তিনি র্সবত্র
হাজির-নাজির
পবিত্র কুরআন
শরীফ,
পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে সংকলিত দলিলসমৃদ্ধ রেসালা
পিডিএফ লিংক- https://drive.google.com/open?id=1JTMOyii_vajnJR6CC5VDczNXEEZlNFnr
নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি র্সবত্র হাজির-নাজির
আল্লাহ পাক-উনার
হাবীব,
নবীদের নবী, রসুলদের রসূল, নূরে মুজাস্সাম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতের সব জায়গায় হাযির ও নাযির হওয়া সম্পর্কে
আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ফতওয়া হলো, “তিনি আল্লাহ্ পাক উনার প্রদত্ত্ব ক্ষমতায় ছিফত হিসেবে হাযির-নাযির।”
আহলে সুন্নত
ওয়াল জামাত এর এই আক্বিাদা কুরআন শরীফ ও হাদীস
শরীফ দ্বারা প্রমানিত। নিম্নে অসংখ্য দলিল আদিল্লাহ হতে সংক্ষেপে কিছু দলিল পেশ করা হল-
কুরআন শরীফ
উনার আয়াত শরীফ দ্বারা প্রমান:
মূলতঃ আল্লাহ
পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যেহেতু সমগ্র কায়িনাত সৃষ্টির
পূর্বেই সৃষ্টি করা হয়েছে। তাই তিনি সর্বকালে, সর্বযুগে, সর্বাবস্থায় হাযির-নাযির ছিলেন, আছেন, ক্বিয়ামত পর্যন্ত
থাকবেন ও ক্বিয়ামতের পরে অনন্ত কাল থাকবেন। এ মর্মে কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক উনার কালাম
পাক হতে প্রমাণ পাওয়া যায়-
الم
تر ان
الله خلق
السموت والارض
بالحق.
অর্থ: হে
হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি
কি দেখননি? যে মহান আল্লাহ পাক
আসমান ও যমীন এবং এতদুভয়ের মধ্যস্থিত সমস্ত কিছুই সঠিক ও সুন্দরভাবে সৃষ্টি করেছেন।
অর্থাৎ সমগ্র
কায়িনাত বা মাখলূকাত সৃষ্টির সময় আপনি হাযির-নাযির থেকেই সবকিছুই দেখছেন। মূলকথা হচ্ছে
আল্লাহ পাক যখন কুল কায়িনাত সৃষ্টি করেন তখনও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
মহান দরবারে ইলাহীতে উপস্থিত ছিলেন ও সবকিছু দেখেছেন।
আল্লাহ পাক
আরো বলেন-
الم
تر كيف
فعل ربك
باصحاب الفيل
অর্থ: “হে
হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কি দেখেননি, আপনার প্রভু হস্তীবাহিনীদের কি অবস্থা করেছেন?” (সূরা ফীল-১)
الم
تر كيف
فعل ربك
بعاد
অর্থ: “হে
হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কি দেখেননি, আপনার প্রতিপালক আদ জাতির সঙ্গে কিরূপ আচরণ করেছেন?” (সূরা ফজর-৬)
‘আদ’ জাতি ও ‘হস্তিবাহিনীর ঘটনাবলী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
যমীনে আগমণের অনেক আগেই সংঘটিত হয়েছিল, অথচ বলা হচ্ছে الم
تر আপনি কি দেখেননি? অর্থাৎ আপনি দেখেছেন।
এ আয়াত শরীফসমূহ
থেকে এটাই ছাবিত হলো যে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
সৃষ্টির শুরু থেকে সর্বকালে, সর্বযুগে, সর্বাবস্থায় কায়িনাতে যত ঘটনা ঘটেছে তা সবই তিনি হাযির-নাযির
থেকে প্রত্যক্ষ করেছেন বা দেখেছেন।
সর্বপরি হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাযির ও নাযির হওয়া সম্পর্কে আহ্লে সুন্নত ওয়াল
জামায়াতের ফতওয়া হলো, “তিনি আল্লাহ্ পাক
উনার প্রদত্ত্ব ক্ষমতায় ছিফত হিসেবে হাযির-নাযির।” এবং জাতিগতভাবেও যেকোন সময় যেকোন
স্থানে হাযির-নাযির হওয়ার ইখতিয়ার রয়েছে।
আল্লাহ্ পাক
বলেন,
وما
ارسلنك الا
رحمة للعلمين.
অর্থ: “নিশ্চয়ই
আমি আপনাকে সমস্ত আলমের জন্য রহমত স্বরূপ পাঠিয়েছি। (সূরা আম্বিয়া-১০৭)
উল্লেখ্য
যে,
মহান আল্লাহ পাক হচ্ছেন رب
العلمين (রব্বুল আ’লামীন) সমস্ত আল্লমের রব। আর হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন رحمة
للعلمين (রহমাতুল্লিল আ’লামীন) সমস্ত আলমের জন্য রহমত। অর্থাৎ রব্বুল আলামীনের
রুবুবিয়্যত যত কিছুর জন্য প্রযোজ্য رحمة
للعلمين এর রহমত তত কিছুর জন্যই প্রযোজ্য। আল্লাহ পাক উনার রুবুবিয়তের বাইরে যেমন কোন কিছু
নেই তেমিন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার رحمة থেকে খালি কোন কিছুই নেই।
এ সম্পর্কে
আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, ورحمتى
وسعت كل
شىء
অর্থ: “আর
আমার রহমত সবকিছুকে বেষ্টন করে আছে।” (সূরা আ’রাফ-১৫৬) অর্থাৎ আল্লাহ্ পাক প্রদত্ত
ক্ষমতায় রহমত হিসেবে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়্যীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাস্সাম হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সৃষ্টি জগতের সবকিছুতে
বিরাজমান।
হাদীস শরীফে
আছে,
মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ পাক উনার কায়িনাতের সমস্ত কিছুকেই
বেষ্টন করে আছেন। আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টি জীবের মধ্যে এমন কোন বিষয় নেই, এমন কোন স্থান নেই, এমন কোন বস্তু নেই যেখানে রহমত নেই। আল্লাহ
পাক উনার কায়িনাতে বায়ুশূন্য স্থানের যেমন কোন
অস্তিত্ব পাওয়া যাবে না অনুরূপ রহমতশুন্য স্থানের অস্তিত্বও পাওয়া যাবে না।
সুতরাং আল্লাহ পাক উনার রহমত তথা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমগ্র কয়িনাতকে
বেষ্টন করে আছেন।
এ সম্পর্কে
বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, মহান আল্লাহ পাক
ইরশাদ ফরমান-
ان
رحمة الله
قريب من
المحسنين
অর্থ: নিশ্চয়ই
মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হক্কানী-রব্বানী
ওলীআল্লাহগণের নিকটেই রয়েছেন। (সূরা আ’রাফ)
অর্থাৎ হক্কানী-রব্বানী
ওলীআল্লাহগণ মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত তথা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে
লাভ করেই ওলীআল্লাহ হন। আর সে কারণেই আওলিয়ায়ে কিরামগণ মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত তথা
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দায়িমীভাবে দেখে থাকেন।
হুজ্জাতুল
ইসলাম হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন,
ارباب
قلوب مشاہدہ می
کنند در
بیدا ری
انبیاء و
ملائکہ راو
ہمکلام می
شوند بایشاں.
অর্থ: “খোদায়ী
নূরে আলোকিত অন্তর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ জাগ্রত
অবস্থায় হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ফেরেশ্তাগণকে দেখতে পান, উনাদের সাথে কথাবার্তাও বলেন।”
ইমামে আ’যম
হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি “কাছীদায়ে নু’মান” নামক প্রশংসামূলক কাব্যগ্রন্থে
বলেছেন,
واذا
سمعت فعنك
قولا طيبا
+ واذا نظرت
فلا ارى
الاك.
অর্থঃ- “হুজুর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্বোধন তিনি করে বলছেন, “হে নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যখনই আমি কিছু শুনি
শুধু আপনার মুবারক ক্বওল শরীফই শুনি আর যখন কোন দিকে তাকাই তখন আপনি ছাড়া আর কিছুই
আমার দৃষ্টিগোচর হয়না।”
হযরত ইমাম
আযম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি কুফা নগরে অবস্থানকালীন সময় চতুর্দিকে সাইয়্যিদুল
মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখতে পেতেন। “তাবাকাত” কিতাবের ২য় খন্ডের, ১৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, হযরত ইমাম আবুল আব্বাস মারাসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেছেন,
لى
اربعون سنة
ما حجبت
عن رسول
الله صلى
الله عليه
وسلم لو
حجبت طرفة
عين ما
اعددت نفسى
من جملة
المسلمين.
অর্থঃ “আজ
চল্লিশ বৎসরব্যাপী আমি রসূলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার (দর্শন) হতে
বঞ্চিত হইনি। যদি এক নিমেষও তাঁর দর্শন হতে বঞ্চিত হতাম তাহলে আমি নিজেকে মুসলমান বলে
পরিগণিত করতাম না।”
অর্থাৎ যখন
তিনি ঐ কথা বলেছেন তার চল্লিশ বছর পূর্ব হতে তখন পর্যন্ত এবং তারও পরে আজীবন তিনি আল্লাহ
পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দায়েমী দীদারে মশগুল
ছিলেন।
মুজাহিদে
আ’যম,
মুজাদ্দিদে জামান হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি
আলাইহি এবং কুতুবুল ইরশাদ, হাফিযে হাদীছ হযরতুল
আল্লামা রুহুল আমীন বশিরহাটী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন আমরা যখন কোন হাদীছ শরীফ বর্ণনা
করি তখন সরাসরি আল্লাহ পাক উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমাদের সামনে দেখতে
পাই। সরাসরি হাদীছ শরীফ জেনে বা তাহকীক করে তা বর্ণনা করে থাকি।
তাযকিরাতুল
আওলিয়া ২য় খন্ডে উল্লেখ করা হয়েছে- আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী হযরত আবুল হাসান খারকানী
রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে উনার একজন মুরীদ খারকান শহর থেকে শাম দেশে গিয়ে ইলমে
হাদীছ শিক্ষার অনুমতি চাইলেন। তিনি মুরীদকে বললেন, তুমি শাম দেশে যাবে কেন? খারকান শহরে কি কোন
বড় মুহাদ্দিছ নেই। তখন শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি নিজেই বললেন, তুমি হাদীছ শরীফ পড়বে, আমার কাছেই তো পড়তে পার। তখন সেই মুরীদ
মনে মনে ফিকির করলো আমার শায়খ হযরত আবুল হাসান খারকানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তো কোন মাদ্রাসায়
লেখা-পড়া করেননি। তিনি কি করে আমাকে হাদীছ শরীফ পড়াবেন? সে কোন উত্তর না দিয়ে মজলিস শেষে চলে গেল। রাত্রি বেলায় ঐ মুরীদ
স্বপ্নে দেখলো- আল্লাহ পাক উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বলতেছেন, হে ব্যক্তি তুমি সাবধান হয়ে যাও! তুমি জান, তোমার শায়খ হযরত আবূল হাসান খারকানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্তমান
বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ। কাজেই তুমি উনার কাছে গিয়ে ক্ষমা চাও এবং উনার কাছেই
হাদীছ শরীফ শিক্ষা কর। সে ব্যক্তি তাই করলো। হাদীছ শরীফ পড়ানোর সময় শায়খ মুখস্থ পড়ান
আবার কিতাবে লিখা না থাকা সত্ত্বেও কোনটি কোন ধরনের হাদীছ শরীফ তাও তিনি বলে দেন। অনেক
দিন পরে সেই মুরীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন যে, আমি হাদীছ শরীফ পড়ানোর সময় রহমতুল্লিল আলামীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমার সামনে দেখতে পাই। উনার নিকট থেকে জেনেই আমি তোমাকে পড়াই
ও সব কথা বলি। (সুবহানাল্লাহ)
এছাড়াও কারবালার
হৃদয় বিদারক ইতিহাস থেকেও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম তিনি যে হাযির ও
নাযির তার অকাট্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
যখন তীরের
আঘাতে নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হুসাইন
আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র শরীর ঝাঁঝরা হয়ে ফিনকি দিয়ে সারা শরীর মুবারক থেকে রক্ত
বের হতে লাগলো, তখন উনি বার বার মুখে হাত দিয়ে বললেন, বদবখতের দল! তোমরাতো তোমাদের নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার লেহাজও করলে না। তোমরা নিজের নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
বংশধরকে কতল করছো! এভাবে যখন তিনি আর একবার মুখের উপর হাত দিলেন, তাঁর চোখের সামনে আর এক দৃশ্য ভেসে উঠল। তিনি দেখতে পেলেন, স্বয়ং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাত মুবারকে
একটি বোতল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। হযরত আলী র্ক্রাামাল্লাহু ওয়াজ্্হাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু ও হযরত ফাতিমাতুয্্ যাহরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহাও পার্শ্বে আছেন আর বলছেন, ‘হুসাইন! আমাদের দিকে তাকাও, আমরা তোমাকে নিতে এসেছি।’
হযরত ইমাম
হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-উনার কাপড় রক্তে ভিজে যাচ্ছিল আর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই রক্ত বোতলে ভরে নিচ্ছিলেন এবং বলছিলেন, ‘হে আল্লাহ পাক! হুসাইনকে পরম ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা দান করুন।’
(দলিল: কারবালার হৃদয় বিদারক ইতিহাস)
উপরে বর্ণিত
মিলাদ শরীফ-ক্বিয়াম শরীফ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বত্র হাযির ও নাযির সম্পর্কিত দলিল সমূহ মূলতঃ শত সহ¯্র দলিল সমূহের মধ্য
থেকে সামান্য কয়েকটি দলিল সংকলন করে সংক্ষেপ আকারে পেশ করা হয়েছে। আসলে মু’মিনের জন্য
একটি দলিল’ই যথেষ্ট। আর যারা বদ আক্বিদা, বদ মাযহাবী, বাতিল ফিরক্বার অন্তভ’ক্ত তাদের লক্ষ-কোটি
দলিল দিলেও তারা মানবেনা। কেননা তাদের অন্তরে সিল মোহর পড়ে গেছে। তারা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে বেয়াদবী করতে করতে যুব্বুল হুযূনে চলে যাবে তবু নবী পাক
উনার শানে আদব, মুহব্বত তারা প্রদর্শন করবেনা।
আল্লাহ পাক
আমাদের সবাইকে ঐসব বদ আক্বিদা, বদ মাযহাবী, ওহাবী, খারিজি, দেওবন্দী, তাবলীগী, কাদিয়ানী তথা বাতিল বাহাত্তর ফিরক্বার লোকদের ওয়াস ওয়াসা থেকে
হেফাযত করুন। আর নাযিয়াহ্(নাযাত প্রাপ্তদের) তথা আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত এর আক্বিদা
পোষণ করার এবং সে অনুযায়ী আমল করার তাওফীক দান করুন। (আমীন)
মূলতঃ মহান
আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যহেতেু সমগ্র
কায়নিাত সৃষ্টরি র্পূবইে সৃষ্টি করা হয়ছে।ে তাই তিনি র্সবকাল,ে র্সবযুগ,ে র্সবাবস্থায় হাজির-নাজির
ছলিনে,
আছনে, ক্বয়িামত র্পযন্ত
থাকবনে ও ক্বয়িামতরে পরে অনন্ত কাল থাকবনে।
এ র্মমে পবত্রি
কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারকমুবারক হয়ছে-ে
الم
تر ان
الله خلق
السموت والارض
بالحق.
র্অথ: হে
হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কি দখেনন?ি যে মহান আল্লাহ পাক আসমান ও যমীন এবং এতদুভয়রে মধ্যস্থতি
সমস্ত কছিুই সঠকি ও সুন্দরভাবে সৃষ্টি করছেনে। র্অথাৎ সমগ্র কায়নিাত বা মাখলূকাত সৃষ্টরি
সময় আপনি হাজির-নাজির থকেইে সবকছিুই দখেছনে। মূলকথা হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক যখন কুল
কায়নিাত সৃষ্টি করনে তখনও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান দরবারে ইলাহীতে
উপস্থতি ছলিনে ও সবকছিু দখেছেনে।
মহান আল্লাহ
পাক আরো ইরশাদ মুবারকমুবারক করনে- الم
تر كيف
فعل ربك
باصحاب الفيل
র্অথ: “হে
হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কি দখেনেন,ি আপনার প্রভু হস্তীবাহনিীদরে কি অবস্থা করছেনে?” (পবত্রি সূরা ফীল - পবত্রি আয়াত শরীফ ১)
الم
تر كيف
فعل ربك
بعاد
র্অথ: “হে
হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কি দখেনেন,ি আপনার প্রতপিালক আদ জাতরি সঙ্গে করিূপ আচরণ করছেনে?” (পবত্রি সূরা ফজর - পবত্রি আয়াত শরীফ ৬)
‘আদ’ জাতি ও ‘হস্তবিাহনিীর ঘটনাবলী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর
যমীনে আগমণরে অনকে আগইে সংঘটতি হয়ছেলি, অথচ বলা হচ্ছে الم
تر আপনি কি দখেনেন?ি র্অথাৎ আপনি দখেছেনে। এ আয়াত শরীফসমূহ থকেে এটাই ছাবতি হলো
যে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সৃষ্টরি শুরু
থকেে র্সবকাল,ে র্সবযুগ,ে র্সবাবস্থায় কায়নিাতে যত ঘটনা ঘটছেে তা সবই তিনি হাজির-নাজির
থকেে প্রত্যক্ষ করছেনে বা দখেছেনে।
র্সবপরি হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাজরি ও নাজরি হওয়া সর্ম্পকে আহলে সুন্নত ওয়াল
জামায়াতরে ফতওয়া হলো, “তিনি মহান আল্লাহ্
পাক উনার প্রদত্ত্ব ক্ষমতায় ছফিত হসিবেে হাজির-নাজির।” এবং জাতগিতভাবওে যকেোন সময়
যকেোন স্থানে হাজির-নাজির হওয়ার ইখতয়িার রয়ছে।ে
মহান আল্লাহ্
পাক বলনে,
وما ارسلنك
الا رحمة
للعلمين.
র্অথ: “নশ্চিয়ই
আমি আপনাকে সমস্ত আলমরে জন্য রহমত স্বরূপ পাঠযি়ছে।ি (পবত্রি সূরা আম্বয়িা-১০৭)
উল্লখ্যে
য,ে মহান আল্লাহ পাক হচ্ছনেرب
العلمين (রব্বুল আ’লামীন) সমস্ত আল্লমরে রব। আর হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছনে رحمة
للعلمين (রহমাতুল্ললি আ’লামীন) সমস্ত আলমরে জন্য রহমত। র্অথাৎ রব্বুল আলামীনরে
রুবুবযি়্যত যত কছিুর জন্য প্রযোজ্য رحمة
للعلمين এর রহমত তত কছিুর জন্যই প্রযোজ্য।
মহান আল্লাহ পাক-উনার রুবুবযি়তরে বাইরে যমেন কোন কছিু নইে তমেনি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর رحمة থকেে খালি কোন কছিুই নইে।
এ সর্ম্পকে
মহান আল্লাহ তিনি পাক ইরশাদ মুবারক করনে,ورحمتى
وسعت كل
شىء
র্অথ: “আর
আমার রহমত সবকছিুকে বষ্টেন করে আছ।ে” (পবত্রি সূরা আ’রাফ, পবত্রি আয়াত শরীফ ১৫৬)
র্অথাৎ মহান
আল্লাহ্ পাক প্রদত্ত ক্ষমতায় রহমত হসিবেে সাইয়্যদিুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবইিয়নি, রহমতুল্ললি আলামীন, নূরে মুজাস্সাম হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সৃষ্টি
জগতরে সবকছিুতে বরিাজমান। মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টি জীবরে মধ্যে এমন কোন বষিয় নইে, এমন কোন স্থান নইে, এমন কোন বস্তু নইে যখোনে রহমত নইে। মহান আল্লাহ পাক উনার কায়নিাতে বায়ুশূন্য
স্থানরে যমেন কোন অস্তত্বি পাওয়া যাবে না অনুরূপ রহমতশুন্য স্থানরে অস্তত্বিও পাওয়া
যাবে না।
সুতরাং মহান
আল্লাহ পাক উনার রহমত তথা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমগ্র কয়নিাতকে
বষ্টেন করে আছনে।
এ সর্ম্পকে
বশিষেভাবে উল্লখ্যে য,ে মহান আল্লাহ পাক
তিনি ইরশাদ মুবারক ফরমান-
ان
رحمة الله
قريب من
المحسنين
র্অথ: নশ্চিয়ই
মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হক্কানী-রব্বানী
ওলী মহান আল্লাহগণরে নকিটইে রয়ছেনে। (পবত্রি সূরা আ’রাফ, পবত্রি আয়াত শরীফ ৫৬)
র্অথাৎ হক্কানী-রব্বানী
ওলীমহান আল্লাহগণ মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত তথা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনাকে লাভ করইে ওলীয়ে মহান আল্লাহ হন। আর সে কারণইে আওলয়িায়ে করিামগণ মহান
আল্লাহ পাক উনার রহমত তথা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দায়মিীভাবে
দেখে থাকেন।
হুজ্জাতুল
ইসলাম হযরত ইমাম গাজ্জালী (আলাইহসি সালাম) বলছেনে,
.ارباب
قلوب مشاہدہ
می کنند
در بیدا
ری انبیاء
و ملائکہ
راو ہمکلام
می شوند
بایشاں
র্অথ:“খোদায়ী
নূরে আলোকতি অন্তর বশিষ্টি ব্যক্তর্বিগ জাগ্রত অবস্থায় হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম ও ফরেশ্তোগণকে দখেতে পান, তাঁদরে সাথে কথার্বাতাও বলনে।”
ইমামে আ’যম
হযরত ইমাম আবূ হানীফা আলাইহসি সালাম “কাছীদায়ে নু’মান” নামক প্রশংসামূলক কাব্যগ্রন্থে
বলছেনে,
.واذا سمعت
فعنك قولا
طيبا + واذا
نظرت فلا
ارى الاك
র্অথঃ- “হুজুর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন তিনি করে বলছনে, “হে নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যখনই আমি কছিু শুনি
শুধু আপনার মুবারক ক্বওল শরীফই শুনি আর যখন কোন দকিে তাকাই তখন আপনি ছাড়া আর কছিুই
আমার দৃষ্টগিোচর হয়না।”হযরত ইমাম আযম আবূ হানীফা (আলাইহসি সালাম) কুফা নগরে অবস্থানকালীন
সময় চর্তুদকিে সাইয়্যদিুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবযি়্যীন,হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দখেতে পতেনে।
“তাবাকাত” কতিাবরে ২য় খন্ডরে, ১৩ পৃষ্ঠায় উল্লখে
আছ,ে হযরত ইমাম আবুল আব্বাস মারাসী রদ্বয়িাল্লাহু তায়ালা আনহু বলছেনে
لى
اربعون سنة
ما حجبت
عن رسول
الله صلى
الله عليه
وسلم لو
حجبت طرفة
عين ما
اعددت نفسى
من جملة
المسلمين.
র্অথঃ “আজ
চল্লশি বৎসরব্যাপী আমি রসূলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর (র্দশন) হতে
বঞ্চতি হইন।ি যদি এক নমিষেও তাঁর র্দশন হতে বঞ্চতি হতাম তাহলে আমি নজিকেে মুসলমান বলে
পরগিণতি করতাম না।”
র্অথাৎ যখন
তিনি ঐ কথা বলছেনে তার চল্লশি বছর র্পূব হতে তখন র্পযন্ত এবং তারও পরে আজীবন তিনি মহান
আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দায়মিী দীদারে
মশগুল ছলিনে। মুজাহদিে আ’যম, মুজাদ্দদিে জামান
হযরত সাইয়্যদি আহমদ শহীদ বরেলেভী (আলাইহসি সালাম) এবং কুতুবুল ইরশাদ,হাফযিে হাদীছ হযরতুল আল্লামা রুহুল আমীন বশরিহাটী রহমতুল্লাহি
আলাইহি বলছেনে আমরা যখন কোন হাদীছ শরীফ র্বণনা করি তখন সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার
হাবীব সাইয়্যদিুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবইিয়নি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাকে আমাদরে সামনে দখেতে পাই। সরাসরি হাদীছ শরীফ জনেে বা তাহকীক করে তা র্বণনা করে
থাক।ি
প্রখ্যাত
তাযকরিাতুল আওলয়িা উনার ২য় খণ্ড উল্লখে করা হয়ছে-ে মহান আল্লাহ পাক উনার খালছি ওলী
হযরত আবুল হাসান খারকানী রহমতুল্লাহি আলাইহ-িএর কাছে উনার একজন মুরীদ খারকান শহর থকেে
শাম দশেে গযি়ে ইলমে হাদীছ শক্ষিার অনুমতি চাইলনে। তিনি মুরীদকে বললনে, তুমি শাম দশেে যাবে কনে? খারকান শহরে কি কোন বড় মুহাদ্দছি নইে। তখন শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি নজিইে বললনে, তুমি হাদীছ শরীফ পড়ব,ে আমার কাছইে তো পড়তে পার। তখন সইে মুরীদ মনে মনে ফকিরি করলো আমার শায়খ হযরত আবুল
হাসান খারকানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তো কোন মাদ্রাসায় লখো-পড়া করনেন।ি তিনি কি করে
আমাকে হাদীছ শরীফ পড়াবনে? সে কোন উত্তর না
দযি়ে মজলসি শষেে চলে গলে। রাত্রি বলোয় ঐ মুরীদ স্বপ্নে দখেলো- মহান আল্লাহ পাক উনার
হাবীব সাইয়্যদিুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবইিয়নি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তাকে বলতছেনে, হে ব্যক্তি তুমি সাবধান হয়ে যাও!
তুমি জান,
তোমার শায়খ হযরত আবূল হাসান খারকানী রহমতুল্লাহি আলাইহি র্বতমান
বশ্বিরে র্সবশ্রষ্ঠে মুহাদ্দছি। কাজইে তুমি উনার কাছে গযি়ে ক্ষমা চাও এবং উনার কাছইে
হাদীছ শরীফ শক্ষিা কর। সে ব্যক্তি তাই করলো। হাদীছ শরীফ পড়ানোর সময় শায়খ মুখস্থ পড়ান
আবার কতিাবে লখিা না থাকা সত্ত্বওে কোনটি কোন ধরনরে হাদীছ শরীফ তাও তিনি বলে দনে। অনকে
দনি পরে সইে মুরীদরে এক প্রশ্নরে জবাবে তিনি বলছেলিনে য,ে আমি হাদীছ শরীফ পড়ানোর সময় রহমতুল্ললি আলামীন হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমার সামনে দখেতে পাই। উনার নকিট থকেে জনেইে
আমি তোমাকে পড়াই ও সব কথা বল।ি (সুবহানাল্লাহ)
এছাড়াও কারবালার
হৃদয় বদিারক ইতহিাস থকেওে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম তিনি যে হাজরি ও
নাজরি তার অকাট্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। যখন তীররে আঘাতে নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম-উনার প্রযি় দৌহত্রি হযরত ইমাম হুসাইন (আলাইহসি সালাম)-উনার পবত্রি শরীর ঝাঁঝরা
হয়ে ফনিকি দযি়ে সারা শরীর মুবারক থকেে রক্ত বরে হতে লাগলো, তখন উনি বার বার মুখে হাত দযি়ে বললনে, বদবখতরে দল! তোমরাতো তোমাদরে নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম-এর লহোজও করলে না। তোমরা নজিরে নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বংশধরকে
কতল করছো! এভাবে যখন তিনি আর একবার মুখরে উপর হাত দলিনে, তাঁর চোখরে সামনে আর এক দৃশ্য ভসেে উঠল। তিনি দখেতে পলেনে, স্বয়ং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাত মুবারকে
একটি বোতল নযি়ে দাঁড়যি়ে আছনে। হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু (আলাইহসি সালাম)
ও হযরত ফাতমিাতুয যাহরা (আলাইহসি সালাম) র্পাশ্বে আছনে আর বলছনে, ‘হুসাইন! আমাদরে দকিে তাকাও, আমরা তোমাকে নতিে এসছে।ি ’হযরত ইমাম হুসাইন (আলাইহসি সালাম) উনার কাপড় রক্তে ভজিে
যাচ্ছলি আর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সইে রক্ত বোতলে ভরে নচ্ছিলিনে
এবং বলছলিনে, ‘হে মহান আল্লাহ পাক! হুসাইনকে পরম
ধর্যৈ ধারণরে ক্ষমতা দান করুন।’ (দলীল: কারবালার হৃদয় বদিারক ইতহিাস)
উপরে র্বণতি
মলিাদ শরীফ-ক্বয়িাম শরীফ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি র্সবত্র হাজরি ও নাজরি সর্ম্পকতি দললি সমূহ মূলতঃ শত সহস্র
দললি সমূহরে মধ্য থকেে সামান্য কয়কেটি দললি সংকলন করে সংক্ষপে আকারে পশে করা হয়ছে।ে
আসলে মু’মনিরে জন্য একটি দললি’ই যথষ্টে। আর যারা বদ আক্বদিা, বদ মাযহাবী, বাতলি ফরিক্বার অন্তভ’ক্ত তাদরে লক্ষ-কোটি দললি দলিওে তারা মানবনো। কনেনা তাদরে
অন্তরে সলি মোহর পড়ে গছে।ে তারা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে
বয়োদবী করতে করতে যুব্বুল হুযূনে চলে যাবে তবু নবী পাক উনার শানে আদব, মুহব্বত তারা প্রর্দশন করবনো।
মহান আল্লাহ
পাক আমাদরে সবাইকে ঐসব বদ আক্বদিা, বদ মাযহাবী, ওহাবী, খারজি,ি দওেবন্দী, তাবলীগী, কাদয়িানী তথা বাতলি
বাহাত্তর ফরিক্বার লোকদরে ওয়াস ওয়াসা থকেে হফোযত করুন। আর নাযয়িাহ্ (নাযাত প্রাপ্তদরে)
তথা আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত এর আক্বদিা পোষণ করার এবং সে অনুযায়ী আমল করার তাওফীক
দান করুন। (আমীন)
0 Comments:
Post a Comment