রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪০(খ)

রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪০(খ)
কোটি কোটি কন্ঠে মিলাদ শরীফ পাঠ উনার কার্যক্রম (দুই)
কোটিকন্ঠে মিলাদ শরীফ উনার প্রথম অনুষ্ঠান পালিত হয় ১৪৩৭ সালের পবিত্র ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ। দেশের জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অগনিত মানুষ সমবেত হয়ে পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ উনার পতাকা বহন করে ফাল ইয়াফ রাহু শরীফ পালন করেন সুবহানাল্লাহ। ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে মানুষ বাস-ট্রাক-গাড়ী-রিকশা করে এসে সেখানে ভিড় জমান। ট্রাকের উপর দাঁড়িয়ে উচ্চকন্ঠে মিলাদ শরীফ পাঠ শুরু হলে দূর দুরান্ত থেকে আগত সকল মানুষ পবিত্র মিলাদ শরীফ উনার সাথে পাঠ শুরু করলে এক জান্নাতি পরিবেশ সেখানে রচিত হয় ।সুবহানাল্লাহ। পবিত্র মিলাদ শরীফ পাঠ শেষে সম্মানিত রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার পক্ষ থেকে মুবারক তবারুকের ব্যবস্থা করা হয়। একইভাবে ১৪৩৮ সালেও দেশের জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনেই কোটি কন্ঠে মিলাদ শরীফ উনার অনুষ্ঠান পালিত হয়। কিন্তু ১৪৩৯ সালে ঘটে এক অভাবনীয় ঘটনা।
১৪৩৯ সালের ১২ ই রবীউল আউয়াল শরীফে কোটি কোটি কন্ঠে মিলাদ শরীফ উনার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় দরবার শরীফ উনার সামনের রাস্তায়। এ বছর খৃস্টানদের ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের তথাকথিত ধর্মযাজক পোপ ফেন্সিস বাংলাদেশে আসা উপলক্ষে সরকার ঢাকার অনেক স্থানে সভা সমিতি করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করে। এমনকি পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ উপলক্ষেও কোন র‍্যালী, মিছিল, সভাসমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আনে । নাউযুবিল্লাহ। এ সংবাদ শুনে যামানার সুমহান মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন এবং রিট করার নির্দেশ মুবারক দান করেন। অথচ এই রিট দাখিলের জন্য মাত্র হাতে সময়ছিল একদিন অর্থাৎ তার পরের দিন পালিত হবে সেই সু-সমহান সম্মানিত ১২ই শরীফ। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক উনার অসীম রহমত এবং যামানার সুমহান মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইইস সালাম উনার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার সঙ্গে নিসবত মুবারক থাকার কারণে সহজেই সকল কিছু পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন করার পক্ষে চলে আসে । সুবহানাল্লাহ।
সে বছর বিভিন্ন রুটে ১২ টি করে গাড়ী করে মোট ১০০ টি গাড়ী শহর প্রদক্ষিনে বের হয় এবং সাথে থাকে অনেক মোটর বাইক। তাছাড়া ঘোড়া চালিত যানবাহনও পবিত্র ফাল ইয়াফরাহু শরীফ পালন উপলক্ষ্যে শহর প্রদক্ষিণ করে।
শহরের বিভিন্ন স্থানে গাড়ী সমূহ থেমে পবিত্র মিলাদ শরীফ পাঠ করে আবার যাত্রা শুরু করে এভাবে সকাল ১১ টার মধ্যে প্রদক্ষিণ শেষে সকলেই জমায়েত হন পবিত্র দরবার শরীফ উনার সামেন। অতঃপর মুহু মুহু তাকবীর ধ্বনিতে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হতে থাকে। এখানে সকলে জমায়েত হবার পর পুনরায় মিলাদ শরীফ পাঠ করা হয় এবং সকল মানুষকে সম্মানিত তাবারুক বন্টন করা হয়।সে বছর ১২ হাজার তবারুকের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু যামানার সুমহান মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন যেদিন ১২০০ কোটি তাবারুকের ব্যবস্থা করা যাবে তখনি কেবল ভাবা যেতে পারে কিছু করার চেস্টা করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ। কোটি কোটি কন্ঠে মিলাদ শরীফ এমন এক মহান অনুষ্ঠান যার মাধ্যমে দেশের সকল মানুষ সহ বিশ্বের সকল মানুষের বিশেষ রহমত প্রাপ্তির এক বিরাট উপলক্ষ্য তৈরি হয়েছে আর সে পথ রচনা করে দিয়েছেন পনেরো শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম। উনার চিন্তা-উপলব্ধি সাধারণ মানুষের ধারণ করার অনেক অনেক উরদ্ধে।সুবহানাল্লাহ।

0 Comments: