ঝ) দান বাক্স ও হাদিয়া বাক্সের প্রচলন ও সম্প্রসারণ
পনেরো শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ হযরত সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম উনার এক অনবদ্য তাজদীদ মুবারক হচ্ছে দান বাক্সের প্রচলন। সুবহানা মামদুহ হযরত মুরশিদ কিবলা আলাইহিস সালাম।
কোথাও যাচ্ছেন, পথে একটা দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেলেন। অথবা একটা দুঃস্বপ্ন দেখে চিৎকার দিয়ে জেগে উঠলেন, তখন আপনার নিকটজন বিশেষ করে মা বাবা হয়তো বলবেন সদকা করে দিও। এই সদকা হতে পারে খাসি, মুরগী এরকম কিছু। কিন্তু বর্তমান সমাজের ১০ ভাগ মানুষের সদকার প্রতি বিশ্বাস নেই। ৩০ ভাগ মানুষের জানের বিনিময়ে জান সদকা করার বিষয়টি জানা থাকলেও সদকা না দেয়ার অভ্যাসের কারণে বা কাকে, কোথায় দিতে হবে এসব ভাবতে ভাবতে সদকা করতে ভুলে যান। আর ৬০ ভাগ মানুষ সদকা আদায় করলেও ৬০ ভাগের মাত্র ১০ ভাগ সঠিক জায়গায় সদকা পৌছাতে পারেন।
যারা সদকা করা বিশ্বাস করেন না তাদের জন্য আমার আলোচনা নয়।
যারা সদকা দেয়ার গুরুত্ব বিশ্বাস করেন কিন্তু দিতে ভুলে যান তাদের বলছি, একটা খাসী বা মুরগী কিনেই শুধু সদকা করতে হয় তা কিন্তু নয় আপনি সমপরিমাণ টাকাও দান করতে পারেন। আর সদকা দেবার উত্তম জায়গা হচ্ছে লিল্লাহ বোর্ডিং যুক্ত মাদরাসা এতিম খানা। ফলে সদকা দেয়ার বিষয় ভুলে না গিয়ে দ্রুত আদায় করে নেয়া উত্তম।
৬০ ভাগের মাত্র ১০ ভাগ মানুষ সঠিক জায়গা দিতে পারেন অর্থাৎ যে ৫০ ভাগ মানুষ ভুল জায়গা দিয়ে থাকেন তার অর্থ হচ্ছে যে সব মাদ্রাসায় লিল্লাহ বোর্ডিং নেই সেখানে বা অন্য কোথাও পৌছিয়ে থাকে।আবার যেসব মাদরাসা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সেখানেও সদকা দিলে তা আদায় হবে না।
দান সদকা করার সহজ পথঃ
হাদিস শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়েছে "সফরে যাবার পূর্বে কেও দান করে বের হলে সফর থেকে প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত ফিরিশতা আলাইহিমুস সালাম উনাকে পাহারা দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন"।
সুতরাং আপনি ঘরে একটি দান বাক্স রাখতে পারেন । ঘর থেকে বের হবার সময় দান করতে চাইলে তখন ফকির , মিসকিন, এতিম খানা কোথায় পাবেন? ফলে আপনি যদি একটি দান বাক্স বাসায় রাখেন তাহলে বের হবার সময়, দুঃস্বপ্ন দেখে দেখে ঘুম থেকে উঠার পর, ভাল কিছু করার আগে নিয়ত করে সেখানে ফেলতে পারেন। দান বাক্সের ফযিলত নিয়ে হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,
কোথাও যাচ্ছেন, পথে একটা দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেলেন। অথবা একটা দুঃস্বপ্ন দেখে চিৎকার দিয়ে জেগে উঠলেন, তখন আপনার নিকটজন বিশেষ করে মা বাবা হয়তো বলবেন সদকা করে দিও। এই সদকা হতে পারে খাসি, মুরগী এরকম কিছু। কিন্তু বর্তমান সমাজের ১০ ভাগ মানুষের সদকার প্রতি বিশ্বাস নেই। ৩০ ভাগ মানুষের জানের বিনিময়ে জান সদকা করার বিষয়টি জানা থাকলেও সদকা না দেয়ার অভ্যাসের কারণে বা কাকে, কোথায় দিতে হবে এসব ভাবতে ভাবতে সদকা করতে ভুলে যান। আর ৬০ ভাগ মানুষ সদকা আদায় করলেও ৬০ ভাগের মাত্র ১০ ভাগ সঠিক জায়গায় সদকা পৌছাতে পারেন।
যারা সদকা করা বিশ্বাস করেন না তাদের জন্য আমার আলোচনা নয়।
যারা সদকা দেয়ার গুরুত্ব বিশ্বাস করেন কিন্তু দিতে ভুলে যান তাদের বলছি, একটা খাসী বা মুরগী কিনেই শুধু সদকা করতে হয় তা কিন্তু নয় আপনি সমপরিমাণ টাকাও দান করতে পারেন। আর সদকা দেবার উত্তম জায়গা হচ্ছে লিল্লাহ বোর্ডিং যুক্ত মাদরাসা এতিম খানা। ফলে সদকা দেয়ার বিষয় ভুলে না গিয়ে দ্রুত আদায় করে নেয়া উত্তম।
৬০ ভাগের মাত্র ১০ ভাগ মানুষ সঠিক জায়গা দিতে পারেন অর্থাৎ যে ৫০ ভাগ মানুষ ভুল জায়গা দিয়ে থাকেন তার অর্থ হচ্ছে যে সব মাদ্রাসায় লিল্লাহ বোর্ডিং নেই সেখানে বা অন্য কোথাও পৌছিয়ে থাকে।আবার যেসব মাদরাসা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সেখানেও সদকা দিলে তা আদায় হবে না।
দান সদকা করার সহজ পথঃ
হাদিস শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়েছে "সফরে যাবার পূর্বে কেও দান করে বের হলে সফর থেকে প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত ফিরিশতা আলাইহিমুস সালাম উনাকে পাহারা দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন"।
সুতরাং আপনি ঘরে একটি দান বাক্স রাখতে পারেন । ঘর থেকে বের হবার সময় দান করতে চাইলে তখন ফকির , মিসকিন, এতিম খানা কোথায় পাবেন? ফলে আপনি যদি একটি দান বাক্স বাসায় রাখেন তাহলে বের হবার সময়, দুঃস্বপ্ন দেখে দেখে ঘুম থেকে উঠার পর, ভাল কিছু করার আগে নিয়ত করে সেখানে ফেলতে পারেন। দান বাক্সের ফযিলত নিয়ে হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,
১) যিনি দানশীল তিনি আল্লাহ পাক উনার বন্ধু। তাহলে দান বাক্স রাখার মাধ্যমে আল্লাহ পাক উনার বন্ধু হবার সুযোগ পাওয়া যায়।
اَلسَّخِىُ حَبِيْبُ الله وَلَوْ كَانَ فَاسِقًا اَلْبَخِيْلُ عَدُوُّ الله وَلَوْ كَانَ عَابِدًا
অর্থ: দানশীল আল্লাহ পাক উনার বন্ধু যদিও সে ফাসিক হোক না কেন । আর বখীল আল্লাহ পাক উনার শত্রু যদিও সে আবিদ হোক না কেন ।
২) সচ্ছলতাঃ বৃদ্ধি পায় কমপক্ষে ৭০০ গুণ।
যা দান করা হবে মহান আল্লাহ পাক তা ৭ গুন, ৭০০ গুন এভাবে বাড়িয়ে প্রতিদান দেবেন। নিয়তের বিশুদ্ধতার উপর সওয়াবের পরিমাণ নির্ভর করে।
كَمَثَلِ حَبَّةٍ أَنبَتت سَبْعَ سَنَابِلَ فِي كُلِّ سُنبُلَةٍ مِّائَةُ حَبَّةٍ ۗ وَاللهُ يُضَاعِفُ لِمَن يَشَاءُ ۗ وَاللهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
অর্থ: “যারা মহান আল্লাহ পাক উনার পথে ধন-সম্পদ ব্যয় করে তাদের উদাহরণ হলো সেই শস্য দানার মতো যা থেকে গজায় সাতটি শীষ, প্রত্যেকটি শীষে ১০০টি করে দানা (উৎপন্ন) হয়। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে চান বহুগুণে বাড়িয়ে দেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রাচুর্য্যময়, প্রশস্ত, সর্বজ্ঞানী।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬১)
৩) দানশীলতা আত্মার একটি গুন। দান বাক্সে অর্থ রাখার মাধ্যমে সে গুন বিকশিত হয়। সাখাওয়াতের মাধ্যমে হাবীবুল্লাহ হওয়া যায়।
৪) দান বাক্সে টাকা রাখার মাধ্যমে নিজেকে ফিরিশতা আলাইইমুস সালাম উনাদের দ্বারা সুরক্ষিত হওয়া যায়। দান করে ঘরের বাইরে বের হলে, প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত পথের নিরাপত্তার জন্য ২ জন হযরত ফিরিশতা আলাইহিমুস সালাম নিযুক্ত থাকেন।
৫) কোন দুঃস্বপ্ন দেখে দান বাক্সে টাকা ফেলে সেই স্বপ্নকে ভাল দিকে নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ পাওয়া যায়। সাধারণভাবে বলা হয় প্রথম স্বপ্নের যে তাবির করা হয় তাই ফলে সে কারণে কেও কারো কাছে স্বপ্ন ব্যাখ্যা করলে বলতে হয় যা দেখেছেন উত্তম দেখেছেন। তাহলে দান করা হলে মহান আল্লাহ পাক চাহেনতো সেই স্বপনের ফল ভাল হবে।
৬) জমাকৃত টাকা মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ও এতিমখানায় পাঠালে তখন তা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জায়গায় পাঠানো হল।
৭) দান বাক্সে টাকা ফেললে বালা-মুছিবত দূর হয়।
الصدقة ترد البلاء
অর্থ : “দান-ছদকা বালা-মুছীবত দূর করে।” (দারিমী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
৮) মাল-সম্পদ বৃদ্ধি হয়।
ما نقصت صدقة من مال
অর্থ: দানে সম্পদ কমেনা। (মিশকাত শরীফ)
৯) রিযিকের সংকির্ণতা দূর হয়
وَمَن قُدِرَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ فَلْيُنفِقْ مِمَّا آتَاهُ اللَّـهُ ۚ لَا يُكَلِّفُ اللَّـهُ نَفْسًا إِلَّا مَا آتَاهَا ۚ سَيَجْعَلُ اللَّـهُ بَعْدَ عُسْرٍ يُسْرًا ﴿٧﴾
অর্থ: কেউ যদি মনে করে তার রিযিকে সংকির্ণতা রয়েছে তাহলে সে যেন মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করে। মহান আল্লাহ পাক তিনি সাধ্যের বাইরে কাউকে কষ্ট দেননা। অচেরই মহান আল্লাহ পাক তাকে স্বচ্চলতা দান করবেন। (পবিত্র সূরা: আত তলাক্ব; আয়াত শরীফ-৭)
১০) যে কোন ভালো কাজ শুরু করার আগে দান বাক্সে টাকা ফেললে বরকত লাভ হয়।
১১) রোগ-বালাই থেকে মুক্তি লাভ করা যায়
১২) নেক মাকছুদ পুরণ হয়।
১৩) পবিত্রতা অর্জন হয় : হারাম থেকে বেঁচে থাকা, মাল-সম্পদ হারাম থেকে পবিত্র হয় ।
خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيهِم بِهَا وَصَلِّ عَلَيْهِمْ ۖ إِنَّ صَلَاتَكَ سَكَنٌ لَّهُمْ ۗ وَاللهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
পবিত্র সূরা তওবা শরীফ-পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৩
১৪) হযরত ফেরাশতা আলাইহিস সালাম প্রতিদানের জন্য দোয়া করেন (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
আপনার করনীয়ঃ
১) একটি দান বাক্স নিজ উদ্যোগে সংগ্রহ করতে হবে।
২) সেখানে দান করার নিয়তে টাকা ফেলার অভ্যাস গড়তে হবে।
৩) প্রতি মাসে মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ও এতিমখানায় টাকা পাঠানোর বা দান বাক্স পাঠাবার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪) অন্যদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে একটি তালিকা করে উনাদের দান বাক্সের ফযিলত সম্পর্কে বলার অভ্যাস করতে হবে।
৫) মাস শেষে আপনার দান বাক্স সহ অন্য যাদের দান বাক্স দেয়া হয়েছে তা পৌছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
বিশেষভাবে স্মরণীয়ঃ আজকে কোয়ান্টাম সহ বিভিন্ন বাতিল আকিদার লোক মানুষের বাসায়, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তাদের মাটির ব্যঙ্ক দিয়ে যাচ্ছে এতে নীচের ক্ষতি গুলো হচ্ছে
১) মানুষের টাকা বাতিলদের কাছে যাচ্ছে যা দ্বারা ইসলাম উনার ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।
২) যারা হকদ্বার উনারা বঞ্চিত হচ্ছেন।
৩) আপনি দান বাক্স না রাখার কারণে আপনার ভাই বা বন্ধু বা ব্যবসায়িক পার্টনার তিনি অন্য বাতিলদের বাক্স এনে রেখে দিচ্ছে। ফলে এই দান বাক্সের গুরুত্ব আমাদের উপলব্ধি করতে হবে এবং এই বিষয়ে কাজ করার জন্য সচেষ্ট হতে হবে।
اَلسَّخِىُ حَبِيْبُ الله وَلَوْ كَانَ فَاسِقًا اَلْبَخِيْلُ عَدُوُّ الله وَلَوْ كَانَ عَابِدًا
অর্থ: দানশীল আল্লাহ পাক উনার বন্ধু যদিও সে ফাসিক হোক না কেন । আর বখীল আল্লাহ পাক উনার শত্রু যদিও সে আবিদ হোক না কেন ।
২) সচ্ছলতাঃ বৃদ্ধি পায় কমপক্ষে ৭০০ গুণ।
যা দান করা হবে মহান আল্লাহ পাক তা ৭ গুন, ৭০০ গুন এভাবে বাড়িয়ে প্রতিদান দেবেন। নিয়তের বিশুদ্ধতার উপর সওয়াবের পরিমাণ নির্ভর করে।
كَمَثَلِ حَبَّةٍ أَنبَتت سَبْعَ سَنَابِلَ فِي كُلِّ سُنبُلَةٍ مِّائَةُ حَبَّةٍ ۗ وَاللهُ يُضَاعِفُ لِمَن يَشَاءُ ۗ وَاللهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
অর্থ: “যারা মহান আল্লাহ পাক উনার পথে ধন-সম্পদ ব্যয় করে তাদের উদাহরণ হলো সেই শস্য দানার মতো যা থেকে গজায় সাতটি শীষ, প্রত্যেকটি শীষে ১০০টি করে দানা (উৎপন্ন) হয়। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে চান বহুগুণে বাড়িয়ে দেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রাচুর্য্যময়, প্রশস্ত, সর্বজ্ঞানী।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬১)
৩) দানশীলতা আত্মার একটি গুন। দান বাক্সে অর্থ রাখার মাধ্যমে সে গুন বিকশিত হয়। সাখাওয়াতের মাধ্যমে হাবীবুল্লাহ হওয়া যায়।
৪) দান বাক্সে টাকা রাখার মাধ্যমে নিজেকে ফিরিশতা আলাইইমুস সালাম উনাদের দ্বারা সুরক্ষিত হওয়া যায়। দান করে ঘরের বাইরে বের হলে, প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত পথের নিরাপত্তার জন্য ২ জন হযরত ফিরিশতা আলাইহিমুস সালাম নিযুক্ত থাকেন।
৫) কোন দুঃস্বপ্ন দেখে দান বাক্সে টাকা ফেলে সেই স্বপ্নকে ভাল দিকে নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ পাওয়া যায়। সাধারণভাবে বলা হয় প্রথম স্বপ্নের যে তাবির করা হয় তাই ফলে সে কারণে কেও কারো কাছে স্বপ্ন ব্যাখ্যা করলে বলতে হয় যা দেখেছেন উত্তম দেখেছেন। তাহলে দান করা হলে মহান আল্লাহ পাক চাহেনতো সেই স্বপনের ফল ভাল হবে।
৬) জমাকৃত টাকা মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ও এতিমখানায় পাঠালে তখন তা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জায়গায় পাঠানো হল।
৭) দান বাক্সে টাকা ফেললে বালা-মুছিবত দূর হয়।
الصدقة ترد البلاء
অর্থ : “দান-ছদকা বালা-মুছীবত দূর করে।” (দারিমী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
৮) মাল-সম্পদ বৃদ্ধি হয়।
ما نقصت صدقة من مال
অর্থ: দানে সম্পদ কমেনা। (মিশকাত শরীফ)
৯) রিযিকের সংকির্ণতা দূর হয়
وَمَن قُدِرَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ فَلْيُنفِقْ مِمَّا آتَاهُ اللَّـهُ ۚ لَا يُكَلِّفُ اللَّـهُ نَفْسًا إِلَّا مَا آتَاهَا ۚ سَيَجْعَلُ اللَّـهُ بَعْدَ عُسْرٍ يُسْرًا ﴿٧﴾
অর্থ: কেউ যদি মনে করে তার রিযিকে সংকির্ণতা রয়েছে তাহলে সে যেন মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করে। মহান আল্লাহ পাক তিনি সাধ্যের বাইরে কাউকে কষ্ট দেননা। অচেরই মহান আল্লাহ পাক তাকে স্বচ্চলতা দান করবেন। (পবিত্র সূরা: আত তলাক্ব; আয়াত শরীফ-৭)
১০) যে কোন ভালো কাজ শুরু করার আগে দান বাক্সে টাকা ফেললে বরকত লাভ হয়।
১১) রোগ-বালাই থেকে মুক্তি লাভ করা যায়
১২) নেক মাকছুদ পুরণ হয়।
১৩) পবিত্রতা অর্জন হয় : হারাম থেকে বেঁচে থাকা, মাল-সম্পদ হারাম থেকে পবিত্র হয় ।
خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيهِم بِهَا وَصَلِّ عَلَيْهِمْ ۖ إِنَّ صَلَاتَكَ سَكَنٌ لَّهُمْ ۗ وَاللهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
পবিত্র সূরা তওবা শরীফ-পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৩
১৪) হযরত ফেরাশতা আলাইহিস সালাম প্রতিদানের জন্য দোয়া করেন (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
আপনার করনীয়ঃ
১) একটি দান বাক্স নিজ উদ্যোগে সংগ্রহ করতে হবে।
২) সেখানে দান করার নিয়তে টাকা ফেলার অভ্যাস গড়তে হবে।
৩) প্রতি মাসে মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ও এতিমখানায় টাকা পাঠানোর বা দান বাক্স পাঠাবার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪) অন্যদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে একটি তালিকা করে উনাদের দান বাক্সের ফযিলত সম্পর্কে বলার অভ্যাস করতে হবে।
৫) মাস শেষে আপনার দান বাক্স সহ অন্য যাদের দান বাক্স দেয়া হয়েছে তা পৌছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
বিশেষভাবে স্মরণীয়ঃ আজকে কোয়ান্টাম সহ বিভিন্ন বাতিল আকিদার লোক মানুষের বাসায়, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তাদের মাটির ব্যঙ্ক দিয়ে যাচ্ছে এতে নীচের ক্ষতি গুলো হচ্ছে
১) মানুষের টাকা বাতিলদের কাছে যাচ্ছে যা দ্বারা ইসলাম উনার ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।
২) যারা হকদ্বার উনারা বঞ্চিত হচ্ছেন।
৩) আপনি দান বাক্স না রাখার কারণে আপনার ভাই বা বন্ধু বা ব্যবসায়িক পার্টনার তিনি অন্য বাতিলদের বাক্স এনে রেখে দিচ্ছে। ফলে এই দান বাক্সের গুরুত্ব আমাদের উপলব্ধি করতে হবে এবং এই বিষয়ে কাজ করার জন্য সচেষ্ট হতে হবে।
0 Comments:
Post a Comment