৬৩৪ নং- সুওয়াল : প্রচলিত তাবলীগের কেউ কেউ বলে থাকে যে, প্রচলিত ছয় উছূলী তাবলীগে অংশ গ্রহণ না করলে ও চিল্লা না দিলে ঈমান ও এক্বীন সহীহ হয়না। তাই সাধারণ লোক ইছলাহ প্রাপ্ত হওয়ার জন্য তিন চিল্লার দরকার। তাদের উপরোক্ত বক্তব্য কতটুকু শরীয়ত সম্মত বা গ্রহণযোগ্য, নির্ভরযোগ্য দলীলের দ্বারা জাওয়াব দিয়ে উপকৃত করবেন।



সুওয়াল : প্রচলিত তাবলীগের কেউ কেউ বলে থাকে যে, প্রচলিত ছয় উছূলী তাবলীগে অংশ গ্রহণ না করলে ও চিল্লা না দিলে ঈমান ও এক্বীন সহীহ হয়না। তাই সাধারণ লোক ইছলাহ প্রাপ্ত হওয়ার জন্য তিন চিল্লার দরকার।
তাদের উপরোক্ত বক্তব্য কতটুকু শরীয়ত সম্মত বা গ্রহণযোগ্য, নির্ভরযোগ্য দলীলের দ্বারা জাওয়াব দিয়ে উপকৃত করবেন।

জাওয়াব : সুওয়ালে উল্লেখকৃত তাদের উক্ত বক্তব্য বা আক্বীদাটিও পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের সম্পূর্ণ খিলাফ এবং সমাজে ফিৎনা সৃষ্টির কারণ।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে,
عن ابى هريرة- قال- قال النبى صلى الله عليه وسلم- يكون فى اخرالزمان دجالون الكذابون ياتوئكم من الاحاديث بما لم تسمعوا انتم ولا ابائكم اياكم واياهم لا يضلونكم ولا يفتنون كم.
অর্থ : হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, “শেষ যামানায় এমন অনেক মিথ্যাবাদী দাজ্জাল বের হবে, যারা এমন সব হাদীছসমূহ বয়ান করবে (মতবাদ বা কথা ছড়াবে), যা তোমরা শোননি, তোমাদের বাপ-দাদা কেউ শোনেনি। তোমরা তাদের নিকট গমন করোনা এবং তাদেরকে তোমাদের নিকট স্থান দিওনা, তাহলে তারা তোমাদেরকে ভ্রান্ত করতে ও ফিৎনায় ফেলতে পারবে না।” (মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)
উল্লেখ্য, প্রচলিত তাবলীগ শুরু হয়েছে, ১৩৪৫ হিজরীতে। অর্থাৎ প্রায় ৭১ বছর ধরে এই প্রচলিত তাবলীগ চলে আসছে। তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায়, উনার পূর্বে যারা ছিলেন অর্থাৎ হযরত ছাহাবায়ে ক্বিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের থেকে শুরু করে তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন, ইমাম মুজতাহিদীন, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম যাঁরাই এসেছেন ১৩৪৫ হিজরীর পূর্ব পর্যন্ত, তাহলে কি তাদের ঈমান ও এক্বীন সহীহ বা শুদ্ধ ছিলনা? এরূপ আক্বীদা পোষণ করা কুফরী। যে ব্যক্তি এই আক্বীদা পোষণ করবে, সে ব্যক্তিই ঈমান হারা হবে। কেননা উপরোক্ত কথাগুলো পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস উনার কোথাও নেই। যা সম্পূর্ণই ভিত্তীহীন, বানোয়াট ও মনগড়া।
আরো উল্লেখ্য যে, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

অর্থ : আমার যামানা সর্বোত্তম, অতঃপর পরবর্তী যামানা, অতঃপর তৎপরবর্তী যামানা।” (বুখারী শরীফ)          
অথচ উল্লেখিত তিন যামানায় বা খাইরুল কুরুনে প্রচলিত ছয় উছূল ভিত্তিক তাবলীগ জামায়াত ও তাদের প্রবর্তিত চিল্লার কোন অস্তিত্বই ছিলনা।
এমনকি প্রচলিত তাবলীগ জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা, ইলিয়াস ছাহেবের পীর ছাহেব রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী ছাহেবও চিল্লা দেননি, তাহলে কি উনার ঈমান ও এক্বীন সহীহ ছিলনা?
অথচ ঈমান এক্বীন সহীহ ও পূর্ণ হওয়ার জন্য মহান আল্লাহ পাক পবিত্র সূরা নিসা শরীফ উনার ৬৫নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে বলেন,
فلا وربك لا يومنون حتى يحكموك فيما شجر بينهم ثم لا يجدوا فى انفسهم حرجا مما قضيت وسلموا تسليما.
অর্থ : আপনার রবের কছম! তারা ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে আপনাকে ফায়সালাকারী হিসেবে মেনে না নিবে।  অতঃপর আপনার ফায়সালা সম্পর্কে তাদের মনে কোন সঙ্কীর্ণতা থাকবেনা এবং তারা সন্তুষ্টচিত্তে তা গ্রহণ করবে।
এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার শানে নুযুল সম্পর্কে কিতাবে উল্লেখ করা হয়- এক ব্যক্তি ছিল মুনাফিক, তার নাম ছিল বিশর। সে মুসলমান দাবী করতো, হাক্বীক্বতে সে মুনাফিক ছিল। এই মুনাফিক বিশরের সাথে এক ইহুদীর কোন বিষয় নিয়ে গ-গোল হয়। তখন মুনাফিক বিশরকে ইহুদী বললো, হে বিশর এটার বিচার করতে হবে। মুনাফিক বললো, কে বিচার করবেন? ইহুদী বললো- আল্লাহ পাক উনার রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিচার করবেন। মুনাফিক বিশর মনে মনে চিন্তা করলো, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যদি বিচার করেন, তবে রায় চলে যাবে ইহুদীর পক্ষে। কারণ তিনি হক্ব বিচার করবেন। তখন মুনাফিক বিশর বললো- না, তুমি এক কাজ কর, তোমাদের যে বিচারক, ইহুদী কাব ইবনে আশরাফ, সে বিচার করবে। কিন্তু ইহুদী ব্যক্তি জানতো যে, কাব ইবনে আশরাফ যদি বিচার করে, তাহলে সে মুনাফিকী করবে। অর্থাৎ ঘুষ খেয়ে বিচারে হেরফের করবে। তখন সেই ইহুদী বললো না, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিচার করবেন। এই কথা বলে মুনাফিক বিশরকে বুঝিয়ে নিয়ে গেল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফে। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিচার করলেন। রায় গেল মুনাফিক বিশরের বিরুদ্ধে, ইহুদীর পক্ষে।
যখন ইহুদী জিতে গেল, তখন মুনাফিক বিশর মনে করলো যে, হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম উনার খুব জালালী তবিয়ত। কারণ উনার প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন,
اشداء على الكفار.
অর্থাৎ হযরত উমর উমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম কাফিরদের প্রতি কঠোর।” (পবিত্র সূরা ফাতহ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ, ২৯)
তিনি হয়তো আমার পক্ষেই রায় দিবেন। তাই মুনাফিক বিশর পূণরায় বিচারের জন্য ইহুদীকে নিয়ে গেল, হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম উনার দরবার শরীফ। কারণ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হায়াত মুবারকে, উনার নির্দেশেই হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম বিচার করতেন।
ইহুদী খুব চালাক ছিল, সে প্রথমেই বললো, হে হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম, এই বিশর আমাকে বিচারের জন্য আপনার নিকট নিয়ে এসেছে। অথচ মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিচার করে দিয়েছেন। যার রায় আমার পক্ষে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিশর তা মানতে রাজী নয়। তাই আপনার নিকট বিচারের প্রার্থী হয়েছে।
হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ঠিক আছে আমি বিচার করবো, তোমরা বস। তিনি ঘরে প্রবেশ করে একটি তরবারী এনে মুনাফিক বিশরকে এক কোপে দুভাগ করে দিলেন এবং বললেন, এটাই তোমার বিচার। কারণ, তুমি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে বিচার করেছেন, তা তুমি মাননি। তাই তোমার শাস্তি ও বিচার একমাত্র মৃত্যুদ-। যখন তিনি বিশরকে হত্যা করে ফেললেন, তখন মুনাফিক বিশরের আত্মীয়-স্বজন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফে গিয়ে বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ! হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম উনাকে আপনি বিচারের দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি আমাদের একজন আত্মীয়কে হত্যা করেছেন। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন যে দেখ, এটা উনার পক্ষে কি করে সম্ভব? কারণ হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম তো খাছ লোক-
لوكان بعدى نبى لكان عمربن الخطاب رضى الله تعالى عنه.
আমার পরে যদি কেউ নবী হতো, তাহলে হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম নবী হতেন।” (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ)
কাজেই উনার পক্ষে একাজ করা কখনো সম্ভব নয়। ঠিক আছে উনাকে ডাকা হোক। হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম উনাকে ডেকে আনা হলো। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “হে হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম! তুমি নাকি একজনকে হত্যা করেছ?” হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ, ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মূলতঃ আমি তাকে হত্যা করার কারণ হচ্ছে- সে মুনাফিক। কেননা আপনি যে বিচার করেছেন, সে তা মানেনি, সেজন্য আমি তাকে হত্যা করেছি।
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “হে হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম! সে যে মুনাফিক, তার প্রমাণ কি ও তার সাক্ষী কোথায়?” কারণ ইসলামে সাক্ষী ছাড়া কোন কথা গ্রহণযোগ্য নয়। হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম তিনি চুপ করে রইলেন। সাথে সাথে মহান আল্লাহ পাক স্বয়ং নিজে সাক্ষী হয়ে এই পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করেন,
فلاوربك لا يومنون حتى يحكموك فيما شجر بينهم ثم لا يجدوا فى انفسهم حرجا مما قضيت وسلموا سليما.   
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করে জানিয়ে দিলেন, “(ইয়া রাসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ! ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমিই সাক্ষী) মহান আল্লাহ পাক উনার কছম, কোন ব্যক্তি মুমিনে কামিল হতে পারবে না ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ পর্যন্ত সে ব্যক্তি আপনাকে সীরতান-ছুরতান, জাহিরী-বাতিনী, (বাহ্যিক-আভ্যন্তরীন) প্রত্যেক বিষয়ে আপনাকে ক্বাজী বা ফায়সালাকারী হিসেবে মেনে না নিবে। অর্থাৎ আপনার হুকুম-আহকাম না মেনে নিবে।
আর ঈমান পূর্ণ হওয়ার ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন,
قال النبى صلى الله عليه وسلم- لا يؤمن احدكم حتى اكون احب الله من والده وولده والناس- اجمعين.
অর্থ : তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিনে কামিল হতে পারবেনা, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা তোমাদের বাবা-মা, সন্তান-সন্ততি, সকল মানুষ থেকে, অর্থাৎ সবকিছু থেকে আমাকে বেশী মুহব্বত না করবে।” (বোখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো রয়েছে,       
من احب لله وابغض لله واعطى لله ومنع لله فقد استكمل الايمان.
অর্থ : যে মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য মুহব্বত করে, বিদ্বেষ পোষণ করে, আদেশ করে ও নিষেধ করে, সে ঈমানে পরিপূর্ণ।” (আবূ দাউদ, তিরমিযী)
উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, ঈমান ও এক্বীন সহীহ বা পূর্ণ হওয়ার ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত ও উনার রাসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত ও আনুগত্যতা শর্ত, অন্য কিছু নয়। কাজেই প্রচলিত ছয় উছূল ভিত্তিক তাবলীগ না করলে ও চিল্লা না দিলে ঈমান ও এক্বীন সহীহ হবেনা, এটা সম্পূর্ণ ভুল কথা, যা কুফরীর পর্যায়ে পড়ে। বরং অতীতের মুহাক্কিক-মুদাক্কিক, ইমাম-মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহি বুযূর্গানে দ্বীনের মতে মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত ও উনার রাসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত ও আনুগত্যতা অর্জনের সর্বোত্তম ও অত্যাবশ্যকীয় উপায় হচ্ছে- তাছাউফ শিক্ষা করা। যার কারণে উনারা ফতওয়া দিয়েছেন, ইলমে তাছাউফ শিক্ষা করা ফরয। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে আলোচনা করা হবে (ইনশাআল্লাহ)।
আবা-৩৫

প্রচলিত তাবলীগ জামায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফ-  




0 Comments: