একজন কুতুবুজ্জামান- উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযুর ক্বিবলা সাইয়্যিদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-২১২

 

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাত্বিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে- 

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাত্বিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে-

একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-

মুবারক জীবন সায়াহ্নে এসে সার্বিক ক্ষেত্রে সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার অতুলনীয় কামিয়াবী প্রত্যক্ষ করে সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি পরম ইতমিনান:

 এভাবে দীর্ঘদিন চলার পর আরো অধিক নৈকট্য মুবারক হাছিলের জন্য একদিন তিনি বিনীত আরযু পেশ করেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মুবারক নির্দেশনাদান করেন যে, “আরো বেশি নৈকট্য পেতে হলে বর্তমান যামানায় আমার আখাছছুল খাছ লক্ষ্যস্থল শায়েখ আহমদ ফারুকী সিরহিন্দী হযরত মুজাদ্দিদে আলফেছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে গিয়ে মুরীদ হন।” সুবহানাল্লাহ!

এদিকে হযরত শায়েখ আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছে দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি তৎকালীন কিছু ছূফী, আলিম, ওলীআল্লাহ (যারা হযরত মুজাদ্দিদে আলফেছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিরোধী ছিলেন) উনাদের পরামর্শে হযরত মুজাদ্দিদে আলফেছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিরুদ্ধে কুফরী ফতওয়া সংবলিত কিতাব রচনা করেন এবং উনার বিরোধিতা করতে থাকেন। নাউযুবিল্লাহ!

এ পর্যায়ে নূরে মুজাসসাম,  হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক নির্দেশনা পাওয়ার প্রেক্ষিতে হযরত শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিছে দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিচলিত হয়ে উঠেন এবং নিজের ভুল বুঝতে পারেন। তিনি শায়েখ আহমদ ফারুকী সিরহিন্দী হযরত মুজাদ্দিদে আলফেছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রতি মন্দ ধারণা সমূলে পরিহার করেন। উনার বিরুদ্ধে লিখিত কিতাবাদি আগুনে জ্বালিয়ে বিনষ্ট করে ফেলেন এবং খালিছ তওবা ইস্তিগফার করে তিনি উনার পবিত্র ক্বদম মুবারকে হাজির হয়ে বাইয়াত হন। সুবহানাল্লাহ!

আলোচ্য মুবারক ঘটনা থেকে যে বিষয়টি সূক্ষ্মভাবে চিন্তা ও ফিকিরের তা হলো, হযরত শায়েখ আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি প্রতিদিন বাদ ইশা পবিত্র মুরাক্বাবার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম দীদার মুবারক লাভ করেতেন। সুবহানাল্লাহ! কিন্তু সেখানে তিনি হযরত মুজাদ্দিদে আলফেছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে দেখতে পেতেন না। অথচ তিনি যামানার দায়িমী লক্ষ্যস্থল। একইসঙ্গে তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে নিগূঢ়ভাবে নিসবতযুক্ত। সুবহানাল্লাহ! মূলত হযরত মুজাদ্দিদে আলফেছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সুমহান আরশে মুয়াল্লাহ উনার অধিবাসী হয়ে খ্বলিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার প্রিয়তম হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দায়িমী দীদার মুবারকে মশগুল রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৭২

0 Comments: