জাওয়াব :
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
*
অর্থ : “যদি কেউ
এক বিন্দু নেকি করে,
তার প্রতিদান সে পাবে। আর একবিন্দু বদী করলেও তার বদলা তাকে
গ্রহণ করতে হবে।”
আরো
ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
*
অর্থ : “নিশ্চয়ই
আমি তোমাদের মধ্যে কোন আমলকারী পুরুষ ও মহিলার আমলকে নষ্ট করিনা।”
কাজেই সে
নেক কাজ করবে, সে নেকির বদলা পাবে। আর যে বদ কাজ বা গুনাহের কাজ করবে, সে তারও
বদলা পাবে।
পবিত্র
রমযান শরীফ উনার রোযা রাখা ফরয এবং নামায পড়াও ফরয। যে উভয়টি করবে, সে পূর্ণ
ফায়দা হাছিল করবে। আর যদি কেউ শুধু পবিত্র রমযান শরীফ উনার রোযা রাখে, নামায না
পড়ে, তবে তার রোযা রাখার ফরয আদায় হবে কিন্তু নামায না পড়ার গুনাহ তার উপর বর্তাবে।
কারণ, মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন,
*
অর্থ : “যে নেক
কাজ করে, সে তার নিজের জন্য করে। অর্থাৎ সে তার ছওয়াব পাবে, আর যে
পাপ কাজ করে, সেটা তার উপর বর্তাবে। অর্থাৎ গুনাহর শাস্তি তাকে ভোগ করতে হবে। আর আপনার রব
বা প্রতিপালক বান্দার প্রতি জুলুম করেন না। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক কোনো বান্দার
প্রতি জুলুম করেন না।”
সুতরাং
যে নামায আদায় করা ব্যতীত শুধু রমযান শরীফ-এ রোজা রাখবে সে রোযা রাখার ছওয়াব পাবে
এবং অবশ্যই সে নামায তরক করার গুনাহে গুনাহগার হবে।
আবা-৩১
0 Comments:
Post a Comment