রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪০(ক)

রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-৪০(ক)
কোটি কন্ঠে মিলাদ শরীফ পাঠ উনার কার্যক্রম (এক)
সময়টা চলছে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের। সারা বিশ্বজুড়ে কাফির-মুশরিকদের একটাই লক্ষ্য কি করে মুসলমান উনাদের ঈমান আনার পর আবার কি করে কাফির বানানো যায়। সারা বিশ্বজুড়ে বিধর্মীরা ইসলাম উনার সুশীতল তলে যেভাবে আশ্রয় নিচ্ছে এ বিষয়টিকেও বাধাগ্রস্ত করা যায়। কাফির- মুশরিকরা নানা অপকর্ম ঘটিয়ে মিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরছে মুসলমানগণ হচ্ছে সন্ত্রাসী। নাউযুবিল্লাহ। পাশাপাশি ইউনেস্কোর সহায়তায় নানা মুসলিম দেশে চলছে ইসলাম বিরোধী, ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুন বিরোধী কর্মকাণ্ড অর্থাৎ সাংস্কৃতিক আগ্রাসন যাতে মুসলমানগণ সহজেই ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে ঈমান হারিয়ে ফেলে।
এক ধরণের নর্তন কুর্দন কে সুফী নৃত্যের নামে তুরস্কে প্রচার প্রসারের নেপথ্যে রয়েছে ইহুদী সংঘের এই ইউনেস্কো। বাংলাদেশে কাফির লালন এবং তার অসামাজিক কার্যক্রমকে একজন আধ্যাত্মিক মানুষ ও তার ঈশ্বর পাবার উপায় হিসেবে জনমত তৈরির নেপথ্যেও আছে এই ইউনেস্কো। এই ইহুদী সংঘের সরাসরি মদদ ছাড়াও তাদের সমর্থনে প্রতিটি মুসলিম দেশে অনেক কর্পোরেট সংস্থাও নানান কার্যক্রম হাতে নিয়ে থাকে যাতে সেই মুসলিম দেশের ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুন নস্ট হয়ে যায়। বাংলাদেশে প্রথম আলো পত্রিকার ট্রান্সকম গ্রুপ ও ব্র্যাক এ দেশে এরকম অনেক ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার শান মান খিলাপ করে কার্টুন আকার দুঃসাহস দেখিয়েছিল এই প্রথম আলো পত্রিকা। নাউযুবিল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব পড়ে যাওয়াতে প্রথম নিষেধাজ্ঞা আনে ব্র্যাক গ্রুপ।
বাংলাদেশ সরকার ২০১৮ সালে আয়োজন করে খুব বড় করে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার অনুষ্ঠান। এতে মাদরাসার ছাত্রদেরকেও বাধ্য করা হয় গান গাইবার জন্য। এই কর্মসূচি সফল করতে গত ২০ জানুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ দেশব্যাপী প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে দলগত জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান করা হয় । এতে ৬৪টি জেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসার ৬২ লাখ ৫২ হাজার ৩৫৩ জন ছাত্র, ৬৩ লাখ ৭০ হাজার ২৯৫ জন ছাত্রী (মোট ১ কোটি ২৬ লাখ ২২ হাজার ৬৪৮ জন শিক্ষার্থী) অংশগ্রহণ করে। নাউযুবিল্লাহ।
এ ছাড়া ভারতীয় কোম্পানি রবি আজিয়াটার উদ্যোগে এদেশে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ঠায় দাঁড়িয়ে ২৭ হাজার ১১৭ জন মানুষ পতাকা তৈরি করে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার অনুষ্ঠান করে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব জাতীয় পতাকা নির্মাণের লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর সহায়তায় এই আয়োজন করেছিল রবি নামে ভারতীয় কোম্পানী। অথচ তার এক বছর পূর্বে পাকিস্তানে ২৪ হাজার ২০০ মানুষ নিয়ে সবচেয়ে বড় জাতীয় পতাকা তৈরি হয়েছিল। অথচ এ সকল অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে আসলে কোন জাতীয়তাবোধ, দেশাত্মবোধ জাগ্রত হয়না, হয় নারী-পুরুষে একাকার হয়ে হারাম কাজ পালন। এগুলো মানুষের চেতনার মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া করে। কর্পোরেট সংস্থাগুলো এক ধরণের বিজ্ঞাপনের নামে আয়োজন করে এই অনুষ্ঠান আর ক্ষমতাশীল দলগুলো রাজনীতি হিসেবে ব্যবহার করে এই বিশয়গুলোকে। অথচ মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের খাওয়ান-পরান, লালন-পালন করেন , নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি রহমতুল্লিল আলামীন হিসেবে আমাদের রহমত মুবারক দ্বারা বেস্টন করে আছেন, উনারাই হচ্ছেন সকল প্রশংসার মূল এবং প্রশংসা পাবার একমাত্র দাবীদার। অথচ উনাদের সানা সিফত প্রকাশের লক্ষ্যে কোথাও কোন আয়োজন নেই, অনুষ্ঠান নেই। সকল দেশপ্রেম, ন্যায়-নীতি অর্জন হবে কেবল মাত্র উনাদের অনুসরণের মাধ্যমে উনাদের সানা-সিফত প্রকাশের মাধ্যমে। সুবহানাল্লাহ। তার তাই ১৫ শতকের সুমহান মুজাদ্দিদ, হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিসসালাম তিনি এই হারাম বিষয়গুলোর প্রতিবাদের লক্ষ্যে এবং সারা দেশ ও বিশ্বসহ রহমত প্রাপ্তির এক বিরল উপলক্ষ্য তৈরির জন্য আয়োজন করেন " কোটি কন্ঠে মিলাদ শরীফ পাঠ" উনার কার্যক্রম । কাফির মুশরিকরা যেখানে আমাদের চেতনাকে নস্ট করতে চায় সেখানে হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি মুসলমান উনাদের চেতনাকে জাগ্রত করার লক্ষ্যে আয়োজন করেন এবং করে যাচ্ছেন এই বিশেষ অনুষ্ঠান। সুবহানাল্লাহ।

0 Comments: