এ আয়াত শরীফের তাফসীরে পুরুষদের জন্য দৃষ্টি এবং শরমগাহকে হিফাযত করা যে ফরয, ওয়াজিব এবং খিলাফ করা যে হারাম, নাজায়িয নিম্নে সে সম্পর্কিত আলোচনা করা হলো-
১. পুরুষদের দৃষ্টি সংযত করা সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ এবং হুকুম-আহকাম ঃ
[২১৮৫-২১৮৬]
عن الحسن مرسلا قال بلغنى ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لعن الله الناظر والمنظور اليها. (بيهقى فى شعب الايمان. تفسير المظهرى ج ৬ ص ৪৯১)
অর্থঃ- æহযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে ‘মুরসাল’ সূত্রে বার্ণিত আছে। তিনি বলেছেন, আমার কাছে সংবাদ পৌছেছে যে, নিশ্চয়ই হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তায়ালার লা’নত (অভিসম্পাত) ঐ সকল পুরুষদের প্রতি যারা পর নারীকে দেখে এবং ঐ সকল নারীদের প্রতি যারা দেখা দেয়।” (বাইহাক্বী ফী শুয়াবিল ঈমান, তাফসীরুল্ মাযহারী ৬ষ্ঠ জিঃ ৪৯১ পৃষ্ঠা)
[২১৮৭-২২০১]
عن بريدة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى اله عليه وسلم لعلى يا على لاتتبع النظرة فان لك الاولى وليست لك الثانية (ابوداؤد شريف، بذل المجهود. عون المعبود. ترمذى شريف. تحفة الاحوذى. عارضة الاحوذى. عرف الشذى، مسند احمد بن حنبل، الفتح الربانى، سنن الدارمى، تفسير الخازن ج ه ص ৬৮، تفسير البغوى ج ه ص ৬৮، نفسير المظهرى ج ৬ ص ৪৯১، تفسير ابن كثير ج ৩ ص ৪৫১، تفسير ايات الاحكام للصابونى ج ২ ص ১৫১)
অর্থঃ- æহযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে লক্ষ্য করে বলেছেন, æহে আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! প্রথম দৃষ্টির পর আবার দৃষ্টি দিবেনা। কেননা তোমার প্রথম দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে, কিন্তু দ্বিতীয় দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে না।” (আবূ দাঊদ শরীফ, বযলুল্ মাজহুদ, আউনুল মা’বূদ, তিরমিযী শরীফ, তুহফাতুল আহওয়াযী, আরিদ্বাতুল আহওয়াযী, উরফুশ শাযী, মুসনাদ আহমদ বিন হাম্বল, আল ফতহুর রব্বানী, সুনানুদ দারিমী, তাফসীরুল খাযিন ৫ম জিঃ ৬৮ পৃষ্ঠা, তাফসীরুল বাগবী ৫ম জিঃ ৬৮ পৃষ্ঠা, তাফীরুল মাযহারী ৬ষ্ঠ জিঃ ৪৯১ পৃষ্ঠা, তাফসীরে ইবনে কাছীর ৩য় জিঃ ৪৫১ পৃষ্ঠা, তাফসীরে আয়াতুল্ আহকাম লিছ ছাবূনী ২য় জিঃ ১৫১ পৃষ্ঠা)
[২২০২-২২২৩]
عن جرير بن عبد الله البحلى رضى الله عنه قال سالت النبى صلى الله عليه وسلم عن نظرة الفجأة فامرنى ان اصرف بصرى.
(مسلم شريف، شرح النووى، شرح الابى والسنوسى، المغهم، فتح المهم، مسند احمد بن حنبل، الفتح الربانى، ابو داود شريف، بذل المجهود، عون المعبود، ترمذى شريف، تحفة الاحوذى، عارضة الاحوذى، عرف الشذى، نسائى شريف، سنن الكبرى للنسائى، نخير العقبى، تفسير اتن كثير ج ৩ ص ৪৫. التفسير المظهرى ج ৬ ص ৪৭১، تفسير الخازنج ৫ ص ৬৮، تفسير التغوى ج ৫ ص ৬৮، تفسير ايات الاحكام الصابونى ج ২ ص ১৫১ )
অর্থঃ- æহযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ বাজালী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হঠাৎ পড়ে যাওয়া দৃষ্টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি আমাকে নির্দেশ দিলেন আমি যেন আমার চোখের দৃষ্টি সঙ্গে সঙ্গে ফিরিয়ে নেই।” (মুসলিম শরীফ, শরহুন্ নববী, শরহুল্ উবাই ওয়াস্ সিনূসী, আল মুফহিম, ফতহুল মুলহিম, মুসনাদ আহমদ বিন হাম্বল, আল ফতহুর রব্বানী, আবূ দাঊদ শরীফ, বযলুল্ মাজহুদ, আউনুল মা’বূদ, তিরমিযী শরীফ, তুহফাতুল আহওয়াযী, আরিদ্বতুল আহওয়াযী, উরফুশ্ শাযী, নাসায়ী শরীফ, সুনানুল কুবরা লিন নাসায়ী, যখীরাতুল উক্ববা, তাফসীরে ইবনে কাছীর ৩য় জিঃ ৪৫০ পৃষ্ঠা, আত্ তাফসীরুল মাযহারী ৬ষ্ঠ জিঃ ৪৯১ পৃষ্ঠা, তাফসীরুল্ খাযিন ৫ম ৬৮ পৃষ্ঠা, তাফসীরুল বাগবী ৫ম জিঃ ৬৮, তাফসীরে আয়াতুল্ আহকাম লিছ ছাবূনী ২য় জিঃ ১৫১ পৃষ্ঠা)
[২২২৪-২২২৫]
عن ابى امامة رضى الله عنه عن النبى صلى الله عليه وسم قال ما من مسلم ينظر الى محاسن امرأة اول مرة ثم يغض بصره الا احدث اله له عبادة يجد حلاوتها. (مسند احمد بن حنبل، الفتح الربانى، التفسير المظهرى ج ৬ ص ৪৯১)
অর্থঃ- æহযরত আবূ উমামা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন; যখন কোন মুসলমান অন্য নারীর সৌন্দর্যের প্রতি প্রথম দৃষ্টি পড়ার সাথে সাথে চক্ষু ফিরিয়ে নিবে, আল্লাহ পাক তাঁর ইবাদতে আনন্দ সৃষ্টি করে দিবেন যাতে সে স্বাদ উপভোগ করবে।” (মুসনাদ আহমদ বিন হাম্বল, আত্ তাফসীরুল্ মাযহারী ৬ষ্ঠ জিঃ ৪৯১)
[২২২৬-২২৩৯]
عن ابى سعيد قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اياكم والجلوس على الطرقات قالوا يا رسول الله لابدلنا من مجالسنا نتحدث فيها فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان ابيتم فاعطوا الطريق حقه، قالوا وما حق الطريق يارسول الله فقال غض البصر وكف الاذى ورد السلام والامر بالمعروف والنهى عن المنكر. (بخارى شريف، فتح البارى، عمدة القارى، ارشاد السارى، تيسير البارى، مشكوة شريف، مرقاة، شرح الطيبى، التعليق الصبيح، معات، اشعة اللمعات، مظاهر حق، مرأة المناجيح، تفسير ابن كثير ج ৩ ص ৪৫১)
অর্থঃ- æহযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা রাস্তায় বসা থেকে বেঁচে থাকো। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগণ আরোজ করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! রাস্তায় বসা ছাড়া আমাদের কোন গতি নেই, আমরা সেখানে বসে প্রয়োজনীয় কথা-বার্তা বলে থাকি। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন, যদি তোমাদের বসতেই হয়, তবে রাস্তার হক্ব আদায় করো। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগণ আরোজ করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! রাস্তার হক্ব কি? হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, æদৃষ্টি নিম্নগামী করা, কাউকে কষ্ট না দেয়া, সালামের উত্তর দেয়া, সৎ কাজের আদেশ করা এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা।” (বুখারী শরীফ, ফতহুল্ বারী, উমদাতুল ক্বারী, ইরশাদুস্ সারী, তাইসীরুল্ বারী, মিশকাত শরীফ, মিরকাত, শরহুত্ ত্বীবী, আত্ তা’লীকুছ ছবীহ, লুময়াত, আশয়াতুল্ লুময়াত, মুযাহিরে হক্ব, মিরয়াতুল্ মানাজীহ, তাফসীরে ইবনে কাছীর ৩য় জিঃ ৪৫১ পৃষ্ঠা)
[২২৪০-২২৪১]
عن عبد الله بن مسعود رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان النظر سهم من سهام ابليس مسموم، من تركه مخافتى ابدلته ايمانا يجد حلاوتها فى قلبه (طبرانى شريف، تفسير ابن كثير ج ৩ ص ৪৫২)
অর্থঃ- æহযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই কুদৃষ্টি শয়তানী তীর সমূহের মধ্যে একটি তীর। (আল্লাহ পাক হাদীছে কুদসীতে বলেন), যে ব্যক্তি আমার ভয়ে নিজের দৃষ্টিকে সংযত রাখে, আমি তাঁর অন্তরে এমন ঈমানের নূর সৃষ্টি করে দেই। যার স্বাদ বা মজা সে অন্তরে উপভোগ করে থাকে।” (ত্ববারানী শরীফ, তাফসীরে ইবনে কাছীর ৩য় জিঃ ৪৫২ পৃষ্ঠা)
[২২৪২-২২৫৩]
عن ابى هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه سلم كتب على ابن ادم حظه من الزنا ادرك ذلك لامحالة فزنا العينين النظر وزنا اللسان النطق وزنا الاذنين الاستماع وزنا اليدين البطش وزنا الرجلين الخطى والنفس تمنى وتشتهى والفرج يصدق ذلك او يكذيه. (بخارى شريف، فتح البارى، عمدة القارى، ارشاد السارى، تيسير البارى، مسلم شريف، شرح النووى، شرح الابى والسنوسى، المفهم، فتح الملهم، تفسير ابن كثير ج ৩ ص ৪৫২)
অর্থঃ- æহযরত আবূ হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আদম সন্তানের জন্য ব্যভিচারের একটি অংশ লিখে দেয়া হয়েছে। সে অবশ্যই তা পাবে, অন্যথা হবে না। দু’টি চোখের ব্যাভিচার হলো দেখা, জিহবার ব্যভিচার কথা বলা, কানদ্বয়ের ব্যভিচার শ্রবণ করা, হাতের ব্যভিচার ধরা, পায়ের ব্যভিচার ধাবিত হওয়া বা চলা, অন্তর বা নফস আকাঙ্খা বা কামনা করে থাকে, আর লজ্জাস্থান এগুলোকে সত্যে পরিণত করে অথবা মিথ্যায় পরিণত করে।” (বুখারী শরীফ, ফতহুল বারী, উমদাতুল কারী, ইরশাদুস্ সারী, তাইসীরুল বারী, মুসলিম শরীফ, শরহুন্ নববী, শরহুল উবাই ওয়াস সিনূসী, আল্ মুফহিম, ফতহুল্ মুলহিম, তাফসীরে ইবনে কাছীর ৩য় জিঃ ৪৫২ পৃষ্ঠা)
[২২৫৩]
عن ابى هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم كل عين باكية يوم القيامة الاعينا غضت عن محارم الله وعينا سهرت فى سبيل الله وعينا يخرج منها مثل رأس الذباب من خشية الله. (تفسير ابن كثير ج ৩ ص ৪৫২)
অর্থঃ- æহযরত আবূ হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কিয়ামতের দিন প্রত্যেক চোখই কাঁদবে। শুধু ঐ চোখ কাঁদবে না, যে চোখ আল্লাহ তায়ালার হারামকৃত জিনিস দেখা থেকে সংযত থেকেছে। আর ঐ সমস্ত চোখ যা আল্লাহ তায়ালার পথে রাত্রি জেগেছে এবং ঐ সমস্ত চোখ যে আল্লাহ তায়ালার ভয়ে কেঁদে অশ্রু বের করেছে। যদিও চোখের অশ্রু মাছির মাথার সমান হয়।” (তাফসীরে ইবনে কাছীর ৩য় জিঃ ৪৫২ পৃষ্ঠা)
[২২৫৪-২২৬০]
عن ابى سعيدن الخدرى ان رسول اله صلى الله عليه وسم قال لاينظر الرجل الى عورة الرجل ولا المرأة الى عورة المرأة ولا يفضى الرجل الى الرجل فى ثوب واحد ولا تفض المرأة الى المرأة فى ثوب واحد. (مسلم شريف، شرح النووى، شرح الابى والسنوسى، المفهم، فتح الملهم، تفسير الخازن ج ৫ ص ৬৯، التفسيرالمظهرى ج ৬ ص ৪৯৩)
অর্থঃ- æহযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কোন পুরুষ অন্য কোন পুরুষের ছতরের দিকে তাকাবেনা, অনুরূপভাবে কোন মহিলা অন্য কোন মহিলার ছতরের দিকে তাকাবেনা। কোন পুরুষ অপর কোন পুরুষের সাথে একই চাদরের নিচে যেন না শোয়, অনুরূপভাবে একজন মহিলা অপর মহিলার সাথে যেন একই চাদরের নিচে না শোয়।” (মুসলিম শরীফ, শরহুন্ নববী, শরহুল উবাই ওয়াস্ সিনূসী, আল মুফহিম, ফতহুল মুলহিম, তাফসীরুল খাযিন ৫ম জিঃ ৬৯ পৃষ্ঠা, আত্ তাফসীরুল মাযহারী ৬ষ্ঠ জিঃ ৪৯৩ পৃষ্ঠা)
[২২৬১]
وغضه واجب عن جميع المحرمات. وكل مايخشى الفتنة من اجله. (تفسير القرطبى ج ৬ ص ২২৩)
অর্থঃ- æসকল বেগানা মহিলা থেকে চক্ষুকে নিম্নগামী করা বা সংযত করা ওয়াজিব। আর প্রত্যেক সেই বিষয় থেকে যাতে ফিৎনা-ফাসাদের ভয় আছে।” (তাফসীরুল্ কুরতুবী ৬ষ্ঠ জিঃ ২২৩ পৃষ্ঠা)
[২২৬২]
ان غض الابضار مستعمل فى التحريم لان غضها عن الحلال لايلزم وانما يلزم غضها عن الحرام. (احكام القران لابن اعربى ج ৩ ص ১৩৬৫)
অর্থঃ- æনিশ্চয়ই দৃষ্টি নিচু করণ, হারাম জিনিষের প্রতি ব্যবহৃত হবে। কেননা, হালালের থেকে নিম্নগামী করণ আবশ্যিক নয়। নিশ্চয়ই হারাম থেকে চক্ষু নিম্নগামী করণ ফরয, ওয়াজিব।” (আহকামুল কুরআন লিইবনিল্ আরাবী ৩য় জিঃ ১৩৬৫ পৃষ্ঠা)
[২২৬৩-২২৭৫]
ماهو حكم النظر الى الا جنبيات؟ حرمت الشريعة الاسلامية النظر الى الاجنبيات فلايحل لرجل ان ينظر الى امرأة غير زوجته او محارمه من النساء. اما نظرة الفجاة فا اثم فيها ولا موأخذة لا نها خارجة عن ارادة الانسان .... وقد قال النبى صلى الله عليه وسلم لعلى. يا على لا تتبع النظرة النظرة فانما لك الاولى وليست لك الثانية. وعن جرير بن عبد الله التجلى قال: سالت رسول الله صلى الله عليه وسلم عن نظرة الفجاة فامرنى ان أصرف بصرى. (تفسير ايات الاحكام ج ২ ص ১৫১، مسلم شريف، شرح النووى، شرح الابى والسنوسى، فتح الملهم للشبير احمد عثمانى، فتح الملهم للتقى عثمانى، المفهم مسند احمد بن حنبل، الفتح الربانى، ترمذى شريف، تحفة الاحوذى، عارضة الاحوذى، عرف الشاذى)
অর্থঃ- æবেগানা নারীদের প্রতি দৃষ্টি দেয়ার হুকুম কি?
জাওয়াবঃ ইসলামী শরীয়ত বেগানা নারীদের প্রতি তাকানোকে হারাম করেছে। পুরুষের জন্য তার স্ত্রী এবং মাহ্রামা মহিলা (যাদেরকে দেখা জায়িয কিন্তু বিবাহ করা হারাম) ব্যতীত অন্যান্য সকল মহিলার প্রতি তাকানো হারাম। হঠাৎ প্রথম দৃষ্টিতে কোন গুনাহ নেই। আর এটা ধর্তব্য নয়। কেননা এটা মানুষের ইচ্ছার বাইরে। ....
হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে লক্ষ্য করে বলেছেন, æহে আলী! প্রথম দৃষ্টির পর পুনরায় দৃষ্টি দিবে না। কেননা তোমার প্রথম দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে, কিন্তু দ্বিতীয় দৃষ্টি ক্ষমা করা হবেনা।” হযরত জারীর বিন আব্দুল্লাহ বাজালী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হঠাৎ দৃষ্টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি আমাকে নির্দেশ করলেন, আমি যেন আমার দৃষ্টিকে সঙ্গে সঙ্গে ফিরিয়ে নেই।” (তাফসীরে আয়াতুল্ আহকাম লিছ ছাবূনী ২য় জিঃ ১৫১ পৃষ্ঠা, মুসলিম শরীফ, শরহুন্ নববী, শরহুল্ উবাই ওয়াস্ সিনূসী, ফতহুল্ মুলহিম লিশ্ শিব্বীর আহমদ উছমানী, ফতহুল্ মুলহিম্ লিত্ তক্বী উছমানী, আল্ মুফহিম, মুসনাদে আহমদ বিন হাম্বল, আল্ ফতর্হু রব্বানী, তিরমিযী শরীফ, তুহফাতুল্ আহওয়াযী, আরিদ্বাতুল্ আহওয়াযী, উরফুশ্ শাযী)
[২২৭৬]
حرمة النظر الى النساء الاجانب، والتفصيل فيه. الاول ما قال الجصاص: انه امر بغض البصر عما حرم علينا النظر اليه فحذف ذكر ذلك اكتفاء بعلم المخاطبين بالمراد، وقد روى محمد بن اسحاق عن محمدبن ابراهيم عن سلمة بن ابى الطفيل عن على رضى الله تعالى عنه قال: قال رسول اله صلى الله عليه وسلم: ياعلى ان لك كنزا فى الحنة وانك ذو وفر منها فلاتتبع النظرة النظرة فان لك الاولى وليست لك الثانية وروى ابو زرعة عن جرير: انه سأل رسول الله صلى الله عليه وسلم عن نظرة الفجأة فامرنى ان اصرف بصرى". (احكام القران للشفيح والتهانوى ج ২ ص ৪২০)
অর্থঃ- æবেগানা নারীদের দিকে দৃষ্টি দেয়া হারাম সম্পর্কে আলোচনা। ইমাম জাছ্ছাছ রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, চক্ষু নিম্নগামী করার নির্দেশ আমাদের জন্য যাদেরকে দেখা হারাম তাদের সম্পর্কেই। হযরত মুহম্মদ বিন ইসহাক রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত মুহম্মদ বিন ইবরাহীম রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি হযরত সালামা ইবনে আবু তুফাইল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে, তিনি হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, æহে আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু! নিশ্চয়ই আপনার জন্য জান্নাতে বিশেষ ধনভাণ্ডার রয়েছে, আর আপনিই সেই ধন ভান্ডারের মালিক। আপনি প্রথম দৃষ্টির পর পুনরায় দৃষ্টি দিবেন না। কেননা, আপনার প্রথম দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে, কিন্তু দ্বিতীয় দৃষ্টি ক্ষমা করা হবেনা।” হযরত আবূ যুরায়া রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত জারীর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হঠাৎ পড়ে যাওয়া দৃষ্টি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন, æতিনি আমাকে নির্দেশ দেন যে, আমি যেন সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেই।” (আহকামুল কুরআন লিশ্ শফী ওয়াত থানুবী ৩য় জিঃ ৪২০ পৃষ্ঠা)
[২২৭৭]
فامر الله سبحانه وتعالى المؤمنين والمؤمنات يغض الابصار عما لايحل، فلا يحل للرجل ان ينظر الى المرأة ولا المرأة الى الرجل. (تفسير القرطبى ج ৬ ص ২২৭)
অর্থঃ- æআল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা মু’মিন পুরুষ ও মহিলাগণকে যা হালাল নয় এমন কিছু থেকে চক্ষুকে ফিরিয়ে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। কোন পুরুষের জন্য বেগানা নারীর প্রতি তাকানো হালাল বা জায়িয নয়। আর কোন মহিলার জন্য পরপুরুষের দিকে তাকানোও জায়িয বা হালাল নয়।” (তাফসীরুল্ কুরতুবী ৬ষ্ঠ জিঃ ২২৭ পৃষ্ঠা)
উল্লিখিত আলোচনা থেকে প্রমাণিত হলো যে, পুরুষ কর্তৃক বেগানা নারীর প্রতি তাকানো হারাম ও নাজায়িয। তাই হারাম থেকে বাঁচার জন্য পুরুষেরও চোখের পর্দা করা ফরযে আইন।
২. পুরুষদের শরমগাহ, ইজ্জত-আবরু হিফাযত করা তথা পর্দা করা ফরযে আইন সম্পর্কিত হাদীছ শরীফের বর্ণনা এবং হুকুম-আহকামঃ
[২২৭৮-২২৯০]
عن بهزبن حكيم عن ابيه عن جده قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم احفظ عورتك الا من زوجتك او ما ملكت يمينك قلت يا رسول اله افرايت اذا كان الرجل خاليا قال فا لله احق ان يستحيى منه. (ترمذى شريف، تحفة الاحوذى، عارضة الاحوذى، عرف الشذى، ابوداؤد شريف، بذل المجهود، عون المعبود، ابن ماجة شريف، مسند احمد بن حنبل، الفتح الربانى، التفسير المظهرى ج ৬ ص ৪৯১، احكام القران ابن المربى ج ৩ ص ১৩৬৫، احكام القران للقرطبى ج ২ ص ২২৩)
অর্থঃ- æহযরত বাহ্য বিন হাকীম রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত। তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তুমি তোমার স্ত্রী এবং দাসী ব্যতীত অন্যান্য নারীদের থেকে ইজ্জত-আবরু তথা সতরকে হিফাযত কর। আমি (রাবী) আরজ করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যদি কোন ব্যক্তি একাকী থাকে তাহলে তার হুকুম কি? হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন, আল্লাহ পাক অধিক হক্বদার, যেন তাঁকে লজ্জা করা হয় এ বিষয়ে।” (তিরমিযী শরীফ, তুহফাতুল্ আহওয়াযী, আরিদ্বাতুল্ আহওয়াযী, উরফুশ্ শাযী, আবূ দাঊদ শরীফ, বযলুল মাজহুদ, আউনুল মা’বুদ, ইবনু মাজাহ শরীফ, মুসনাদ আহমদ বিন হাম্বল, আল ফতহুর রব্বানী, আত্ তাফসীরুল মাযহারী ৬ষ্ঠ জিঃ ৪৯১ পৃষ্ঠা, আহকামুল কুরআন লি ইবনিল আরাবী ৩য় জিঃ ১৩৬৫ পৃষ্ঠা, আহকামুল্ কুরআন লিল কুরতুবী ৬ষ্ঠ জিঃ ২২৩ পৃষ্ঠা)
[২২৯১-২২৯৫]
عن ابن عمر رضى الله عنهما قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اياكم والتعرى فان معكم من لايفارقكم الا عند الغائط وحين يفضى الرجل الى اهله فاستحيوهم واكرموهم. (ترمذى شريف، تحفة الاحوذى، عارضة الاحوذى، عرف اشذى، التفسير المظهرى ج ৬ ص ৪৯১)
অর্থঃ- æহযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাুহ আনহুমা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা বস্ত্রহীনতা থেকে নিজেদের রক্ষা করো। কেননা, নিশ্চয়ই তোমাদের সাথে সর্বদাই ফেরেশ্তা বিদ্যমান থাকেন। তারা তোমাদের থেকে প্রাকৃতিক প্রয়োজন ও স্ত্রীর নিকটবর্তী হওয়ার সময় ছাড়া পৃথক হননা। তাই তোমরা তাঁদেরকে লজ্জা করো এবং তাঁদেরকে সম্মান দেখাও।”(তিরমিযী শরীফ, তুহাফাতুল্ আহওয়াযী, আরিদ্বাতুল আহওয়াযী, উরফুশ্ শাযী, আত্ তাফসীরুল্ মাযহারী ৬ষ্ঠ জিঃ ৪৯১ পৃষ্ঠা)
[২২৯৬-২২৯৭]
وقد ذكرت عائشة رسول اله صلى الله عليه وسلم وحالها معه فقالت مارأيت ذلك منه ولا رأى ذلك منى، (احكم القران لابن العربى ج ৩ ص ১২৬৫، احكم القران للقرطبى ج ৬ ص ২২৪)
অর্থঃ- æহযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সঙ্গে যখন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা একান্তে বাস করতেন তার বর্ণনা দিয়ে তিনি নিজেই বলেছেন, আমি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ছতরের দিকে কোন দিন দৃষ্টি দেইনি এবং তিনিও আমার ছতরের দিকে কোন দিন নযর দেননি।” (আহকামুল কুরআন লি ইবনিল্ আরাবী ৩য় জিঃ ১৩৬৫ পৃষ্ঠা, আহকামুল কুরআন লিল্ কুরতুবী ৬ষ্ঠ জিঃ ২২৪ পৃষ্ঠা)
[২২৯৮-২৩০৬]
الخامسة: بهذه الاية حرم العلماء نصا دخول احمام بغير مئزر وقد روى عن ابن عمر انه قال: اطيب ما انفق الرجل درهم يعطيه للحمام فى خلوة ............
قلت: اما دخول الحمام فى هذه الازمان فحرام على اهل الفضل والدين لغلبة الجهل على الناس واستسهالهم. (احكام القران للقرطبى ج ৬ ص ২২৪، ابو داود شريف، بذل المجهوه، عون امعبود، شرح بدر الدين العينى، ترمذى شريف، تحفة الاحوذى، عارضة الاحوذى، عرف الشذى)
অর্থ: æপঞ্চম মাসয়ালা: এ আয়াত শরীফকে দলীল গ্রহণ করে উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ ইযার ছাড়া হামমাম খানায় তথা গোসলখানায় প্রবেশ করাকে হারাম ফতওয়া দিয়েছেন। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি নির্জন গোসলের জন্য নির্জন গোসলখানা তৈরী করতে এক দিরহাম ব্যয় করে তা অধিক পবিত্র। ........ আমি বলি, এ যামানায় হামমাম খানায় ইয়ার ছাড়া প্রবেশ করা হারাম ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের মতে। মানুষের মধ্যে অধিক জিহালতী ও গাফলতী আসার কারণে।” (আহকামুল কুরআন লিল কুরতুবী ৬ষ্ঠ জি: ২২৪ পৃষ্ঠা, আবূ দাউদ শরীফ, বযলুল মাজহুদ, আুনুল মা’বুদ, শরহে বদরুদ্দীন আইনী, তিরমিযী শরীফ, তুহফাতুল আহওয়াযী, আরিদ্বাতুল আহওয়াযী, উরফুশ শাযী।)
(২৩০৭)
(ويحفظوا فروجهم) اى عما لايحل هم من الزنا واللواطة ... (ذلك) اى ماذكر من الغض والحفظ (ازكى لهم) اى اطهر من دنس الريبة. (تفسير روح المعانى ج ১০ ص ১৩৯)
অর্থ:- æ(তারা যেন তাদের ইজ্জত-আবরুকে হিফাযত করে) অর্থাৎ মহলার সাথে ব্যভিচার ও লাওয়াতাত তথা পুরুষের সাথে ব্যভিচার যা তাদের জন্য হালাল নয় তার থেকে।....... (এটাতে) অর্থাৎ উল্লেখিত চক্ষু নি¤œগামীকরণ ও উজ্জত-আবরু হিফাযত করণের মধ্যে (তাদের জন্য অনেক পবিত্রতা) অর্থাৎ এতে সন্দেহ-সংশয়মূলক অপবিত্রতা থেকেও পরিচ্ছন্নতা আছে।” (তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১০ জি: ১৩৯ পৃষ্ঠা)
উপরোক্ত বিস্তারিত দলীল-আদিল্লাহর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো যে, মহিলাদের যেমন পর্দা করা ফরয। তেমনিভাবে পুরুষদেরও দৃষ্টি হিফাযত করার মাধ্যমে পর্দা করা ফরয। তেমনিভাবে পুরুষদেরও দৃষ্টি হিফাযত করার মাধ্যমে পর্দা করা ফরয। যা প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও মহিলার জন্যই ফরয ও ওয়াজিব। তাই স্পষ্ট হলো যে, পর্দা শুধু মহিলাদের জন্যই ফরয নয়, বরং পুরুদেরও পর্দা রয়েছে। যা রক্ষা করে চলা ফরয, ওয়াজিব বা ফরযে আইন।
হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন অস্বীকারকারীদের সম্পর্কে শরয়ী বিধান বা ফয়সালা
হিজাব বা পর্দা করা ফরযে আইন। যা কুরআন শরীফ-এর অসংখ্য আয়াত শরীফ এবং অসংখ্য হাদীছ শরীফ দবারা ফরয হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে। তাই পর্দা করার ফরযিয়াত অস্বীকারকারী ব্যক্তি কাফির হবে। কারণ, মহান আললাহ পাক স্বয়ং উনার বিধান বা হুকুম অমান্যকারী ব্যক্তিকে কাফির হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।
যেমন, আল্লাহ পাক বলেন-
(২৩০৮)
ومن م يحكم بما انزل تللخ فاولئك هم الكفرون. (سورة المائدة ৪৪ اية)
অর্থ: æআল্লাহ পাক যা নাযিল করেছেন, সে অনুযায়ী যারা হুকুম-ফায়সালা করেনা, তারাই কাফির।” (সূরাতুল মায়িদা ৪৪ নং আয়াত শরীফ)
অর্থাৎ আল্লাহ পাক কুরআন শরীফ-এ যা নির্দেশ করেছেন এবং উনার ব্যাখ্যায় হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা নির্দেশ করেছেন তথা কুরআন শরীফ, সুন্নাহ শরীফ, উজমা ও ক্বিয়াসে যা সাব্যস্ত হয়েছে, সে সমস্ত শরয়ী হুকুমকে যারা অসবীকার বা অবজ্ঞা করে তারা কাফির। যাদের জন্য জাহান্নামই যথেষ্ট। তেমনিভাবে হিজাব বা পর্দাও কুরআন শরীফ এবং অসংখ্য হাদীছ শরীফ দ্বারা ফরয হয়েছে, তাই এর অস্বীকারকারীরাও কাফির।
যেমন, কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে,
(২৩০৯)
الحكم الاول: هل يجب الحجاب على جميع النساء؟ يدل ظاهر الاية الكريمة على ان الحجاب مفروض على جميع المؤمنات (المكلفات شرعا) وهن: (المسلمات الحرائر البالغات) لقوله تعالى: (يايها النبى قل لازواجك وبنا نك ونساء المؤمنين .........)
الاية. فلا يجب الحجاب على الكافرة اليها لانها لاتكلف بفروع الاسلام. وقد امرنا ان نتركهن وما يدينون، ولان (الحجاب) عبادة لما فيه من امتثال امر الله عزوجل، فهوبالنسبة للمسلمة كفريضة الصلاة والصيام، فاذا تركته المسلمة جحودا فهو(كافرة) مرتدة عن الاسلام، واذ تر كته- تقليدا للمجتمع الفاسد، مع اعتقادها بفرضيته فهى (عاصية) مخالفة لتعاليم القران (ولاتبرجن تبرج الجاهلية الاولى). تفسير ايات الاحكام للصابونى ج ২ ص ৩৮০)
অর্থ: æপ্রথম হুকুম: হিজাব বা পর্দা করা কি সকল মহিলাদের জন্যই ফরয?
(জাওয়াব): কুরআন শরীফ-এর স্পষ্ট আয়াতে কারীমা থেকে প্রমাণিত যে, নিশ্চয়ই হিজাব বা পর্দা সকল মু’মিনা মহিলাদের জন্য ফরয (যারা শরীয়তের মুকাল্লিফা অর্থাৎ প্রাপ্ত বয়স্কা) আর তারা (মুসলিমা, স্বাধীনা, বালিগা মহিলা)। আল্লাহ তায়ালঅর বাণী, æহে নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে এবং মু’মিনগণের স্ত্রীগণকে বলুন.........।” সূরা আহযাব ৫৯ নং আয়াত শরীফ। কাফির মহিলার উপর হিজাব বা পর্দা ফরয নয়, কেননা, সে ইসলামের বিধানে আদিষ্ট নয়। আর আমাদের মুসলমানগণকে নির্দেশ করা হয়েছে যে, আমরা যেন তাদের ধর্মকে পরিত্যাগ করে চলি। অপর দিকে হিজাব বা পর্দা হচ্ছে একটি ইবাদত, যাতে আল্লাহ পাক উনার নির্দেশের আনুগত্য করা হয়। তা মুসলমান মহিলাদের জন্য ফরযে আইন, যেমনিভাবে নামায ও রোযা তাদের জন্য ফরযে আইন। যদি কোন মুসলমান মহিলা (পুরুষ) হিজাব বা পর্দাকে অস্বীকৃতির সাথে বা অবজ্ঞার সাথে ত্যাগ করে, তাহলে সে (কাফির হবে) ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে অর্থাৎ মুরতাদ হবে। আর যদি কেউ কোন ভ্রান্ত দলের অনুসরণে তরক করে, তবে তার বিশ্বাস রয়েছে এটা ফরয, তাহলে সে (গুনাহগার হবে, কাফির হবে না।) কুরআন শরীফ-এর নির্দেশের খিলাফকারী হবে। আল্লাহ তায়ালার বাণী: æতোমরা জাহিলিয়াত যুগের মহিলাদের মত সৌন্দর্য প্রদর্শন করে বেরিওনা।” সূরা আযাব ৩৩নং আয়াত শরীফ।” (তাফসীরে আয়াতুল আহকাম লিছ ছবূনী ২য় জি: ৩৮০ পৃষ্ঠা)
উল্লেখিত দলীলের ভিত্তিতে অকাট্যভাবে প্রমাণিত হলো যে, হিজাব বা পর্দা রক্ষা করা প্রত্যেক পুরুষ ও মহিলাদের জন্য ফরযে আইন। এর অস্বীকারকারী কাফির। ইসলামী শরীয়তে যাকে ‘মুরতাদ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আর মুরতাদের শাস্তি হলো, তার জিন্দেগীর সমস্ত আমল বাতিল হবে, হজ্জ করে থাকলে হজ্জ বাতিল হবে, বিবাহিত হলে স্ত্রী তালাক হবে। ইসলামী খিলাফত থাকলে তাকে তওবা করার জন্য তিনদিন সময় দেয়া হবে। এর মধ্যে তওবা না করলে তার শাস্তি মৃত্যুদ-।
ইসলামী শরীয়তে নারী নেতৃত্ব হারাম এবং তার মূল কারণ
মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন নারী নেতৃত্বের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন। তেমনিভাবে উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও নারী নেতৃত্বের কুফলতার কথা ব্যক্ত করেছেন। তাই ইসলামী শরীয়তে নারী নেতৃত্বকে হারাম ও নাজায়িয ফতওয়া দেয়া হয়েছে। এর পিছনে কতগুলো কারণ বিদ্যমান রয়েছে।
নি¤েœ সে কারণগুলো দলীল-আদিল্লা ভিত্তিক আলোচনা করা হলো-
১. আল্লাহ পাক উনার নিষেধাজ্ঞা: আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন কুরাআন শরীফ-এ নারীদের উপরে যে পুরুষদের অভিভাবকত্য চলবে, তথা পুরুষদের উপরে নারীদের নেতৃত্ব হারাম এ বিষয়ে জানিয়ে দিয়ে বলেছেন,
(২৩১০)
الرجال قومون على النساء بما فضل الله بعضهم على بعض. (سورة النساء ৩৪ اية)
অর্থ: æপুরুষেরা নারীদের উপরে কর্তৃত্ব করবে। এজন্য যে, আল্লাহ পাক একের উপর অন্যের মর্যাদা দান করেছেন। (সূরাতুন নিসা ৩৪ নং আয়াত শরীফ)
এ আয়াত শরীফ-এর তাফসীরে উল্লেখ আছে,
(২৩১১)
(الرجال قومون) مسلطون (على النساء) يؤدبونهن وياخذون على ايديهن (بما فضل الله بعضهم على بعض) اى تتفضيلة لهم عليهن العلم والعقل والولاية وغير ذاك. (تفسير الجلالين)
অর্থ: æ(পুরুষেরা কর্তৃত্ব করবে) নেতৃত্ব করবে বা সুলতান হবে (নারীদের উপর) তাদেরকে আদব শিক্ষা দিবে এবং তাদের সমস্ত দায়িত্ব নিবে। (এজন্য যে, আল্লাহ পাক উনার উপর অন্যের কর্তৃত্ব দান করেছেন) অর্থাৎ মহিলাদের উপর পুরুষদের মর্যাদা দিয়েছেন ইলম আক্বল অভিভাবকত্ব এবং অন্যান্য বিষয়ে।” (তাফসীরুল জালালাইন)
ইবারতটি থেকে জানা যায় যে, সব সময়ের জন্য মহিলাদের উপর পুরষরাই কর্তৃত্ব করবেন। খলীফা হবেন পুরুষ, মুজাদ্দিদ হবেন পুরুষ, ইমাম হবেন পুরুষ, কাযী হবেন পুরুষ, গভর্ণর হবেন পুরুষ। তাই নারীদের পক্ষে পুরুষদের উপর কর্তৃত্ব করার কোন অধিকার নেই।
২. হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নারী নেতৃত্বের ব্যাপারে কুফলতা বর্ণনা করেছেন। যেমন-
(২৩১২-২৩১৭)
حدثنا عثمان بن الهيثم حدثنا عوف عن احين عن ابى بكرة قال لقد نفعنى الله بكلمة ايام الجمل لما بلغ النبى صلى الله عليه وسلم ان فارسا ملكوا ابنة كسرى قال لن يفلح قوم ولوا امرهم امرأة (بخارى شريف كتاب الفن، فتح البارى، عمدة القارى، ارشاد السارى، شرح الكرمانى، تيسير البارى)
অর্থ:- æহযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন, হযরত উছমান বিন হাইছাম রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত আউফ রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত হাসান রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি হযরত আবূ বাকরা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে। তিনি বলেন, একটি কথা বা হাদীছ দ্বারা আল্লাহ পাক জঙ্গে জামাল বা উষ্ট্রের যুদ্ধের সময় আমাকে বড়ই উপকৃত করেছেন। ( সে হাদীছ শরীফটি হলো) হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট যখন এ সংবাদ পৌছালো যে, ফারিস বা পারস্যের লোকেরা কিসরার কন্যাকে তাদের শাসক নিযুক্ত করেছে। তখন তিনি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রিশাদ করলেন, æসে জাতি কখনোই সফলকাম হবে না, যারা তাদের শাসনভার নারীর হাতে অর্পন করে।” (বুখারী শরীফ কিতাবুল ফিতান, ফতহুল বারী, উমদাতুল ক্বারী, ইরশাদুস সারী, শরহুল কিরমানী, তাইসীরুল বারী)
(২৩১৮-২৩২৩)
عن ابى بكرة قال عصمنى الله بشئ سمعته من رسول الله صلى اله عليه وسلم لما هلك كسرى قال من استخلفوا قالوا ابنته فقال النبى صلى الله عليه وسلم لن يفلح قوم ولوا امرهم امرأة قال فلما قدمت عائشة تعنى البصرة ذكرت قول رسول الله صلى اله عليه وسلم فعصمنى الله به. (ترمذى شريف ابواب الفتن، تحفة الاحوذى، عارضة الاحوذى، عرف الشذى، نسائى شريف، ذخيرة العقبى)
অর্থ: æহযরত আবূ বাকরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছ থেকে শুনা একটি হাদীছ শরীফ দ্বারা আল্লাহ পাক আমাকে রক্ষা করেছেন। পারস্য স¤্রাট কিসরা নিহত হলে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, তারা কাকে শাসক বানিয়েছে? হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম বললেন, তার কন্যাকে। তখন হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করলেন, সে জাতি কখনোই সফলকাম হবে না, যারা তাদের শাসনভার নারীর হাতে তুলে দেয়। রাবী বলেন, যখন হযরত আশিয়া ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম বসরায় উপস্থিত হলেন, তখন হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ঐ হাদীছ শরীফ স্মরণ হলো। অত:পর এর দ্বারাই আল্লাহ পাক আমাকে (হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ থেকে) রক্ষা করেন।” (তিরমিযী শরীফ আবওয়াবুল ফিতান অনুচ্ছেদ যে জাতি নারীকে নিজেদের শাসক নিয়োগ করে, তুহফাতুল আহওয়াবী, আরিদ্বাতুল আহওয়াযী, উরফুশ শাযী, নাসায়ী শরীফ, বখীরাতুল উক্ববা)
(২৩২৪-২৩২৭)
عن ابى هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا كان امراؤكم خياركم واغنياؤكم سمحاءكم واموركم شورى بينكم فظهر الارض خيرلكم من بطنها واذا كان امراؤكم شراركم واغنياؤكم بخلائكم واموركم الى نسائكم فبطن الارض خيرلكم من طهرها. (ترمذى شريف ابواب الفتن، تحفة الاحوذى، عارضة الاحوذى، عرف الشذى)
অর্থ:- æহযরত আবূ হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মোবারক করেছেন, যখন তোমাদের মধ্যকার উত্তম লোক (পুরুষ) তোমাদের শাসক হবে, তোমাদের ধনবানরা দানশীল হবে এবং তোমাদের কাজ-কর্ম পরামর্শের ভিত্তিতে বা মজলিসে শুরা’র ভিত্তিতে সম্পন্ন হবে, তখন জমিনের পেটের তুলনায় জমিনের পিঠই তোমাদের জন্য উত্তম হবে। আর যখন তোমাদের মধ্যকার নিকৃষ্ট লোক তোমাদের শাসক হবে, তোমাদের ধনবানরা কৃপন হবে এবং তোমাদের কার্যাবলী তোমাদের নারীদের উপর ন্যস্ত হবে, তখন জমিনের পিঠের তুলনায় জমিনের পেটই তোমাদের জন্য উত্তম হবে। (অর্থাৎ জীবনের চেয়ে ইন্তিকাল উত্তম হবে) (তিরমিযী শরীফ আবওয়াবুল ফিতান, তুহফাতুল আহওয়াযী, ারিদ্বাতুল আহওয়াযী, উরফুশ শাযী)
উল্লিখিত হাদীছ শরীফগুলো থেকে প্রমাণিত হলো যে, নারীদেরকে যে জাতি শাসক হিসেবে নির্বাচন করবে সে জাতির ইহকাল ও পরকাল কোন কালেই মঙ্গল হবে না। আর নারী নেতৃত্ব ফিতনা-ফাসাদের কারণ হয়ে থাকে।
৩. মহিলারা হচ্ছে পর্দার অধীন। তারা ঘরের প্রকোষ্ঠে অবস্থান করবে। বিশেষ জরুরত ছাড়া বাড়ীর বাইরে যাওয়া তাদের জন্য হারাম এবং তাদের জন্য শাসক হওয়া জায়িয নেই: কারণ, মহিলা শাসক দেশের প্রধান অথবা সমাজ নেত্রী হলে বেপর্দা হওয়অর কারণে অবশ্যই আল্লাহ পাক উনার লা’নতের অধিকারী হবে। তাই শরীয়তে নারী নেতৃত্ব হারাম বা নাজায়িয হিসেবে ফতওয়া দেয়া হয়েছে। যার অস্বীকারকারীরা কাফির তথা মুরতাদ। নি¤েœ মহিলাদের ক্ষেত্র যে ঘরের অভ্যন্তর, নেত্রী বা শাসক হওয়া যে তাদের ক্ষেত্র নয়।
এ সম্পর্কে দলীল-আদিল্লাহ সম্বলিত আলোচনা উপস্থাপন করা হলো-
(২৩২৮)
وقرن فى بيوتكن ولاتبرحن تبرج الجاهلية الاولى. (سورة الاحزاب ৩৩ اية)
অর্থ:- æতোমরা তোমাদের ঘরের প্রকোষ্ঠে অবস্থান করো। জাহিলিয়াত যুগের মত সৌন্দর্যতা প্রদর্শন করে বাইরে বেড়িওনা।” (সূরাতুল আহযাব ৩৩নং আয়াত শরীফ) অত্র আয়াত শরীফ-এ বলা হয়েছে, মহিলারা ঘরে থাকবে।” তাদের জন্য বাইরে বের হওয়া জায়িয নেই। শাসক হলে তো বাইরে বের হওয়ার কারণে আল্লাহ পাক উনার বিধান লঙ্ঘন হওয়ায় গুনাহগার হতে হবে। বিশেষ জরুরতের কথা আলাদা। মহিলা শাসক হলে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় বেপর্দা হওয়ার কারণে নিজেও গুনাহগার হবে এবং যারা দেখবে তারাও গুনাহগার ও লা’নতগ্রস্থ হবে। তাই মহিলা নেতৃত্ব হারাম নাজায়িয।
(২৩২৯)
ان اتقيتن فلاتخضعن باقو فيطمع الذى فى قلبه مرض وقلن قولا معروفا. (سورة الاحزاب ৩২ اية)
অর্থ:- æযদি আল্লাহ পাক উনার ভয় করেন, তবে পুরুষদের সাথে কোমল আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলবেন না। ফলে যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে সে ব্যক্তি কু-বাসনা করবে। আপনারা শক্তভাবে কথা-বার্তা বলবেন।” (সূরাতুল আহযাব ৩২ নং আয়াত শরীফ)
অত্র আয়াত শরীফ-এর মধ্যে পুরুষদের সাথে কোমল ও আকর্ষণীয়ভাবে কথা বলতে নিসেধ করা হয়েছে। কারণ এতে ফাসিক-ফুজজার এবং খারাপ লোকেরা কু-মতলব করে ধ্বংস ডেকে আনে। বিনা প্রয়োজনে পুরুষদের সাথে মহিলাদের কথা বলা জায়িয নেই। পক্ষান্তরে নেত্রী বা শাসক হলে তাকে বিভিন্ন স্বভাবের লোকের সাথে কথা বলতে হবে এবং দেখা করতে হবে। যা শরীয়তে সম্পূর্ণ নিষেধ তথা হারাম ও নাযায়িয। ার যদি আয়াত শরীফ-এর আমল করতে গিয়ে পর্দায় থেকে শক্তভাবে কথা বলে, তবে শাসকের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে দেশের অবনতি তরান্বিত হবে। কারণ কাফির, ফাসিক-ফুজ্জাররা তো কুরআন শরীফ-এর বিধান মানতে রাজী নয়। তাই প্রমাণিত হলো যে, নারীদের শাসক হওয়া বা নেত্রী হওয়া জায়িয নেই। এটাই দ্বীন ইসলামের ফতওয়া।
(২৩৩০-২৩৪১)
عن عبد الله رضى الله عنه عن النبى صلى الله عليه وسلم قال ان المرأة عورة فاذا خرجت استشرفها الشيطان واقرب ماتكون بروحة ربها وهى فى قعر بيتها. (ترمذى شريف، تحفة الاحوذى عارضة الاحوذى، عرف الشذى، مشكوة شريف، شرح الطيبى، مرقاة، التعليق الصبيح، لمعات، اشعة اللمعات، مظاهر حق، مرأة المناجيح)
অর্থ:- æহযরত আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই মহিলা পর্দার অধিন। যখন সে ঘর থেকে বাইরে বের হয় তখন শয়তান (পাপ কাজ করানোর জন্য) তার দিকে উঁকি-ঝুঁকি মারে। সে তার রব আল্লাহ পাক উনার রহমতের নিকটবর্তী হয় তখনই, যখন ঘরের প্রকোষ্ঠে অবস্থান করতে থাকে।” (তিরমিযী শরীফ, তুহফাতুল আহওয়াযী, ারিদ্বাতুল আহওয়াযী, উরফুশ শাযী, মিশকাত শরীফ, শরহুত ত্বীবী, মিরকাত, আত তা’লীকুছ ছবীহ, লুময়াত, আশয়াতুল লুময়াত, মুযাহিরে হক্ব, মিরয়াতুল মানাজীহ)
0 Comments:
Post a Comment