ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাত্বিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে-
একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে
প্রস্থান-
সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর
ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি মহান
আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলীআল্লাহ হওয়ার কারণে বড় বড় ওলীআল্লাহ তথা গউছ, কুতুব, আবদালগণ উনাকে
চিনতেন এবং তদনুযায়ী উনারা উনাকে যথাযথ তা’যীম তাকরীম করতেন
ওলীয়ে
মাদারযাদ,
আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম এবং অন্যসব
নৈকট্যধন্য মাহবূব ওলীআল্লাহ উনাদের শান-মান ও মর্যাদা-মাক্বাম সম্পর্কে পবিত্র
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে:
عَنْ
حضرت أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ
اللّهَ إِذَا أَحَبَّ عَبْدًا دَعَا جِبْرِيلَ فَقَالَ إِنّى أُحِبُّ فُلاَنًا
فَأَحِبَّهُ قَالَ فَيُحِبُّهُ جِبْرِيلُ ثُمَّ يُنَادِى فِى السَّمَاءِ فَيَقُولُ
إِنَّ اللّهَ يُحِبُّ فُلاَنًا فَأَحِبُّوهُ. فَيُحِبُّهُ أَهْلُ السَّمَاءِ قَالَ
ثُمَّ يُوضَعُ لَهُ الْقَبُولُ فِى الأَرْضِ. وَإِذَا أَبْغَضَ عَبْدًا دَعَا
جِبْرِيلَ فَيَقُولُ إِنّى أُبْغِضُ فُلاَنًا فَأَبْغِضْهُ قَالَ فَيُبْغِضُهُ
جِبْرِيلُ ثُمَّ يُنَادِى فِى أَهْلِ السَّمَاءِ إِنَّ اللّهَ يُبْغِضُ فُلاَنًا
فَأَبْغِضُوهُ قَالَ فَيُبْغِضُونَهُ ثُمَّ تُوضَعُ لَهُ الْبَغْضَاءُ فِى
الأَرْضِ
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে
বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন: মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন কোনো বান্দাকে মুহব্বত করেন, তখন তিনি হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে ডেকে বলেন, আমি অমুক বান্দাকে মুহব্বত করি। সুতরাং, আপনিও উনাকে মুহব্বত করুন। অতঃপর হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম
তিনি ওই বান্দাকে মুহব্বত করতে থাকেন এবং তিনি আকাশে ঘোষণা করে দেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি অমুক বান্দাকে মুহব্বত করেন। তাই
আপনারাও উনাকে মুহব্বত করুন। এমন অবস্থায় আসমানবাসীগণ উনারাও সংশ্লিষ্ট ওই
বান্দাকে মুহব্বত করতে থাকেন। একই সঙ্গে ওই বান্দার জন্য যমীনবাসীরও মুহব্বত পয়দা
করে দেয়া হয়। সুবহানাল্লাহ! আর মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন কোনো বান্দাকে অপছন্দ
করেন,
ঘৃণা করেন, তার প্রতি
অসন্তুষ্ট হন, তখন তিনি হযরত জিবরীল আলাইহিস
সালাম উনাকে ডেকে বলেন: আমি অমুক বান্দাকে অপছন্দ করি। আপনিও তাকে অপছন্দ করুন।
তখন হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনিও ওই বান্দাকে ঘৃণা করতে থাকেন এবং তিনি আসমানে
ঘোষণা করে দেন যে, মহান আল্লাহ পাক
তিনি অমুক বান্দাকে ঘৃণা করেন। সুতরাং, আপনারাও তাকে ঘৃণা করুন। অতঃপর আসমানবাসীগণও ওই বান্দাকে ঘৃণা করতে থাকেন। একই
সঙ্গে যমীনবাসীর অন্তরেও তার জন্য ঘৃণা পয়দা করে দেয়া হয় এবং যমীনবাসীও তাকে ঘৃণা
করতে থাকে।” নাউযুবিল্লাহ! (মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)
সাইয়্যিদুনা
হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস
সালাম তিনি হাক্বীক্বীভাবে উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মিছদাক্ব ছিলেন। তিনি
মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, আকরামুল
আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাদের নিগূঢ় নৈকট্য এবং উনাদের হাক্বীক্বী তায়াল্লুক-নিসবত হাছিলকারী
সূক্ষ্মদর্শী মাহবূব ওলীআল্লাহ ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
উপরোক্ত
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার প্রেক্ষিতেই সমস্ত গাউছ, কুতুব, আবদাল, ওলীআল্লাহগণ উনারা সকলেই ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাকে যথাযথ তা’যীম-তাকরীম করতেন, মুহব্বত করতেন
এবং উনারা সকলেই সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
(চলবে)
আবা-২৫৩
0 Comments:
Post a Comment