছাবাহ্, তাহযীবুল কামাল, ইবনে সা’দ)
যিনি
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ.
অর্থ: “আর (আমার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম!) আমি আপনার সম্মানিত যিকির মুবারক তথা সম্মানিত আলোচনা মুবারক, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করেছি।”
সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আলাম নাশ্রহ্: আয়াত শরীফ ৪)
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক এতটুকু বুলন্দ করেছেন যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ
পাক তিনি নন; এছাড়া যত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক রয়েছেন, সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি।
সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সংযুক্ত এবং সম্পৃক্ত হওয়ার
কারণে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাও হচ্ছেন এই সম্মানিত ও
পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব। সুবহানাল্লাহ! উনারা শুধু যিনি খালিক্ব
মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান
মুবারক উনাদের অধিকারিণী। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
পরেই উনাদের সম্মানিত মাক্বাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
এ প্রসঙ্গে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ
পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
النَّبِيُّ أَوْلَىٰ بِالْمُؤْمِنِينَ
مِنْ أَنفُسِهِمْ ۖ وَأَزْوَاجُهُ أُمَّهَاتُهُمْ ۗ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন মু’মিনদের নিকট উনাদের জানের চেয়ে
অধিক প্রিয় তথা উনাদের মহাসম্মানিত পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং উনার
মহাসম্মানিতা ‘আযওয়াজুম মুত্বহ্হারাত’ (হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস
সালাম) উনারা হচ্ছেন সমস্ত মু’মিন উনাদের মহাসম্মানিতা মাতা আলাইহিন্নাস সালাম।”
সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আহযাব: আয়াত শরীফ ৬)
আহলু
বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম
মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ
ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মাধ্যমে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান
আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম
কায়িনাতবাসী সকলকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন
আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্মানিত মাক্বাম মুবারক।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানা
রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে
ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰـى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّـمَا اَنَا لَكُمْ بِـمَنْزِلَةِ الْوَالِدِ.
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা
আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন, আমি তোমাদের
পিতার ক্বায়িম-মাক্বাম অর্থাৎ আমি তোমাদের হাক্বীক্বী পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম।” সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাঊদ শরীফ)
হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু
তিনি বলেন, পূর্ববর্তী সমস্ত আসমানী কিতাব
মুবারকসমূহে রয়েছে,
النَّبِـيُّ أَوْلَىٰ بِالْمُؤْمِنِينَ
مِنْ أَنفُسِهِمْ ۖ وَأَزْوَاجُهُ أُمَّهَاتُـهُمْ ۗ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন মু’মিন উনাদের নিকট উনাদের জানের চেয়ে
অধিক প্রিয় এবং উনাদের মহাসম্মানিত পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আর উনার
মহাসম্মানিতা ‘আযওয়াজুম মুত্বহ্হারাত’ তথা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস
সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত মু’মিন উনাদের মহাসম্মানিতা মাতা আলাইহিন্নাস সালাম।”
সুবহানাল্লাহ!
সুতরাং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত মু’মিন উনাদের মহাসম্মানিত পিতা
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আর হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম
উনারা হচ্ছেন সমস্ত মু’মিন উনাদের মহাসম্মানিতা মাতা আলাইহিন্নাস সালাম।
সুবহানাল্লাহ!
এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে
মু’মিন বলতে একমাত্র যিনি খালিক্ব¡ মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত হযরত নবী-রসূল
আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলেই উদ্দেশ্য। সুবহানাল্লাহ! উনারা সকলেই মু’মিন। উনারা
প্রত্যেকেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক এনেছেন। সুবহানাল্লাহ! কোনো হযরত নবী আলাইহিস
সালাম উনাকে সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক দেয়া হয়নি, কোনো হযরত রসূল আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত রিসালাত মুবারক দেয়া হয়নি; যতক্ষণ পর্যন্ত না উনারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন
নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক এনেছেন।
সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক আনার পরেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সম্মানিত নুবুওওয়াত ও রিসালাত মুবারক
হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম! সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
উল্লেখ্য যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
اِنَّ الْـجَنَّةَ تَـحْتَ اَقْدَامِ اُمَّهَاتِكُمْ
অর্থ:
“নিশ্চয়ই সম্মানিত জান্নাত মুবারক তোমাদের সম্মানিতা মাতা উনাদের পায়ের নীচে।”
সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ
অনুযায়ী হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা একমাত্র যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব
মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত হযরত
নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলেরই মহাসম্মানিতা মাতা আলাইহিন্নাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
আর বর্ণিত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ অনুযায়ী যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব
মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত হযরত
নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলেরই সম্মানিত জান্নাত মুবারক হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন
আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক উনাদের নিচে।
সুবহানাল্লাহ!
সেটাই কিতাবে বর্ণিত রয়েছে যে, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে একই সম্মানিত জান্নাত
মুবারক-এ একই সাথে সম্মানিত অবস্থান মুবারক করবেন। সুবহানাল্লাহ! আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
সম্মানিত জান্নাত মুবারক থাকবে সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের
সম্মানিত জান্নাত মুবারক থেকে অনেক উপরে। সুবহানাল্লাহ! এতো অধিক উপরে যে, সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত
জান্নাত মুবারক থেকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত জান্নাত
মুবারক এরূপ দেখা যাবে, যেমন দুনিয়ার
যমীন থেকে আকাশে তারকাকে মিটমিট করে জ্বলতে দেখা যায়। সুবহানাল্লাহ! অনুরূপভাবে
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত জান্নাত মুবারক থাকবে উম্মতদের
জান্নাত মুবারক থেকে অনেক উপরে। তাহলে এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা একমাত্র
যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব
মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত হযরত
নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলেরই মহাসম্মানিতা মাতা আলাইহিন্নাস সালাম এবং উনাদেরই
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক উনাদের নিচে সমস্ত কায়িনাতবাসী সকলেরই
সম্মানিত জান্নাত মুবারক। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস
সালাম উনারা হচ্ছেন হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের নিকট
সন্তানতুল্য। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই, উনাদের হাক্বীক্বী রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করা ব্যতীত কেউ
কস্মিনকালেও যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের
হাক্বীক্বী রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করতে পারবে না।
এজন্যই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করেছেন-
وَاَحِبُّوْا اَهْلَ بَــيْـتِـىْ لِـحُبِّـىْ.
অর্থ: “তোমরা আমার সম্মানিত মুহ্ববত মুবারক পেতে
হলে,
আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ
আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে তথা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম
উনাদেরকে মুহব্বত করো।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মুস্তাদরাকে হাকিম, ত্ববারনী শরীফ, শু‘য়াবুল ঈমান)
এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ
উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْـرُكُمْ خَيْـرُكُمْ لِـنِسَائِـىْ مِنْۢ بَعْدِىْ.
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা
আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের মধ্যে ঐ
ব্যক্তি সর্বোত্তম যে ব্যক্তি আমার পর আমার মহাসম্মানিতা আযওয়াজুম মুত্বহ্হারাত
তথা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের নিকট উত্তম।”
সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে বাযযার, মাজমাউয
যাওয়ায়িদ,
কাশফুল খফা)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে
আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْـرُكُمْ خَيْـرُكُمْ لِاَهْلِـىْ مِنْۢ بَعْدِىْ قَالَ فَبَاعَ حَضْرَتْ عَبْدُ الرَّحْـمٰنِ بْنُ عَوْفٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ حَدِيْقَةً بِاَرْبَعِ مِائَةِ اَلْفٍ فَقَسَمَهَا فِـىْ اَزْوَاجِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা
আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের মধ্যে ঐ
ব্যক্তি সর্বোত্তম যে ব্যক্তি আমার পর আমার আহাল তথা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন
আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের নিকট উত্তম। সুবহানাল্লাহ! বর্ণনাকারী বলেন, তারপর হযরত আব্দুর রহমান ইবেন ‘আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা
আনহু তিনি একটি বাগান ৪ লক্ষ দীনারের বিনিময়ে বিক্রি করে সমস্ত অর্থ (প্রায় সাড়ে ৬
শত কোটি টাকা) হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মাঝে বণ্টন করে
দেন অর্থাৎ উনাদেরকে সম্মানিত হাদিয়া মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! (আস সুন্নাহ্
লিইবনে ‘আছিম, মুসনাদে আবী ইয়া’লা, মু’জাম ইবনে আ’রাবী, আল মাক্বছাদুল ‘উলা ফী যাওয়াইদে আবী ইয়া’লা ইত্যাদি)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে
আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “হযরত মিসওয়ার ইবনে মাখরামাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু
উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার হযরত
আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি একটি জমি ৪০ হাজার দীনার
বিক্রি করে সেই অর্থের কিছু অংশ কুরাইশ ও বনূ মাখযূম গোত্রের মাঝে বণ্টন করে দেন।
(আর বাকী সমস্ত অর্থ হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে হাদিয়া
মুবারক করেন। তখন তিনি সেই অর্থের) একটা অংশ আমার হাতে দিয়ে আমাকে উম্মুল মু’মিনীন
আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার নিকট প্রেরণ
করেন। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ সেই অর্থের একটা অংশ তিনি উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্
সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে হাদিয়া মুবারক করেন। তখন
উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি
বলেন,
আমি শুনেছি- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, ‘আমার পরে একমাত্র ছালিহীন তথা নেককার ব্যক্তিগণ উনারাই
আপনাদের সাথে সৎব্যবহার করবেন, আপনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিবেন, আপনাদের সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করবেন, আপনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করবেন, আপনাদের প্রতি সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ আক্বীদা এবং সর্বোত্তম
হুসনে যন মুবারক পোষণ করবেন।’ সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন হযরত ইবনে
আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার সালসাবীল নামক
ঝর্ণা থেকে পানি পান করান! সুবহানাল্লাহ! (আশ শরী‘য়াহ্ লিল আর্জুরী, কানজুল ‘উম্মাল)
অপর এক বর্ণনায় রয়েছে- “উম্মুল মু’মিনীন
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
থেকে বর্ণনা মুবারক করেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত উম্মাহাতুল
মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করেছেন, নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি আমার পরে আপনাদের সাথে সৎব্যবহার করবেন, আপনাদেরকে
সম্মানিত মুহব্বত মুবারক করবেন, আপনাদের
সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিবেন, আপনাদের প্রতি সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ আক্বীদা এবং সর্বোত্তম হুসনে যন মুবারক পোষণ
করবেন,
নিঃসন্দেহে তিনিই হচ্ছেন প্রকৃতপক্ষে হাক্বীক্বী নেককার।
সুবহানাল্লাহ! আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ
পাক! আপনি হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে সম্মানিত
জান্নাত মুবারক উনার সালসাবীল নামক ঝর্ণা থেকে পানি পান করান!” সুবহানাল্লাহ! (আস
সুন্নাহ্ লিইবনে ‘আছিম)
সুতরাং কেউ যদি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার
হাবীব,
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের হাক্বীক্বী মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক পেতে চায়, তাহলে তার জন্য ফরযে আইন হচ্ছে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম
উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে জানা, উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া, উনাদের সম্মানিত তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা এবং উনাদের
সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করা সকাল-সন্ধ্যা, দায়িমীভাবে অনন্তকালব্যাপী। সুবহানাল্লাহ! কেননা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরেই হযরত
উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্মানিত মাক্বাম মুবারক।
সুবহানাল্লাহ! উনাদের হাক্বীক্বী মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি
মুবারক ব্যতীত, কেউ কস্মিনকালেও মহান আল্লাহ পাক
উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
অর্থাৎ উনাদের হাক্বীক্বী মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি
মুবারক হাছিল করতে পারবে না। সুবহানাল্লাহ!
স্মরণীয় যে, আমাদের জন্য এক মহান খুশির বিষয় হচ্ছে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস
সালাম উনাদের ক্বায়িম-মাক্বাম হিসাবে বর্তমান যামানায় আগমন করেছেন সাইয়্যিদাতু
নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, হাবীবাতু রসূলিল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা
উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! সাইয়্যিদাতুনা
হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু
রসূলিল্লাহ, আহলে বাইতে রসূলিল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা
ইমামুল উমাম হযরত মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র যাওযাতুম মুকাররামাহ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম হযরত
আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম
উনাদের হুবাহু নকশা মুবারক। সুবহানাল্লাহ! উনার উছীলা মুবারকে কায়িনাতবাসী বেমেছাল
রহমত,
বরকত, কুরবত ও নিছবত
মুবারক পেয়ে ধন্য হচ্ছেন। তিনি মহাসম্মানিত আহলে বাইতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যমণি। সকল নারীজাতির তিনি সাইয়্যিদাহ। সুবহানাল্লাহ!
উনার মর্যাদা-মর্তবা মুবারক বিন্দু থেকে বিন্দুতম বর্ণনা করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়।
কাজেই সমস্ত নারী জাতির জন্য ফরয ওয়াজিব হচ্ছে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ছোহবত মুবারকে
এসে সম্মানিত তা’লীম-তালক্বীন মুবারক গ্রহণ করা, উনার হাক্বীক্বী মা’রিফত মুহব্বত মুবারক হাছিল করা। মহান আল্লাহ পাক তিনি
মহাসম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের উছীলা মুবারকে সমস্ত নারী
জাতিকে সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার
মহাসম্মানিত ছোহবত মুবারকে আসার তাওফীক্ব দান করুন এবং উনার উছীলা মুবারকে
অনন্তকাল ব্যাপী পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার তাওফীক্ব দান করুন।
আমীন!
0 Comments:
Post a Comment