ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাত্বিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার
স্মরণে-
একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-
মুবারক জীবন সায়াহ্নে এসে সার্বিক
ক্ষেত্রে সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার অতুলনীয় কামিয়াবী
প্রত্যক্ষ করে সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি পরম
ইতমিনান:
পবিত্র
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে:
ينزل على هذا البيت مائة
وعشرين رحمة ستون للطائفين اربعون للمصلين وعشرون للناظرين
অর্থ:
“পবিত্র কা’বা শরীফ উনার উপর প্রতিনিয়ত ১২০খানা রহমত মুবারক নাযিল হয়ে থাকেন।
যাঁরা পবিত্র কা’বা শরীফ তাওওয়াফ করেন, উনাদের জন্য ৬০খানা পবিত্র রহমত মুবারক, যাঁরা পবিত্র কা’বা শরীফে নামায আদায় করেন, উনাদের জন্য ৪০খানা পবিত্র রহমত মুবারক এবং যাঁরা পবিত্র কা’বা শরীফ উনার
প্রতি নেকনজরে দৃষ্টিপাত করেন, উনাদের জন্য
২০খানা পবিত্র রহমত মুবারক অবতীর্ণ হয়ে থাকেন।” সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র
কা’বা শরীফ হলো মাশুকে মাওলা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একখ- পবিত্র
নূর মুবারক দ্বারা তৈরি মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার কুদরতী ঘর
মুবারক। এই পবিত্র ঘর মুবারক উনার উপর প্রতিনিয়ত ১২০খানা পবিত্র রহমত মুবারক নাযিল
হয়ে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
তাহলে
যিনি কুল-কায়িনাতের রহমতের মূল, যিনি রহমতুল্লিল
আলামীন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং উনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি
ও যাবতীয় বিষেয়ের প্রতি কী পরিমাণ রহমত, বরকত,
সাকীনা মুবারক নাযিল হয়, তা একান্তভাবেই কুল-কায়িনাতবাসীর ফিকিরের বিষয়। সুবহানাল্লাহ!
প্রেক্ষিত
কারণে সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, আশরাফুল কায়িনাত ওয়াল মাখলূক্বাত, ছাহিবুল আম্বিয়া, ছাহিবু
শাফায়াতিল কুবরা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
পবিত্রতম অজুদ মুবারক এবং উনার পবিত্রম বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সঙ্গে
সরাসরি সম্পৃক্ত অনন্তকালব্যাপী জারিকৃত পবিত্রতম সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল
উনার প্রতি এবং উনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সম্মানিত ব্যক্তি ও তৎসংশ্লিষ্ট পবিত্র স্থান-কালের উপর কী পরিমাণ পবিত্র রহমত, বরকত,
সাকীনা মুবারক অবতীর্ণ হয়, তা জিন-ইনসানসহ কুল-কায়িনাতবাসীর উপলব্ধির সীমাহীন ঊর্ধ্বে। সুহানাল্লাহ!
বান্দা-বান্দী
ও জিন-ইনসানের জন্য পবিত্র রহমত, বরকত ও সাকীনা
হাছিলের ক্ষেত্রে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে:
من صلى على صلاة واحدة صلى
الله عليه عشر صلوات وحطت عنه عشر خطيات ورفعت له عشر درجات.
অর্থ:
“যে ব্যক্তি আমার প্রতি মাত্র একবার পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করেন, মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি তাঁর প্রতি
দশখানা রহমত মুবারক নাযিল করেন, দশটি গুনাহখাতা
ক্ষমা করেন এবং দশাখানা সম্মান-মার্যাদা বৃদ্ধি করেন।” সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে:
من صلى على صلوة واحدة صلى
الله عليه عشر صلوات ومن صلى على عشر صلوات صلى الله عليه مائة صلوات وكتب على جبهته
برائة من النار وبرائة من النفاق.
অর্থ: “যে ব্যক্তি আমার প্রতি মাত্র একবার পবিত্র
দুরূদ শরীফ পাঠ করেন, মহান আল্লাহ পাক
সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা তিনি তাঁর প্রতি দশখানা রহমত মুববারক নাযিল করেন। আর যে
ব্যক্তি দশবার পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করেন, মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা তিনি তাঁর প্রতি একশতখানা পবিত্র রহমত
মুবারক নাযিল করেন এবং তাঁর
কপালে কুদরতীভাবে লিখে দেন যে, এই ব্যক্তি
জাহান্নাম ও মুনাফিকী থেকে মুক্ত।” সুবহানাল্লাহ! (চলবে)
আবা-২৬৪
0 Comments:
Post a Comment