ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছুফীয়ে বাতিন, ছহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-
তিনি
মস্তক সিজদায় অবনত করে নিবেদন জানালেনঃ “গোলামের দরখাস্তের কী
প্রয়োজন আল্লাহ্ পাক! আপনি যা দান করবেন, তাতেই আমি সন্তুষ্ট।”
আল্লাহ্ পাক বললেনঃ “আমি আপনাকে আখিরাত দান করলাম।” তিনি সবিনয়ে জবাব দিলেনঃ
“আল্লাহ্ পাক! আখিরাততো আপনার আশিকদের জন্য কয়েদখানা।” অতঃপর আল্লাহ্ পাক বললেনঃ “হে আমার আশিক বায়েযীদ! বেহেশত-দোযখ, আরশ-কুরসী,
অর্থাৎ আমার অধিকারের সব কিছুই আজ আপনাকে দান করে দিলাম।” সুলতানুল আরিফীন হযরত বায়েযীদ বোস্তামী
রহমতুল্লাহি আলাইহি পুনরায় নিবেদন করলেনঃ “আয় পরওয়ারদিগার! আমি যা
চাই, তা আপনি অবহিত আছেন।” আল্লাহ্ পাক-এর তরফ থেকে আবার আওয়াজ এলোঃ “হে বায়েযীদ! আপনি কী আমাকেই চান? আমি যদি আপনাকে চাই, তা’হলে আপনি কী করবেন?” এতে সুলতানুল আরিফীন হযরত বায়েযীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি
আলাইহি বিনীত আরয করলেনঃ “আয় আল্লাহ্ পাক! আপনি যদি আমাকে চান, তবে হাশরের
দিন জাহান্নামের নিকট দাঁড়িয়ে আমি এমন এক দীর্ঘশ্বাস ফেলব যে, জাহান্নামের আগুন নিভে
যাবে। কারণ, মুহব্বতের মুকাবিলায় জাহান্নামের আগুন অস্তিত্বহীন।” আল্লাহ্ পাক জানালেনঃ “হে বায়েযীদ! আপনি যা চাইছেন, তা পেয়েই গেছেন। অর্থাৎ
আমি আপনার হয়ে গেছি।” (সুবহানাল্লাহ্) আমাদের
আলোচ্য ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফজালুল ইবাদ, ছহেবে কাশ্ফ ও কারামত, ফখরুল
আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছহেবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, কুতুবুজ্জামান, আওলার্দু রসূল,
আলহাজ্ব, শাহ্ ছূফী, হযরতুল আল্লামা, শায়খ, সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান, আল হাসানী
ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাঈশী রহমতুল্লাহি আলাইহিও জীবনভর কেবল আল্লাহ্ পাককেই চেয়েছেন।
আল্লাহ্
পাককে তিনি পেয়েওছেন। আজ সেই পরম চাওয়া-পাওয়ার পূর্ণতাদান করলেন তাঁর প্রাণের আঁকা
মুর্শিদ ক্বিবলা, আমীরে শরীয়ত, মাহতাবে তরীক্বত, হাজীউল হারামাইন, হাদিউস্ সাক্বালাইন,
মাহিউল বিদ্য়াত, মুহইস্ সুন্নাতিন্ নুবুবিয়া, নাশিরুল মিল্লাতিল মুস্তাফিয়া, ছদরে জমিয়তে
উলামায়ে হানাফিয়া, শায়খুল ইসলাম, ইমামুল হুদা, কাইউমুয্ যামান, কুতুবুল আলম, খলিফাতুল্লাহ,
ছাজ্জাদানশীন পীর, পীরে দস্তগীর, পীরে কামিল, আলহাজ্ব, হযরত মাওলানা আবূ নছর মুহম্মদ
আবদুল হাই ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি।
খানকা
শরীফে উপস্থিত সবার অলক্ষ্যে খাছ কামরার একান্ত নিরিবিলিতে প্রাণের আঁকা মুর্শিদ ক্বিবলা
মুবারক জীবনের সঞ্চিত নিয়ামতের নির্যাস উনারমাহবুব হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ
মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহিকে দান করে সমৃদ্ধ করলেন এবং নিজে নির্ভার হয়ে উনাকে
বিশিষ্ট খলিফা অভিধায় অভিষিক্ত করে আল্লাহ্ পাক-এর কাছে সোপর্দ করে দিলেন। (অসমাপ্ত)
আবা-১০৪
0 Comments:
Post a Comment