খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র
খতমে
নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির
(সম্মানিত
ইসলামী শরীয়ত উনার হুকুম মোতাবেক যারা
মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত হয় (যেমন-
কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি) তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩দিন। এরপর তওবা না করলে, তাদের
শাস্তি মৃত্যুদন্ড)
(১)
কাদিয়ানি
রদ!
(দ্বিতীয়
ভাগ)
বাহরুল উলুম, ফখরুল ফুক্বাহা, রইছুল মুহাদ্দেসীন, তাজুল মুফাসসিরীন, হাফেযে হাদীছ, মুফতীয়ে আ’যম, পীরে কামিল, মুর্শিদে
মুকাম্মেল হযরত মাওলানা আল্লামা শাহ সূফী মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক
প্রণীত “কাদিয়ানি রদ” কিতাবখানা
(৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত)।
আমরা মাসিক
আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানিদের সম্পর্কে সঠিক
ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আকীদার
হেফাজত হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন। আমীন!।
উনার কিতাব
থেকে হুবহু উদ্ধৃতি করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য
রয়েছে।
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
মির্জ্জা
গোলাম আহমদ কাদেয়ানি ছাহেব প্রতিশ্রুত ইছা মছিহ হইতে পারেন কিনা? মির্জ্জা
সাহেব বারাহিনে আহমদীয়ার ৪৯৮/৪৯৯ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন।
اور جس غلبہء کاملہ دین اسلام کا و عدہ دیا گیا ھے وہ غلبہ مسیح کے ذریعے
سے ظھور مین ائے گا اور جب حضرت مسیح علیہ السلام دوبارہ اس دنیا مین تشریف لائین گے
تو ان کے ھاتھہ سے دین اسلام جمیع افاق او ر اقطار مین پھیل جائے گا-
“আর দীন-ইছলামের যে পূর্ণ পরাক্রমের
প্রতিশ্রুতি দেয়া হইয়াছে,
উহা মছিহ কর্ত্তৃক প্রকাশিত হইবে; আর যখন
হজরত মছিহ আলাইহিস সালাম দ্বিতীয়বার এই দুনইয়াতে আগমন করিবেন, তখন
তাঁহার হস্তে দুনইয়ার প্রত্যেক অঞ্চলে দীন-ইছলাম প্রচারিত হইবে। আরও তিনি ইংরাজি ১৯০৬ সালের ১৯শে জুলাই
তারিখের ‘আল-বদর’ পত্রিকায় প্রকাশ করিয়াছিলেন ;-
مین عیسے پرستی کے ستون کو توررنے کے لئے کھوا ھوا ھون اور اسلئے کہ
بجاے تثلیث کے توحید کو پھیلاؤن اور انحضرت صلے اللہ علیہ و سلم کی جلالت و شان کو
ظاھر ھون اور یہ علت غائی ظھور مین نھائے تو مین جھوتا ھون- اگر مین نے اسلام کی
جمایت مین وہ کام کر دکھایا جو مسیح موعود کو کرنا چاھئے تھا تو مین سچاھون اور اگر کچھہ نھوا اور مرگیا تو
سب گواہ ھین کہ مین جھوت ھون-
“আমি ইছা-পূজার স্তম্ভ ভাঙ্গিবার, ত্রিত্বের
স্থলে একত্ব (অহদানিএত) প্রচারের এবং হজরত নবি (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
উনার গৌরব ও মহত্ব প্রকাশের উদ্দেশ্যে দন্ডায়মান হইয়াছি। এক্ষেত্রে যদি আমা
কর্ত্তৃক কোটী নিদর্শন প্রকাশিত হয়, কিন্তু মুখ্য উদ্দেশ্য প্রকাশিত
না হয়, তবে আমি মিথ্যাবাদী হইব। যদি আমি ইছলামের সহায়তা কল্পে প্রতিশ্রুত মছিহের
করণীয় কার্য্য সম্পাদন করিয়া দেখাইতে পারি, তবে আমি সত্যপরায়ণ। আর যদি ইহার
কিছু না হয় এবং মৃত্যুমুখে পতিত হই, তবে সকলেই সাক্ষী থাকুক যে, আমি
মিথ্যাবাদী।” এক্ষণে আমি মির্জ্জায়ি বন্ধুগণকে জিজ্ঞাসা করি, মির্জ্জা গোলাম আহমদ সাহেব দুনইয়া
হইতে খৃষ্টান ধর্ম্ম লোপ করিয়াছেন কি? উক্ত ধর্ম্মবলম্বিগণকে মুছলমান
করিয়াছেন কি? হজরত বড় পীর ছৈয়দ আবদুল কাদের জিলানি সাহেবের ওয়াজে কত সহস্র সহস্র খৃষ্টান
মুছলমান হইয়াছিল। মির্জ্জা সাহেব ইহার তুলনায় কিছুই করিতে পারেন নাই। মির্জ্জা সাহেব এজালাতোল- আওহামের ৩১১ পৃষ্ঠায়
লিখিয়াছেন ;-
جب تم مسیح کا مردون مین داخل ھونا ثابت کردو گے اور عیسائیون کے دلون
مین نقش کرد وگے تو اس دن سمجھہ لو کہ اج عیسائی مذھب دنیا سے رخصت ھوا-
“যখন তোমরা মছিহকে মৃতদিগের মধ্যে দাখিল হওয়া সাব্যস্ত করিতে পার এবং
খ্রীষ্টানদিগের অন্তরে ইহা অঙ্কিত করিয়া দিতে পার, সেই দিবস বুঝিও যে অদ্য
খৃষ্টানদিগের মত দুনইয়া হইতে অদৃশ্য হইয়াছে।”
পাঠক, মির্জ্জা
সাহেব বুঝি সমস্ত জীবনে ইহাই করিতে সাধ্য সাধনা করিয়াছিলেন, কিন্তু
প্রচলিত মথি পুস্তকের ২৭ অধ্যায়, ৫০ পদে, মার্ক পুস্তকের ১৫/৩৭ পদে, লুকের ২৩/৪৬ পদে এবং যোহনের ১৯/৩০
পদে আছে, “পরে যীশু পূনর্ব্বার উচ্চৈঃস্বরে ডাকিয়া প্রাণত্যাগ করিলেন।” ইহার
বিপরীতে কুরআন শরিফে আছে যে, হজরত
ইছা আলাইহিস সালাম জীবিতবস্থায় আছমানে
সমুত্থিত হইয়াছেন,
যথাস্থলে ইহা লিখিত হইবে। ইহাতে বুঝা যাইতেছে যে, তিনি
খৃষ্টানি মত লোপ করেন নাই,
বরং বলবৎ করিয়াছেন, আর কোরআনি মত লোপ করার
সাধ্য-সাধনা করিয়াছেন। পাদরিদের ক্রমোন্নতি হইতেছে, পূর্ব্ব হইতে বর্ত্তমানে তাহাদের
মতের অধিক বিস্তৃতি পরিলক্ষিত হইতেছে, আরও তিনি মিষ্টার আথামের সহিত
মোকাবালা করিতে ইছলামের ধ্বংস করিতে প্রয়াস পাইয়াছিলেন, কিন্তু
মুছলমানগণ মির্জ্জা সাহেবকে ইছলামের গন্ডি হইতে খারিজ করিয়াছিলেন, এই হেতু
ইছলামের উপর কোন মন্দ আছর পতিত হয় নাই। মির্জ্জা
সাহেব এজালায়-আওহামের ২৮১ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন, ১৩ শতাব্দীর শেষভাগে হিন্দুস্থানে
নূতন খৃষ্টানদিগের সংখ্যা ৫ লক্ষ পর্য্যন্ত হইয়াছে। যিনি মছিহ হইবেন, তিনি
খ্রীষ্ট-ধর্ম্ম লোপ করিবেন,
কিন্তু কাদিয়ানিদিগের মছিহের সময় ইহার বিপরীতে
খৃষ্টধর্ম্মের প্রসার ত দ্রুতগতিতে হইতেছে। ইহা কি সত্যমছিহ হওয়ার লক্ষণ?
৪র্থ হাদিছে আছে, মছিহ
আলাইহিস সালাম-এর জামানায় ইসলাম ব্যতীত সমস্ত ধর্ম্ম লুপ্তপ্রায় হইবে। মির্জ্জা
সাহেবের জামানায় য়িহুদী,
খৃষ্টান্, পারশিক, বৌদ্ধ, হিন্দু প্রভৃতি ধর্ম্মের বিলোপ সাধন হইয়াছে কি? মির্জ্জা
সাহেবের অন্য ধর্ম্মাবলম্বিগণকে ইসলামে দীক্ষিত করা দূরের কথা, তিনি
নিজের মুষ্টিমেয় মির্জ্জায়ি সম্প্রদায় ব্যতীত দুনইয়ার প্রায় ৪০ কোটী মুসলমানকে
কাফের হওয়ার ফৎওয়া দিয়াছেন। তিনি হকিকাতোল
অহির ১৭৯ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন ;-
دوسرے یہ کفر کہ مثلا وہ مسیح موعود کو نھین مانتا اور اسکو باوجود
اتمام حجت کے جھوتا جانتاھے جس کے ماننے اور سچا جاننے کے بارے مین خدا اور رسول نے
تاکید کی ھے اور پھلے نبیون کی کتابون مین بھی تاکید پائی جاتی ھے پس اسلئے کہ وہ
خدا اور رسول کے فرمان کا منکر ھے کافر ھے-
“দ্বিতীয় প্রকার কাফেরি-যথা,-সে ব্যক্তি প্রতিশ্রুত মছিহকে (মির্জ্জা সাহেবকে) মান্য না
করে এবং প্রমাণ পূর্ণ করার পরে উক্ত ব্যক্তিকে মিথ্যাবাদী জানে- যাহাকে মান্য করার
ও সত্যবাদী জানার সম্বন্ধে খোদা ও রাছুল তাকিদ করিয়াছেন এবং প্রাচীন নবিগণের
কেতাবগুলিতে তাকিদ পাওয়া যায়, যে হেতু সে ব্যক্তি খোদা ও রাছুলের হুকুমের অবাধ্য সেই হেতু
সে কাফের।”
পাঠক, তিনি
দুনইয়ার হিন্দু, খৃষ্টান ও য়িহুদীদিগকে মুসলমান করিতে পারেন নাই, বরং উপরোক্ত এক ফৎওয়ায় দুনইয়ার
প্রায় সমস্ত মুসলমানকে কাফের স্থির করিলেন, কাজেই তিনি প্রতিশ্রুত মছিহের
কর্ত্তব্য কার্য্য সম্পাদন করেন নাই, এই হেতু নিজের দাবি অনুসারে জাল
মছিহ ও মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত হইলেন।
প্রথম ও
দ্বিতীয় হাদিছে আছে যে,
তিনি ন্যায় বিচারক বাদশাহহ হইবেন, তিনি
য়িহুদী, খৃষ্টান কিম্বা অন্য ধর্ম্মাবলম্বিদিগের ইসলাম গ্রহণ ব্যতীত অন্য কিছুতেই রাজি
হইবেন না, এমন কি তাহাদের নিকট হইতে ‘জিজইয়া’ কর গ্রহণ করার প্রথা উঠাইয়া দিবেন। যদিও য়িহুদী ও খৃষ্টানি
মত মনছুখ হওয়ায় বাতীল হইয়া গিয়াছিল, তবু প্রাচীন সত্য ধর্ম্মের
সম্মানের খাতিরে ইসলামে য়িহুদী ও খৃষ্টানদিগকে ইসলাম গ্রহণ করিতে বাধ্য করা হইত না, বরং
বশ্যতামূলক ‘জিজইয়া’ কর লইয়া তাহাদিগকে শান্তিতে ইসলাম রাজ্যে বাস করিতে দেওয়া হইত কিন্তু হজরত
ইছা আলাইহিস সালাম-এর নাজিল হওয়ার পরে
য়িহুদী ও খৃষ্টানি মতের অসারতা প্রত্যক্ষ ভাবে প্রতিপন্ন হইবে, কাজেই
হজরত মছিহ আলাইহিস সালাম সেই সময় কাহারও
নিকট ‘জিজইয়া’ কর গ্রহণ করিবেন না,
ইসলাম গ্রহণ ব্যতীত সকলকেই হত্যা করিবেন। মির্জ্জা সাহেব
এজালাতোল আওহামে লিখিয়াছেন,
ইসলামে জিজইয়া গ্রহণ করার ব্যবস্থা আছে, হজরত
ইছা আলাইহিস সালাম উহা উঠাইয়া দিলে, তিনি
ইসলামের ব্যবস্থা মনছুখ করিয়া দিলেন, ইহাকে হজরতের খাতেমোন্নবিইন হওয়া
রদ হইয়া যাইবে।
(২)
সম্মানিত
ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক
পাকিস্তান
সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক কাদিয়ানীদের কাফির
ঘোষণা!
অনুবাদিকা-
শায়লা মুর্শেদ
(পূর্ব
প্রকাশিতের পর)
১৮। ফতওয়ায়ে আলমগীরীর মতে, (দ্বাদশ হিজরীর শতক এক সংকলন, ভারত
সম্রাট আওরঙ্গজেবের (আলমগীর) তত্ত্ববধানে প্রসিদ্ধ আলেমগণের একটা দল উক্ত ফতওয়ার
কিতাবখানা সংকলন করেছিলেন) “যদি কোন ব্যক্তি অবিশ্বাস করে যে, সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন হযরত নবী
আলাইহিস সালামগণ উনাদের শেষ, সে অবশ্যই কোন মুসলমান নয় এবং যদি
সে নিজেকে আল্লাহ পাক উনার মনোনীত নবী কিংবা রসূল বলে দাবী করে, তাকে
কাফের বলে ঘোষণা দেয়া হবে। (ফতওয়ায়ে আলমগীরী ২য় খন্ড, ২৬৩ পৃষ্ঠা)
১৯।
আল্লামা শাওকানি রহমতুল্লাহি আলাইহি
(মৃত্যু- ১২৫৫ হিঃ),
উনার তফসীর গ্রন্থ ফাতহুল কাদীরে লিখেছেন, “সংখ্যাগরিষ্ট
আলেমগণ শব্দটিকে খাতিম বলেই উচ্চারণ করেছেন এবং ইমাম আসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি উচ্চারণ করেছেন- খাতাম।
প্রথমটির অর্থ দাঁড়াচ্ছে গিয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত নবী আলাইহিস সালাম উনার ধারা সমাপ্ত করেছেন। অর্থাৎ
তিনি শেষতম হয়ে এসেছিলেন এবং দ্বিতীয় উচ্চারণটি এই অর্থ প্রকাশ করছে, তিনি
হচ্ছেন উনাদের মধ্যে সীল স্বরূপ, যাঁর দ্বারা নবীকূল হয়েছেন সর্বাধিক সম্মানিত। (ফাতহুল
কাদীর ৪র্থ খন্ড,
২৭৫ পৃষ্ঠা)
২০।
আল্লামা আলুসী রহমতুল্লাহি আলাইহি (পবিত্র বিছাল শরীফ- ১২৭০ হিঃ), উনার
তফসীর গ্রন্থ “রুহুল মায়ানী”-তে লিখেছেন,
“নবী শব্দটি সার্বজনীন এবং রসূল শব্দটি বিশেষ। এজন্য আমাদের
নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খাতামুন নাবিয়্যীন হয়েও এই মর্তবা
হাসিল করেছেন যে,
তিনিই হচ্ছেন “খাতামুল মুরসালীন” এবং উনার
হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের
মধ্যে শেষ নবী হওয়া এই অর্থই প্রকাশ করে যে, উনার পবিত্র বিছাল শরীফ উনার পর
নুবুওওয়তের দ্বায়িত্ব কোন জ্বীন কিংবা মানবজাতির জন্য সম্পন্ন হয়ে যাবে।” (রুহুল মায়ানী,
২২তম খন্ড, ৩২পৃষ্ঠা)
যে কেউ উনার পরবর্তীতে এমন দাবী করে যে, সে
নুবুওওয়তের প্রত্যাদেশপ্রাপ্ত, সে তো প্রকাশ্য কাফির এবং এ প্রসঙ্গে মুসলমানদের মধ্যে কোন
মতবিরোধ নেই।” (রুহুল মায়ানী,
২২তম খন্ড, ৩৮ পৃষ্টা)
সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার শেষ নবী হওয়ার কথা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্টভাবে
বর্ণিত, পরিস্কারভাবে পবিত্র হাদীছ শরীফে ঘোষিত এবং সকল উম্মাহ্ কর্তৃক পুরোপুরি
সমর্থিত। অতঃপর এর বিপরীত কিছু কেউ যদি দাবী করে, তবে সে প্রকাশ্য কাফির।” (রুহুল মায়ানী,
২২তম খন্ড, ৩৯ পৃষ্ঠা)
নীচের শিয়া মতালম্বী তফসীরকারকদের থেকে
নুবুওওয়তের পরিসমাপ্তি সম্পর্কে একই রকমের দৃষ্টিভঙ্গি পাওয়া যায়ঃ-
(১) আলী
বিন ইব্রাহীম (৩২৯-৩৯১ হিঃ): তফসীর আল কুম্মী, পৃষ্ঠা-৫৩২, নযফে
প্রকাশিত (ইরাক)।
(২)
শায়েখ আবু মুহম্মদ বিন হাসান বিন আলী তুসি (মৃত্যু-৪৬০ হিঃ): তাফসীরুত্ তিবিয়ান, অষ্টম
খন্ড, পৃষ্ঠা-৩১৪, নযফে প্রকাশিত (ইরাক)।
(৩)
মুল্লা ফাতেহ্ উল্লাহ্ কাশানি (মৃত্যু-৪৮৮ হিঃ: তফসীরে মানহজ্জস সাদিকীন, ৭ম খন্ড, পৃষ্ঠা-৩৩৩, নযফে
প্রকাশিত (ইরাক)।
(৪) আবু
আলী ফজল বিন হুসাইন তাব্রেজী (মৃত্যু-৫৪৮ হিঃ): তফসীর মাজমউল বাইয়ান, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা-২৮৯, নযফে
প্রকাশিত (ইরাক)।
(৫)
মুল্লা মহসীন কশি : তফসীরুস্ সাফী, ৮৯১ পৃষ্ঠা, নযফে
প্রকাশিত (ইরাক)।
(৬)
হাশিম বিন সুলাইমান বিন ইসমাইল হুসাইনি (মৃত্যু-১১০৭ হিঃ): তফসীরুল বুরহান, ৩য় খন্ড, ৩২৭
পৃষ্ঠা, কোয়ামে প্রকাশিত (ইরাক)।
(৭)
আল্লামা হুসাইন বখশ- আনওয়ারুন্ নামাক, ১১তম খন্ড, পৃষ্ঠা-২১১, লাহোরে
প্রকাশিত।
(৮)
মৌলানা ইসরাদ আমের আলী: তফসীর উমদাতুল বাইয়ান, ১২তম খন্ড, পৃষ্ঠা-, দিল্লীর
প্রকাশিত।
(৯)
মাহাবুব আহমেদঃ- পবিত্র কুরআন শরীফের
ব্যাখ্যা ও অনুবাদ ৫০৭ পৃষ্ঠা, লাহোরে প্রকাশিত।
(১০)
হাফিজ ফারমান আলীঃ- পবিত্র কুরআন শরীফের
ব্যাখ্যা ও অনুবাদ,
৫৮৫ পৃষ্ঠা।
জামাখশরি (৪৬৭-৫৩৮ হিঃ) রহমতুল্লাহি আলাইহিঃ- তাফসীরে কাশ্শাফে, কাজী বাইদাওই (মৃত্যু ৬৮৫ হিঃ) রহমতুল্লাহি আলাইহিঃ- আনওয়ারুত্ তানযিলে, ইমাম রাজী (৫৪৩-৫০৬ হিঃ) রহমতুল্লাহি
আলাইহিঃ- তফসীর-ই- কাবির,
৩য় খন্ড ৩৪৩ পৃষ্ঠায়, ইমাম নববী (৬৩১-৬৭৬
হিঃ) রহমতুল্লাহি আলাইহিঃ- শারহে মুসলিমে
২য় খন্ড, ১৮৯পৃষ্ঠায়, শারহ্ মুসলিমের ১৮ খন্ড, ৭৫ পৃষ্ঠায়, আলাউদ্দীন বাগদাদী (মৃত্যু ৭২৫ হিঃ)
রহমতুল্লাহি আলাইহিঃ- তফসীরে খাজিনে, ৪৭১-৪৭২ পৃষ্ঠায়, তাযাতাযাইন (৭২২-৭৯২ হিঃ) রহমতুল্লাহি
আলাইহিঃ- শরহে আক্বাইদে নাসাফী, ১ম পৃষ্ঠায়, ইবন-ই-হজর আসকালানী (মৃত্যু ৪৪৯ হিঃ)
রহমতুল্লাহি আলাইহি ফাতহুল বারী ৬ষ্ট খন্ড,৩১৫, ১১৭
পৃষ্ঠাসমূহতে, বদরুদ্দীন আইনী (মৃত্যু ৮৫৫ হিঃ)
রহমতুল্লাহি আলাইহিঃ- উমদাতুল ক্বারী ১৬তম খন্ড, ৪০
পৃষ্ঠায়, কাসতালানী (৮৫১-৯২৩ হিঃ) রহমতুল্লাহি আলাইহিঃ- ইরশাদুল শারী, ৬ষ্ট
খন্ড, ১৮ পৃষ্ঠাতে,
ইবনে হাইশামি
(৯০২-৯৭৩ হিঃ) রহমতুল্লাহি আলাইহিঃ-
ফতওয়ায়ে হাদীসিয়াতে ১২৮-১২৯ পৃষ্ঠাসমূহে, শাহ্ আব্দুল হক মুহাদ্দীস দেহ্লভী (৯২৮-১০৫২হিঃ) রহমতুল্লাহি আলাইহিঃ-
আশ্য়্যাতুল লোমাত,
৪র্থ খন্ড, ৩৭৩ পৃষ্ঠায়, যুরকানী (মৃত্যু-১১৬২হিঃ) রহমতুল্লাহি আলাইহিঃ- শরহে মাওয়াহিবুল লাদুন্নীয়া, ৩য় খন্ড, ১১৬
পৃষ্ঠায় এই মতেরই স্বপক্ষ নিয়ে মত প্রকাশ করেছেন যে, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম দ্বিতীয়বার আসার ব্যাপারে যে
বিশ্বাসের প্রচলন আছে,
তার সঙ্গে কুরআন শরীফের বাণীর কোন মতবিরোধ নেই।
এই
ব্যাখ্যা তৈরী হয়েছে,
মুসলিম দেশসমূহের প্রতিটা যুগের প্রসিদ্ধ মুসলমান আলেমগণের দ্বারা, বিশিষ্ট আইনজ্ঞগণের, হক্বপন্থীগণের
এবং তফসীরকারকগণের দ্বারা।
উনাদের
জন্ম এবং মৃত্যুর তারিখের প্রতি লক্ষ্য করলেই বুঝা যায় যে, ইসলামের
ইতিহাসে ১ম থেকে ত্রয়দশ শতক হিজরীর প্রত্যের শতকেই উনারা প্রসিদ্ধ উচ্চ মর্যাদা
এবং মর্তবার আলেম হিসেবে শ্রদ্ধাভাজন হতেন। (অসমাপ্ত)
****************************************************************
খতমে নুবুওওয়াত প্রচার
কেন্দ্র
খতমে নুবুওওয়াত
অস্বীকারকারীরা কাফির
( ইসলামী শরীয়তের হুকুম
মোতাবেক
যারা মুসলমান থেকে খতমে
নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত হয় (যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি) তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩দিন।
এরপর তওবা না করলে,
তাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড )
(১)
কাদিয়ানি রদ!
( দ্বিতীয় ভাগ )
বাহরুল উলুম, ফখরুল ফুক্বাহা, রইছুল মুহাদ্দেসীন, তাজুল
মুফাসসিরীন, হাফেযে হাদীছ,
মুফতীয়ে আ’যম,
পীরে কামেল, মুর্শিদে মোকাম্মেল হযরত মাওলানা
আল্লামা শাহ্ সূফী মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানি
রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত)। আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায়
ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানিদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল
ফিরক্বা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আকীদার হেফাজত হয়। মহান
আল্লাহ পাক তিনি আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমীন)।
ওনার কিতাব থেকে হুবহু
উদ্ধৃতি করা হলো,
তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা
পার্থক্য রয়েছে।
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
মির্জ্জা গোলাম আহমদ
কাদেয়ানি ছাহেব প্রতিশ্রুত ইছা মছিহ হইতে পারেন কিনা ?
আমাদের উত্তর
ইসলামে হজরত ইছা আলাইহিস সালাম উনার জামানা অবধি জিযিয়া গ্রহণ
করা জায়েয, ইহার পরে নাজায়েয,
ইহা নবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উক্ত হাদিছে
প্রকাশ করিয়াছেন,
হজরত ইছা আলাইহিস সালাম উনার এই হুকুম পালনার্থ জিযিয়া
উঠাইয়া দিবেন, ইহাতে তিনি ইসলামের ব্যবস্থা মনছুখ করিবেন না, বরং ইসলামের আদেশ পালন করিবেন।
হজরত মাহদীর সময়ে সমস্ত খৃষ্টান্ শক্তি ছূর্ণ বিচুর্ণ হইয়া
যাইবে, আর হজরত মছিহ আলাইহিস সালাম উনার সময়ে দাজ্জাল ও তাহার অনুসরণকারী বিরাট
য়িহুদী বাহিনী বিধ্বস্ত হইয়া যাইবে, সেই সময় দুনইয়ার কোন শক্তি উনার
বিরুদ্ধে দন্ডায়মান হইতে সক্ষম হইবে না, এমন কি উক্ত হজরতের শক্তি ও মো’জেজা
কর্ত্তৃক বাধ্য হইয়া সেই সময়কার য়িহুদী ও খ্রীষ্টানগণ উনার উপর ইমান আনিবে এবং
ইসলাম গ্রহণ করিবে,
ইহাই প্রথম হাদিছ উল্লিখিত আয়তের মর্ম্ম। উপরোক্ত কারণে
যুদ্ধের পরিসমাপ্তি হইয়া যাইবে, এই হেতু কোন কোন রেওয়াএতে আছে, হজরত
মছিহ যুদ্ধের সমাপ্তি করিবেন। ইহাতে স্পষ্ট বুঝা যাইতেছে যে, হজরত ইছা
আলাইহিস সালাম উনার পর আর দুনইয়াতে যুদ্ধ হইবে না। এক্ষণে মির্জ্জা ভক্তদিগকে
জিজ্ঞাসা করি, আপনাদের মির্জ্জা সাহেব বাদশাহ ছিলেন কি? জিজইয়া কর গ্রহণ করার উপযুক্ত
ছিলেন কি? সমস্ত য়িহুদী ও খ্রীষ্টান তাহার উপর ইমান আনিয়াছে কি? তিনি
দুন্ইয়ার যুদ্ধের সমাপ্তি সাধন করিয়াছেন কি?
মির্জ্জা সাহেব এলহামি কেতাব বারাহিনে আহমদীয়ার ৫০৫ পৃষ্ঠায়
লিখিয়াছেন।
ঊদূ লেখা
ঢুকবে........................................................................
“হজরত মছিহ আলাইহিস সালাম অতি
গৌরবাম্বিত অবস্থায় দুনইয়ায় নাজিল হইবেন।”
আরও ৪৯৮/৪৯৯ পৃষ্ঠা ;-
ঊদূ লেখা
ঢুকবে........................................................................
“এই আয়তে বাহ্যিক ও রাজ্য
পরিচালনার হিসাবে হজরত মছিহ আলাইহিস সালাম-এর সম্বন্ধে ভবিষ্যদবানী আছে। এই খাকছার
(মির্জ্জা সাহেব) নিজের দরিদ্রতা ও নম্রতা হিসাবে মছিহ আলাইহিস সালাম-এর প্রথম
জীবনের নমুনা স্বরূপ।”
মির্জ্জা সাহেব নিজেই যখন নিজের এলহামি কেতাবে মছিহ আলাইহিস
সালাম উনার বাদিশাহির কথা স্বীকার করিতেছেন, তখন ইহার অন্য কোন অর্থ গৃহীত
হইতে পারে না। মির্জ্জা সাহেব এজালাতোল আওহামের ৩৬৭ পৃষ্ঠায় বিচারক হাকেমের অর্থ
বিকৃতি করিয়া লিখিয়াছেন যে,
তিনি লোকের আকায়েদ ও মতের ভ্রান্তি প্রকাশ করিবেন। কিন্তু
আমরা জিজ্ঞাসা করি, বাদশাহ ও সম্রাট হইলে, জিজইয়া কর গ্রহণ করিতে পারেন, কিম্বা
উহা রহিত করিতে পারেন,
অথবা যুদ্ধ করিতে পারেন। কোন রেওয়াএতে আছে যে, মছিহ
যুদ্ধ রহিত করিয়া দিবেন,
এবনো-মাযার রেওয়াএতে আছে যে, তাহার সময়ে যুদ্ধের পরিসমাপ্তি
হইবে। ইহাতে বুঝা যাইতেছে যে, হাকেমের অর্থ বাদশাহ। মির্জ্জা সাহেব যে হিন্দুস্থানে বাস
করিতেন, তথায় জিজইয়া কর নাই,
তিনি স্বয়ং বাদশাহ ছিলেন না, আর তাঁহার পরে দুনইয়াতে কত যুদ্ধ
হইয়া গিয়াছে, হজরত ইছার পরে কোন যুদ্ধ হইবে না। কাজেই মির্জ্জা সাহেব মছিহ হইতে পারেন না।
এই হাদিছে হজরত ইছা আলাইহিস সালাম উনার ন্যায় বিচারক হওয়ার
কথা স্পষ্টভাবে উল্লিখিত হইয়াছে, কিন্তু মির্জ্জা সাহেবের পুত্র ফজলে-আহমদ সাহেবের মামু
শ্বশুর আহমদ বেগ ছাহেবের মহম্মদী বেগম নাম্নী কন্যার উপর মির্জ্জা সাহেব আশক্ত
হইয়া তাহার বিবাহের প্রস্তাব করেন, কিন্তু মির্জ্জা সাহেব একত বৃদ্ধ, দ্বিতীয় তাহার স্ত্রী পুত্র
বর্ত্তমান ছিল, এই হেতু কন্যার আত্মীয়েরা এই বিবাহে রাজি হইতে পারেন নাই।
সেই সময় তিনি যে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করিয়াছিলেন, তাহা
তবলিগে-রেছালাতের ২/৯-১১ পৃষ্ঠায় লিখিত আছে। এস্থলে উহায় কয়েক ছত্র উদ্ধৃত করিতেছি
;-
ঊদূ লেখা
ঢুকবে........................................................................
“যদি ইহারা এই সঙ্কল্প হইতে বিরত
না হয়, তবে এই নিকাহ্র দিবসে ছুলতান আহমদ ত্যাজ্য পুত্র ও সম্পত্তি হইতে মহরুম
(বঞ্চিত) হইবে। আর যদি ইহার ভ্রাতা ফজলে-আহমদ যাহার গৃহে কন্যার (মোহাম্মদী
বেগমের) পিতা মির্জ্জা আহমদ বেগের ভাগিনেয়ী আছে উহার বিবাহের সংবাদ পাওয়ার দিবস
নিজের বিবিকে তালাক না দেয়,
তবে সেও ত্যাজ্য পুত্র ও পৈত্রিক সম্পত্তি হইতে বঞ্চিত
হইবে।”
নিরপেক্ষ পাঠক, মোহাম্মদী বেগমের পিতা মির্জ্জা
সাহেবের সহিত নিকাহ দিতে অসম্মত হওয়ায় নিকাহ হইল না, ইহাতে ফজলে-আহমদ বা তাহার স্ত্রীর
কি দোষ হইল? এইরূপ নির্দ্দোষী স্ত্রীকে তালাক দিতে বলা এবং ফজলে-আহমদকে ত্যাজ্য পুত্র
স্থির করা কি অবিচার নহে?
খোদাতায়ালা পুত্রদিগকে পৈত্রিক সম্পত্তির ওয়ারেছ করিয়াছেন, আর
মির্জ্জা সাহেব তাহাদিগকে বঞ্চিত করিলেন, ইহা অবিচার নহে কি?
হজরত মছিহ আলাইহিস সালাম উনার হাদিছে আছে যে, তিনি
ন্যায় বিচারক হইবেন,
কাজেই মির্জ্জা সাহেব অত্যাচারী হইয়া কিছুতেই মছিহ হইতে
পারেন না।
উক্ত হাদিছে আছে যে, হজরত মছিহ আলাইহিস সালাম উনার
সময়ে অর্থ এত অধিক পরিমাণ হইবে যে, লোকে জাকাত, খয়রাত
গ্রহণ করিতে রাজি হইবে না। (অসমাপ্ত)
(২)
ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক
পাকিস্তান
সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক
কাদিয়ানীদের
কাফির ঘোষণা!
অনুবাদিকা- শায়লা মুর্শেদ
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
“নবীগণের শেষ”
এই কথার নির্দিষ্ট অর্থ কি হতে পারে, সে
সম্পর্কে নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বহু হাদীছ
শরীফ রয়েছে। যার কিছু নীচে আবার উল্লেখ করা হলো-
১। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, খাতামুন নাবীয়্যিন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “বনী
ইস্রাইল জাতির সৌভাগ্য হয়েছিল, অনেক নবী আলাইহিস সালাম উনাদের দ্বারা পরিচালিত হওয়ার। যখন
একজন নবী আলাইহিস সালাম তিনি চলে যেতেন, উনার স্থান পূরণ হতো অন্য নবী
আলাইহিস সালাম উনাকে দিয়ে। এখন আর যাই হোক, আমার পর খলিফাদের মনোনয়ন হবে
কিন্তু কোন নবী আর হবেনা।”
(বুখারী, কিতাব-উল-আনবাইয়া ২য় খন্ড, ২৫৭ পৃষ্ঠা, দারুল
মায়ারিফাহ্, ইবরুত লেবানন)
২। মহানবী ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, “আমার এবং পূর্ববর্তী নবী আলাইহিস সালাম উনাদের দায়িত্বের
তুলনামূলক বিচার একটা রূপকের মাধ্যমে সহজ হতে পারে- একজন একটা অট্টালিকা নির্মাণ
করে তাকে সুন্দরভাবে সাজানো-গুছানো, কিন্তু ভিতরে এক কিনারে সে একটা
ফাঁকা কিংবা শূন্য জায়গা রেখে দিল। কেবল একটা উপযুক্ত ইটের অভাবে। মানুষ ঘুরে-ফিরে
অট্টালিকা দেখলো আর তার সৌন্দর্য্যে বিস্মিত হলো, কিন্তু বললো- এখানে একটা ইট গাঁথা
হয়নি কেন? এখন আমিই সেই ইট আর আমিই শেষ নবী।” [অর্থাৎ আমাকে দিয়ে নুবুওওয়াতের
অট্টালিকার কাজ শেষ। এখন তো আর কোন শূন্য খালি পড়ে নেই, যা পূরণ
করতে অন্য আর কোন নবীর প্রয়োজন হবে] (বুখারী, কিতাব-উল-মানাক্বিব ২য় খন্ড, ২৭০
পৃষ্ঠা, দারুল মায়ারিফায় প্রকাশিত, বৈরুত)
মুসলিম শরীফে (কিতাব-উল ফাযায়েল) এ বিষয়ের উপর চারটি হাদীছ
মিলে, যার শেষের কথাগুলো এমন-
(فجئت فختمت الانبياء)
“অতঃপর আমি এলাম আর শেষ হলো
নুবুওওয়াতের ধারা।”
তিরমীযি শরীফেও (তিরমীযি কিতাব-উল-মানাকিব, অধ্যায়
ফাযায়েল-উন-নবী)-এর উল্লেখ দেখতে পাওয়া যায়।
মাসুদ আবু দাউদ তাইয়ালিসিতে এই হাদীছ শরীফ হযরত জাবের বিন
আব্দুল্লাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
উনার বর্ণনায় যেমনভাবে আছে,
তার শেষের কথাগুলো হচ্ছে, “আমাকে দিয়ে নুবুওওয়াতের দরজা বন্ধ
করে দেয়া হয়েছে।”
হযরত উবাই বিন ক্বাব
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আবু সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত আবু
হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার
বর্ণনায় মসনদে আহ্মদের হাদীছ শরীফে একই হাদীছ, আর শব্দগুলো কিছুটা অন্য রকম
কিন্তু অর্থ একই পাওয়া যায়।
৩। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেছেন, “আমি ছয়টি বিষয়ে অন্য নবীদের থেকে
স্বতন্ত্রঃ-
(ক) আমাকে বিশুদ্ধ আরবী
ভাষাভাষী হিসেবে তৈরী করা হয়েছে।
(খ) আমাকে রৌবক প্রদান করা
হয়েছে। (রৌবক অর্থাৎ শত্রুরা উনাকে ভয় করতেন)
(গ) গনিমতের মালকে আমার
জন্য জায়েয করা হয়েছে।
(ঘ) আমার জন্য যমীনের
সমস্ত স্থানকেই সিজ্দার স্থান তৈরী করা হয়েছে বিশুদ্ধতা হাসিলের উদ্দেশ্যে স্বরূপ।
(ঙ) আমি সমস্ত দুনিয়ার
জন্য রসূল হিসেবে মনোনিত।
(চ) নুবুওওয়াতের দায়িত্ব
আমাকে দিয়ে শেষ করা হয়েছে। [মুসলিম ২য় খন্ড, ২৪নং পৃষ্ঠা, দারুল
কুতুবে প্রকাশিত (বৈরুত)]
৪। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঘোষণা করেন, “নুবুওওয়াতের ধারা শেষ হয়ে গিয়েছে।
আর কোন নবী আলাইহিস সালামও আসবেন না, রসূল আলাইহিস সালামও আসবেন না।” (তিরমীযি
২য় খন্ড, ৫৩ পৃষ্ঠা, হ.ম. সাঈদ কোম্পানী প্রকাশিত, করাচী)
৫। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঘোষণা করেন, “আমি
প্রশংসিত এবং আমি প্রশংসাকারী। আমিই সংস্কারক, আমি মিথ্যাকে ধ্বংস করেছি। আমি
হচ্ছি এমন এক সমন্বয়কারী,
যাঁর পিছনে হাশরের ময়দানে লোকেরা একত্রিত হবে এবং আমিই শেষ
নবী, যাঁর পর আর কোন নবী নেই।” (মুসলিম ২য় খন্ড, ২৬১ পৃষ্ঠা দিল্লীতে প্রকাশিত)
৬। রাসূলুল্লাহ্
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “আল্লাহ জাল্লা শানুহু এমন কোন
নবীকে পাঠাননি, যে তাঁর উম্মকে দজ্জালের আবির্ভাব সম্পর্কে সাবধান করেনি। আর আমি শেষ নবী, আর
তোমরাই শেষ উম্মত। অতএব,
এখন (সাবধান) সে তোমাদেরই সামনে প্রকাশ পারে।” (ইবনে
মাযাহ্ ২য় খন্ড, ১৭৮ পৃষ্ঠা)
৭। হযরত আব্দুর রহ্মান বিন
যুবাইর রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি হযরত
আব্দুল্লাহ্ বিন আমর আস রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুকে বলতে শুনেছি যে, একদিন তিনি আমাদের কাছে এমনভাবে এসেছিলেন, যেন শেষ
বিদায় নিচ্ছেন। তিন তিনবার তিনি ঘোষণা করলেন, “আমিই মুহম্মদ, নবী-উল-উশি।” আরো বললেন,
“আর কোন নবী আমার পর আসবে না।” (মসনদে আহমদ, হযরত
আব্দুল্লাহ্ বিন আমর বিন আস রহমতুল্লাহি
আলাইহি-এর বর্ণনায়) (অসমাপ্ত
)
*************************************************
LZ‡g byeyIIqvZ cÖPvi
†K›`ª
LZ‡g byeyIIqvZ
A¯^xKviKvixiv Kvwdi
( Bmjvgx kixq‡Zi
ûKzg †gvZv‡eK
hviv gymjgvb †_‡K
LZ‡g byeyIIqvZ A¯^xKviKvix m¤úÖ`v‡qi AšÍf~©³ nq
(†hgb- Kvw`qvbx, evnvB BZ¨vw`) Zv‡`i ZIevi Rb¨ wba©vwiZ mgq3w`b| Gici
ZIev bv Ki‡j, Zv‡`i kvw¯Í g„Zy¨`Û )
(1)
Kvw`qvwb i`!
(wØZxq fvM)
evniæj Djyg, dLiæj dyK¡vnv,
iBQyj gynv‡Ïmxb, ZvRyj gydvmwmixb, nv‡d‡h nv`xQ, gydZx‡q AvÕhg, cx‡i Kv‡gj, gywk©‡`
†gvKv‡¤§j nhiZ gvIjvbv Avjøvgv kvn& m~dx gyn¤§` iæûj Avwgb ingZzjøvwn
AvjvBwn KZ©„K cÖYxZ ÒKvw`qvwb i`Ó wKZveLvbv (6ô L‡Û mgvß)| Avgiv gvwmK Avj
evBwq¨bvZ cwÎKvq avivevwnKfv‡e cÖKvk KiwQ| hv‡Z Kvw`qvwb‡`i m¤ú‡K© mwVK aviYvmn
mg¯Í evwZj wdiK¡v †_‡K Avn&‡j mybœZ Iqvj Rvgvqv‡Zi Abymvix‡`i Cgvb AvKx`vi
†ndvRZ nq| gnvb Avjøvn cvK wZwb Avgv‡`i cÖ‡Póvi Kvwgqvex `vb Kiæb (Avgxb)|
Ibvi wKZve †_‡K ûeû
DׄwZ Kiv n‡jv, Z‡e ZLbKvi fvlvi mv‡_ eZ©gv‡b cÖPwjZ fvlvi wKQyUv cv_©K¨ i‡q‡Q|
(c~e© cÖKvwk‡Zi ci)
wg¾©v †Mvjvg Avng` Kv‡`qvwb
Qv‡ne cÖwZkÖæZ BQv gwQn nB‡Z cv‡ib wKbv ?
wg¾©v
mv‡n‡ei mg‡q A‡_©i AvwaK¨ nBqvwQj wK bv, Zvnvi wg¾©v mv‡n‡ei wb‡Ri wjwLZ cÖgvY
DׄZ Kwi‡j h‡_ó nB‡e|
wZwb
dr‡n-BQjv‡gi 23/24 c„ôvq wjwLqv‡Qb ;-
ÒGB
mgq Avgvi c‡ÿ wb‡Ri iwPZ †KZve¸wj c~Y© Kiv wbZvšÍ Riæwi| evivwn‡bi eû Ask GLbI
Qvcv‡bi Dchy³ iwnqv‡Q| Av‡kqvÕ‡Zvj- KziAvb, †QivR-gwbi, ZRw`‡`- `xb, Aveivwqb,
†Kvi-Avb kwi‡di ZdwQi, Lªxóvbw`‡Mi g‡Zi cÖwZev` msµvšÍ †KZve I Zvnv‡`i
msev`cθwji weiæ‡× GKLvbv gvwmK cwÎKv cÖKvk Kivi B”Qv Av‡Q| GB mg¯Í Kvh©¨
avivevwnK cÖPwjZ Kivi Rb¨ g~jab I Avw_©K Afve e¨ZxZ †Kvb cÖwZeÜKZv bvB|
hw`
Avgvi GKUx QvcvLvbv nq, GKRb Kvwc †jLK Avgvi wbKU meŸ©`v Dcw¯’Z _v‡K, KvM‡Ri
g~j¨, Qvcv‡bi e¨q I Kvwc †jLK‡`i †eZb Ges Ab¨vb¨ Li‡Pi UvKv AweiZ msMÖn nB‡Z
_v‡K, Z‡e GKwU wefv‡Mi c~Y© e›`e¯Í nB‡Z cv‡i|
†n
wn›`y¯Ívb, †Zvgvi g‡a¨ wK Giƒc †Kvb D`vi‡PZv Avwgi bvB †h, †Kej GB GK wefv‡Mi
e¨q enb Kwi‡Z mÿg nq|
hw`
cvuPRb ÿgZvkvjx Bgvb`vi GB mg‡qi Ae¯’v eywS‡Z cv‡ib, Z‡e Dc‡iv³ cvuPUx wefv‡Mi
fvi enb Kwi‡Z cv‡ib|Ó
wZwb
wKw¯Í‡q b~‡ni 74 c„ôvq wjwLqv‡Qb ;- Ò†h †Kn Avgvi wbKU gywi` nBqv‡Q, GK cqmv,
GK UvKv †h hvnv cv‡i GB Lv›`v‡bi mvnvh¨ KiæK, †gngvbLvbvi e¨q e¨ZxZ `xwb eû
wel‡qi e¨ Kivi Avek¨KZv Av‡Q| †gngvbw`‡Mi Dchy³ wekÖvg¯’j bvB, cvj½ mg~‡ni
e›`e¯Í bvB| gQwR`wU cÖk¯Í Kivi Avek¨K nB‡Z‡Q, †KZve iPbv I BQjvg cÖPv‡ii
wefvMUx kÎæ‡`i mg‡ÿ AwZ `yeŸ©j| cÖ‡Z¨K gyix‡`i c‡ÿ GB mg¯Í wel‡q mva¨vbyhvqx
mvnvh¨ Kiv `iKvi| AwZ Aí nB‡jI gvwmK Pvu`vB DrK…ó|
†n
wcÖq gywi`MY, GB mgqUx myeY© my‡hvM aviYv Ki, GB my‡hvM nvivB‡j KLb fv‡M¨ NwU‡e
bv| RvKvZ cÖ`vZvMY †hb G¯’‡j RvKvZ †cÖiY K‡ib Ges cÖ‡Z¨K Ace¨q iwnZ Kwiqv GB
c‡_ e¨q K‡ib|Ó
wKw¯Í‡q-by‡ni
76 c„ôvq wb‡Ri M„n cÖk¯Í Kivi Rb¨ Pvu`v PvwnqvwQb|
Avj-AwQGZ
†KZv‡ei 18/19 c„ôvq wZwb †e‡nkZx Kei¯’v‡bi Pvu`v Pvwnqv‡Qb|
Zewj‡M
†iQvjv‡Zi 6/26 c„ôvq cvš’kvjv I KzOvi Rb¨ Pvu`v Pvwnqv‡Qb|
GBiƒc
wZwb AvjnvKvg cwÎKvq wgbviv cÖ¯ÍyZ Kwi‡Z Pvu`v Pvwnqv‡Qb|
nvw`Q
kwi‡d ¯úófv‡e wjwLZ Av‡Q †h, nRiZ gwQn I nRiZ gvn`x AmsL¨ UvKv weZiY Kwi‡eb,
wKšÍy wg¾©v Qv‡ne gywi`M‡Yi wbKU nB‡Z AbeiZ Pvu`v msMÖn Kwi‡Zb| Kv‡RB wZwb
wKQy‡ZB gwQn nB‡Z cv‡ib bv|
wg¾©v
Qv‡ne GRvjv‡Zvj-AvInvg †KZv‡ei 350 c„ôvq GB nvw`‡Qi A_© weK…Z Kwiqv wjwLqv‡Qb,-
GB †Kvi-Avb GK eûg~j¨ m¤ú`, †Zvgiv Dnv Avb‡›`i mwnZ MÖnY Ki| †Zvgiv †h A_©
msMÖn Kwi‡ZQ, Zvnv nB‡Z Bnv DËg| Bnv‡Z Bkviv nB‡Z‡Q †h, Gj&g I †nKg‡Zi Zyj¨
†Kvb A_© bvB| Bnv D³ A_© hvnvi m¤ú‡Ü fwel¨ØvYx iƒ‡c wjwLZ nBqv‡Q †h, gwQn GB
`ybBqvq Avwmqv GB A_© GZ cwigvY e›Ub Kwi‡eb †h, †jv‡K jB‡Z Aÿ nBqv hvB‡e| Bnv
b‡n †h, wZwb UvKv Kwo msMÖn Kwi‡eb, †Kbbv †KviAv‡b A_© I mšÍvw`M‡K dvQv` ejv
nBqv‡Q| wZwb ÁvZmv‡i cÖ‡Z¨K‡K eû A_© `vb Kwiqv wK dvQv‡` wb‡ÿc Kwi‡eb?Ó
wg¾©v
mv‡n‡ei GB `vex evwZj, †Kbbv wg¾©v Qv‡ne wgbviv, gQwR`, †gngvbLvbv, gv`ªvmv
†e‡nkwZ Kei¯Ívb, †gngvb`vwi, cÎ †jLv, †KZve Qvcvb BZ¨vw` ewjqv eû UvKv msMÖn
KwiqvwQ‡jb, wb‡Ri Qwe weµq Kwiqv Kg UvKv msMÖn K‡ib bvB| AviI wb‡Ri mšÍvbM‡Yi
cq`v nIqvi Gj&nvg cÖvß nBqvwQ‡jb| hw` A_© I mšÍvb mšÍwZ cÖ‡Z¨‡Ki Rb¨ dvQv`
nq, Z‡e wZwb A_© msMÖn Kwi‡jb †Kb Ges mšÍvb mšÍwZ jv‡fi Rb¨ weevn Kwi‡jb †Kb?
wg¾©v
mv‡n‡ei KwíZ A_© wVK nB‡j, nvw`‡Qi GBiƒc A_© nB‡e, wg¾©v Qv‡ne †Kvi-Av‡bi
Gj&g cÖPvi Kwi‡eb, wKšÍy Zvnvi wk‡l¨iv Dnv Keyj Kwi‡eb bv|
G‡ÿ‡Î
Zvunvi wk‡l¨iv †Kvi-Av‡bi Gj&g AMÖvn¨ Kwiqv Kv‡di nB‡eb wKbv?
wg¾©v
Qv‡ne hLb †`wL‡jb †h, Zvunvi GZ K‡ói msM„nxZ A_© ivwk gwQn nIqvi `vex‡Z
†jvKw`M‡K `vb Kwiqv †dwj‡Z nq, GB †nZy wZwb GB †KŠkj evwni Kwi‡jb †h, G¯’‡j
UvKvKwo `vb D‡Ïk¨ b‡n, eis †Kvi-Av‡bi Avjg `vb Kiv Dnvi g¤§©|
wg¾©v
Qv‡ne wK GB AvqZ cvV K‡ib bvB?
لن
تنا لوا البو حتى تنفقوا مما تحبون.
ÒhZÿY †Zvgiv †Zvgv‡`i cQ›`bxq
A_©ivwk e¨q bv Kwi‡e, ZZÿY †Zvgiv Kj¨vY cÖvß nB‡e bv|Ó
wg¾©v
Qv‡ne wb‡Ri f¯ÍMY‡K Zvnvi n‡¯Í wewea cÖKvi Pvu`v cÖ`vb Kwi‡Z GZ weÁvcb cÖPvi
Kwi‡jb †Kb? Bnv‡Z wb‡R‡K dvQv‡` wb‡ÿc Kwi‡Z †Póv Kiv nBj wKbv? Bnv‡Z cÖgvwYZ
nBj †h wg¾©v mv‡n‡ei KwíZ A_© evZxj|
Z„Zxq
nvw`‡Q Av‡Q †h nRiZ gwQn AvjvBwnm mvjvg
n¾ I Igiv Kwi‡eb|
Gÿ‡b
Avwg wg¾©v f³w`M‡K wRÁvmv Kwi, Avcbv‡`i wg¾©v Qv‡ne n¾ K‡ib bvB, Z‡e wZwb
cÖwZkÖæZ gvn`x nB‡eb wKiƒ‡c?
wØZxq
nvw`‡Q Av‡Q, `ybBqv nB‡Z †Øl wnsmv A`„k¨ nBqv hvB‡e, Bnvi KviY GB †h, `ybBqvi
mg¯Í a¤§© wejyß nBqv †Kej BQjvg a‡¤§© cwiYZ nB‡e|
Gÿ‡Y
wg¾©v f³w`M‡K wRÁvmv Kwi, `ybBqv nB‡Z †Øl wnsmv `~ixf~Z nBqv‡Q wK? gyQjgvb I
L„óvbw`‡Mi g‡a¨ hy× jvwMqvB Av‡Q| L„óv‡b L„óv‡b hy× nB‡ZB Av‡Q| gyQjgvb I
wn›`yw`‡Mi g‡a¨ we‡Ølewý R¡wj‡Z‡Q, Bnvi weivg bvB|
( Amgvß )
(2)
Bmjvgx kixqZ
†gvZv‡eK cvwK¯Ívb mycÖxg †KvU© KZ„©K Kvw`qvbx‡`i
Kvwdi †NvlYv!
Abyevw`Kv - kvqjv
gy‡k©`
( c~e© cÖKvwk‡Zi ci
)
8| mvBwq¨`yj gyimvjxb, Bgvgyj
gyjmvjxb ûh~i cvK im~j-Djøvn& Qjøvjøvû AvjvBwn Iqv mvjøvg wZwb †NvlYv K‡ib,
ÒAvgvi ci Avi †Kvb bex Avm‡ebv, Z‡e mymsev` i‡q‡Q| Dbv‡K cÖkœ Kiv n‡jv- wK †mB
ïf msev`? wZwb ZLb DËi Ki‡jb, Òmy-¯^cœ|Ó (A_©vr Inx cÖvwßi Avi †Kvb m¤¢vebv
†bB, eo‡Rvi gvbyl g‡b Ggb †cÖiYv mÂq Ki‡Z cvi‡e, hv mZ¨ cÖZ¨v‡`kiƒ‡c Avm‡e)
9| nhiZ gyn¤§` Qjøvjøvû AvjvBwn
Iqv mvjøvg wZwb †NvlYv K‡ib, Òhw` Avgvi ci Ab¨ †KD bexi gh©v`v jvf Ki‡Zb, wZwb
n‡Zb ÔIgi Bebyj LvËveÕ|Ó (wZigxwh 2q LÛ, 209 c„ôv, n.g. mvBwq¨` Ges
†Kv¤úvbx, KivPx cÖKvwkZ)
10| ûh~i cvK Qjøvjøvû AvjvBwn
Iqv mvjøvg nhiZ Avjx iwØqvjøvû Zvqvjv Avbû Dbv‡K e‡jb, ÒAvgvi Kv‡Q †Zv Zywg
†Zgb, nhiZ gymv AvjvBwnm mvjvg Dbvi Kv‡Q nhiZ nviæb AvjvBwnm mvjvg †hgb wQ‡jb|
Z‡e cv_©K¨ GB †h, Avgvi ci Avi †KD bex n‡ebv|Ó (gymwjg kixd 2q LÛ, 278 c„ôv,
w`jøx‡Z cÖKvwkZ)
eyLvix Ges gymwjg kix‡d ZveyK hy× cÖm‡½ †h nv`xQ kixdwU, Zvi m‡½ GB nv`xQ kixdwU m¤úK©hy³| nhiZ mv` web Avwe
Iqv°vm ingZzjøvwn AvjvBwn-Gi eY©bvq G
wel‡qi Dci `yÕwU nv`xQ kixd gmb‡` Avng‡`
msKwjZ, hvi †k‡li K_v¸‡jvi A_© `vuov‡”Q, ÒwKšÍy Avgvi ci Avi †Kvb bex †bB|Ó G
cÖm‡½ wek` nv`xQ kixdwU nhiZ Avey `vD` Avqvwjwm iwØqvjøvû Zvqvjv Avbû, Bgvg
Avng` iwØqvjøvû Zvqvjv Avbû Ges nhiZ
gyn¤§` web Bm&nvK iwØqvjøvû Zvqvjv
Avbû †_‡K Ggbfv‡e cvIqv hvq †h, ÒZvey‡Ki hy‡× hvIqvi mgq ivm~jyjøvn& Qjøvjøvû
AvjvBwn Iqv mvjøvg wVK K‡iwQ‡jb,
g`xbvevmxi wndvh‡Zi Rb¨ nhiZ Avjx Kvi&iv gvjøvû‡K †i‡L hv‡eb| wKQy `yójvK G
wb‡q VvÆv-we`ªæc Ki‡Z _vK‡jv| nhiZ Avjx Kvivgyjøvû gnvbex Qjøvjøvû AvjvBwn Iqv mvjøvg-Gi Kv‡Q wM‡q cÖkœ Ki‡jb,
Ò†Õn Avjøvn&i ivm~j Qjøvjøvû AvjvBwn
Iqv mvjøvg! bvix Avi wkï‡`i g‡a¨ Avgv‡K †i‡L hv‡”Qb? ivm~jyjøvn& Qjøvjøvû AvjvBwn
Iqv mvjøvg mvšÍ¡bv w`‡q Dbv‡K ej‡jb, ÒZywg †Zv Avgvi Kv‡Q †Zgb, nviæb gymvi
Kv‡Q †hgb|Ó A_©vr nhiZ gymv AvjvBwnm
mvjvg hLb Zyi cvnv‡o iIqvbv n‡qwQ‡jb, nhiZ nviæb AvjvBwnm mvjvg‡K ebx BmªvB‡ji †`Lvïbvi Rb¨
†i‡L wM‡qwQ‡jb| †m iKg ivm~jyjøvn& Qjøvjøvû AvjvBwn Iqv mvjøvgI nhiZ Avjx iwØqvjøvû Zvqvjv
Avbû‡K g`xbv kixd iÿvi `vwqZ¡ w`‡q P‡j hvw”Q‡jb| GB Zyjbvi fyj e¨vL¨v hv‡Z bv
nq, †m wel‡q jÿ¨ †i‡L ivm~jyjøvn& Qjøvjøvû AvjvBwn Iqv mvjøvg m‡½ m‡½ †NvlYv Ki‡jb,
ÒAvgvi ci Avi †Kvb bex Avm‡e bv|Ó (A_©vr nhiZ nviæb AvjvBwnm mvjvg bex wQ‡jb, Avi nhiZ Avjx iwØqvjøvû Zvqvjv Avbû-Gi gh©v`v Zvui gZB cÖKvk
†c‡jI wZwb bex bb| KviY ivm~jyjøvn& Qjøvjøvû AvjvBwn Iqv mvjøvg e‡jB w`‡”Qb, ÒAvgvi ci Avi
†Kvb bex Avm‡e bv|Ó)
(11)
Zevb eY©bv K‡ib †h, ivm~jyjøvn& Qjøvjøvû AvjvBwn Iqv mvjøvg e‡jb, Ò ....... Ges †h,
Avgvi m¤úÖ`v‡qi g‡a¨ 30 Rb fÛ wb‡R‡`i bex e‡j `vex Ki‡e, hw`I AvwgB †kl bex Ges
Avgvi ci Avi †Kvb bex †bB|Ó (Avey `vD`, 2q LÛ, 202 c„ôv)
(12) nhiZ bex Kixg Qjøvjøvû
AvjvBwn Iqv mvjøvg e‡jb, Òc~‡e© eYx
BmªvBjx †Mv‡Îi g‡a¨ Ggb wKQy gvbyl wQj, hviv bex bv n‡jI Avjøvn& Zvqvjvi
KvQ †_‡K Mv‡qex AvIqvR ïb‡Z †c‡Zb| Ggb †KD Avgvi D¤§‡Zi g‡a¨ hw` _vK‡Zv, Z‡e †m
n‡Zv Igi|Ó (eyLvix, wKZveyj gvbvwK¡e, 2q LÛ, c„ôv-282, `viæj gvixhvni cÖKvwkZ,
ˆeiæZ)
(13) nhiZ bex Kixg Qjøvjøvû AvjvBwn Iqv mvjøvg †NvlYv K‡ib, ÒAvgvi c‡i Avi
†Kvb bex †bB, Avi Avgvi D¤§‡Zi ci Avi †Kvb D¤§Z †bB|Ó (evqnvK¡x, 5g LÛ, 197
c„ôv)
(14) nhiZ gnvbex ûh~i cvK Qjøvjøvû AvjvBwn Iqv mvjøvg †NvlYv K‡ib, ÒAvwgB †kl
bex, Avi Avgvi (g`xbv kix‡di) gmwR`B bex‡`i ˆZix gmwR`¸wji g‡a¨ †kl gmwR`|Ó
(gymwjg, wKZve Avj n¾ 202 c„ôv)
(15) nhiZ Bievm web mvwiqv iwØqvjøvû
Zvqvjv Avbû †_‡K ewY©Z †h, mvBwq¨`yj gyimvjxb, Bgvgyj gyimvjxb ûh~i cvK Qjøvjøvû
AvjvBwn Iqv mvjøvg †NvlYv K‡ib, ÒAvwg
mg¯Í bex AvjvBwnm mvjvgM‡Yi g‡a¨ †kl bexB wQjvg, hLb nhiZ Av`g AvjvBwnm mvjvg Dbvi Rb¥B nqwb|Ó nvwK‡gi
gymZv`ivK 2q LÛ, c„ôv-418, nvq`ªvev‡` cÖKvwkZ (Deccan)
(16) ewY©Z Av‡Q †h, nhiZ bex
Kixg Qjøvjøvû AvjvBwn Iqv mvjøvg Dbvi
D‡Ï‡k¨ nhiZ Avjx Kvi&ivgvjøvû e‡jb, Ò†n gnvb Avjøvn cvK Dbvi ivm~j! Avcbvi
Idv‡Zi m‡½ m‡½ hv †_‡g †Mj Ab¨ Avi †Kvb bex AvjvBwnm mvjvg Dbvi †ejvq †m iKg nqwb| †hgb,
byeyIIq‡Zi avivevwnKZv, Avjøvn cvK Dbvi KvQ †_‡K Inx cÖvwß, Avi me ai‡Yi Z_¨,
hv bexivB †Kej Avjøvn cvK Dbvi KvQ †_‡K †c‡q _v‡Kb|Ó (bvn&Ryj evjvMvn&
2q LÛ, c„ôv-255, wgk‡i cÖKvwkZ)
(17) ewY©Z Av‡Q †h, nhiZ Avey
hvdi iwØqvjøvû Zvqvjv Avbû Ges nhiZ Avey
Avãyjøvn& iwØqvjøvû Zvqvjv Avbû
e‡j‡Qb, Ògnvb Avjøvn cvK Dbvi Avmgvbx wKZvemg~‡ni g‡a¨ Aek¨B KziAvbyjøvn& cvK‡K c~Yv½ K‡i bvwhj K‡i‡Qb|
Avi nhiZ gyn¤§` gyRZev, Avn&g` gy¯Ídv ûh~i cvK im~jyjøvn&, nvweeyjøvn& Qjøvjøvû
AvjvBwn Iqv mvjøvg‡K w`‡q byeyIIq‡Z †kl
mxgv wbw`©ó K‡i w`‡q‡Qb|Ó (Dmyj-B-Kvwd, 1g LÛ c„ôv-103, bvIqvj wK‡kvqvi)
G
nv`xQ kixdmg~n eû msL¨K Qvnvev-B-wKivg iwØqvjøvû
Zvqvjv Avbû, eû msL¨K gynvwÏm Ges nK¡ wmj&wmjvi Av‡jg‡`i KvQ †_‡K ewY©Z| nv`xQ kixd¸‡jv‡K wePvi we‡kølY Ki‡j Zvi gg©v_©
GB nq †h, mvBwq¨`yj gyimvjxb, Bgvgyj gyimvjxb ûh~i cvK Qjøvjøvû AvjvBwn Iqv mvjøvg
AvbyôvwbKfv‡e wewfbœ mg‡q, wewfbœfv‡e Ges wewfbœ K_vq GwUB wbw`©ó K‡i‡Qb †h,
bex AvjvBwnm mvjvgM‡Yi g‡a¨ wZwbB †kl
bex, Dbvi ci Avi †KD bex n‡eb bv| Dbv‡K w`‡q byeyIIq‡Zi mgvwß Kiv n‡q‡Q, Avi byeyIIqZ‡K
cwic~Y© Kiv n‡q‡Q Ges (†h gvbyl¸‡jv wb‡R‡`i‡K im~j) bex e‡j `vex Ki‡e, Zviv
Aek¨B fÛ| KziAvb gRx‡`i LvZvgvbœvexDu k‡ãi Gi †P‡q nK¡, wbf©i‡hvM¨ P~ovšÍ
e¨vL¨v Avi nqbv|
(Amgvß)
আবা-২১,২২,২৩
0 Comments:
Post a Comment