আহলে
সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা হল সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন,
খতামুন্ নাবিয়্যীন,
হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হায়াতুন নবী। মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ
করেন, “যারা আল্লাহ পাক-এর রাস্তায় শহীদ হয়েছেন তোমরা তাদেরকে
মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত। অথচ তোমরা তা উপলব্ধি করতে পারছো না।”
(সূরা বাক্বারা/১৫৪)
আর ওলীআল্লাহগণের শানেও বলা হয়েছে, “ওলীআল্লাহগণ মৃত্যুবরণ করেন না। বরং তারা অস্থায়ী জগৎ থেকে স্থায়ী জগতের দিকে প্রত্যাবর্তন করেন।” (মিরকাত ৩য় খণ্ড, ২৪১ পৃষ্ঠা)। এছাড়া সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণও স্বীয় রওযা মুবারকে জীবিত রয়েছেন। যেমন কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, “নিশ্চয়ই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত মুসা আলাইহিস্ সালামকে উনার রওজা মুবারকে নামাযরত অবস্থায় দাঁড়ানো দেখেছেন। অনুরূপভাবে হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস্ সালামকে দেখেছেন।” (মিরকাত ৩ জিলদ ২৪১ পৃষ্ঠা)
আর ওলীআল্লাহগণের শানেও বলা হয়েছে, “ওলীআল্লাহগণ মৃত্যুবরণ করেন না। বরং তারা অস্থায়ী জগৎ থেকে স্থায়ী জগতের দিকে প্রত্যাবর্তন করেন।” (মিরকাত ৩য় খণ্ড, ২৪১ পৃষ্ঠা)। এছাড়া সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণও স্বীয় রওযা মুবারকে জীবিত রয়েছেন। যেমন কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, “নিশ্চয়ই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত মুসা আলাইহিস্ সালামকে উনার রওজা মুবারকে নামাযরত অবস্থায় দাঁড়ানো দেখেছেন। অনুরূপভাবে হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস্ সালামকে দেখেছেন।” (মিরকাত ৩ জিলদ ২৪১ পৃষ্ঠা)
এ সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ রয়েছে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণ স্বীয় রওযা শরীফ-এ জীবিত থাকেন। উনারা রওযা শরীফ-এ নামাযও আদায় করেন।” (তারিখে ইস্পাহান ২/৮৩, ফয়জুল ক্বাদীর ৩/১৮৪, আবু ইয়ালা, দায়লামী শরীফ/৪০৪ )
শুধু তাই নয়, বরং সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণই স্বীয় রওযা
শরীফ-এ
অবস্থান করে আল্লাহ পাক-এর ইবাদত-বন্দিগীতে মশগুল রয়েছেন এবং রিযিকও পাচ্ছেন। যেমন হাদীছ
শরীফ-এ
বর্ণিত আছে, “আল্লাহ পাক-এর নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণ স্বীয় রওজা
মুবারকে জীবিত রয়েছেন এবং উনারা খাদ্যও খেয়ে থাকেন।”
(ইবনে মাযাহ,
মিশকাত,
মিরকাত/৩খণ্ড,
২৪১)।
অন্য হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে,
হযরত আউস
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক যমীনের জন্য নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণের শরীর
মুবারককে ভক্ষণ করা (নষ্ট করা)
হারাম করে
দিয়েছেন।” (আহমদ,
আবু দাউদ,
ইবনে মাযাহ,
ইবনু হিব্বান,
মুস্তাদরাকে
হাকিম, কানযুল উম্মাল, মিরকাত)
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি আমার রওযা মুবারকের নিকট এসে আমার প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ করে আমি অবশ্যই তার দুরূদ শরীফ শুনতে পাই।” (বায়হাক্বী, মিশকাত/৮৭)
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি আমার রওযা মুবারকের নিকট এসে আমার প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ করে আমি অবশ্যই তার দুরূদ শরীফ শুনতে পাই।” (বায়হাক্বী, মিশকাত/৮৭)
অন্য হাদীছ শরীফ-এ এসেছে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “হে আমার ছাহাবীগণ! হে আমার উম্মতগণ!!
তোমারা আমার
প্রতি প্রত্যেক সোমবার ও শুক্রবার দুরূদ শরীফ পাঠ করো। নিশ্চয়ই আমি তোমাদের সেই
দুরূদ শরীফ বিনা মধ্যস্থতায় শুনতে পাই।” উক্ত হাদীছ শরীফ-এর ব্যাখ্যায় কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে,
হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমি হাক্বীক্বীভাবে বিনা মধ্যস্থতায় তা
শুনতে পাই।” (মিরকাত ২য় খণ্ড,
৩৪৭ পৃষ্ঠা)।
কিতাবে আরো উল্লেখ আছে, “নিশ্চয়ই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম রওযা মুবারকে জীবিত অবস্থায় আছেন।”
(মিরকাত/২/২২৩)
উপরোক্ত দলীলভিত্তিক আলোচনা এটাই প্রমাণিত হলো যে, ওলীআল্লাহগণসহ শুহাদায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিগণ এবং সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণ স্বীয় মাযার শরীফ বা রওযা শরীফ-এ জীবিত রয়েছেন। আর আল্লাহ পাক-এর হাবীব, নবীদের নবী, রসূলদের রসূল, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কথা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ তিনি হায়াতুন নবী। কিয়ামত পর্যন্ত তথা অনন্ত কাল পর্যন্ত উম্মতের অবস্থা তিনি পর্যবেক্ষণ করবেন।
হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম হওয়ার কারণেই উনার আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে বিবাহ করা হারাম:
“তাফসীরে মাযহারী” উনার ৭ম খণ্ডের ৩৭৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
اى ذنبا عظيما قلت وجاز ان يكون ذلك لاجل ان النبى صلى الله عليه وسلم حى فى قبره ولذلك لـم يورث ولـم يتئم ازواجه عن ابى هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من صلى على عند قبرى سمعته ومن صلى على نائبا ابلغته
অর্থ : “(হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম) উনাদেরকে বিবাহ করা বড় গুনাহ। আমি বলি : নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে বিবাহ করা হারাম এজন্যই যে, যেহেতু তিনি উনার রওযা শরীফ উনার মধ্যে জীবিত আছেন, তিনি হায়াতুন নবী। সে কারণে উনার সম্পত্তির কোন ওয়ারিছ নেই এবং উনার আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালামগণও বিধবা নন।”
হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি আমার রওযা শরীফ উনার নিকটে এসে ছলাত ও সালাম দিবে আমি তা সরাসরি শুনি। আর যে আমার নিকট দূরদেশ থেকে ছলাত ও সালাম পাঠাবে তা আমার কাছে পৌঁছে দেয়া হয়।” (বাইহাক্বী ফী শুয়াবিল ঈমান)
اى ذنبا عظيما قلت وجاز ان يكون ذلك لاجل ان النبى صلى الله عليه وسلم حى فى قبره ولذلك لـم يورث ولـم يتئم ازواجه عن ابى هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من صلى على عند قبرى سمعته ومن صلى على نائبا ابلغته
অর্থ : “(হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম) উনাদেরকে বিবাহ করা বড় গুনাহ। আমি বলি : নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে বিবাহ করা হারাম এজন্যই যে, যেহেতু তিনি উনার রওযা শরীফ উনার মধ্যে জীবিত আছেন, তিনি হায়াতুন নবী। সে কারণে উনার সম্পত্তির কোন ওয়ারিছ নেই এবং উনার আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালামগণও বিধবা নন।”
হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি আমার রওযা শরীফ উনার নিকটে এসে ছলাত ও সালাম দিবে আমি তা সরাসরি শুনি। আর যে আমার নিকট দূরদেশ থেকে ছলাত ও সালাম পাঠাবে তা আমার কাছে পৌঁছে দেয়া হয়।” (বাইহাক্বী ফী শুয়াবিল ঈমান)
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
কারণেই মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে উনাদেরকে নিয়ামত প্রদান খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার পবিত্র কালাম
পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
ومن يقنت منكن لله ورسوله وتعمل صالـحا نؤتها اجرها مرتين واعتدنا لـها رزقا كريما.
অর্থ : “আপনাদের মধ্যে যে কেউ খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি অনুগত হবেন ও সৎকার্য করবেন উনাকে আমি পুরস্কার দিবো দুইবার এবং উনার জন্য আমি প্রস্তুত রেখেছি সম্মানজনক রিযিক।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)
“তাফসীরে মাযহারী” উনার ৭ম খ-ের ৩৩৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, দ্বিগুণ পুরস্কারের অর্থ হচ্ছে-
প্রথমত : উনারা দ্বিগুণ পুরস্কার লাভ করবেন খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ইতায়াত বা আনুগত্যতার জন্য।
দ্বিতীয়ত : হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি-রেযামন্দী মুবারক অর্জনের জন্য। উনার উপর সন্তুষ্ট হয়ে উত্তম জীবনযাপনের জন্য।
হযরত মুক্বাতিল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, উনাদের প্রতিটি পুণ্যের প্রতিদান দেয়া হবে দশগুণ করে। এটা হচ্ছে আম বদলা। আর খাছ বদলা হচ্ছে অসংখ্য, অগণিত। কারণ দাতা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন অসীম আর উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন উনার কুদরত মুবারক উনার অধীন। সুবহানাল্লাহ!
“তাফসীরে মাযহারী” উনার ৭ম খ-ের ৩৩৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
ومن يقنت منكن لله ورسوله وتعمل صالـحا نؤتها اجرها مرتين واعتدنا لـها رزقا كريما.
অর্থ : “আপনাদের মধ্যে যে কেউ খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি অনুগত হবেন ও সৎকার্য করবেন উনাকে আমি পুরস্কার দিবো দুইবার এবং উনার জন্য আমি প্রস্তুত রেখেছি সম্মানজনক রিযিক।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)
“তাফসীরে মাযহারী” উনার ৭ম খ-ের ৩৩৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, দ্বিগুণ পুরস্কারের অর্থ হচ্ছে-
প্রথমত : উনারা দ্বিগুণ পুরস্কার লাভ করবেন খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ইতায়াত বা আনুগত্যতার জন্য।
দ্বিতীয়ত : হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি-রেযামন্দী মুবারক অর্জনের জন্য। উনার উপর সন্তুষ্ট হয়ে উত্তম জীবনযাপনের জন্য।
হযরত মুক্বাতিল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, উনাদের প্রতিটি পুণ্যের প্রতিদান দেয়া হবে দশগুণ করে। এটা হচ্ছে আম বদলা। আর খাছ বদলা হচ্ছে অসংখ্য, অগণিত। কারণ দাতা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন অসীম আর উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন উনার কুদরত মুবারক উনার অধীন। সুবহানাল্লাহ!
“তাফসীরে মাযহারী” উনার ৭ম খ-ের ৩৩৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
اى جليل القدر وهو الجنة زيادة على اجرها قلت وذالك لانهن يرزقن بمتابعة النبى صلى الله . عليه وسلم مايرزق النبى صلى الله عليه وسلم
অর্থ : “(নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালামগণ) উনাদেরকে সম্মানজনক রিযিক প্রদান করা হবে। তা হচ্ছে জান্নাত। যা সবচেয়ে বড় প্রতিদান। আমি বলি : উনারা উত্তম রিযিক পাবেন হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া হওয়ার কারণেই। তাই হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য যে রিযিক, উনাদের জন্যও সে রিযিক ধার্য হবে।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে ইবনে কাছীর, কুরতুবী, আহকামুল কুরআন, খাযিন, বাগবী, মাদারিক ইত্যাদি তাফসীরগুলোতে আরও বিশদভাবে আলোচনা রয়েছে।)
অর্থ : “(নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালামগণ) উনাদেরকে সম্মানজনক রিযিক প্রদান করা হবে। তা হচ্ছে জান্নাত। যা সবচেয়ে বড় প্রতিদান। আমি বলি : উনারা উত্তম রিযিক পাবেন হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া হওয়ার কারণেই। তাই হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য যে রিযিক, উনাদের জন্যও সে রিযিক ধার্য হবে।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে ইবনে কাছীর, কুরতুবী, আহকামুল কুরআন, খাযিন, বাগবী, মাদারিক ইত্যাদি তাফসীরগুলোতে আরও বিশদভাবে আলোচনা রয়েছে।)
পবিত্র কুরআন শরীফ,
পবিত্র
হাদীছ শরীফ, তাফসীর শরীফ ইত্যাদি কিতাব
উনাদের উপরোক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে-
(১) আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া হওয়ার কারণেই হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মর্যাদা অন্যান্য সকল নারীর উপরে। সুবহানাল্লাহ!
(১) আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া হওয়ার কারণেই হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মর্যাদা অন্যান্য সকল নারীর উপরে। সুবহানাল্লাহ!
(২) হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা যেমন ইহকালে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া; তদ্রুপ বেহেশতেও উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া হিসেবেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ!
(৩) হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা আহলে বাইত শরীফ উনাদের অন্তর্ভুক্ত।
সুবহানাল্লাহ!
(৪) অন্যান্য মানুষের থেকে উনাদের আমলের প্রতিদান
দ্বিগুণ-বহুগুণে প্রদান করা হবে।
সুবহানাল্লাহ!
(৫) পৃথিবী সৃষ্টির পূর্বে-পরে, যে কোন কালে
যাঁরাই অনেক মর্যাদাশালী হয়েছেন; তাঁরাই আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
কারণেই মর্যাদাময় হয়েছেন। এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ!
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার
রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি, রেযামন্দী মুবারক
অর্জনের মূল মাধ্যম হচ্ছে ছোহবত মুবারক। এজন্য হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারা ওলীআল্লাহ উনাদের
ছোহবত অর্জন করাকে ফরযে আইন ফতওয়া দিয়েছেন।
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে উনার এবং উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম এবং সমস্ত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের প্রতি যথাযথ সম্মান-মর্যাদা, তা’যীম-তাকরীম ও সুধারণা রাখার তাওফীক দান করুন। (আমীন)
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে উনার এবং উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম এবং সমস্ত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের প্রতি যথাযথ সম্মান-মর্যাদা, তা’যীম-তাকরীম ও সুধারণা রাখার তাওফীক দান করুন। (আমীন)
0 Comments:
Post a Comment