সুওয়াল : আমি ব্যবসায়িক কারণে শ্রীমঙ্গল গিয়েছিলাম, সেখানকার
এক মসজিদের ইমাম সাহেব আমাকে জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় আল
বাইয়্যিনাত কর্তৃপক্ষের সাথে আজিজুল হক সাহেবের যে বহাস হয়েছিল, তাতে
নাকি আল বাইয়্যিনাত কর্তৃপক্ষ লা-জাওয়াব হয়েছিলেন, এটা কতটুকু সঠিক?
জাওয়াব : উক্ত সুওয়াল পেয়ে আমরা অত্যান্ত আশ্চর্য হয়েছি যে, একজন
মসজিদের ইমাম সাহেবের পক্ষে বিনা তাহক্বীকে এতবড় ডাহা মিথ্যা কথা বলা কিরূপে সম্ভব
হলো। কারণ আজিজুল হক সাহেবের সাথে আমাদের এ যাবৎ কোথাও বাহাস হয়নি, বরং আমরা
আজিজুল হক সাহেবকে সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় আলোচনাকালে চকবাজার অথবা
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় বাহাস করার জন্য কয়েকবারই বলি, কিন্তু
তারা তাতে রাজি হয়নি বরং অসম্মতি প্রকাশ করে বলে যে, বাহাস করলে মারামারি হবে। এছাড়াও
আমরা লোক মারফত তাঁকে কয়েকবার বাহাসের জন্য বলেছি, তাতেও সে রাজি হয়নি। সম্ভবতঃ এ
ইমাম সাহেব তথাকথিত একটা মাসিক পত্রিকার উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা প্ররোচনামূলক লিখা
পড়ে এ কথা বলেছেন। ইমাম সাহেবের পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ঐ পবিত্র আয়াত শরীফ
সম্বন্ধে জানা উচিৎ ছিল। যাতে বলা হয়েছে- “হে ঈমানদারগণ! যদি কোন ফাসিক ব্যক্তি তোমাদের নিকট কোন খবর আনে, তাহলে
তোমরা তা যাচাই করে দেখবে।”
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে
উল্লেখ আছে- “কোন ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট, সে যা
শুনে তাই বলে।”
ইমাম সাহেব শুনা কথায় বিশ্বাস করে এবং তা প্রচার করে অপবাদ বা তোহমতের গুণাহের
কাজ করেছেন। আজিজুল হক সাহেব গং যে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে এবং ছড়িয়েছে, সে
সম্পর্কে প্রকৃত ঘটনা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় কি ঘটেছিল, তা জানতে
হলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার ১৩তম, ১৪তম এবং ১৬তম সংখ্যা পড়ুন, সাথে
সাথে যে কোন বিষয়ে যে কোন স্থানে বাহাসেরও চ্যালেঞ্জ রইলো আল
বাইয়্যিনাত কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। ইনশাআল্লাহ!
আবা-১৭
0 Comments:
Post a Comment