ওলীয়ে মাদারজাদ,মুসতাজাবুদ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছহিবে কাশফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছুফীয়ে বাতিন, ছহিবে ইসমে আ’যম,
লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহি সালাম-উনার
স্মরণে-
একজন কুতুবুয্ যামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-
রউফুর
রহীম,
রহমাতুল উম্মাহ, হাবীবুল্লাহ,
হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
-উনার সঙ্গে একই বিষয়ে একই
সময়ে পিতা-পুত্রের সাক্ষাৎ ও নিয়ামত লাভ-
রাত শেষে
দিনের স্নিগ্ধ সকাল। চারদিক নিরব। অন্তর ছূঁয়ে যাওয়া মনোরম পরিবেশ। নিত্য দিনের
মতো আজো কুশল বিনিময়ের এক পর্যায়ে মুবারক পুত্রের কাছে বুযুর্গ পিতার জানতে চাওয়াঃ
“গত রাতে আপনি কী কোন স্বপ্ন দেখেছেন?” হঠাৎ এমন প্রশ্নে মুজাদ্দিদে আ’যম পুত্র উনার সম্মানিত পিতা ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত,
আফ্যালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ফখরুল, আউলিযা, লিসানুল হক্ব, ছাহিবে ইসমে আ’যম,
ছূফিয়ে বাতিন, গরীবে নেওয়াজ, কুতুবুয্যামান, আওলার্দু রসূল, হযরতুল আল্লামা শাহ্ ছূফী সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহি সালাম-উনার
চেহারা মুবারকের দিকে বিনম্র দৃষ্টি রেখে মনে মনে ভাবতে থাকেনঃ “আব্বা হুযূরও কী তাহলে একই স্বপ্ন দেখেছেন, যা’ আমি দেখেছি?” অভিন্ন ভাবনায় আবিষ্ট হয়েছেন ওলীয়ে মাদারজাদ পিতাও। মুবারক
স্বপ্ন দর্শনের অফুরন্ত তাৎপর্যে ওলীয়ে মাদারজাদ পিতা এবং ওলীয়ে মাদারজাদ পুত্রের
নিমিষের অন্তহীন ভাবনায় যেনো একে অপরকে নতুন করে আবিষ্কারের ব্যাকুল প্রয়াস!
স্বপ্ন বিবরণ-
১৯৮০
ঈসায়ী সালের এক গভীর রাতের নিরব প্রহর। আল্লাহ পাক এবং তার প্রিয়তম হাবীব, আছলুল ক্বায়িনাত, রফিকু ছাহিবিল
কুদ্রত,
ইমামুস্ সাক্বালাইন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে দায়িমী সংযোগ স্থাপনে
পরিপূর্ণরূপে কামিয়াব ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলার্দু রসূল, হযরতুল আল্লামা
সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহি সালাম তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়েছেন। ইবাদত-বন্দিগী, যিকির-ফিকির এবং মুরাকাবা-মুশাহাদার তন্ময়তা শেষে একই সময়ে
পৃথক অবস্থানে ঘুমিয়ে রয়েছেন উনার মুবারক পুত্র আজওয়াদুন্ নাস, খইরুল উম্মাত, খাইরুল বারিয়্যাহ, আত্কান্ নাস, মাখ্যানুল মা’রিফাত, আশিকুল্লাহ, আশিকে সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুল মুজাহিদীন, ফক্বীহুল উম্মাত, মুহাক্কিকে
যামান,
হাদিয়ে মিল্লাত, সিরাজুস্ সালিকীন, আফযালুল আউলিয়া, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুল উলিল
আর্ম,
তাজুল মুফাস্সিরীন, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, ফখ্রুল ফুক্বাহা, হাকিমুল হাদীছ, হুজ্জাতুল ইসলাম, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, মাহিউল বিদ্য়াত, ছাহিবুল ইল্হাম, রসূলে নোমা, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলতানুল আরিফীন, ইমামুছ্
ছিদ্দীকীন, ছাহিবু সুলতানিন্ নাছীর, কুতুবুল আলম, আল গাউছুল আ’যম, আল মুজাদ্দিদুল আ’যম,
ক্বাইয়ূমুয্ যামান, ইমামুল আইম্মাহ, ইমামুশ্ শরীয়ত
ওয়াত্ তরীক্বত, জামিউল আলক্বাব, আল জব্বারিউল আউয়াল, আল ক্ববিউল আউয়াল, আওলার্দু রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সাইয়্যিদ মুহম্মদ দিল্লুর রহমান, আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাঈশী আলাইহিস সালাম, মুর্শিদ ক্বিবলা, রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা।
মহান
আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, নূরে মুজাস্সাম, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার নিগূঢ় নৈকট্য সুধায় আপ্লুত ওলীয়ে মাদারজাদ আলাইহিস
সালাম-উনার অন্তর মুবারকের গভীরে সযত্নে লালিত আরজু পূরণের কাঙ্খিত সময় উপস্থিত। ইহকাল, এমনকি পরকালেরও মোহ বিলিনের কামিয়াবী (আল্লাহ পাক এবং হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম, ছাহিবু লাওলাক, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার পরিপূর্ণ সন্তুষ্টি ব্যতীত অন্য সব কিছুর মোহ
নির্মুক্ততা) হাছিলের অনুপম মুহূর্ত সমাগত।
আল্লাহ
পাক-উনার লক্ষ্যস্থল মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম আল্লাহ পাক এবং খাজিনার্তু রহমত, ছাহিবুল ইহ্সান, মাশুকে মাওলা, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার মুবারক নৈকট্য সংযোগে তন্দ্রাচ্ছন্ন রয়েছেন।
প্রিয়তম আওলাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, কুতুবুল আলম আলাইহিস
সালাম-উনার এমন অন্তরঙ্গ আবেশে মুবারক তাশরীফ এনেছেন ফখ্রে ক্বায়িনাত, রহমতে আলম, রউফুর রহীম, ছাহিবুল মাক্বামিল মাহমূদ, হাবীবুল আওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, দলীলে কা’বায়ে মাক্বছূদ, সিরাজুম্ মুনীরা, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
(অসমাপ্ত)
আবা-১৫৫
0 Comments:
Post a Comment