কাদিয়ানি রদ - ১১

LZ‡g beyIIqvZ cÖPvi †K›`ª

LZ‡g beyIIqvZ A¯^xKviKvixiv Kv‡di

(Bmjvgx kixq‡Zi ûKzg gyZvweK hviv gymjgvb †_‡K LZ‡g beyIIqvZ A¯^xKviKvix m¤úÖ`v‡qi AšÍf~©³ nq (†hgb- Kvw`qvbx, evnvB  BZ¨vw`) Zv‡`i ZIevi Rb¨ wba©vwiZ mgq 3 w`b| Gici ZIev bv Ki‡j, Zv‡`i kvw¯Í g„Zy¨`Û )

 

(1)

Kvw`qvwb i` !

 

evniæj Djyg, dLiæj †dvK¡vnv, iBQyj †gvnv‡Ïmxb, ZvRyj gydvm‡mixb, nv‡d‡h  nv`xQ, gydZx‡q Avhg, cx‡i Kv‡gj, †gv‡k©‡` †gvKv‡¤§j nhiZ gvIjvbv Avjøvgv kvn& m~dx gyn¤§` iæûj Avwgb ingZzjøvwn AvjvBwn KZ©„K cÖYxZ ÒKvw`qvwb i`Ó wKZveLvbv (6ô L‡Û mgvß)| Avgiv gvwmK Avj evBwq¨bvZ cwÎKvq avivevwnKfv‡e cÖKvk KiwQ| hv‡Z Kvw`qvwb‡`i m¤ú‡K© mwVK aviYvmn mg¯Í evwZj wdiK¡v †_‡K Avn&‡j mybœZ Iqvj Rvgvqv‡Zi Abymvix‡`i Cgvb AvKx`vi †ndvRZ nq| Avjøvn& cvK Avgv‡`i cÖ‡Póvi Kvwgqvex `vb Kiæb (Avwgb)| Ibvi wKZve †_‡K ûeû DׄwZ Kiv n‡jv, hw`I ZLbKvi fvlvi mv‡_ eZ©gv‡b cÖPwjZ fvlvi wKQyUv cv_©K¨ jÿ¨Yxq|

wg¾©v †Mvjvg Avng` mv‡ne cÖwZkÖæZ

gvn`x nB‡Z cv‡ib wKbv?

( c~e© cÖKvwk‡Zi ci )

Ge‡bv-Avwe kvqev †iIqvGZ Kwiqv‡Qb;-

المهدي من هذه الامة وهوالذي يؤم عيسي اين مريم عليه السلام.

Ògvn`x GB D¤§‡Zi g‡a¨ nB‡eb, wZwbB nRiZ Cmv †e‡b gi‡q‡gi GgvgZ Kwi‡eb|Ó cvVK, Dc‡iv³ weei‡Y †ek eySv hvB‡Z‡Q †h, mwnn †evLvwi I †gvm‡j‡gi nvw`‡Q Ggvg I Avwgi ewjqv nRiZ Ggvg gvn`x‡K jÿ¨ Kiv nBqv‡Q, Bnv‡Z m‡›`n bvB|

wg¾©v mv‡ne kvnv`v‡Zvj †Kvi -Av‡bi 41 c„ôvq wjwLqv‡Qb; -

E`~ †jLv XyK‡e................................

 

Òmwnn †evLvwii †h nvw`Q¸wj‡Z †kl Rvgvbvi KZK Lwjdvi m¤^‡Ü msev` †`Iqv nBqv‡Q, we‡klZt †h Lwjdvi m¤^‡Ü †evLvwi‡Z wjwLZ Av‡Q, Avmgvb nB‡Z Zvunvi Rb¨ kã nB‡e †h, BwbB Avjøvn&Zvqvjvi Lwjdv| Gÿ‡Y Avgiv Kvw`qvbx m¤úÖ`vq‡K wRÁvmv Kwi, Avcbv‡`i cxi †gvi‡k` wg¾©v mv‡ne 2q LÛ GRjv‡Zvjj AvInv‡gi 266/193 c„ôvq wjwLqv‡Qb †h, Ggvg gvn`x msµvšÍ hveZxq nvw`Q RBd Ges evZxj| Avevi wZwb kvn`v‡Zvj †Kvi -Av‡bi 41 c„ôvq wjwLqv‡Qb †h, Ggvg gvn`xi K_v mwnn †evLvwi‡Z Av‡Q| GZ`yf‡qi g‡a¨ †Kvb& K_vUx mZ¨?

wg¾©v mv‡ne Rwggvq bRy‡jvj gwmn †KZv‡ei 31 c„ôvq wjwLqv‡Qb; -

E`~ †jLv XyK‡e.................................

Ònvw`‡m ¯úó DwjøwLZ nBqv‡Q †h, D³ Rvgvbvq hLb gvn`x cq`v nB‡eb, P›`ªMÖnY Dnvi cÖ_g ivw·Z Ges m~h©¨MÖnY Dnvi ga¨g w`e‡m nB‡e|Ó

AviI wZwb bRy‡jvj -gwQn †KZv‡ei 7 c„ôvq wjwLqv‡Qb; -

E`~ †jLv XyK‡e.................................

ÒAvmgvb ighvb gv‡mi P›`ª m~h©¨ MÖnY Øviv mvÿ¨ cÖ`vb Kwiqv‡Q, GB mvÿ¨ bv †Kej mywbœw`‡Mi `viKzrwb †KZv‡e wjwLZ Av‡Q, eis wkqv‡`i wbZvšÍ wek¦vm‡hvM¨ GKgv‡jÏxb †KZv‡eI cÖwZkÖæZ gvn&`xi jÿY P›`ª m~h©¨MÖnY msµvšÍ nvw`m wjwLZ Av‡Q, wKšÍy Bnv m‡Ë¡I †jv‡Kiv ¯úó †eBgvwb ekZt GB nvw`mUx i` Kwiqv‡Q, Dfq `‡ji GKZv m‡Ë¡I GB nvw`mUx mwnn b‡n wK? Gÿ‡Y Avgiv Kvw`qvwb m¤úÖ`vq‡K wRÁvmv Kwi, Avgv‡`i ¸iæ wg¾©v mv‡ne wb‡RB wjwLqv‡Qb †h, gvn`x msµvšÍ †Kvb nvw`m mwnn b‡n, Avevi GB nvw`mUx mwnn nBj wKiƒ‡c? mwnn †evLvwi I †gvQ‡j‡g †Kvb nvw`m bv _vwK‡j Dnv Zvnvi g‡Z mwnn nq bv, Kv‡RB GB nvw`mUx GB wnmv‡e Qwnn nB‡e wKiƒ‡c? wg¾©vRxi `vwe Abymv‡i GB nvw`mUx i` nBqv hvq, Kv‡RB wZwb †eBgvb nB‡eb wKbv? g~jK_v hw` gvn`x msµvšÍ nvw`m evZxj nq, Z‡e wg¾©vRxi gvn`x `vwe Kiv evZxj `vwe nB‡e| Avi hw` mwnn nq, Z‡e nvw`‡Q DwjøwLZ gvn`xi jÿY¸wj Zvnvi g‡a¨ bv _vKvq wZwb gvn`x `vwe Kwi‡Z cv‡ib bv|


********************************************************************

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র

খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির

 

(ইসলামী শরীয়তের হুকুম মোতাবেক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত হয় (যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই  ইত্যাদি) তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩দিন। এরপর তওবা না করলে, তাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড)

(১)

 

কাদিয়ানি রদ !

বাহরুল উলুম, ফখরুল ফুক্বাহা, রইছুল মুহাদ্দিসীন, তাজুল মুফাসসিরীন, হাফিযে হাদীছ, মুফতিয়ে আ’যম, পীরে কামিল, ,মুর্শিদে মুকাম্মেল হযরত মাওলানা আল্লামা শাহ্ সূফী মুহম্মদ রুহুল আমীন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত কাদিয়ানি রদকিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত)।

আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানিদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার অনুসারীদের ঈমান-আকীদার হেফাজত হয়।

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন। আমীন!

 উনার কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃতি করা হলো, যদিও তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়।

মির্জ্জা গোলাম আহমদ সাহেব প্রতিশ্রুত মাহদী হইতে পারেন কিনা? 

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

মির্জ্জা সাহেব এজালাতোল-আওহামের ২/২৯৩ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন;-

  ঊদূ লেখা ঢুকবে.................................................

মসিহ কি খোদা তায়ালার পক্ষ হইতে হেদায়েত প্রাপ্ত নহেন? এবনো-মাজা ও হাকেম নিজ সহিহ কেতাবে লিখিয়াছেন- ইছা আলাইহিস সালাম শরীফ ব্যতীত সেই সময় কেহ মাহদী (হেদায়েত প্রাপ্ত) হইবে না।          পাঠক, মির্জ্জা সাহেব এস্থলে মাহদী শব্দের আভিধানিক অর্থ হেদায়েত প্রাপ্তগ্রহণ করিয়াছেন, ইহাতে এইরূপ বিকৃত অর্থ হয়, সেই সময় ইছা আলাইহিস সালাম শরীফ ব্যতীত অন্য কেহ হেদাএত প্রাপ্ত হইবে না, কিন্তু ইহা একেবারে বাতীল অর্থ। দ্বিতীয় এবনো মাজার হাদিসটী জইফ ইহা এমাম সাইউতি মেছবাহোজ- জোজাজাকেতাবে বিস্তারিতরূপে লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। তিনি লিখিয়াছেন, ইহার প্রথম রাবি ইউনোস বেনে আবদুল আলা, দ্বিতয়ি রাবি এমাম শাফেয়ি, তৃতীয় রাবি মোহাম্মদ বেনে খালেদ, চতুর্থ রাবি আবান বেনে ছালেহ, পঞ্চম রাবি হাছান, কিন্তু ইউনোছ উহা এমাম শাফেয়ির নিকট শ্রবণ করেন নাই, মোহাম্মদ বেনে খালেদ জইফ ও অপরিচিত ব্যক্তি। আবান বেনে ছালেহ, হাসানের নিকট কোন হাদিস শ্রবণ করে নাই। আবুল হাছান এমমে শাফিয়ির সহিত স্বপ¦যোগে সাক্ষাৎ করিয়া জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, ইহাতে তিনি বলেন, ইউনোছ আমা হইতে মাহদী সংক্রান্ত যে হাদিস রেওয়াএত করিয়াছেন, উহা মিথ্যা। মূল কথা এই যে, মোহাদ্দেছগণের নিকট উপরোক্ত হাদিসটী ছহিহ নহে। মির্জ্জা সাহেব নিজেই এজালাতোল আওহামের ২/২৯৩ পৃষ্ঠায় ও হকিকাতোল মাহদীর ২০ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন যে, মাহদী সংক্রান্ত হাদিছগুলি জইফ, এই হেতু এমাম বোখারি ও মোসলেম তৎসমস্ত বর্ণনা করেন নাই। এই হিসাবে এই হাদিসটী বাতীল হইবে।       মির্জ্জা সাহেব যে এবনো-মাজা হইতে উক্ত হাদিসটী বর্ণনা করিয়াছেন, উক্ত কেতাবে নিম্নোক্ত হাদিসটী উল্লিখিত আছে;-

قال امامهم رجل صالح فبينما امامهم قد تقدم يصليى لهم الصبح اذا نزل عليهم عيسيى ابن مريم الصبح فرجع ذلك الامام يمشى القهقري ابن مريم الصبح فرجع ذلك الامام يسشى القهقري ليتقدم عيسيى يصلى فيصع عيسيى يده بين كتفيه ثم يقول له تقدم فصل فاغمالك اقيمت فيصلى بهم امامهم.  

 হজরত বলিলেন, তাহাদের (দাজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধকারিদের) এমাম (অগ্রনী) একজন নেক্কার ব্যক্তি হইবেন, উক্ত এমাম ফজরের সময় তাহাদের জন্য নামায পড়িতে অগ্রসর হইবেন, এমতাবস্থায় উক্ত সময়ে তাহাদের নিকট ইছা বেনে মরয়েম আলাইহিস সালাম শরীফ নাজিল হইবেন, ইহাতে উক্ত এমাম পশ্চাতের দিকে হটিয়া আসিবেন যেন (হজরত) ইছা আলাইহিস সালাম শরীফ অগ্রগামি হইয়া নামায পড়েন। তখন (হজরত) ইছা আলাইহিস সালাম শরীফ দুই স্কন্ধের মধ্যে হস্ত স্থাপন করিয়া তাঁহাকে বলিবেন, আপনি অগ্রসর হইয়া নামায পড়ুন, কেননা এই নামাযটী আপনার (এমামতের) জন্য একামত করা হইয়াছে, কাজেই তিনি তাহাদের নামায পড়াইবেন।        এবনো-মাজার এই সহিহ হাদিসে যে নেক এমামের কথা উল্লিখিত হইয়াছে, উক্ত হজরত মাহদী ইহা ইতিপূর্বে প্রমাণিত হইয়াছে, ইহাকে স্পষ্টভাবে বুঝা যাইতেছে যে, এমাম মাহদী ও হজরত ইছা আলাইহিস সালাম শরীফ পৃথক পৃথক ব্যক্তি। আরও হজরত নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম হজরত ইছা আলাইহিস সালাম শরীফ-উনার সম্বন্ধে বলিয়াছেন যে, তিনি মরয়েমের পুত্র রুহোল্লাহ্ ও নবি হইবেন এবং আসমান হইতে নামিয়া আসিবেন। আর হজরত মাহদীর সম্বন্ধে বলিয়াছেন যে, তিনি হজরত ফাতেমার বংশধর হইবেন। আরও তিনি উভয়ের পৃথক পৃথক হুলইয়াবর্ণনা করিয়াছেন, কাজেই উভয় এক হইবেন কিরূপে? ফৎহোল-বারি, ৬/৩১৭ পৃষ্ঠা;-

قال ابوالحسن فى مناقب الشافعى تواترت الاخيار بان المهدي من هذه الامة وان عيسي يصلى خلفه ذكر ذلك ردا للحديث الذي اخرجه ابن ماجه عن انس وفيه لا مهدي الاعيسي. 

 আবুল হাসান মানাকেবে-শাফেয়িকেতাবে এবনো মাজা উল্লিখিত মাহদী ও ইছা আলাইহিস সালাম শরীফ এক হওয়া সংক্রান্ত হাদিসের প্রতিবাদে বর্ণনা করিয়াছেন যে, মাহদী এই উম্মতভুক্ত হইবেন এবং (হজরত ইছা আলাইহিস সালাম শরীফ তাঁহার পশ্চাতে নামায পড়িবেন।এই সম্বন্ধে বহু হাদিসে উল্লিখিত হইয়াছে, যাহা মোতাওয়াতের নামে অভিহিত হইয়াছে।  আশেয়াতোল্লাময়াত, ৪/৩৪২ পৃষ্ঠা;-

 بدانكه احاديث درباب بودن مهدي از اولاد فا طمة زهرا بحد تواتر رسيده.

 তুমি জানিয়া রাখ, মাহ্দী যে ফাতেমার বংশধর হইবেন, তৎসংক্রান্ত হাদিছগুলি এত অধিক পরিমাণ উল্লিখিত হইয়াছে যে, যাহা মোতাওয়াতের নামে অভিহিত হইয়াছে। বহু সংখ্যক মোতাওয়াতের হাদিসের বিরুদ্ধে এবনো-মাজা উল্লিখিত হাদিছটী ছহিহ হইতে পারে না। আরও যদি আমরা উল্লিখিত হাদিছটী ছহিহ বলিয়া ধরিয়া লই, তবে বলি, হাদিছটীর মর্ম অন্যরূপ হইবে। ২১ নম্বর হাদিছের অর্থ এই যে, বায়তুল মোকাদ্দেসের উন্নতির সময় মদিনা শরিফের উৎসন্ন হওয়ার সূচনা হইবে; মদিনা শরিফের উৎসন্ন হওয়ার জামানায় ভয়ঙ্কর যুদ্ধের সূত্রপাত হইবে, ভয়ঙ্কর যুদ্ধের সময় কনষ্টান্টিনোপলের জয় করার সূচনা হইবে, কনষ্টান্টিনোপল জয় করার জামানায় দাজ্জালের বাহির হওয়ার সূচনা হইবে। অর্থাৎ উপরোক্তি ঘটনাগুলির জামানা নিকট নিকট হইবে, এইরূপ এবনো-মাজার হাদিসের অর্থ এইরূপ হইবে, মাহদীর জামানা ও ইছা আলাইহিস সালাম শরীফ-উনার জামানা একই হইবে।    

মূল মন্তব্য, হাদিস শরিফ, তরিকত তত্ত্ববিদ্ ও কাশফ শক্তিসম্পন্ন পীরগণ ও মোহাদ্দেছগণের দ্বারা এমাম মাহদী হওয়ার যে চিহ্নগুলি উল্লিখিত হইয়াছে, পাঞ্জাবের মির্জ্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানি সাহেবের মধ্যে তাহার একটী চিহ্ন পাওয়া যায় না, এই হেতু তিনি কিছুতেই মাহদী হইতে পারেন না।      (অসমাপ্ত)

*************************************************************************************************************

খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির

 

‌‌‌          {সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার হুকুম মুতাবেক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত হয় (যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি) তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩দিন। এরপর তওবা না করলে, তাদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড।}

 (১)

কাদিয়ানি রদ!

(দ্বিতীয় ভাগ)

বাহরুল উলুম, ফখরুল ফুক্বাহা, রইছুল মুহাদ্দিসীন, তাজুল মুফাসসিরীন, হাফিযে হাদীছ, মুফতীয়ে আযম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরত মাওলানা আল্লামা শাহ্ সূফী মুহম্মদ রুহুল আমীন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কর্তৃক প্রণীত কাদিয়ানি রদকিতাবখানা (৬ষ্ঠ খণ্ডে সমাপ্ত)। আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাতপত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানিদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আকীদার হেফাজত হয়। মহান আল্লাহ পাক আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমীন)।

উনার কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃতি করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

মির্জ্জা গোলাম আহমদ কাদেয়ানি ছাহেব প্রতিশ্রুত ইছা মছিহ হইতে পারেন কিনা ?

          (১) মিশকাত, ৪৭৯

عن ابى هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم والذى نفسى بيده ليكو شكن ان ينزل فيكم اين مريم حكما عدلا فيكسر الصليب ويقبل الخنزير ويضغ الجرية ويفيض المال حتى لا يقبله احد حتى نكون السجدة الواحدة خيرا من الدنيا وما فيها ثم يقول ابو هريرة فا قرؤا ان شثتم وان من اهل الكتاب الاليومنن به قبل موته الا ية متفق عليه.

 (হজরত) আবু হোরায়রা রেওয়াএত করিয়াছেন, (জনাব) রাছুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলিয়াছেন, যাহার আয়ত্ত্বাধীনে আমার প্রাণ আছে তাঁহার শপথ, নিশ্চয়ই অচিরে তোমাদের মধ্যে মরয়েমের পুত্র (ইছা) ন্যায় বিচারক শাসনকর্ত্তা  হইয়া  নাজিল হইবেন, তৎপরে তিনি ক্রশ ভাঙ্গিয়া ফেলিবেন, শূকরগুলি হত্যা করিবেন, ‘জিজ্ইয়াকর উঠাইয়া দিবেন, অর্থ বহু দান করিবেন, এমন কি কেহ উহা গ্রহণ করিতে চাহিবে না। এমন কি একটী ছেজদা দুন্ইয়া ওদুনইয়ার মধ্যস্থিত যাবতীয় বস্ত হইতে উৎকৃষ্ট হইবে। তৎপরে (হজরত) আবু হোরায়রা  রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলিতেছেন, যদি তোমরা ইচ্ছা কর, তবে (নিম্নোক্ত আয়াত) পাঠ কর। আহলে কেতাব (য়িহুদী ও খ্রীষ্টান) মাত্র উক্ত ইছার উপর তাঁহার মৃত্যুর পূর্ব্বে (অর্থাৎ শেষ জামানায় তাঁহার আছমান হইতে নাজিল হওয়ার পরে) ইমান আনিবে। বোখারি ও মোছলেম এই হাদিছটী রেওয়াএত করিয়াছেন।

(২) মিশকাত, ৪৭৯/৪৮০ পৃষ্ঠাঃ-

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم والله لينزلن اين مريم حكما عدلا فليكسرن الصليب وليقتلن الخنزير وليضعن الجزية وليتر كن القلاص فلا يسعى عليها ولتذهبن الثحناء والتباغض والتحا سد وليدعون الى مال فلا يقبله احد رواه مسلم.

রাছুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলিয়াছেন, খোদার কছম, সত্যই ইবনো-মরইয়াম ন্যায় বিচারক শাসন কর্ত্তা রূপে আছমান হইতে নামিয়া আসিবেন, তৎপরে নিশ্চয়ই তিনি ক্রশ ভাঙ্গিয়া ফেলিবৈন, শূকরগুলি হত্যা করিবেন, ‘জিজ্ইয়াকর উঠাইয়া দিবেন, যুবতী  উষ্ট্রিকাগুলি  পরিত্যাগ  করা  হইবে, এমন কি তৎসমুদয়ের আরোহন করার এবং তৎ সমস্ত দ্বারা কোন কার্য্য নির্ব্বাহ করিয়া লওয়ার চেষ্টা করা হইবে না। নিশ্চয়ই পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা দ্বেষ ও হিংসা বিলুপ্ত হইয়া যাইবে। অবশ্য তিনি লোকদিগকে টাকা কড়ি লইতে আহ¡ান করিবেন, কিন্তু কেহই উহা গ্রহণ করিবে না। মোছলেম ইহা রেওয়াএত করিয়াছেন।   

(৩) ছহিহ্ মোছলেম।

عن النبى صلى الله عليه وسلم والذى نفسى بيده ليهلن ابن مريم بفج الروحاء حاجا او معتمرا.

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হইতে বর্ণিত হইয়াছে, যে খোদার আয়ত্তাধীনে আমার প্রাণ রহিয়াছে উনার শপথ, ইবনো-মরয়েম ফজ্জেরওহানামক স্থানে হজ্জ কিম্বা ওমরা করা অবস্থায় এহরাম বাঁধিবেন।   

এমাম নাবাবী বলিয়াছেন, মক্কা ও মদিনার মধ্যস্থলে একটী স্থানের নাম ফজ্জে-রওহা

          (৪) আবুদাউদ, ২/২৩৮ পৃষ্ঠা

عن ابى هريرة عن النبى صلعم قال ليس بينى وبينه يعنى عيسى عليه السلام نبى وانه نازل فاذا رايتموه فاعرفوه رجل مريو غ الى الحمرة و الياض بين ممصر تين كان رأسه يقطر وان لم يصبه بلل فيقاتل الناس على الاسلام فيدق الصليب ويقتل الخنزير ويضع الجزية ويهلك الله فى زمائه الملل كلها الا الاسلام وتقع الامنة فى الارض حتى ترتع الاسود مع الابل وتلعب الصبيان با لحيات.

(হজরত) আবু হোরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি রেওয়াএত করিয়াছেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলিয়াছেন, আমার মধ্যে এবং উনার মধ্যে অর্থাৎ ইছা আলাইহিস সালাম উনার মধ্যে কোন নবী নাই এবং নিশ্চয় তিনি (আছমান হইতে) নামিয়া আসিবেন, যখন তোমরা উনাকে দেখিতে পাও, তখন উনার এইরূপ পরিচয় জানিয়া রাখিও। তিনি না লম্বা, না বেঁটে, বরং মধ্যম ধরণের লোক, লাল রং-এর, কিন্তু উহার সহিত স্বেত আভা আছে (ইহা গন্দম রং বলা যাইতে পারে), তিনি দুইখানা জরদ রঙ্গের রঞ্জিত কাপড় পরিহিত অবস্থায় থাকিবেন, উনার মস্তক হইতে ঘর্ম্ম নির্গত হইতে থাকিবে- যদিও উনার শরীরে পানি পৌঁছিয়া না থাকে। তৎপরে ইছলাম প্রচার হেতু লোকদের সহিত সংগ্রাম করিবেন। ইহাতে তিনি ক্রশ ভাঙ্গিয়া ফেলিবেন, শূকরগুলি হত্যা করিবেন, ‘জিজ্ইয়াকর উঠাইয়া দিবেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার সময়ে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ব্যতীত সমস্ত ধর্ম লোপ করিয়া দিবেন, পৃথিবীতে এরূপ শান্তি উপস্থিত হইবে যে, কালসর্প উটের সহিত বিচরণ করিবে এবং বালকেরা সর্পগুলির সহিত ক্রীড়া করিবে।

تنزع خمة كل ذات حمة حتى يدخل الوليد يده فى الحية قلاتضره وتفر الوليدة الاسد فلايضرها ويكون الذئب فى الغنم كائه كلبها وبملأ الارض من مسلم كما يملا الاناء من الماء وتكون الكلمة واحدة فلا يعبد الا الله وبضع الحرب اوزاوها وتسبلب قرش ملكها وتكون الارض كفاثور الفضة تنبت نبت نبا تها بعهد ادم حتى تجمع النفر على القطف من العنب فيسعهم ويجتمع النفر على الرمانة فتصبعهم ويكون الشور بكذا وكذا من المال ونكون الفرس با لدريهمات.

হযরত বলিয়াছেন, (হযরত) ইছা আলাইহিস সালাম উনার সময়ে প্রত্যেক বিষাক্ত জীবের বিষ হরণ করিয়া লওয়া হইবে, এমন কি শিশু সন্তান নিজের হস্ত সর্পের মুখে প্রবেশ করাইয়া দিবে, কিন্তু সর্প উহার কোন ক্ষতি করিবে না। একটী শিশু বালিকা বাঘ্রকে বিতাড়িত করিবে, কিন্তু ব্যাঘ্র উহার কোন ক্ষতি করিবে না। ছাগলের দলের মধ্যে নেকড়ে বাঘ ছাগরক্ষী কুকুরের তুল্য হইবে। যেরূপ পানি দ্বারা পাত্র পূর্ণ করা হয়, সেইরূপ পৃথিবী মুছলমানদিগের দ্বারা পূর্ণ করা হইবে, কলেমা একই হইবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত অন্য কিছুরই ইবাদত করা হইবে না, যুদ্ধ একেবারে রহিত হইয়া যাইবে, কোরাইশগণ নিজেদের রাজ্য অধিকার করিয়া লইবেন, জমি রৌপ্যের তন্তরির ন্যায় হইবে, হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার যামানার ন্যায় জমি স্বীয় উদ্ভিদ উৎপাদন করিবে, এমন কি একটি আঙ্গুরের খোষার নিকট একদল লোক একত্রিত হইলে, তাহাদিগকে স্থান দান করিবে, একদল লোক একটী ডালিম ভক্ষণ করিয়া ক্ষুধা নিবারণ করিবে, একটী গরুর মূল্য এত অধিক পরিমাণ টাকা হইবে এবং একটী ঘোটকের মূল্য সামান্য কতিপয় দেরম হইবে।” (অসমাপ্ত)

          (৬) মেশকাত, ৪৭৩ পৃষ্ঠা

فبينما هو كذلك اذ بعث الله المسيح بن مريم فينزل عند المنارة البيضاء شرقى دمشق واضعا كفه على اجنحة ملكين اذا طا طا راسه قطر واذا وفعه تحدر منه مثل جمان كاللؤلؤ فلايحل لكاقر يجد من ريح نفسه الامات ونفسه ينتهى حيث ينتهى فيطلبه حتى يدركه بياب لد ثم ياتى عيسى قوم قد عصمهم الله منه فيمسح عن وجوههم ويحد ثهم بدر جاتهم فى الجنة.

দাজ্জালের এইরূপ কার্য্যকলাপ করার অবস্থায় আল্লাহতায়ালা মরয়েমের পুত্র মছিহকে প্রেরণ করিবেন, ইহাতে তিনি দেমাশ্কের পূর্ব্বদিকে শ্বেত মিনারার নিকট দুইখানা লাল রঙের রঞ্জিত কাপড় পরিহিত অবস্থায় দুই ফেরেশ্তার পালকগুলির উপর দুই হস্ত রাখিয়া নাযিল হইবেন, যখন তিনি নিজের মস্তককে নত করিবেন, ঘর্ম্ম নির্গত হইতে থাকিবে, আর যখন তিনি উহা উচ্চ করিবেন, উহা হইতে মুক্তার ন্যায় যেন রৌপ্যের বিন্দুসমূহ পতিত হইতে থাকিবে। তৎপরে যে কোন কাফের উনার নিশ্বাসের বায়ু প্রাপ্ত হইবে, সে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিবে। উনার দৃষ্টিপথ পর্য্যন্ত উনার নিশ্বাস পৌঁছিবে। তৎপরে তিনি দাজ্জালকে অনুসন্ধান করিয়া লোদ্দ নামক স্থানের দরওয়াজায় প্রাপ্ত হইয়া হত্যা করিবেন। তৎপরে যে দল লোককে আল্লাহ দাজ্জালের চক্র হইতে রক্ষা করিয়াছিলেন, তাহারা (হজরত) ইছা আলাইহিস সালাম উনার নিকট উপস্থিত হইবেন, ইহাতে তিনি তাহাদের চেহোরা হইতে দুঃখের চিহ্নকে মুছিয়া ফেলিবেন এবং বেহেশতের মধ্যে তাহাদের দরজা সমূহের সংবাদ তাহাদের নিকট প্রকাশ করিবেন।

 

 

 

 

 

 

 

(২)

ইসলামী শরীয়ত মুতাবেক পাকিস্তান সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক কাদিয়ানীদের কাফির ঘোষণা-

অনুবাদক :  ডাঃ মুহম্মদ আবূ সালেহ্

 

 [বিশেষ দ্রষ্টব্য: পাকিস্তানের ফেডারেল শরীয়ত আদালতের যে রায়ে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের পাকিস্তানে বসবাসরত সকল দল- উপদলের সদস্যরা সেখানে অমুসলিম ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিসেবে ঘোষিত হয়, এখানে আমরা সেই রায়ের অনুবাদ ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করছি।  উল্লেখ্য যেহেতু শরীয়ত আদালতে রায় এবং যেহেতু বিষয়টি শরীয়ত সংক্রান্ত সেহেতু ইংরেজী ভাষায় প্রদত্ত উক্ত রায়ের ভাবানুবাদ না করে যতদূর সম্ভব আক্ষরিক অনুবাদ করা হলো। -অনুবাদক]

উপস্থিতঃ- ফখরে আলম, প্রধান বিচারপতি, চৌধুরী মুহাম্মদ সিদ্দীক, মাওলানা মালিক গোলাম আলী ও মাওলানা আবদুল কুদ্দুস কাসমি বিচারপতিবৃন্দ।

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

আর রাগিবের মতে- কোন বস্তুকে সীল মোহরাঙ্কিত করা। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই কাউকে কোন কিছু থেকে রক্ষা করা অর্থে অথবা কোন লিখিত বিষয় বা কোন দরজাকে সীল মোহরাঙ্কিত করা এবং কখনো কখনো এক বস্তু থেকে অন্য বস্তুতে ছাপ দেয়া এবং কখনো বা কোন বস্তুর বা বিষয়ের  শেষ প্রান্তে পৌঁছা অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

          ختم على قلبه    

 (তিনি তার অন্তরকে সীল অর্থাৎ বন্ধ করে দিলেন) মানে হলো তিনি তার অবস্থা এমন করে দিলেন যে, সে বুঝে না এবং তার মাধ্যমে পরবর্তীদের নিকট কোন কিছু পৌঁছুতেও পারেনা। অথবা, তার হৃদয়/মনকে এমন করে দিলেন যে, সে বুঝেইনা।

ختم الله على قلو بهم

(মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের অন্তরকে সীল মোহরাঙ্কিত করে দিয়েছেন) এবং

ختم الله على قلو بهم

 (মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের অন্তরে সীল-মোহর মেরে দিয়েছেন) দ্বারা বুঝায় যে, যখন কোন ব্যক্তি কোন মতেই মিথ্যা ও অন্যায়কে পরিত্যাগ করেনা এবং মন্দ কাজেই ব্যাপৃত থাকে, তখন মহান আল্লাহ পাক তাকে আর সত্যের পানে ফিরান না। এটিই স্বাভাবিক। ফলে, সে মন্দের দিকে নিশ্চিন্তমনে আরো ঝুঁকে পড়ে, যেন তার স্বভাবের ছাপ তার অন্তরে গেঁথে গিয়েছে (আল মুফরাদাত, রাগেব ইস্পহানী, পৃঃ-১৪৩)।

ختم النبيين

মানে হলো সেই পয়গম্বর যাঁর আবির্ভাবে নুবুওওয়াতের ধারা (সিলসিলা) বা সূত্রের পরিসমাপ্তি ঘটেছে (আল মুফরাদাত, রাগেব ইস্ফাহানী, পৃঃ ১৪২-১৪৩)       তাজুল উরুসে বলা হয়েছেঃ- হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নাম মুবারকসমূহের মধ্যে খত্ম্ এবং খাতিম ও আছে, যার অর্থ হচ্ছে, নুবুওওয়াত উনার পবিত্র আগমনেই পরিসমাপ্তি লাভ করেছে (তাজুল উরুস, খঃ-৪, পৃঃ১৮৬, মাযমাউল বিহার, খঃ ৮, পৃঃ ১৯৪)। সুতরাং, খতম সীল) এবং খাতিব (যিনি সমাপ্ত করেন) এর আভিধানিক অর্থ একই।   এর উপর ভিত্তি করে, সকল অভিধান রচনাকারী ও টীকা লেখকগণ এই ঐক্যমতে পৌঁছেছেন যে, খাতাম-উন-নবীয়ীন অর্থ হলো সর্বশেষ নবী (আখের-উন-নবীয়ীন)       আরবী ভাষার ব্যবহারবিধি এবং আভিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে খাতামবলতে ডাক-টিকিটকে বুঝায় না, খামের মুখে ব্যবহৃত সীলকেই বুঝায়, যাদ্বারা উক্ত খামের অভ্যন্তরস্থ বস্তুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়, যেন সেটি খোঁয়া না যেতে পারে বা নতুন করে কোন জিনিস খামের ভিতরে প্রবিষ্টও করানো না যায়, যতক্ষণ উক্ত সীল ভাঙ্গা না হবে।  (অসমাপ্ত)

 িআবা-১৫,১৬,১৭

0 Comments: