একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-
মুবারক জীবন সায়াহ্নে এসে সার্বিক ক্ষেত্রে সাইয়্যিদে
মুজাদ্দিদে আ’যম আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার অতুলনীয় কামিয়াবী প্রত্যক্ষ করে
সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা
আলাইহিস সালাম তিনি পরম ইতমিনান:
ইমামুল উমাম, মুজাদ্দিদে
মাদারযাদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা মামদূহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি মানুষের দুনিয়া ও আখিরাতের সার্বিক
কল্যাণসাধনে নিরন্তর নিয়োজিত রয়েছেন। উনার সমস্ত কার্যাবলী পরিপূর্ণরূপে পবিত্র
কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ,
পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফসম্মত, তথা চরম
ও পরমভাবে সংশোধিত,
ইছলাহপ্রাপ্ত ও সর্বত্রুটিমুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
একইভাবে ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে
রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার এবং উনার
ছহিবাতুল মুকাররমা ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত
দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার, অর্থাৎ উনাদের দুনিয়া ও আখিরাতের
যাবতীয় কার্যাবলী,
মানবকল্যাণে নিয়োজিত ছিলো বিধায়, চরম ও
পরমভাবে সংশোধিত,
ইছলাপ্রাপ্ত ও সর্বতোভাবে ত্রুটিমুক্ত। কাজেই, পরকালে
উনাদের শান-মান-মর্যাদা ও মাক্বাম কতো সীমাহীন উচ্চতায়, তা
প্রকাশের ভাষা সৃষ্টি হয়নি। সুবহানাল্লাহ!
প্রসঙ্গক্রমে এখানে
উল্লেখ্য, ওলীয়ে মাদারযাদ,
আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর
ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি আখাছছুল খাছভাবে গাউস শ্রেণীর শীর্ষস্থানীয় একজন
সূক্ষ্মদর্শী ওলীআল্লাহ ছিলেন। মুবারক সমগ্র জীবনব্যাপী তিনি অসংখ্য অগণিত জিন-ইনসানকে
সার্বিক সাহায্য-সহযোগিতা,
দয়া-দান- ইহসান করেছেন এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদদদান
করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
এ প্রেক্ষিতে তিনি
ইতোপূর্বে আলোচিত পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত ৭৩টি মাগফিরাত উনাদের পরিপূর্ণ
হক্বদার। তন্মধ্যে একটি হলো দুনিয়াবী যাবতীয় কার্যাবলী মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ
ওয়া তায়ালা এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন,
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনাদের নিগূঢ় নৈকট্য হাছিলের লক্ষ্যে সংশোধিত হয়েছে। আর সে মুবারক
কারণেই সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার পবিত্রতম
বিছালী শান মুবারক প্রকাশ অবধি তিনি নিরবচ্ছিন্নভাবে সম্মানিত সকল সুন্নত
সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাবে পালন করেছেন এবং সর্বতোভাবে সম্মানিত শরীয়ত উনার পাবন্দী
করেছেন। প্রেক্ষিত কারণেই উনার জায়গা-জমিতে পবিত্র রাজারবাগ শরীফে কায়িনাতের
শ্রেষ্ঠতম দরবার শরীফ উনার মুবারক ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন,
নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার
মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক
করেন:
لَا يَزَالُ عَبْدِىْ يَتَقَرَّبُ اِلَـيَّ بِالنَّوَافِلِ حَتّٰـى اُحِبَّهٗ، فَإِذَا اَحْبَبْتُهٗ كُنْتُ سَـمْعَهُ الَّذِىْ يَسْمَعُ بِهٖ، وَبَصَرَهُ الَّذِىْ يُبْصِرُ بِهٖ، وَيَدَهُ الَّتِـىْ يَبْطِشُ بِـهَا، وَرِجْلَهُ الَّتـِىْ يَـمْشِىْ بِهَا، وَلَئِنْ سَأَلَنِـىْ لَأُعْطِيَنَّهٗ، وَلَئِنْ اِسْتَعَاذَنِـىْ لَأُعِيْذَنَّهٗ
অর্থ: “আমার
বান্দা-বান্দিরা নফল ইবাদত করতে করতে আমার এমন নৈকট্য হাছিল করে যে, আমি সে
বান্দা-বান্দিকে মুহব্বত করি। আর আমি যখন তাকে মুহব্বত করি, তখন আমি
তার কান হয়ে যাই। সে আমার কুদরতী কান মুবারকে শোনে। আমি তার চক্ষু হয়ে যাই। সে
আমার কুদতরী চক্ষু মুবারকে দেখে। আমি তার হাত হয়ে যাই। সে আমার কুদরতী হাত মুবারকে
ধরে। আমি তার পা হয়ে যাই। সে আমার কুদরতী পা মুবারকে চলাচল করে। সে অবস্থায় ওই
বান্দা-বান্দি যদি আমার কাছে কিছু আরজু করে, আমি তৎক্ষণাৎ তাকে তা দান করি।”
সুবহানাল্লাহ! (চলবে)
আবা-২৭০
0 Comments:
Post a Comment