ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্
দা’ওয়াত, আফযালুল
ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাত্বিন, ছাহিবে ইস্মে
আ’যম, লিসানুল
হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের
সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম
উনার স্মরণে-
একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার
দিকে প্রস্থান-
মুবারক জীবন সায়াহ্নে এসে সার্বিক ক্ষেত্রে
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার অতুলনীয় কামিয়াবী প্রত্যক্ষ করে সাইয়্যিদুনা
হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি পরম ইতমিনান
মহান আল্লাহ
পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা এবং উনার প্রিয়তম
রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আখাছছুল
খাছ রহমত, দয়া, দান ও ইহসানে যে
সব নৈকট্যধন্য মাহবূব ওলীআল্লাহ এমন সীমাহীন উচ্চ মাক্বামে অধিষ্ঠিত হন, উনারা নূরে মুজাসসাম, মাশূকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বী মুহব্বতকারী এবং হাক্বীক্বী অনুসরণকারী
হিসেবে নিম্নে পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হয়ে থাকেন:
اِنَّا اَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ
অর্থ: (“হে আমার প্রিয়তম
হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাউছার মুবারক (সমস্ত ভালাই, অর্থাৎ সর্বোত্তম
ও সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামতসমূহ) হাদিয়া করেছি।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আল কাউছার শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ- ০১)
সাইয়্যিদুনা
হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি উল্লিখিত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ
মিছদাক্ব ছিলেন। এছাড়া, পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর আখিরাতের যিন্দিগীতেও তিনি
চূড়ান্ত কামিয়াবির সাথে পরমতম ইতমিনানে রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
মূলত হায়াতে
ত্বইয়্যিবাতে (দুনিয়াবী যিন্দেগীতে) তিনি পরিপূর্ণরূপে সম্মানিত কাউছার, অর্থাৎ সমস্ত কল্যাণ, অর্থাৎ সর্বোত্তম
ও সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামতসমূহ হাছিলে ধন্য হয়েছেন। মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা
এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কর্তৃক
ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ফখরুল আউলিয়া, আফদ্বালুল ইবাদ, মুসতাজাবুদ দাওয়াত, লিসানুল হক্ব, সাইয়্যিদুনা দাদা
হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাকে হাদিয়াকৃত কাউছার তথা সার্বিক কল্যাণ ও নিয়ামত
উনাদের সংখ্যা, পরিমাণ ও
পরিধি নির্ণয় বা বর্ণনা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কে
মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ
মুবারক করেন:
وَاِنْ تَعُدُّوْا نِعْمَةَ اللهِ
لَا تُحْصُوْاهَا
অর্থ: “তোমরা মহান আল্লাহ
পাক উনার নিয়ামত গণনা করে কখনোই শেষ করতে পারবে না।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা ইবরাহীম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ- ৩৪)
বাহ্যিকভাবে
আমরা দেখতে পাই, সাইয়্যিদুনা
হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার হাছিলকৃত সীমাহীন জাহিরী ও বাতিনী নিয়ামতসমূহের
মধ্যে সর্বোত্তম নিয়ামত হিসেবে তিনি ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল
আলামীন, আত ত্বহিরা, আত্ব ত্বইয়্যিবা, ক্বায়িম-মাক্বামে
উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম
উনাকে ছাহিবাতুল মুকাররমা (আহলিয়া) হিসেবে পেয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
এটিইতো স্বাভাবিক
ও সঙ্গত যে, একজন ওলীয়ে
মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ফখরুল আউলিয়া, মিছদাক্বে কুরআন
ওয়াল হাদীছ, ছাহিবে কাশফ
ওয়াল কারামত, ছাহিবে ইসমে
আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া
আলাইহিস উনার মহাসম্মানিত ছাহিবাতুল মুকাররমা হবেন একজন ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, আত্ব ত্বহিরা, আত্ব ত্বইয়্যিবা, ক্বায়িম-মাক্বামে
উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। যিনি পুত-পবিত্রতা এবং সীমাহীন
ইলিম, হিকমত, কারামত, কল্যাণ ও কামিয়াবীর
সীমাহীন উচ্চতায় অধিষ্ঠিতা। সুবহানাল্লাহ!চলবে
আবা-২৫৮
0 Comments:
Post a Comment