একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-
মুবারক জীবন সায়াহ্নে এসে সার্বিক ক্ষেত্রে সাইয়্যিদে
মুজাদ্দিদে আ’যম আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার অতুলনীয় কামিয়াবী প্রত্যক্ষ করে
সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা
আলাইহিস সালাম তিনি পরম ইতমিনান:
এ সম্পর্কে সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, মাশুকে
মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক
করেন:
مَنْ أَغَاثَ مَلْهُوْنًا كَتَبَ اللهُ لَهٗ
ثَلَاثَ وَّسَبْعِيْنَ مَغْفِرَةً وَّاحِدَةً مِّنْهَا اِصْلَاحَ اَمْرٍ كُلِّهٖ
وَثِنْتَانِ وَّسَبْعِيْنَ لَهٗ دَرَجَاتٍ يَّوْمَ الْقِيَامَةِ
অর্থ: “যে ব্যক্তি কোনো
মুছীবতগ্রস্ত ব্যক্তিকে সাহায্য-সহযোগিতা করেন, মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া
তায়ালা উনার মুছীবত দূর করে দেন এবং উনাকে ৭৩টি মাগফিরাত মুবারক দান করেন। তার
মধ্যে একটি হলো, উনার দুনিয়াবী যাবতীয় কার্যাবলী ইছলাহপ্রাপ্ত ও ত্রুটিমুক্ত হয়ে যায়। অবশিষ্ট
৭২টি মাগফিরাতের মাধ্যমে পরকালে উনার মর্যাদা ও মাক্বাম সীমাহীনভাবে বৃদ্ধি করে
দেয়া হয়।” সুবহানাল্লাহ!
এখানে লক্ষ্যণীয় যে, ৭৩টি
মাগফিরাতের মধ্যে একটি মাত্র মাগফিরাতেই যদি দুনিয়ার যাবতীয় কার্যাদি সংশোধিত, ইছলাহপ্রাপ্ত
ও ত্রুটিমুক্ত তথা মাহফূয করা হয়, তাহলে অবশিষ্ট ৭২টি মাগফিরাতের বিনিময়ে মহান আল্লাহ পাক
পরকালে যে কী পরিমাণ শান-মান-মর্যাদা-মাক্বাম বৃদ্ধি করে দিবেন, তা
মাখলূক্বাতের সমঝ্ ও উপলব্ধির সীমাহীন উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!
নৈকট্যধন্য মাহবূব
ওলীআল্লাহ উনাদের শান-মান-মর্যাদা ও মাক্বাম সম্পর্কে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন,
নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার
মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক
করেন:
اِنَّ اَوْلِيَائِىْ تَـحْتَ قَبَائِىْ لَا يَعْرِفُهُمْ
غَيْرِىْ اِلَّا أَوْلِيَائِى.
অর্থ: “নিশ্চয়ই আমার
আখাছছুল খাছ মাহবূব ওলীগণ আমার কুদরতী জুব্বাহ মুবারক উনার মধ্যে অবস্থান করেন।
উনাদের হাক্বীক্বী শান-মান-মর্যাদা বুযুর্গী সম্মান একমাত্র আমি এবং আমার
নৈকট্যধন্য ওলীগণ উনারা ছাড়া আর কেউ জানে না।” সুবহানাল্লাহ!
ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে
রসূল, লিসানুল হক্ব,
ক্বায়িম-মাক্বামে সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ রসূলিনা ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি
এবং উনার ছাহিবাতুল মুকাররমা ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বাম
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা
হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি এবং উনাদের লখতে জিগার আওলাদ, মুজাদ্দিদে
মিল্লাত ওয়াদ্ দ্বীন,
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, হাকীমুল হাদীছ, হুজ্জাতুল
ইসলাম, রসূলে নো’মা,
আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইমুয
যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল,
ক্বইউয়্যুল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, জামিউল
আলক্বাব, হাবীবুল্লাহ,
আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম
আলাইহি সালাম তিনি,
অর্থাৎ উনারা অসংখ্য, অগণিত বিপদগ্রস্ত মানুষের দুনিয়া
ও আখিরাতের কল্যাণসাধন করেছেন। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)
আবা-২৬৯
0 Comments:
Post a Comment