ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছুফীয়ে বাতিন, ছহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম-উনার স্মরণে-
একজন কুতুবুয্ যামান-উনার
দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-
রউফুর রহীম, রহমাতুল উম্মাহ, হাবীবুল্লাহ,
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে একই বিষয়ে একই সময়ে পিতা-পুত্রের সাক্ষাৎ ও নিয়ামত লাভ
স্বপ্ন সম্পর্কে পিতা-পুত্রের কুশল বিনিময়ের পর সকাল গড়িয়ে বেলা বেড়ে চলেছে।
এমন সময় পাওয়া গেলো অন্তর প্রশান্ত করা অভিন্ন ধারার আরো এক মুবারক সংবাদ। ঢাকাস্থ
যাত্রাবাড়ীর মসজিদে নূর এবং খানকা-ই-মুহম্মদিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কুতুবুল আলম, আমীরুশ্ শরীয়ত
ওয়া রাহনুমায়ে তরীক্বত, সুলত্বানুল আরিফীন, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, মাহিউল
বিদ্য়াত, মুজাদ্দিদুয্
যামান, হুজ্জাতুল
ইসলাম, মাখ্যানুল
মা’রিফাত, খাযীনার্তু
রহমাত, মঈনুল
মিল্লাত, লিসানুল
উম্মাত, রঈসুল
মুহাদ্দিছীন, তা’জুল
মুফাস্সিরীন, ফখ্রুল ফুক্বাহা, ক্বারিউল র্কুরায়ি, আল্লামাতুল আইয়াম, নাজমুল আওলিয়া, ছাহিবুল
ইল্হাম, মুসতাজাবুদ্
দাওয়াত, মুফতিউল
আ’যম, শাইখুল
আসাতিযা, জামিউল
উলূম ওয়াল হিকাম, সাইয়্যিদুত্ ত্বায়িফা, আশিকু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম, শাহ্ ছূফী, আলহাজ্জ, হযরতুল আল্লামা আবুল খায়ের মুহম্মদ ওয়াজীহুল্লাহ নানুপুরী আলাইহিস সালাম বেলা
প্রায় এগারটা নাগাদ উল্লিখিত মুবারক সংবাদ নিয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়েছেন ঢাকা
রাজারবাগ শরীফস্থ পাঁচ নম্বর আউটার সার্কুলার রোডে অবস্থিত ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদে রসূল, হযরতুল
আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম-উনার বাড়ীতে।
উনারা দু’জন অত্যন্ত নিকটতম বন্ধু। একই মুবারক সিল্সিলার ফয়েজের
অবিরল ধারায় অভিষিক্ত এবং কামিয়াবীর শীর্ষে অধিষ্ঠান হেতু উভয়ে পরম আত্মীয়।
মাদারজাদ ওলী, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম-উনার
মুজাদ্দিদে আ’যম পুত্র যাত্রাবাড়ীর মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার
হাত মুবারকে বাইয়াত এবং মুর্শিদ ক্বিবলা-উনার কাছ থেকে যাবতীয় নিয়ামত লাভে ধন্য
খাছ খলীফা। আমীরুশ্ শরীয়ত ওয়া রাহনুমায়ে তরীক্বত, নাজমুল আওলিয়া, হযরতুল
আল্লামা, আবুল
খায়ের মুহম্মদ ওয়াজীহুল্লাহ নানুপুরী আলাইহিস সালাম উনার খাছ খলীফা, মুজাদ্দিদে আ’যম
মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার উপস্থিতিতে ফখ্রুল আওলিয়া, আফ্যালুল ইবাদ, লিসানুল হক্ব, হযরতুল
আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালামকে সম্বোধন করে বলতে
লাগলেনঃ “আপনার
মুজাদ্দিদে আ’যম পুত্রের জন্য এখন থেকে বাড়ীতে পরিমিত জায়গা করে দিন।
আপনার মুবারক পুত্র, যিনি আমার খাছ খলীফা এবং যিনি আল্লাহ পাক এবং উনার
প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার লক্ষ্যস্থল, উনার কাছে
বাইয়াত হবার জন্য এখন অগণিত মানুষ আসবে। একথা জানাবার জন্যেই আমি আপনার কাছে
এসেছি।” বিষয়টি ওলীয়ে মাদারজাদ, মুস্তাজাবুদ্ দাওয়াত, আওলাদে রসূল, আলহাজ্জ, হযরতুল
আল্লামা, সাইয়্যিদ
মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম-উনার অজানা নয়। খান্কা শরীফের জন্য পর্যাপ্ত
জায়গা দিতে তিনি আগে থেকেই প্রস্তুত হয়ে রয়েছেন। উনার এই প্রস্তুতির সাথে
যাত্রাবাড়ীর মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার প্রস্তাবের অভিন্ন যোগসূত্র
স্থাপিত হয়েছে মাত্র। তবে গত রাতের মুবারক স্বপ্ন মাহাত্ম্য এবং প্রেক্ষিত কারণে
অন্তরে ঠাঁই পাওয়া অনাবিল ভাবনা এবং বদ্ধমূল বিশ্বাসের ভিত্ মিলিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে
তিনি মৃদু স্বরে কেবল বললেনঃ “এমন হবে, তা’ আমারও জানা। একথা জানাতে
কষ্ট করে আপনি নিজেই এলেন! অন্যকে দিয়েও তো সংবাদ পাঠানো যেতো।”একথার
জবাবে মুফতিউল আ’যম, শাইখুল আসাতিযা, জামিউল উলূম
ওয়াল হিকাম, আল্লামাতুল আইয়াম, আশিকে রসূল, হযরতুল আল্লামা আবুল খায়ের মুহম্মদ
ওয়াজীহুল্লাহ নানুপুরী আলাইহিস সালাম অন্তর মুবারকের সবটুকু মমতা ও মুহব্বত ঢেলে
স্মিতহাস্যে সবনিয়ে জানালেনঃ “দেখুন! আপনার মুজাদ্দিদে আ’যম পুত্র, যিনি আওলাদে
রসূল এবং মাদারজাদ ওলী, আমি তার মুর্শিদ ক্বিবলা। বিষয়টি জানাতে আমি আপন ইচ্ছায়
আপনার কাছে আসিনি। আদিষ্ট হয়ে এসেছি।” আদেশদাতা কে তা’ আগে থেকেই জানা সত্ত্বেও আরেকবার জানার ব্যাকুল আগ্রহে
সবিনয়ে জিজ্ঞেস করলেনঃ “আদেশদাতা কে, দয়া করে তা
বলুন।”
জবাবে তিনি বললেনঃ “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, রহমতুল্লিল
আলামীন, রউফুর
রহীম, মাশুকে
মাওলা, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনাকে এবং আপনার মুজাদ্দিদে আ’যম পুত্র
মুদ্দা জিল্লুহুল আলীকে এ মুবারক সংবাদ জানাতে গত রাতে আমাকে সদয় নির্দেশ করেছেন
যেঃ “হে আমার
আশিক! আপনার খাছ খলীফা ও আপনার আশিক এবং আমার আশিক, আওলাদ ও লক্ষ্যস্থল, তিনি উনার
সময়কালের ইমাম ও মুজাদ্দিদে আ’যম। আপনি জানিয়ে দিন, উনাকে আমি
কবুল করে নিয়েছি।” আপনার এবং আপনার মুবারক
পুত্রের জনম ও জীবন স্বার্থক। একই সঙ্গে আমার জীবনও স্বার্থক। আদিষ্ট হয়ে এমন
মুবারক সংবাদ জানাতে নিজে না এসে আমি কী অন্যকে পাঠাতে পারি?” (অসমাপ্ত)
আবা-১৫৮
0 Comments:
Post a Comment