একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-২০৩

 

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাত্বিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

মুবারক জীবন সায়াহ্নে এসে সার্বিক ক্ষেত্রে সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার অতুলনীয় কামিয়াবী প্রত্যক্ষ করে সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি পরম ইতমিনান:

এই পবিত্র স্থানের সীমাহীন মর্যাদা-মর্তবা সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন:

فِي بُيُوتٍ اَذِنَ اللّـهُ اَن تُرْفَعَ وَيُذْكَرَ فِيهَا اسْمُه يُسَبِّحُ لَه فِيهَا بِالْغُدُوِّ وَالْاصَالِ

অর্থ: “যে সমস্ত ঘরসমূহে সকাল-সন্ধ্যায়, অর্থাৎ দায়িমীভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির-আযকার ও তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করা হয়, সে সমস্ত ঘরসমূহকে সমুন্নত করতে মহান আল্লাহ পাক তিনি মুবারক নির্দেশনা দান করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৬)

উল্লিখিত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার হাক্বীক্বী উপলব্ধি ও আমল উনাদের বাস্তবতা খুঁজতে গেলে বর্তমানে একমাত্র পবিত্র স্থান রাজারবাগ দরবার শরীফ ব্যতীত পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না। এখানে বিরতিহীনভাবে মুবারক সমস্ত মাহফিল অনুষ্ঠান, যিকির-আযকার ও তাসবীহ-তাহলীল পাঠ, পবিত্র দুরূদ শরীফ ও পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ তিলাওয়াত, মুবারক দারস ও তাদরীস মাহফিল অনুষ্ঠান এবং কুল-কায়িনাতবাসীর কামিয়াবীর জন্য কল্যাণকর মক্ববুল দুআ’ ও মুনাজাত শরীফসহ যাবতীয় নেককাজ পালন করা হচ্ছে। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উপরোক্ত সকল নেক কাজ উনাদের সকল মুবারক মাহফিলে স্বয়ং পবিত্র তাশরীফ এনে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! বিশেষ করে প্রাণের আক্বা, ক্বিবলা কা’বা, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল মক্ববুল দুআ’ ও মুনাজাত শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বক্ষণ ‘আমীন’ ‘আমীন’ বলতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!

একই সঙ্গে উপরোক্ত সমস্ত নেক কাজের মুবারক মাহফিলে সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম এবং অসংখ্য হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা  মুবারক তাশরীফ এনে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! উনারা সকলেই সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম ইমামুল উমাম, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার মক্ববুল দুআ’ ও মুনাজাত শরীফে ‘আমীন’ ‘আমীন’ বলতে থাকেন এবং সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাকে মুবারকবাদ জানাতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!

সীমাহীন বরকতময় এসব ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয় যে, মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার এবং উনার প্রিয়তম রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামূল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাদিয়াকৃত অতুলনীয় নিয়ামত, নিগূঢ় নৈকট্য-সান্নিধ্য, মুহব্বত-মা’রিফাত, রিযামন্দি-সন্তুষ্টি এবং তায়াল্লুক-নিসবতে, সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম এবং উনাদের মহাসম্মানিত আওলাদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাদের লব্ধ বেমেছাল মর্যাদা ও মাক্বাম উনাদের স্তর কতো সীমাহীন উচ্চতায়! সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৬৩

0 Comments: