ওলীয়ে
মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল
ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল
আউলিয়া, ছূফীয়ে বাত্বিন, ছাহিবে
ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে
নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত
দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে-
একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-
মুবারক জীবন সায়াহ্নে এসে সার্বিক ক্ষেত্রে সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে
আ’যম আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার অতুলনীয় কামিয়াবী প্রত্যক্ষ করে সাইয়্যিদুনা
হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা
আলাইহিস সালাম তিনি পরম ইতমিনান:
এমন অবস্থায় বুঝতে
কষ্ট হওয়ার কথা নয় যে, অবশিষ্ট ৭২টি মাগফিরাতলাভে ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ফখরুল আউলিয়া, লিসানুল হক্ব, ছাহিবে ইসমে আ’যম, গরীবে নেওয়াজ, মুসতাজাবুদ দাওয়াত, সাইয়্যিদুনা হযরত
দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি পরকালে সীমাহীন শান-মান, মর্যাদা ও মাক্বাম
হাছিলে ধন্য হয়েছেন। অর্থাৎ তিনি পবিত্র আরশে মুয়াল্লাহ উনার অধিবাসী হয়ে দায়িমীভাবে
মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার পবিত্রতম দীদার মুবারকে মশগুল রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
উপরোক্ত পবিত্র
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ৭৩টি মাগফিরাতের একটি হলো দুনিয়াবী সকল কার্যাবলী চরম, পরম ও নিষ্কলুষভাবে
সংশোধিত বা ত্রুটিমুক্ত হওয়া। তবে অবশিষ্ট ৭২টি মাগফিরাত, যা মহান আল্লাহ
পাক তিনি পরকালে দান করনে, তা কতো ব্যাপক, গভীর ও সূক্ষ্ম
তা কায়িনাতবাসীর চিন্তা ও ফিকিরের সীমাহীন উর্ধ্বে সুবহানাল্লাহ!
একটি মুবারক উদাহরণের
মাধ্যমে মুবারক বিষয়ীট স্পষ্ট করা যায়। তা হলো: আফযালুল আউলিয়া, কইয়্যূমে আউওয়াল, মুজাদ্দিদে আলফেছানী
হযরত শায়েখ আহমদ ফারুকী সিরহিন্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সীমাহীন শান-মান, মর্যাদা-মাক্বাম
মুবারক তৎকালীন অধিকাংশ আলিম-উলামা, ছূফী-দরবেশ, বুযুর্গ ওলীআল্লাহ
উনারা না বুঝার কারণে উনারা উনার বিরোধিতা ও অপপ্রচার শুরু করে দেন। নাউযুবিল্লাহ!
এ সময়ে পাক-ভারত
উপমহাদেশে পবিত্র হাদীছ শরীফ প্রচার-প্রসারকারী বিশিষ্ট বুযুর্গ ওলীআল্লাহ হযরত শায়েখ
আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছে দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি, তিনি প্রাথমিক
জীবনে পবিত্র মদীনা শরীফে দর্স দিতেন, উনাকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ দরস দেয়ার জন্য দিল্লী
ফিরে যেতে মুবারক নির্দেশনাদান করেন। সুবহানাল্লাহ!
তখন তিনি বিনীত
আরযু পেশ করেন যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জুদায়ী উনার কাছে বরদাশতযোগ্য নয়। এ প্রেক্ষিতে
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত শায়েখ
আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছে দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে সান্তনাদানপূর্বক ইরশাদ মুবারক
করেন যে, “হে আব্দুল হক মুহাদ্দিছে দেহলভী রহমতুল্লাহি
আলাইহি! আপনি দিল্লী চলে যান। সেখানে প্রতিদিন বদা ইশা’ মুরাক্বাবায় বসে আপনি আমার
পবিত্রতম দরবার শরীফে চলে আসবেন এবং আমার পবিত্রতম দীদার মুবারক হাছিল করবেন। তবে সেখানকার
ওলীআল্লাহ উনাদের প্রতি আপনি সুদৃষ্টি রাখবেন।” সুবহানাল্লাহ!চলবে
আবা-২৭১
0 Comments:
Post a Comment